Logo
শিরোনাম

১৫ লাখ অনলাইন রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বললেন, চলতি করবর্ষে অনলাইন রিটার্নের মধ্যে ৬৬ শতাংশই শূন্য রিটার্ন।

সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি বলেন, ১৫ লাখ অনলাইন রিটার্নের ১০ লাখই সাড়ে ৩ লাখ টাকার নিচে। তার মানে আমরা সঠিক করদাতাদের ধরতে পারছি না।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়। অর্থাৎ ১০ লাখ করদাতা তাদের আয়কর বিবরণীতে যে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন তার বিপরীতে কোনো কর দিতে হয়নি।

আলোচনা সভায় ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্যক্তি করদাতাদের কর ছাড়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।

জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সাড়ে তিন লাখ থেকে ৪ লাখ বা ৫ লাখ টাকায় নিয়ে আসা যৌক্তিক কথা। সমস্যা হলো- যেমন ধরেন এখন ডিজিটালি রিটার্ন সাবমিশন হওয়ায় সব তথ্যগুলো আমার হাতে চলে আসছে। আজকে দেখলাম ১৫ লাখ ১৫ হাজার হয়েছে। প্রতিদিন কিন্তু ২-৩ হাজার করে রিটার্ন পাচ্ছি এখন। আমাদের অনলাইন রিটার্ন এখনও চালু আছে। অনলাইন রিটার্ন বন্ধ নেই। আবার অনেকেই রিভাইজড রিটার্ন দিতে পারছেন অনলাইনে, এটা একটা বড় সুবিধা হয়েছে।

শূন্য আয়কর বিবরণী প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ১৫ লাখ রিটার্নের মধ্যে ১০ লাখ রিটার্নই জমা পড়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে। এরা এক টাকাও ট্যাক্স দেয়নি। টু থার্ড। পেপার রিটার্নের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। মফস্বলে যান, চিত্র কিন্তু একই। এটি বাড়িয়ে চার লাখ করলে শূন্য রিটার্নের সংখ্যা আরও এক লাখ বেড়ে যাবে।

করদাতারা কর দিতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, কোয়ালিটি ট্যাক্সপেয়ারের সংখ্যা খুবই কম। এখন যদি আমরা এই সিলিংটাকে একটু বাড়িয়ে দেই, আমরা আলোচনা করব, দেবো না এটা বলছি না। শুধু এতটুকু বলছি, আরও বড় একটা গ্রুপ যারা মিনিমাম কর দিতো, তারাও ওই যে জিরো ট্যাক্সে চলে যাবে। এইটা হলো অসুবিধা।

ইআরএফের দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- বাজেটে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর ওপর করের বোঝা কমাতে বাড়তি দেওয়া কর এমএফএসের মাধ্যমে ফেরতের ব্যবস্থা করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ওপর করহার ৫ শতাংশে সীমিত রাখা, বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডকে করমুক্ত করা, ব্যক্তিশ্রেণির করহার ৩০-৩৫ শতাংশ করা, ভ্যাটের হার ৭ শতাংশ করা, প্রত্যক্ষ করের দিকে জোর দেওয়া, বাজার মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে কর আদায় ইত্যাদি।

ব্যাংকে আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক থাকায় অনেকে ব্যাংক টাকা রাখতে চাইছেন না উল্লেখ করে ইআরএফ সভাপতি বলেন, এরকম অবস্থায় ৫/১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমার ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার এবং মুনাফার ওপর কর কমানো যেতে পারে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করের হার বাড়বে না এটা যেমন সত্য, আবার হার বাড়বেও। যারা এতদিন রিডিউসড রেটে ট্যাক্স দিতো, তারা মোর অর লেস রেগুলার রেটে চলে যাবে। এটা আমাদের একটা সুপারিশ থাকবে। এটা হলে সবার জন্য ভালো হয়।বৈষম্যমুক্ত করতে চাইলে এটা আমাদের করতে হবে। কর্মকর্তাদের বলেছি, আরও সময় লাগুক। যেখানে কাজ করব, ছোট এরিয়া সবার কাছ থেকে নেব। পাশের কোনো দোকানদার বলবে না একজন দিচ্ছে, আরেকজন দিচ্ছে না। এ রকম যেন না হয়।


