Logo
শিরোনাম

১২ মে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘পাঠান’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান অভিনীত পাঠান সিনেমা ৫ মের পরিবর্তে আগামী ১২ মে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেশের সিনেমা হলে। দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য ইতোমধ্যে সেন্সর বোর্ড থেকে আনকাট ছাড়পত্রও পেয়েছে সিনেমাটি।

শাহরুখ-দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত এ সিনেমাটি দেশে মুক্তি পেলেও সব প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে না। কেবল যেসব সিনেমা হলে নারী টয়লেট ভালো রয়েছে, সেসব হলেই সিনেমাটি মুক্তি দেয়া হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সিনেমাটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের অনন্য মামুন।

তিনি বলেন, সিনেমা হলে নারী টয়লেট ভালো থাকার বিষয়টি আমাদের প্রথম শর্ত। আমরা চাই আবারও নারী দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে ফিরে আসুক।

এদিকে জানা গেছে, দেশে ৩২টি সিঙ্গেল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি দেয়া হবে পাঠান। সিনেমাটি মুক্তিতে প্রথম শর্ত নারী টয়লেট থাকতে হবে। পরিচালক অনন্য মামুন বলেন, পাঠান সিনেমা নিয়ে ইতোমধ্যে দর্শকের মধ্যে অন্যরকম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষদেরও আগ্রহ রয়েছে। অনেকে সিনেমাটি নেয়ার জন্য সাউন্ড সিস্টেম ঠিক করাসহ সংস্কার সম্পন্ন করে নিচ্ছে। আশা করছি তারা নারী টয়লেটও করে নেবে।

জন আব্রাহাম ও ক্যামিও চরিত্রে হাজির হওয়া সালমান খান অভিনীত সিনেমাটি ইতোমধ্যে হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করেছে। বিশ্বজুড়ে পর্দায় মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি ওটিটি প্লাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমেও মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এবার বাংলাদেশে মুক্তির জন্য নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ সালের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর শুভ আবির্ভাব ঘটে

দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ- মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ সালের এই দিনে (১২ রবিউল আউয়াল) আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)

মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা বিশৃংখলা যুগকে বলা হতোআইয়ামে জাহেলিয়াত যুগ

তখন মানুষ হানাহানি কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করতো। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।


মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত লাভ বা মহান রাব্বুর আলামিনের নৈকট্য লাভ করেন

পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় দিনের (পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর) গুরুত্ব তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।


এদিকে, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সকল কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর জীবনের ওপর আলোচনা, মিলাদ দোয়া মাহফিল

ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পবিত্র কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ দোয়া মাহফিল, বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সেমিনার, ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-না, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুলে নৈতিকতা চরিত্র গঠন বিষয়ক সেমিনার, বিশেষ স্মরণিকা ক্রোড়পত্র প্রকাশ

এছাড়াও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৪ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল বিভাগীয় জেলা কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনেরও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে

সূত্র: বাসস


আরও খবর



নওগাঁয় প্রতিবন্ধীকে নিজ উদ্যোগে দোকান করে দিলেন ইউএনও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁর আদিবাসী পরিবারের শারীরিক প্রতিবন্ধী বালককে আত্ম কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিলেন, নওগাঁর সাপাহার উপজেলার মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন।

মঙ্গলবার দুপুরে সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলার বিন্নাকুড়ি আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দা  নগেন মাস্টারের পুত্র শারীরিক প্রতিবন্ধী বিমল কে আত্ম কর্মসংস্থানের  লক্ষে বিন্নাকুড়ি মোড়ে  দোকান ঘর ও  নিজস্ব অর্থায়নে মুদিখানা দোকানের পুঁজি হিসেবে যাবতীয় (দোকানের মালামাল) ক্রয় করে দিয়ে তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। 

উল্লেখ্য যে, প্রতিবন্ধী বালকের ঘুমটি দোকান ঘর তৈরির জন্য মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদারের পক্ষ হতে  ৬ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী বিমল   সংশ্লিষ্ট  সকলের প্রতি  কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, একটি শারীরিক প্রতিবন্ধী পরিবারের কর্মসংস্থানের ফলে একটি পরিবার সচ্ছলতার সংন্ধান পেতে পারে। এ ধরনের মানবিক কাজ তিনি অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান।


আরও খবর



নেপালে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

চলতি বর্ষায় বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপালেও দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু। হিমালয় কন্যা নামে পরিচিত ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটির প্রায় সব জেলাতেই মশাবাহিত এই রোগটি হানা দিয়েছে।

নেপালের মহামারি ও রোগ নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের কর্মকর্তা উত্তম কৈরালা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী চলতি বছর বর্ষায় নেপালের ৭৭টি জেলার ৭৫টিতে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ২শরও বেশি রোগী এবং মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৩ জনের।

তবে কৈরেলা আরও বলেছেন, আক্রান্ত-মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা সরকারি হিসেবের চেয়ে অনেক বেশি বলে ধারণা করছেন তারা।

