Logo
শিরোনাম

১৫ বছরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা চাঁদা নেন এনায়েত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

রাজধানী ঢাকা ও এর উপকণ্ঠের সড়কে প্রতিদিন চলাচল করে প্রায় ১৫ হাজার বাস। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এসব বাস থেকে প্রতিদিন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জোর করে সমিতির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। এরপর টানা ১৫ বছর দেশের অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়ক ছিল তার দখলে। পরিচিত ছিলেন সড়কের একচ্ছত্র সম্রাট হিসেবে। তার অনুমতি ছাড়া সড়কে নতুন কোনো বাস নামতে পারত না


পরিবহন খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন বাস নামানোর অনুমোদনের নামে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। শুধু সড়কে চাঁদাবাজি করেই তিনি হাজার কোটি টাকার বেশি কামিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই টাকায় নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট কেনার পাশাপাশি ব্যাংকে জমান বড় অঙ্কের টাকা। বিদেশেও তার রয়েছে বিপুল সম্পদ। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা পড়া লিখিত অভিযোগে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কমিশনের উপপরিচালক নূরুল হুদা অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলেন, ঢাকা শহর ও শহরতলিতে চলাচলকারী প্রতিটি বাস থেকে সমিতির নামে প্রতিদিন ২০, টার্মিনাল সমিতির ৩০ এবং কমিউনিটি পুলিশের জন্য ১০ টাকাসহ মোট ৬০ টাকা আদায় করা যাবে। এর বেশি নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে খন্দকার এনায়েত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের লোকজন নির্দিষ্ট এই পরিমাণের চেয়ে বাসপ্রতি দিনে কয়েকগুণ বেশি টাকা আদায় করত। তার আমলে প্রভাব খাটিয়ে কত টাকা করে আদায় করা হয়েছে এবং সেসব টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, তা এখন সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করলে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে শুধুমাত্র

সমিতির কয়েকজন নেতা বলেছেন, ঢাকার চারটি বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন প্রায় আট হাজার বাস চলাচল করে। এর মধ্যে গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল থেকে ১ হাজার ৮০০, সায়েদাবাদ থেকে ১ হাজার ৫০০, মহাখালী থেকে এক হাজার এবং গাবতলী থেকে তিন-চার হাজার বাস চলাচল করে। এ ছাড়া ঢাকার আরও কয়েকটি জায়গা থেকে বিচ্ছিন্নভাবে আরও কয়েকশ বাস চলাচল করে। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী, এসব বাস থেকে দিনে ৬০ টাকা করে ১৫ বছরে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হওয়ার কথা। কিন্তু এর থেকে অনেক বেশি টাকা আদায় করেছে এনায়েত উল্লাহ সিন্ডিকেট

দুদকে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়, রাজধানী ও এর উপকণ্ঠের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ১৫ হাজার বাস থেকে প্রতিদিন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা করে চাঁদা আদায় করত এনায়েত উল্লাহর সিন্ডিকেট। সে হিসেবে দিনে গড়ে ১ কোটি টাকা করে চাঁদা আদায় করা হলেও ১৫ বছরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে

সমিতির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসে। এর পরপরই এনায়েত উল্লাহ পরিবহন খাত দখল নেন। ওই সময়ে তিনি বিএনপির একজন সাবেক মন্ত্রীসহ কয়েকজন পরিবহন নেতার গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। প্রশাসনকে ব্যবহার করে অনেকের গাড়ি রাস্তায় চলাচল নিষিদ্ধ করেন। কেউ নির্দেশ অমান্য করে বাস সড়কে নামালে তার পেটুয়া বাহিনী লাঠি হাতে সেই বাসের সামনে দাঁড়িয়ে যেত। ঢাকার চারটি টার্মিনাল থেকে অনেক পরিবহন নেতার বাস বের হতো। একসময় তারা সেসব বাস বিক্রি করে দিতে অথবা রঙ ও নাম পরিবর্তন করে অন্যের কাছে ভাড়া দিয়ে দিতে বাধ্য হন।

এ প্রসঙ্গে পরিবহন শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ হানিফ খোকন বলেন, এনায়েত উল্লাহ সড়কে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন। মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নামে নানা সময়ে সরকার থেকে বড় অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। কিন্তু শ্রমিকদের কল্যাণে কখনো কাজ করেননি। তার জন্য পরিবহন শ্রমিকরা নিয়োগপত্র পাননি। তার কাছে পুরো পরিবহন সেক্টর জিম্মি

