Logo
শিরোনাম

১৪ দলে ভাঙনের সুর

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image


সদরুল আইন:

১৪ দলকে পুনর্গঠন এবং সক্রিয় করার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। 

ওই বৈঠকে ১৪ দলের নেতাদের মান অভিমান ভাঙানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেন। গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১৪ দলের বিভিন্ন নেতারা আবেগঘন কথাবার্তা বলেন, হতাশার কথা বলেন। 

তাদেরকে কীভাবে অবজ্ঞা, অবহেলা করা হচ্ছে তার ফিরিস্তিও তুলে ধরেন। বিশেষ করে নির্বাচনে ১৪ দলকে উপেক্ষার বিষয়টি সামনে চলে আসে। 

প্রধানমন্ত্রী অবশ্য ধৈর্য্যের সঙ্গে সবার বক্তব্য শুনেছিলেন। এরপর তিনি ১৪ দলকে সক্রিয় করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এর পরপরই ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে ১৪ দলের নেতৃবৃন্দের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং তারা বিভিন্ন বিষয়ে ধীরে ধীরে কর্মসূচি পালনের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন। 

কিন্তু এরমধ্যেই গতকাল বাজেটের পর ১৪ দলের মধ্যে ভাঙনের সুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি এই বাজেটের তীব্র সমালোচনা করেছেন। রাশেদ খান মেনন এই বাজেটকে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে দুর্নীতিবাজ, কালো টাকার মালিকরা সুবিধা পাবে, সাধারণ মানুষ কষ্ট পাবে। 

একই রকম অবস্থান গ্রহণ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনিও এই বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনা করেছেন। 

অতীতে কোন সময় আওয়ামী লীগের শরিকরা বাজেট নিয়ে সরাসরি ভিন্নমত পোষণ করেনি। বাজেট নিয়ে তাদের ভিন্ন মত তারা জোটের ফোরামে আলোচনা করেছেন এবং সেই অনুযায়ী আওয়ামী লীগকে পরামর্শ দিয়েছেন। 

কিন্তু এবার সম্পূর্ণ চিত্রটা ভিন্ন। বাজেটের পরপরই রাশেদ খান মেনন এবং হাসানুল হক ইনু মুখ খুলেছেন। তারা সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। এই প্রেক্ষিতেই রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে যে, তাহলে কী ১৪ দল ভেঙে যাচ্ছে? 

একটি জোটের মধ্যে শরিকরা সরাসরি কী সরকারের অবস্থান বা প্রধান দলের অবস্থানের সমালোচনা করতে পারে? 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেট নিয়ে সমালোচনার সঙ্গে ১৪ দলের ভাঙনের কোন সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ঘটনা। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব অর্থনৈতিক কৌশল এবং নীতি রয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টির একটি অর্থনৈতিক অবস্থান আছে। তারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মনে করছে, বাজেট সঠিক হয়নি। 

অন্যদিকে জাসদও বাজেটকে ইতিবাচকভাবে দেখছে না। সেটা প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। কিন্তু ১৪ দলীয় জোট একটি আদর্শিক জোট। এই জোটের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সম্পৃক্ত রয়েছে। কাজেই আদর্শিক জোট সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকে ভেঙে যাবে এমনটি মনে করেন না কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষকই। 

তবে এখন যেহেতু জাসদ, সাম্যবাদী দল বা ওয়ার্কার্স পার্টি সরকারে নেই, কাজেই তাদের স্বাধীন অবস্থান রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো ১৪ দলের শরিক সবাই নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন এবং সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যারা যে দলের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হবেন সেই দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না, অবস্থান গ্রহণ করতে পারবেন না। 

সেটা করলে তাহলে তা ‘ফ্লোর ক্রসিং’ হিসেবে বিবেচিত হবে। কাজেই ১৪ দলের শরিকরা যদি শেষ পর্যন্ত জাতীয় সংসদে বাজেটের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে সেখানে একটি অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। 