আরও খবর



সাগর-রুনি হত্যার তদন্তে সময় বাড়লো আরো ৬ মাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

১৩ বছর ধরে ঝুলে থাকা সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে টাস্কফোর্সকে আরো ছয় মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্টমঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আরশাদুর রউফ তদন্ত শেষ করতে ৯ মাস সময় চান।

তিনি আদালতে বলেন, তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। আরো সময় দরকার। ৫ আগস্টে ডিবি অফিসে আগুন দেওয়া হয়। তখন অনেক রেকর্ড পুড়ে গেছে।

শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ তদন্ত শেষ করতে ছয় মাস সময় দেন।

তদন্তের গোপনীয়তার কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ এদিন অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেনি।

মামলার বাদী পক্ষের কৌঁসুলি মো. শিশির মনির বলেন, বারবার সময় নেওয়া হলে জনমনে খারাপ ধারণার জন্ম দেয়। আমরা বলেছিলাম তিন মাস সময় দেওয়া হোক। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ছয় মাস সময় দেন।

এদিকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নথি পোড়ার কথা বলায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এই প্রেক্ষাপটে টাস্কফোর্সের অধীনে মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা পিবিআই একটি বিবৃতি দিয়েছে।

সেখানে বলা হয়, কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন তা সঠিক নয়। আগুনে পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয় নাই। অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফ বলেছেন, ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরোনো নথি ও ডকুমেন্টস খুঁজে পাওয়া সময় সাপেক্ষ।



আরও খবর

ল্যাপটপের যত্ন নিবেন যেভাবে

বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫




এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিশ্চিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ওপর যুক্তিযুক্ত পর্যায়ে শুল্ক বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে না রাখলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ব্যাহত হবে।

সফররত মার্কিন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সফররত কর্মকর্তারা ঢাকায় মার্কিন ডেপুটি হেড অব মিশনের গুলশান বাসভবনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠন করেন। এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও উপস্থিত ছিলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘আলোচনার সময় অর্থনৈতিক দিক এবং শুল্কের বিষয়টি উঠে এসেছে। আমরা শুল্ক বিষয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা মার্কিন নেতাকে বলেছি, শুল্কের বিষয়টি সব অংশীদারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে না রাখলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ব্যাহত হবে।

বিএনপি নেতা বলেন, আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা টানাপড়েনের সম্মুখীন হবে। আমরা এ বিষয়ে যা করতে যাচ্ছি তা বলেছি। আমরা এটি নিয়ে আরো কাজ করছি।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তাঁদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। কারণ মার্কিন পক্ষ নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে এবং এ বিষয়ে বিএনপির আবস্থান কী তা জানতে আগ্রহী।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বৈঠকে জানিয়েছি, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। আমরা সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করতে পারি, যার ওপর এক মাসের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।’ তিনি বলেন, যদি ঐকমত্য অর্জন করা হয় তবে জুলাইয়ের সনদে সব দল স্বাক্ষর করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বিএনপি নেতা বলেন, তাঁরা মার্কিন কর্মকর্তাকে বলেছেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার না হওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসুবিধা হচ্ছে। জনসমর্থনের মাধ্যমে পরিচালিত একটি নির্বাচিত সরকারের পক্ষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ।


আরও খবর



নিরাপদ ঈদ উদযাপনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বললেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়েও নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি হতে হবে।