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি জমা পড়ে কমিশনে। ওই অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর উপকণ্ঠের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ১৫ হাজার বাস থেকে প্রতিদিন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে এনায়েত উল্লাহর সিন্ডিকেট। তিনি নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট কেনার পাশাপাশি ব্যাংকে বড় অঙ্কের টাকা জমিয়েছেন। এ ছাড়া, দেশের বাইরে পাচার করেছেন শত শত কোটি টাকা। কমিশন অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।


আরও খবর



যশোরের কেশবপুরে মাছ চাষিদের মাথায় হাত, পথে বসেছে ঘের মালিকরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
উত্তম কুমার - যশোর, জেলা প্রতিনিধি::

যশোরের কেশবপুরে বন্যায় ৩৬৪০ টি মাছের ঘেরন ও ২৪২০ টি পুকুর ভেসে গেছে। এছাড়াও কৃষিতে হয়েছে ব্যাপক ক্ষতি, এতে ৩১৭৩হেক্টর আমন ধান তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য ফসলের ক্ষেতও। এর ফলে মাছ চাষী ও কৃষক পড়েছেন ব্যাপক আর্থিক অনটনে। টানা বৃষ্টি ও হরিহর নদের পানির কারণে কেশবপুরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। 

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় মাছ চাষিদের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, সরজমিনে কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ওই এলাকার ফয়েজ হোসেনের বাড়ি ঘরে র ভিতর পানি ঢুকে পড়ায় তারা পাশের একটি উচু ঘরে আশ্রয় নিয়েছে, এছাড় বাড়ির উঠানে বন্যার পানিতে জাল ফেলে মাছধরছেন ফারুক হোসেন নামক এক যুবক, অপর দিকে খান পাড়ার কয়েকটি পরিবারের লোকজন যশোর- চুকনগর সড়কের মধ্যকুল তেল পাম্পে এলাকার একটি উচু ভবনে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

হরিহর নদের মধ্য কুল এলাকায় পানি ঢোকা বন্ধ করতে বাদ নির্মাণ করতে দেখা যায়। টানা বৃষ্টির পাশাপাশি নদনদীর উপসে পড়া পানিতে পুর পৌরসভা সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তলিয়ে গেছে। বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পাড়ায় অনেক  উচু জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। মধ্যকুল গ্রাম আব্দুর রহিম বলেন, তার মাছের ঘের ভেসে গেছে বহু ক্ষতি হয়েছে উপজেলার কৃষি অফিসে জানা গেছে- বন্যায় ৩১৭৩ হেক্টর আমন ধান:৩০০ হেক্টর সবজি ২১ সেক্টর মরিচ ৩০ হেক্টর হলুদ সাড়ে ৯ হেক্টর তুলা ২১ হেক্টর আখ  সাড়ে ২৫ সেক্টর পানের বরজ,২৫ হেক্টর কুল খেত তলিয়ে গেছে,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সজিব সাহা বলেন বন্যার পানিতে কেশবপুরের প্রায় ৩৬৪০ টি মাছের ঘের ২৪২০ পুকুর ভেসে গেছে, এতে মাছ চাষীদের প্রায় ২০১৫ মেট্রিকটন মাছ ভেসে গেছে এতে ৫০ কোটি টাকার মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

আরও খবর



ট্যাক্স রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক :

যারা (TIN) টিন সার্টিফিকেট করছেন,কাজের জন্য বা শখের বশে! ট্যাক্সেবল ইনকাম থাকুক বা না থাকুক ২০২৪-২০২৫ রিটার্ন জমা দিন, সরকার ট্যাক্স রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে,না হলে জরিমানার সমমুখীন হবেন!

বিঃদ্রঃ - ৩০ নভেম্বর ২০২৪ , Income Tax Filing  এর শেষ সময়। এই সময়ের মধ্যে আপনার ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিশন সম্পন্ন করুন, অন্যথায় জরিমানার সম্মুখীন হবেন। সম্মানিত করদাতা, 

আপনার এবারের আয়কর রিটার্ন প্রস্তুত ও দাখিল করতে নিচের ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করে   জমা দিন

চাকরি/বেতন খাতে আয়ের তথ্য :

1. সেলারি সার্টিফিকেট ;

2. সেলারির বিপরীতে কর্তনকৃত টিডিএস -এর প্রত্যয়নপত্র;

3. ব্যাংক স্টেটমেন্ট (from 01-07-2023 to 30-06-2024);

4. Provident Fund info/GPF Balance Sheet. (if any)

ব্যবসা/পেশা খাতে আয়ের তথ্য:

5. ট্রেড লাইসেন্স;

6. ব্যবসার নামীয় ব্যাংক স্টেটমেন্ট;

7. ব্যবসার নামে লোন থাকলে- লোন আউটস্ট্যান্ডিং সার্টিফিকেট;