তবে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল স্বাধীন সত্তা। যে কোন বিষয়ে তাদের মতামত দেওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত জাতীয় সংসদে তারা বাজেটের পক্ষেই অবস্থান নিবে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন।

আরও খবর



বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ওষুধ, পোশাকসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর যে বাড়তি ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তা পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বাড়তি ভ্যাটের কারণে বাজারে পণ্যের দামে এরই মধ্যে প্রভাব পড়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ভ্যাটের কারণে সম্পূর্ণ না। দামের প্রভাব কিছু কিছু জায়গায় হয়তো ভ্যাটের কারণে হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে এটা হলো ম্যানুপুলেশন, সাপ্লাই চেনের ওপর।

তিনি বলেন, ভ্যাটের মাধ্যমে আমি দাম বাড়িয়েছি কয়েকটি জিনিসের। ফোন, বিদেশি ফলের জুস কয়টা মানুষ কেনে। অতএব ওটার ওপর পড়েছে (ভ্যাটের কারণে দাম বেড়েছে) তা না। তবু আজ আমরা রিভিউ করছি, কিছু কিছু ম্যাটার। আপনারা পরে জানতে পারবেন।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, অত্যাবশ্যকীয় কিছু কিছু জিনিসের বিষয়ে আমরা বলেছি। তারপর ওষুধ, পোশাকসহ অত্যাবশ্যকীয় যেসব পণ্য সাধারণ লোকজনের ওপর প্রভাব ফেলে সেগুলো রিভিউ করা হচ্ছে। আমদানি করা ফলের জুস- এগুলো আমি কেন কমাবো?


আরও খবর

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল না

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং অন্যান্য ঘটনাপ্রবাহে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত ছিল না বলে জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তাছাড়া তিনি বলেন, তার মনে হয়েছে, ভারতীয় কর্মকর্তারাও এ ধরনের মনোভাবই পোষণ করেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে (ইস্টার্ন টাইম) হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট রুমে একদল নির্বাচিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুলিভান বাইডেন প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে তুলে ধরেন।

সুলিভান সম্প্রতি ভারত সফর শেষ করে গেছেন। হিন্দুস্তান টাইমস তার কাছে জানতে চায় বাইডেন প্রশাসনের অধীনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিতর্কিত পরিস্থিতিতে শেষ হয়েছে কি না। এই প্রশ্নটি আসে শিখ নেতা গুরপতওয়ান্ত সিং পন্নুর হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে ক্ষমতা পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সম্পর্কে ভারতে জল্পনা এবং ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট—ক্ষমতাসীন বিজেপির এমন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে।

পাশাপাশি যাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপ স্টেটের নেতৃত্বদানকারী’ হিসেবে বলা হয়, এমন অবস্থান থেকে সুলিভান কীভাবে এসব প্রশ্নের জবাব দেবেন?

সুলিভান বলেন, আমি প্রথমেই বিনয়ের সঙ্গে এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করব যে আমি ডিপ স্টেট পরিচালনা করি এবং একইসঙ্গে বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করব যে বাংলাদেশে ঘটনার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ছিল। বিষয়টি সম্পূর্ণ হাস্যকর। ভারতীয় শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথোপকথনের ভিত্তিতে, আমি বিশ্বাস করি না যে তারা মনে করেন আমরা এর পেছনে ছিলাম।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা, আটক ৩০০ রোহিঙ্গা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া প্রবেশের সময় বহনকারী দুটি নৌকাসহ অন্তত ৩০০ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

দেশটির দ্য সান ডেইলির খবরে বলা হয়েছে, শনিবার মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি (এমএমইএ) লাংকাউইয়ের পুলাউ রেবাকের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অনথিভুক্ত অন্তত ৩০০ মিয়ানমারের নাগরিক বহনকারী দুটি নৌকা আটক করেছে।

এমএমইএ মহাপরিচালক অ্যাডমিরাল মোহম্মদ রোসলি আবদুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেন, নৌকাগুলো বিকেল ৪টা ১৬ মিনিটে উপকূলে অবস্থান করছিল। এতে পর্যাপ্ত খাবার ও পানি ছিল না। নৌকায় থাকা যাত্রীরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাদের খাদ্য ও পানি সরবরাহ করা হয়।

তিনি জানান, তারা নৌকাগুলোর গতিবিধি সম্পর্কে আরো তথ্য সংগ্রহের জন্য থাই এনফোর্সমেন্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

মোহাম্মদ রোসলি সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। প্রয়োজনে জরুরি হটলাইন ৯৯৯ বা ল্যাংকাউই মেরিটাইম রেসকিউ সাব সেন্টার (এমআরএসসি) ০৪-৯৬৬২৭৫০ বা ০১১-৫৮৯২৫৮৬৮-এর মাধ্যমে সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে, ২ জানুয়ারি ভোরে ল্যাংকাউইয়ের পান্তাই তেলুক ইউ বিচ এলাকা থেকে ১৯৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।


আরও খবর

নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত চাইলেন টিউলিপ

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




সৌদিতে ভয়াবহ বন্যা, হাই রেড অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে দেশটির বিভিন্ন শহর মারাত্মক বন্যা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

 দেশজুড়ে বিভিন্ন স্তরের সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। এর মধ্যে পশ্চিম সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা এবং মদিনার পাশাপাশি পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় হাই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী রিয়াদ, মধ্য সৌদি আরব এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আসির এবং জাজানে ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাতের মধ্যে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রেড ক্রিসেন্টসহ দেশটির উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ ভারি বৃষ্টির সতর্কতার প্রতিক্রিয়ায় তাদের প্রস্তুতি বাড়িয়েছে।

সৌদি প্রেস এজেন্সির তথ্যানুসারে, রেড ক্রিসেন্ট নিরবচ্ছিন্ন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা এবং দ্রুত হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করতে তার উদ্ধারকারী দলগুলোর জন্য সম্পূর্ণ অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং নিরাপত্তা নির্দেশনা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে।

এছাড়া জনগণকে উপত্যকা, নিম্নভূমি এবং বৃষ্টির পানি জমতে পারে এমন এলাকা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস।


আরও খবর



নওগাঁয় শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শীত। এই শীতে গরম কাপড়ের অভাবে অনেকটাই নাজেহাল হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল, ভবঘুরে ও খেটে খাওয়া নিম্ম আয়ের মানুষরা। এমন শীতার্ত মানুষদের শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা করতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। চলতি শীত মৌমুসে দেশের শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ও ফকির গ্রুপের এমডি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আক্তারুজ্জামান (সিআইপি) ও ফকির মাশরিকুজ্জামান। ইতিমধ্যেই দেশের শীত প্রবণ সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ বিভিন্ন জেলার শীতার্ত মানুষদের মাঝে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। স্যারদের নির্দেশনা মোতাবেক পুরো দেশের যে সব অঞ্চলে শীত বেশি হয় সেই সব জেলায় ধারাবাহিক ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রাখা হবে বলে জানিয়েছে ফকির গ্রুপের আইটি বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দীন। দেশব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণের অংশ হিসেবে উত্তরের জেলা নওগাঁর রাণীনগরে সহস্রাধিক শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ফকির নিটওয়্যারস লিমিটেডের আয়োজনে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, ফকির গ্রুপের হিসাব শাখার সিনিয়র অফিসার আশরাফুজ্জামান। এই বিতরণ কার্যক্রমে স্থানীয় ভাবে সহযোগীতা করেন রিপন নীল, আবু হাসান আকাশ প্রমুখ।

আয়োজকরা জানান, আগামীতে যদি এই অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পায় তাহলে সরকারের পাশাপাশি ফকির গ্রুপের আয়োজনে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরো বেশি সংখ্যক শীতবস্ত্র নিয়ে হাজির হবে ফকির গ্রুপ। শুধুমাত্র নিশ্চিত করতে হবে যেন শীতবস্ত্রগুলো প্রকৃত শীতার্ত মানুষরা পান। এই উপজেলায় আগামীতে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণের আশ্বাস প্রদান করেন আয়োজকরা।  


আরও খবর