Logo
শিরোনাম

১৬৩ টাকায় তেল বিক্রির ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: ভোক্তার মহাপরিচালক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

আগামী পহেলা মার্চ সারা দেশে ১৬৩ টাকায় বোতলজাত তেল বিক্রি শুরু হবে যারা এর ব্যত্যয় করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের নগরীর নিতাইগঞ্জে এক অভিযানে তিনি এ কথা বলেন।  

জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে দ্রæত সময়ের মধ্যে ভোজ্য তেল বোতল ও প্যাকেট জাত করে সরবরাহ করা হবে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, আগামীতে শতভাগ তেল বোতল ও প্যাকেট জাত করা হবে। এতে দুই-তিন টাকা খরচ বাড়লেও কমবে মৃত্যু ঝুঁকি। কারণ ভোজ্য তেল ক্রয়-বিক্রয়ে অনিরাপদ ড্রাম ব্যবহার করা হয়। অস্বাস্থ্য তেল খাওয়ার পর মানুষের হার্ট অ্যাটাক হয়। এছাড়া  ড্রামে নানা ধরনের ক্যামিকেল থাকায় কিডনির ক্ষতি হয়। এ কারণে অল্পবয়সীরাও কিডনি রোগে ভুগছে। তাই জনগণের স্বাস্থ্য ঝুকি কমাতে সব ধরনের তেল বোতল ও প্যাকেট জাত করা হবে। 

আগামী কাল থেকে সারা দেশের ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানান মহাপরিচালক। অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে দিন ব্যাপী ভোজ্যতেল ক্রয়-বিক্রয়ে অনিরাপদ ড্রাম ব্যবহার বন্ধে ব্যবসায়ীদের অংশ গ্রহনে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জে।


আরও খবর



ঢাবি অধ্যাপক ড. আ.ক.ম জামাল উদ্দিন সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image



১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী বুধবার দিবাগত রাত ৯টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ.ক.ম জামাল উদ্দীন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সহ মোমাবাতি প্রজ্জলনের জন্য ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার রোডের মাথায় পৌছালে চারদিক থেকে সন্ত্রাসীরা ঘিরে ফেলে । 


এসময় দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে এবং তার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে অধ্যাপক ড. আ.ক.ম জামাল উদ্দীনকে এলোপাতারিভাবে মারতে থাকে। এতে তার মাথার একাংশ ফেটে যায় এবং বাম হাত ভেঙ্গে যায়। 


এছাড়াও শরীরের অনন্য অংশে প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হন। সন্ত্রাসীরা তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন এবং কাছে থাকা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। 


আরও খবর



বকশীগঞ্জে রাত জেগে মন্দির-গীর্জা পাহারা দিচ্ছেন যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি: 

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক সহিংসতা ও নৈরাজ্য। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ডাকাতিসহ অনাকঙ্খিত ঘটনা ঘটতে থাকে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হয় অনেক মানুষ। নৈরাজ্য ঠেকাতে সরকারি স্থাপনা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, উপাসনালয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাহারা দিচ্ছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।


জানা যায়,১৫ আগস্ট ঘিরে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সংখ্যালঘুদের উপাসানালয় ও বাড়িঘরে হামলা-লুটপাট করে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে এমন খবরে দলের নেতাকর্মীরা সজাগ হয়ে উঠেন। তাই চলমান সংকটে নাশকতা ঠেকাতে বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতভর মন্দির,গীর্জা,সরকারি স্থাপনা ও সংখ্যালঘুদের বাড়ির সামনে পাহারায় বসেন যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বকশীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদার ও সদস্য সচিব তানজির আহমেদ সুজনের নেতৃত্বে লাউচাপড়া খ্রিষ্ট্রান ধর্মাবলম্বীদের উপাসানালয় সাধু আন্দ্রে ধর্মপল্লী,উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা মন্ডপ,মন্দির,বাড়িঘর এবং তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাহারা দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের নির্দেশে চলমান সংকটে নাশকতা ঠেকাতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বকশীগঞ্জ পৌর যুবদল। বিএনপি নেতা মমতাজুর রহমান,যুবদল নেতা তৌহিদুজ্জামান,আশরাফ হোসেন মানিক,কালাম মিয়া,রাজিব মিয়া,মাহবুব আলম,আরাফাত রহমান রিপনসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পুরো উপজেলায় টহল দেন যুবদল নেতা শাকিল তালুকদার। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন তিনি। 