সোমবার (২৪ মার্চ) ডিএমপি সদরদপ্তরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখা, ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে আদায় ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে কোনো আইনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে একটা প্রভাব তৈরি করা, যেন মানুষ বুঝতে পারে যে আইন লঙ্ঘন করলেই শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। সড়কে কেউ যদি উল্টোপথে গাড়ি চালায় কিংবা ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জোর তৎপরতায় রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। পুলিশি তৎপরতায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মতো ঘটনা অনেকাংশে কমে গেছে। সবার সহযোগিতা নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের প্রতিনিধি, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, লঞ্চ শ্রমিক সমিতি, বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, জিএমপি, বিআইডব্লিউটিএ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাস মালিক সমিতি, লঞ্চ মালিক সমিতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা ও সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এরপর সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বিতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। অভিযানে ৫০৬ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান জানান, মেদান ইম্বি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অভিবাসীদের কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত ছিল। এখানকার অনেক দোকানঘরের ওপরের তলা ভাড়া নিয়ে অবৈধ অভিবাসীরা বসবাস করতেন।

অভিযানকালে পালানোর চেষ্টাকালে দুই বিদেশি পুরুষ আহত হন। এছাড়া উঁচু হিলের জুতা পরা এক নারীও পালাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ইমার্জেন্সি মেডিকেল রেসপন্স সার্ভিস ইউনিট তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে ৮৯৫ জনকে পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ৭৪৯ জন ছিলেন বিদেশি নাগরিক এবং ১৪৬ জন স্থানীয়। আটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি ছাড়াও নেপালি (১৪২ জন), ইন্দোনেশিয়ান (১০৯ জন) এবং কিছু ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান নাগরিকও রয়েছেন।

ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, আটকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বৈধ কাগজপত্র না থাকা, ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া এবং ওয়ার্কিং ভিজিট পাসের অপব্যবহার। অনেক কর্মীকে দেখা গেছে যাদের জোহরের ওয়ার্কিং ভিসা থাকলেও তারা কুয়ালালামপুরে অবস্থান করছিলেন।

পরিদর্শনে আরেো দেখা গেছে, বিদেশি শ্রমিকরা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ও ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করছেন। ছোট ছোট কক্ষে গাদাগাদি করে পাঁচ-ছয়জন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি বাড়িতে ৩০ জন পর্যন্ত ভাড়াটিয়া বসবাস করছিলেন।


আরও খবর



গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চলমান গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেছেন, বিদ্যমান সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। আমরা আশা করছি, এই গ্রীষ্মকালে বিদ্যমান সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিপিডিবি চেয়ারম্যান বলেন, বিদ্যমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গড়ে ১৪,০০০-১৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যেখানে দৈনিক চাহিদা আনুমানিক ১৫,০০০ মেগাওয়াট ।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বলে অনুমান করা হয়েছে, যেখানে ২০২৪ সালে সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।

বিপিডিবির তথ্য অনুসারে, শনিবার দেশে ১১ হাজার ৯৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে, যেখানে চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৪৫১ মেগাওয়াট। রবিবার কর্মদিবস হওয়ায় চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিপিডিবি সূত্র জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের ঘাটতি ৭৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত থাকবে। তবে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। সূত্র এও জানিয়েছে, কারিগরি সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে।

বিপিডিবি গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, যেখানে সর্বোচ্চ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার ২৬০ মেগাওয়াট। এছাড়া সরকার গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সংগ্রহ করছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ও দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে গত ১৭ এপ্রিল সরকার আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স এক্সেলেরেট এনার্জি, এলপি থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এভাবে সরকার প্রায়ই এলএনজি সংগ্রহ করে থাকে। অন্যদিকে জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এলএনজি নিয়ে কাতার ও ওমানের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি রয়েছে।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, গ্রীষ্মকালে লোডশেডিং কমাতে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। গ্রীষ্মকালে সারা দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকার কিছু নির্দেশনা দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে সরকারি অফিস, ব্যাংক, বাড়ি ও মসজিদে এয়ার কন্ডিশনারের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা উচিত নয়। যদি এটি বজায় রাখা যায়, তাহলে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে জাতীয় বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে।

লোডশেডিং সম্পর্কে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, সরবরাহ ও চাহিদায় অমিলের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। কিন্তু যদি ট্রান্সফরমারটি বিকল হয়ে যায় অথবা ঝড় ও বৃষ্টিপাতের কারণে কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দেয়, তাহলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।


আরও খবর