8. ব্যবসা আয়ের উপর অগ্রীম আয়কর (AIT) বা উৎসে কর কর্তন  (TDS) থাকলে অগ্রীম আয়কর বা উৎসে করের প্রত্যয়নপত্র ও চালানের কপি;

9. বার্ষিক ক্রয়-বিক্রয় ও আয় বিবরনী;

10. মূল্যসহ ব্যবসার সম্পদের তালিকা (Fixture, Furniture, Equipment & Machinarie etc.);

বিনিয়োগ ও ব্যাংক ইন্টারেস্ট তথ্য:

11. জীবন বীমা  করা থাকলে প্রিমিয়াম প্রদানের রসিদ;

12. ডিপিএস করা থাকলে ডিপিএস স্টেটমেন্ট;

13. পূর্বের কোন ডিপিএস এনক্যাশ বা নগদায়ন করে থাকলে নগদায়ন প্রত্যয়নপত্র বা এনক্যাশমেন্ট সার্টিফিকেট ;

14. এফডিআর করে থাকলে তার ডকুমেন্ট  ও ইন্টারেস্ট প্রাপ্তির প্রত্যয়নপত্র;

15. শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ থাকলে ব্রোকার হাউস থেকে বিনিয়োগ প্রত্যয়নপত্র ও পোর্টফলিও -র কপি;

16. সঞ্চয়পত্র ক্রয় করে থাকলে তার ডকুমেন্ট ;

17. সঞ্চয়পত্রের ইন্টারেস্ট প্রাপ্তি ও তার বিপরীতে টিডিএস কর্তনের প্রত্যয়নপত্র;


গৃহ-সম্পত্তি হতে আয়ের তথ্য:

18. আপনার বাড়ি/ফ্ল্যাট/দোকান ভাড়া দিয়ে আয় থাকলে ভাড়ার চুক্তিপত্রের কপি ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিন;

19. আপনার বাড়ি/ফ্ল্যাট/দোকান এর পৌর কর বা সিটি কর্পোরেশন কর প্রদানের রসিদ;

20. হাউজ লোন থাকলে- লোন আউটস্ট্যান্ডিং সার্টিফিকেট;

বৈদেশিক/রেমিট্যান্স আয়ের তথ্য: 

21. বৈদেশিক/রেমিট্যান্স আয়ের সপক্ষে ব্যাংক সার্টিফিকেট বা এফএমজে ফরম/বৈদেশিক মুদ্রা ঘোষণা ফরম এর কপি; (মনে রাখবেন, বৈদেশিক আয় করমুক্ত হতে হলে তা আপনার নিজের আয় হতে হবে এবং প্রপার চ্যানেলে আসতে হবে);

সম্পদ ও দায় সংক্রান্ত তথ্য:

22. এ বছর আপনার নামে কোন জমি/ফ্ল্যাট/বাড়ি/গাড়ি ক্রয় করে থাকলে তার দলিলের কপি;

23. এ বছর আপনার কোন জমি/ফ্ল্যাট/বাড়ি/গাড়ি বিক্রি করে থাকলে বিক্রয় দলিলের কপি ও উৎসে কর্তনের কপি;

24. বাড়ি/ফ্ল্যাট নির্মাণাধীন থাকলে নির্মাণ বিনিয়োগের পরিমাণ;

25. আপনার নামে গাড়ি থাকলে পারসোনাল ট্যাক্স টোকেনের কপি;

26. আপনার ব্যাংক লোন থাকলে লোন আউটস্ট্যান্ডিং সার্টিফিকেট ;

27. ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে বাড়ি নির্মাণকালে সাইনিং মানি পেয়ে থাকলে তার ডকুমেন্ট;

28. ব্যক্তিগত লোন ৫ লাখ টাকার বেশি হলে এর সপক্ষে ব্যাংক স্টেটমেন্ট ;

29. পরিবারের কারো কাছ থেকে কোন দান গ্রহণ করলে বা কাউকে দান করে থাকলে তার ডকুমেন্ট ; আর টাকা দান হলে তার সপক্ষে ব্যাংক স্টেটমেন্ট ; 

30. এছাড়াও আপনার অন্য কোন আয় থাকলে তার ডকুমেন্ট দিন;

বি:দ্র: সকল স্টেটমেন্ট/প্রত্যয়নপত্রের সময়কাল হবে ০১/০৭/২০২৩ থেকে ৩০/০৬/২০২৪ ইং পর্যন্ত।

অন্যান্য তথ্যাবলি:

31. আপনি এ বছর নতুন করদাতা হলে আপনার এনআইডি-র ফটোকপি, টিআইএন সার্টিফিকেট, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল এড্রেস ও এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি;