২০০৪ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় নেপালে। তারপর থেকে প্রতি বছরই বর্ষাকালে এ রোগে আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী এই দেশটিতে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ আক্রান্ত মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল ২০২২ সালে। ওই বছর ৫৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন মশাবাহিত এই রোগটিতে এবং মারা গিয়েছিলেন ৮৮ জন।

তবে নেপালের জাতীয় স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা নেপাল হেলথ রিসার্চ কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা মেঘনাথ ধিমাল জানিয়েছেন, চলতি বর্ষায়ে যে হারে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে দেশটিতে তাতে গত বছরের রেকর্ড পেরিয়ে যেতে পারে দেশটি।

মেঘনাথ ধিমালের মতে, নেপালে ডেঙ্গুর বিস্তারের প্রধান কারণ আবহাওয়াগত পরিবর্তন। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের এই দেশটিতে সাধারণত শরৎকাল থেকেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পেতে থাকে এবং শীত পড়া শুরু করে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই অপেক্ষাকৃত উষ্ণ ও বৃষ্টিবহুল শরৎ দেখছে নেপাল।

ফলে বর্ষা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ডেঙ্গুর একমাত্র পরিবাহী এডিস মশার বংশবিস্তারের পরিবেশ বজায় থাকছে; আর এই ব্যাপারটিকেই নেপালে ডেঙ্গুর বিস্তারের প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেছেন মেঘনাথ।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




আত্রাইয়ে ১৯বছর পর ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর আত্রাইয়ে রতন হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আব্দুল হামিদ কে দীর্ঘ ১৯বছর পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হামিদকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। তিনি উপজেলার সাহেবগঞ্জ দক্ষিন পাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে এবং একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে রতন খন্দকার হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী।

 রতন খন্দকারের ছোট ভাই রিপন খন্দকার জানান,২০০৪সালের ১৬মে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে বড় ভাই রতনকে পিটিয়ে হত্যা করে আব্দুল হামিদ ও তার সহযোগিরা।এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলার পর থেকে আব্দুল হামিদ পলাতক ছিল।ওই মামলার রায়ে বিজ্ঞ আদালত হামিদকে মৃত্যু দন্ড এবং আরো দুইজনকে যাবতজীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে। এছাড়া আরো একজন খালাস পায়। 

 আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন,রতন হত্যা মামলার রায়ে আদালত হামিদকে ২০০৯সালে মৃত্যু দন্ডে দন্ডিত করে। ঘটনার পর থেকে হামিদ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয় র‍্যাবের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হামিদকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।


আরও খবর



স্বপ্নের নায়ককে হারানোর দিন আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

বিনোদন ডেস্ক : বাংলা সিনেমার রাজকুমার চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।

ঠিক ২৭ বছর আগে ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহর রহস্যমৃত্যু ঘটে। সেই রহস্যের জট এখনও খোলেনি। দফায় দফায় তদন্ত, প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি নায়কের পরিবার কিংবা ভক্তরা। কারণ সেসব প্রতিবেদনে বরাবরই বলা হয়েছে, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। যদিও তার পরিবার অর্থাৎ মা নীলা চৌধুরী এখনো সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা মানতে নারাজ।

তবে এটি অপমৃত্যু নাকি হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে এখনো রয়েছে ধোঁয়াশা থাকলেও সালমান শাহের মৃত্যুর এত বছর পরও তার জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি।

বলা হয়, সালমান শাহ ছিলেন কালোত্তীর্ণ নায়ক। কোনো কালের মধ্যে তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন না। তার ফ্যাশন সচেতনতা, স্টাইলিশ চলাফেরা সবসময়ের জন্য প্রযোজ্য। ভক্তদের চোখে তিনি ছিলেন ‘স্বপ্নের নায়ক’।
ক্ষণজন্মা এই নায়কের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরীতার নানা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয় করেছিলেন। অভিনয়ে সালমানের আসা নানার কারণেই।

সালমানের পারিবারিক নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান বড় ছিলেন। ছোটবেলায় তিনি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। ইমন নামে অভিনয় জীবন শুরু হয় বিটিভিতে শিশুশিল্পী হিসেব ১৯৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লীগীতিতে পাস করেছিলেন তিনি।

মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক ‘পাথর সময়’-এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সালমান শাহ’র অভিনয়ে অভিষেক হয়েছিল। পরবর্তীতে আরও বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। প্রথম সিনেমাই সালমান শাহ দর্শকের মাঝে ঝড় তোলেন। এ সিনেমার মাধ্যমে চিত্রনায়িকা মৌসুমীও চলচ্চিত্রে আসেন। সালমান-মৌসুমী জুটি অল্প সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।
পরবর্তীতে এ জুটি ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দেনমোহর’ সিনেমায় অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। এরপর শাবনূরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সালমান শাহ। এ জুটিও অসামান্য জনপ্রিয়তা পায়। প্রায় এক ডজন সিনেমায় এ জুটি অভিনয় করেন।

সালমান শাহ অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো, ‘তুমি আমার’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘বিচার হবে’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘সুজন সখি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বুকের ভেতর আগুন’ ইত্যাদি।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