পৌর যুবদলের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদার বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে একটি মহল ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের কাছে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ সমান। সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত নির্দেশ দিয়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষাসহ অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী যে দলেরই হোক তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। তাই রাত জেগে নেতাকর্মীরা পাহারা দিচ্ছেন। বিএনপির নাম ব্যবহার করে কেউ যদি কোনো অপকর্ম করতে চায় তাকে ধরে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনকে সহযোগীতার অংশ হিসেবে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। 


যুবদল নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বকশীগঞ্জ হিন্দু কল্যান পরিষদের সভাপতি ডা.সিদ্ধেস্বর সাহা বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকলেও একটু হলেও মনে ভীতি ছিল। কারন সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নানাভাবে বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে। গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সৃষ্টি করা হয়, এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সংখ্যালঘুরা। যুবদলের নেতাকর্মীরা মন্দির-গীর্জা পাহারা দিচ্ছেন দেখে মনে হয়েছে এটাই বুঝি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিত্র। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কোন অপশক্তি আমাদের সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে। 


এ ব্যাপারে বগারচর ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান প্রমানিক মাসুম বলেন,সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপাসানালয় পাহারা দেয়ার জন্য গ্রাম পুলিশদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখন তাদের সাথে যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা যোগ হয়েছেন। এতে করে নিরাপত্তা বেষ্টনীটা অনেক মজবুত হয়েছে। দেশের সংকটময় মুহুর্তে মানুষের পাশে দাড়ানো সত্যিই প্রশংসনীয় কাজ। ধন্যবাদ জানাই তাদের যারা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।


আরও খবর



৭ সফরসঙ্গী নিয়ে জাতিসংঘে যোগ দেবেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

আগামী ২২-২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে তার সঙ্গে থাকবেন বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথিসহ ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) একেএম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক অফিস নোটিশে এই তথ্য জানানো হয়

এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২২-২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। এ সফরকালে তার সফরসঙ্গী হবেন- ড. ইউনূসের মেয়ে দিনা আফরোজ ইউনূস, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদ, বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথি

গত ১ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে সংক্ষিপ্ত সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে যাবেন

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) অল্প সময়ে নিউইয়র্ক থেকে দেশে ফিরে আসবেন


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীসহ ৯৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
নাঈম তালুকদার - সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::

গত ৪ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগের নির্দেশে ছাত্র জনতার উপর বর্বর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে দ্রুত বিচার আইনে সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 


সোমবার দুপুরে ছাত্র আন্দোলনে জখমীর বড় ভাই দোয়ারাবাজর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের নাজির আহমেদের ছেলে হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, এড. রনজিৎ সরকার, সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট,  সাধারন সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখত, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, ঘটনাকালীন দ্বায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস ও সদর থানার তৎকালীন ওসি খালেদ চৌধুরীসহ ৯৯ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ই আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেন্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলা আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা  ছাত্রদের উপর গুলি করে, রামদা দিয়ে কুঁপিয়ে, রড হাতুড়ি দিয়ে পিঠিয়ে লাশ গুম করার হুকুম দেয়া হয়।