32. আপনি পুরাতন করদাতা হলে গত বছরে দাখিলকৃত রিটার্ন এর কপি লাগবে; (গত বছর আমরা কাজ করে থাকলে আমাদের কাছে রিটার্নের কপি আছে) ;

33. আপনার আয়ের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্য সংখ্যা ও তাদের বয়স। 

দৃষ্টি আকর্ষণ: যথাযথ কর পরিগণনার জন্য আপনার সকল কাগজপত্র একত্রে দিন। ১৫ নভেম্বরের পরে দিলে আপনার রিটার্ন দাখিলের জন্য সময় নেয়া লাগতে পারে। মনে রাখবেন, এবার ৩০ নভেম্বরের পরে রিটার্ন দাখিল করলে আইনানুযায়ী কর রেয়াত পাবেন না এবং ২% বিলম্ব ফি দিতে হবে।


আরও খবর



রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের ৩য় তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী ::

আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী নগরীর শিরোইলে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।শোভাযাত্রাটি শিরোইল বাসটার্মিনাল থেকে রেলগেট হয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।

রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে এ শোভাযাত্রায় রাজশাহী টেলিভিশন জার্ণালিষ্ট এসোসিয়েশনের (আরটিজেএ) সভাপতি ও মোহনা টিভির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান মেহেদী হাসান শ্যামল অতিথি হিসেবে অংশগ্রহন করেন।

পরে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল শেষে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী সাংবাদিক কল্যান সমিতির মহাসচিব, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দেশ টিভি প্রতিনিধি কাজী শাহেদ, বৈশাখী টিভির সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুস সাত্তার ডলার ও বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি ফারুক আহমেদ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আবু কাওসার মাখন, শাহিনুর রহমান সোনা, লিয়াকত হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি আলাউদ্দিন মন্ডল, সহ-সভাপতি আনসার তালুকদার স্বাধীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জীবন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ওদুদুজ্জামান সুবাস, প্রচার সম্পাদক রাফিজ বিন সরকার পাভেল, ক্রীড়া সম্পাদক ফায়সাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য আল আমিন পাপন, এসএম শফিকুল আলম ইমন ও আক্তার হোসেন হীরা সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ভারতের তামিল নাড়ুর ত্রিভাল্লুর বিভাগে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে দ্রুতগতির একটি এক্সপ্রেস ট্রেন ও মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে এক্সপ্রেস ট্রেনের অন্তত ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাশে পড়ে যায়। এছাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের পার্সেলের বগিতে আগুন ধরে ।

সূত্র জানিয়েছে, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় আহত ১০ যাত্রীকে পাশের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে

রেলের কর্মকর্তারা প্রাথমিক তথ্যে জানান, মায়সোর-ধর্বঙ্গা বাগমাতি নামের এক্সপ্রেস ট্রেনটি মালবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে। ওই সময় মালবাহী টেনটি দাঁড়ানো ছিল

ভারতীয় রেলওয়ে এক বিবৃতিতে পরবর্তীতে জানায়, কাভারাইপেত্তাই স্টেশনে প্রবেশের সময় এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্রুরা তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করেন। ওই সময় ট্রেনটি সিগন্যাল অনুযায়ী মেইন লাইন দিয়ে না গিয়ে লুপ লাইনে যায়। ট্রেনটি লুপ লাইনে ৭৫ কিলোমিটার গতিতে ঢুকে মালবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে

রেলওয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দিলিপ কুমার জানিয়েছেন, এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯৫ শতাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত কেউ নিহত বা গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাননি

ভারতের রেলমন্ত্রীকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি নিজে নয়াদিল্লিতে রেলের ওয়ার রুম থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। তারা আরও জানিয়েছেন, আহতদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা এবং অন্যান্য যাত্রীদের তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী


আরও খবর

মিল্টনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড ফ্লোরিডা

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) জানিয়েছেন, মাদকের গডফাদারদের ধরে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তাদের এ নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

উপদেষ্টা বলেন, শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদের ধরতে হবে। চলমান যৌথ অভিযানে এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং দৈনিক অগ্রগতির রিপোর্ট প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে সাফল্যের ওপর নির্ভর করে অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, দুর্নীতি না কমাতে পারলে এ সরকারের সাফল্য আসবে না। তিনি এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুস, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। উপদেষ্টা বলেন, মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

উপদেষ্টা আরও বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ইউনিফর্ম আছে কিন্তু অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই। তাই সফল অভিযান পরিচালনার স্বার্থে তাদেরকে অস্ত্র দেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া যেসব অভিযান পরিচালনার সময় হামলার আশঙ্কা রযেছে, সেখানে পুলিশসহ অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি পরামর্শ প্রদান করেন

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি প্রমুখ


আরও খবর