Logo
শিরোনাম

১৪ হাজার রানের ক্লাবে মুশফিক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রান পূর্ণ করলেন ডান-হাতি ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজ শেষ হওয়া সিরিজের একমাত্র টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে- ১২৬ ও অপরাজিত ৫১ রান করেন মুশফিক। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রান করার পথে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের মালিক হন মুশফিক।

৮৫ টেস্টে ৫৪৯৮ রান, ২৪৫ ওয়ানডেতে ৭০৪৫ রান ও ১০২ টি-টোয়েন্টিতে ১৫০০ রান করেছেন মুশফিক। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মুশফিকের রান এখন- ৪৩২ ম্যাচের ৪৭৯ ইনিংসে ১৯টি সেঞ্চুরি ও ৭৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৪ হাজার ৪৩।

মুশফিকের আগে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ রান পূর্ণ করেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। ৩৮১ ম্যাচের ৪৪৩ ইনিংসে ২৫টি সেঞ্চুরি ও ৯৩টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৫০৪৫ রান আছে তামিমের।

বাংলাদেশের হয়ে তামিম-মুশফিকের পর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক সাকিব আল হাসান। ৪১১ ম্যাচের ৪৫২ ইনিংসে ১৪টি সেঞ্চুরি ও ৯৬টি হাফ-সেঞ্চুরিতে এ পর্যন্ত ১৩৮৮৫ রান করেছেন সাকিব।

 সূত্র : বাসস


আরও খবর

বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




বুধবার থেকে ট্রাকে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ট্রাকে করে সুলভ মূল্যে আলু বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আগামীকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে টিসিবি জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উক্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তার কাছে ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি তেল, ডাল ও খাদ্য অধিদফতরের মাধ্যমে সরবরাহকৃত চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

এ কার্যক্রমের সঙ্গে বুধবার থেকে ঢাকা মহানগরীতে ভোক্তাদের জন্য জনপ্রতি ৩ কেজি করে আলু বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি আলুর দাম পড়বে ৪০ টাকা।

এছাড়া প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা ও প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় কেনা যাবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ লিটার তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সকাল সাড়ে ৯টায় টিসিবি ভবন কারওয়ান বাজার থেকে আলু বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজালে’ উত্তাল সাগর

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থারত ঘূর্ণিঝড় ফিনজাল উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর প্রভাবে দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আবহাওয়া অফিসের দেওয়া ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফিনজাল শনিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দুপুরের দিকে উত্তর তামিলনাড়ু উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হওয়ার আভাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে বলে সরকারি সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।


আরও খবর



আইপিএলের নিলামে ১২ বাংলাদেশির নাম

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

২০২৫ সালের আইপিএলের মেগা নিলামের জন্য চূড়ান্ত তালিকায় ১২ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) নিলামে উঠতে যাওয়া ক্রিকেটারদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে আইপিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল বাংলাদেশের ১৩ জনসহ সর্বমোট বিশ্বের ১ হাজার ৫৮৪ জন নিবন্ধন করে। যাচাই-বাছাই শেষে ৫৭৪ জনের নাম প্রকাশ করে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৩৬৬ জন ভারতীয় এবং ২০৮ জন বিদেশি।

আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলো থেকেও ৩ জন ক্রিকেটার আছেন। নিলামে আছেন অভিষেক না হওয়া ৩১৮ জন ভারতীয়, অভিষেক না হওয়া ১২ জন বিদেশি ক্রিকেটার। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ২০৪ জন ক্রিকেটার কিনতে পারবে, যেখানে বিদেশিদের জন্য জায়গা আছে ৭০টি।

বাংলাদেশের হয়ে আইপিএলে দীর্ঘদিন প্রতিনিধিত্ব করা সাকিব ও মুস্তাফিজ রয়েছেন ১২ জনের চূড়ান্ত তালিকায়। ৯ মৌসুম সাকিব আইপিএল মাতিয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতার জার্সি গায়ে তুলেছেন (২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত) সাত মৌসুম। এ সময়ের মধ্যে ২০১২ ও ২০১৪ সালে কলকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে ২২ গজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাকিব। বাকি দুই মৌসুম খেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে।

অন্যদিকে বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজ ২০১৬ সাল থেকেই আইপিএলের নিয়মিত মুখ। এই দু’জন ছাড়া আইপিএলে আগে খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন লিটন দাস। তিনি ২০২৩ সালে কলকাতার হয়ে এক ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন।

এ ছাড়া চূড়ান্ত তালিকায় থাকা অন্য ক্রিকেটাররা হলেন রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, তানজিম হাসান, মেহেদি হাসান, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ। তাদের কারোরই আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তাসকিনের প্রতি আইপিএলের কয়েকটি দলের আগ্রহ থাকলেও কোনো না কোনো কারণে শেষ পর্যন্ত খেলা হয়নি।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের জেদ্দায় আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে আইপিএলের ১৮তম আসরের মেগা নিলাম।


আরও খবর

বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




রাজধানীতে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

হাইকোর্ট ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আজ (মঙ্গলবার) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম মৃদু। বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন প্যাডেল চালিত রিকশা মালিক ঐক্যজোটের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন আলী এ বিষয়ে রিট দায়ের করেন।

বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে রাজধানীতে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত। পুরাতন প্যাডেলচালিত অনেক রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক করা হচ্ছে।

রাজধানীর মূল সড়কের চেয়ে অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বেশি। সুযোগ পেলে মূল সড়কেও দাপিয়ে বেড়ায় এসব রিকশা। রাজধানীর খিলগাঁও, মান্ডা, বাসাবো, মানিকনগর, রামপুরা, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, সবুজবাগ, শ্যামপুর, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, বছিলা, উত্তরা, ভাটারা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, ময়নারটেক, মিরপুর, পল্লবী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা বেশি।

এসব এলাকা ছাড়াও রাজধানীর প্রায় সর্বত্র ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল রয়েছে। ফলে নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেকে আহত হচ্ছেন, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কয়েক দফা অভিযান চালালেও থেমে নেই অবৈধ এসব বাহনের দৌরাত্ম্য।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




সংস্কারের নামে বন অধিদপ্তরে দুর্নীতির সাম্রাজ্য বহালের আয়োজন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

এনামুল হক:

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন পর্যায়ে বইছে সংস্কারের হাওয়া। সংস্কার প্রস্তাব থেকে বাইরে নয় বন অধিদপ্তরও। কিন্তু সম্প্রতি বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে গৃহীত সংস্কার প্রস্তাবের পর তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে স্বয়ং বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে। জানা যায় গত ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে বন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুবই গোপনে বৈঠক করে বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে যা অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে বর্তমানে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে রয়েছে। প্রস্তাবিত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর একটা দফায় বলা হয়েছে, 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা' পদটি 'সহকারী বন সংরক্ষক' পদে পদনাম পরিবর্তন, প্রশাসনিক ক্ষমতায়ন এবং পর্যাপ্ত পদোন্নতি প্রদান নিশ্চিতকরণসহ অর্গানোগ্রামের মূল ধারার সাথে সমন্বয়করণ। 


বন অধিদপ্তরে বর্তমানে কর্মরত 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা' পদের কর্মকর্তাবৃন্দ কোনোরকম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগপ্রাপ্ত। ২০১১ সালে বাংলাদেশ বন বিভাগ দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং ইকোট্যুরিজম উন্নয়নে ৫ বছর মেয়াদী প্রকল্প গ্রহন করে। এই প্রকল্পের অধীনে অস্থায়ী ভিত্তিতে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকতার্র পদসহ ৭৫টি পদ সৃষ্টি করা হয়। ২০১৬ সালে প্রকল্পটি শেষ হলেও ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় ৫৭টি পদ জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত করে তাদের পদায়ন করা হয়। এই সিদ্ধান্ত ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ভুতাপেক্ষভাবে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ২৫ জন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা নিয়োগপ্রাপ্ত হন। 


'স্ট্রেনদেনিং রিজিওনাল কো-অপারেশন ফর ওয়াইল্ডলাইফ প্রটেকশন' নামক আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ জন 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা'। প্রকল্পটি ২০১১ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়।


বিভিন্ন নথিসমূহ পর্যালোচনা করে দেখা যায় আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মাত্র ২ কর্মদিবস আগে তড়িঘড়ি করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) থেকে নিয়মিতকরণের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সে ধারাবাহিকতায় ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে নিয়মিতকরণ করা হয়। এখন একই সাথে দ্রুতগতিতে উক্ত কর্মকর্তাদের স্থায়ীকরণ এবং পদনাম পরিবর্তন করে 'সহকারী বন সংরক্ষক' এ পরিবর্তনের কাজ এগিয়ে চলেছে। উল্লেখ্য যে, 'সহকারী বন সংরক্ষক' পদটি বন অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত ক্যাডার পদ যাতে শুধুমাত্র বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে এবং ফরেস্ট রেঞ্জার পদ থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে যোগদানের সুযোগ আছে৷ কিন্তু আইন বহির্ভূতভাবে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের পদনাম ক্যাডার পদে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাবে গভীর ষড়যন্ত্র দেখছেন বিভিন্ন পর্যায়ের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। একজন কর্মকর্তা জানান, 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের মাঠপর্যায়ে কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তারা কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমেও আসেন নি। এখন তাদের পদনাম ক্যাডার পদনামে পরিবর্তন করলে আমরা পদোন্নতিবঞ্চিত হবে, পদোন্নতি স্থবির হবে অন্যান্য পদগুলোতেও। এমনিতেই ক্যাডার-এনক্যাডার, প্রকল্প এরকম বহুমুখী মামলায় বহু বছর বনবিভাগের কার্যক্রম স্থবির। এসব জট কাটিয়ে গতিশীল হতে শুরু করা মাত্রই এমন সংস্কার প্রস্তাবকে আমরা দুর্নীতির সাম্রাজ্য বহাল রাখার চোখেই দেখি।'

তিনি আরও জানান, 'প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা মূলত বিগত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক লবিং এ আসা। এখন তাদেরকে ক্যাডার পদে পদনাম পরিবর্তনের প্রস্তাবের মাধ্যমে পতিত স্বৈরাচারের চিহ্ন বহাল ও শক্তিশালী করার নামান্তর। আমরা বিগত সরকারের আমলে প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া এবং ভুতাপেক্ষভাবে রাজস্বে স্থানান্তরের বিষয়গুলো বর্তমান সরকারকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই।'

অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা যোগদানের পর থেকে বনবিভাগের নানা অসংগতি দেখি৷ জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে বনবিভাগকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু যখন দেখি অবৈধ টাকার প্রবাহে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা পরীক্ষা না দিয়ে ক্যাডার পদে আসার চেষ্টা করে এবং তাতে স্বয়ং জড়িত থাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, তখন আমরা কাজ করার নৈতিক শক্তিতে অনেক পিছিয়ে পড়ি।'


আরও খবর

দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