হুকুম পেয়ে আ’লীগের সন্ত্রাসীবাহিনী ছাত্রদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। রামদা, রড, হকিস্টিক, পেট্রোল-বোমা, ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় একটি ভীতিকর পরিস্থিতিরি সৃষ্টি করা হয়। এমনকি এ সময় অবৈধ পিস্তল দিয়েও হামলা চালায় নিরীহ ছাত্রদের উপর। এতে করে অসংখ্য ছাত্র ও জনতা মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হন। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এ হামলার হাত থেকে বাঁচতে লুকিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেও রক্ষা পাননি শিক্ষার্থীরা। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস ও ওসি খালেদা চৌধুরী নিজ হাতে শর্টগান দিয়ে গুলি করে পা ঝাঝড়া করে দেন। প্রানে বাঁচার জন্য অপর আহত রিপন একটি বাসায় সিএনজির পেছনে লুকিয়ে পড়লেও ওসি খালেদ চৌধুরী তাকে লক্ষ্য করে তার পায়ে গুলি করে পা ভেঙ্গে দেন। তাদের চিৎকার শুনে কিছু গণমাধ্যমকর্মীরা এগিয়ে এসে তাকে একটি রিক্সায় করে হাসপাতালে পাঠান। সেখানেও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা চিকিৎসা নিতে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট পাঠানো হয়। 


এভাবে গত ৪ই আগস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশের কিছু অসাধু কর্মী শিক্ষার্থী ও সাধারন জনগনের উপর নির্মম অত্যাচারে মেতে উঠে। এ সময় অসংখ্য শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ পথচারী সাধারন জনতাও মারাত্মকভাবে জখম প্রাপ্ত হন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান বাদী হাফিজ আহমদ ।


এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবী মোশাহিদ আলম জানান, আদালতের বিচারক নির্জন মিত্র মামলাটি গ্রহণ করে সুনামগঞ্জ সদর থানাকে এফ আই আর এর  জন্য নির্দেশ  দিয়েছেন।

আরও খবর



রাজশাহীতে সাংবাদিকবৃন্দের সাথে জামাতের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী ::


রাজশাহীতে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সভা আয়োজন করা হয়। এ সময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বিগত সময়ের আন্দোলন সংগ্রাম এবং আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজশাহীর একটি রেস্তোরাঁয় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা ড. কেরামত আলী দাবি করে বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে রাজশাহীতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১১ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলেই সবচেয়ে বেশি জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের জনশক্তি। আমরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি। এমন কী কেউ মারা গেলে জানাজার নামাজটাও পড়তে দেওয়া হয়নি। আমাদের লোকজন যে, কান্না করবে সেই স্বাধীনতাটুকুও ছিল না। তাই দেশের পটভূমি পরিবর্তন হওয়ার পর রাজনৈতিকভাবে প্রতিশোধ নিলে আমাদেরই বেশি প্রতিশোধ নেওয়া উচিত। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী কখনোই প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না।

ড. কেরামত আলী আরও বলেন, জামায়াত প্রতিশোধ নিতে চায় না। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের বিনিময়ে আমরা দেশ থেকে স্বৈরাচার হটাতে পেরেছি। এখন দেশ গড়ার সময়। জামায়াত দেশ গঠনে কাজ করছে।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক এমাজ উদ্দিন মণ্ডল বলেন, কোনো নিরাপরাধ মানুষই যেন মামলায় না জড়ায়, আমরা সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছি। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। কোনো ধরনের অন্যায় ও লুটের সঙ্গে আমাদের নেতাকর্মীদের সর্ম্পক নেই। আগামীতে অনেক কাজ আছে। আমরা জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। আমরা নতুন প্রজন্মকে ন্যায় ও সত্য সম্পর্কে জানাতে ও চেনাতে চাই। আমাদের পরিকল্পনাই হচ্ছে- কীভাবে দেশটাকে নতুন করে সাজানো যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারগুলোকে জামায়াতের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। দেশ গড়তে আর কোনো সহিংসতা চায় না জামায়াত।

এ সময় পুলিশের সমালোচনা করে জামায়াতে ইসলামী নেতারা বলেন, অধিকাংশ মামলা ও নির্যাতনই রাজনৈতিক নেতাদের আদেশে পুলিশের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে নির্যাতন করেছে। এরপরও দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে থানাসহ ক্ষতিগ্রস্ত সব সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তার কাজ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। কারণ জামায়াতে ইসলামী নতুন দেশ গড়তে চায়।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও রাজশাহী বার অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম ও অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

এ সময় মহানগর জামায়াতের মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক সারোয়ার জাহান প্রিন্স, ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি আব্দুল মোহাইমিন, মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি সিফাত আলমসহ অনেকই উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর