Logo
শিরোনাম

১৮ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স এলো ১৯ দিনে

প্রকাশিত:সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

দেশে বৈধ পথে অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার (১.৫৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ডলার বা ৯৬৮ কোটি টাকা।

সোমবার (২১ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছেঅক্টোবর মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪০ কোটি ডলারবিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৮১ লাখ ডলারবেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৫ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার

আলোচিত সময়ে ১১ ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা। ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএলবিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাবাক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংকসিটিজেন্স ব্যাংকআইসিবি ইসলামিক ব্যাংকপদ্মা ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। আর বিদেশি খাতের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংকন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানস্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও উরি ব্যাংক

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলারআগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে

২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরেতখন এক বছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার এসেছিল


আরও খবর

বাজারে শীতকালীন সবজি, কমেছে দাম

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪

চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




চসিকের সাবেক কাউন্সিলর ডিউক খুলনায় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সদ্য সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক (ডিউক) খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

গত রাত (সোমবার) সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে কেএমপি'র খান জাহান আলী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশ উত্তর জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) লেয়াকত হোসেন ও খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন।


গ্রেপ্তার নাজমুল হক ডিউক নগরীর ২৪ নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর। তার বিরুদ্ধে সিএমপি ডবলমুরিং মডেল থানায় মামলা রয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে জানায়।


অভিযান ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর (রোববার) খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক এই কাউন্সিলরের বড় ছেলের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস উপলক্ষে তিনি খুলনায় অবস্থান করছিলেন।

রাতেও তিনি খুলনা শিরোমনি এলাকায় ছেলের সাথে সময় কাটান। গত মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিএমপি ডবলমুরিং মডেল থানার রিকুইজিশন এর মাধ্যমে খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) এর খান জাহান আলী থানা পুলিশ তাকে একটি বাসা থেকে আটক করেন। পরে দুপুরের দিকে সিএমপি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।


এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি-গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, 'ঘটনাটি সত্য, গ্রেপ্তার কাউন্সিলর ডিউককে নগরীর ডবলমুরিং মডেল থানা পুলিশ খুলনা থেকে নিয়ে আসতেছেন। হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যে সিএমপিতে এসে পৌঁছবেন।


আরও খবর



সফটওয়্যারের কৃত্রিম পরিবেশনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

ড. এম. মেসবাহউদ্দিন সরকার

ভার্চুয়াল শব্দের বাংলা অর্থ হলো অপার্থিব (অর্থিব) আর রিয়েলিটি হলো বাস্তবতা। কিন্তু ডিজিটালি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মানে হলো কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার দিয়ে তৈরি কৃত্রিম পরিবেশনা, যার বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের ন্যায় চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞাননির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। এটি মূলত কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিমুলেশন বা মডেলিংয়ের মাধ্যমে এমন একটি কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে একজন ব্যবহারকারী তার আশপাশের পরিবেশের মতোই সবই জীবন্ত উপলব্ধি করতে পারে। যেমন- বাস্তবে কখনোই বন্যপ্রাণী মহাকাশে উঠতে পারে না

কিন্তু ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে দর্শককে তা বাস্তবের চাইতেও জীবন্ত দেখানো হয়। বিভিন্ন এনিমেশন মুভি বা থ্রি-ডি গেমের সংস্পর্শে গেলেই দেখা যায় এমন বাস্তবতা। হলিউডের মতো বড় বড় ফিল্ম স্টুডিওর বিশ্ব চলচ্চিত্রে, বিজ্ঞাপন ফার্মে এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেলগুলোতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে মানুষের সৃজিত নিউরাল ইন্টারফেস বা মানব-মেশিন সংস্পর্শের সৃষ্টি করে তথা মানুষের মধ্যে অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণ করতে সাহায্য করে।

প্রযুক্তিটি এমন একটি থ্রিডি বা ইমার্জিভ অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করে, যা ব্যবহারকারী প্রাকৃতিক পরিবেশের মতো অনুভব করতে পারে। তবে এগুলোকে আকর্ষণীয় ও উপভোগ্য করার জন্য কিছু টুলস এবং ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়। যেমন ১. হাতের ডেটা গ্লোভ, ২. বডি স্যুট, ৩. মাথায় হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে, ৪. ইফেক্টর, রিয়েলিটি সিমুলেটর, সফটওয়্যার এপ্লিকেশন ইত্যাদি


ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সঙ্গে সংযোগ সাধনে ইফেক্টর হিসেবে হাতের ডেটা গ্লোভ, বডি স্যুট ও মাথায় হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়। রিয়েলিটি সিমুলেটর ইফেক্টরকে সংবেদনশীল তথ্য দেওয়া এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত বিভিন্ন সেন্সরগুলোকে উত্তেজিত করে। এই সবের পেছনে কাজ করে সিমুলেশন সফটওয়্যার এপ্লিকেশন। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সাধারণত ৫ ধরনের হয়ে থাকে। যেমন ১. সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জিত (Fully-immersive): প্রকৃতি ও পরিবেশের অকল্পনীয় জগতের অনুভূতি পেতে এক বিশেষ কৃত্রিম পরিবেশ (Artificial environment) তৈরি করে যা দেখে ব্যবহারকারী তার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারে। যেমন- সমুদ্রের তলদেশে তিমি মাছের দেখা কিংবা জঙ্গলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টার্জেনের মতো উড়ে বেড়ানো সবই পরিপূর্ণভাবে অনুভব করা যায়

২. সেমি-ইমার্সিভ (Semi-immersive): Fully-immersive I Non-immersive-এর মাধ্যমে তৈরি হয় semi-immersiveকম্পিউটারের মাধ্যমে ও মাউসের সাহায্যে character-এর বৈশিষ্ট্য নিজের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারা। ৩. নন-ইমার্সিভ (Non-immersive)- সফটওয়্যারের মাধ্যমে কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করা হয়। ব্যবহারকারীরা অ্যানিমেশন বা গেমস খেলার মাধ্যম নন-ইমার্সিভের বিষয়টি উপভোগ করতে পারে। ৪. অগমেন্টেড রিয়েলিটি হলো একটি ইন্টারেক্টিভ অভিজ্ঞতা, যা কম্পিউটার-জেনারেটেড ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য তথ্য দিয়ে বাস্তব জগতকে উন্নত করে।

সফ্টওয়্যার, অ্যাপস এবং হার্ডওয়্যার (যেমন- অজ চশমা) ব্যবহার করে অগমেন্টেড রিয়েলিটি ডিজিটাল কন্টেন্টকে বাস্তব জীবনের পরিবেশ এবং বস্তুর ওপর ওভারলে করে। ৫. কোলাবোরেটিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এটি একটি সহযোগিতামূলক ভার্চুয়াল পরিবেশ, যা অনেক অংশগ্রহণকারীর সহযোগিতা এবং মিথস্ক্রিয়া করার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এর প্রভাব বড় দূরত্বে ছড়াতে পারে। সাধারণত বিতরণকৃত সিমুলেশন, থ্রিডি মাল্টিপ্লেয়ার গেমস, পাবজি (চটইএ) গেম, সহযোগী প্রকৌশল সফ্টওয়্যার, সহযোগী শিক্ষার অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনগুলো সাধারণত ভাগ করা ভার্চুয়াল পরিবেশের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১. বিনোদন এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবহার হলো গেমিং। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির গেমগুলো ব্যবহারকারীদের একটি সম্পূর্ণ নতুন জগতে নিয়ে যায় এবং তাদের একটি অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এছাড়াও সিনেমা, ভিডিও এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক সামগ্রী তৈরিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ২. শিক্ষা শিক্ষাক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দূরবর্তী স্থানগুলো ভ্রমণ করতে পারে, ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো পুনর্জীবিত করতে পারে এবং এমনকি জটিল ধারণাগুলোকে আরও সহজে বুঝতে পারে

শিক্ষকরা তাদের পাঠদান ভার্চুয়ালি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শেয়ার করেন প্রজেক্টরের সাহায্যে। এতে তারা প্র্যাকটিকাল উপায়ে সব শিখতে পারছে। ৩. চিকিৎসা মেডিক্যাল শাখায় জটিল সার্জারি বা রোগ নির্ণয়ে বর্তমানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এক বিশাল জায়গা দখল করে আছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অনেক অ্যাপ্লিকেশন আছে, যেগুলোর মাধ্যমে ব্যথা উপশম করতে, আতঙ্কজনিত ব্যাধিগুলোর চিকিৎসা করতে, এমনকি অস্ত্রোপচারের আগে রোগীদের প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয়।

সিমুলেটেড সার্জারির মাধ্যমে নতুন ডাক্তার কিংবা মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। ৪. প্রশিক্ষণ প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রেও ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মাধ্যমে কর্মীদের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া, নতুন সরঞ্জাম ব্যবহার করতে শেখানো এবং তাদের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। ৫. যুদ্ধ পরিচালনা ও প্রশিক্ষণ সামরিক ও বিমানবাহিনীর যুদ্ধ পরিচালনা, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র চালনা, নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজ পর্যবেক্ষণ করা ইত্যাদি ভার্চুয়াল পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হয় ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে। 
৬. প্রদর্শনী জাদুঘরে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রয়োগের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের জন্য ইতিহাস ও ঐতিহ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করা খুবই সহজ হয়। ৭. কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রোডাকশনের গুণগতমান যাচাই-বাছাই করার জন্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা যেতে পারে। ৮. গবেষণা নকশা, প্রকৌশল, বিপণন ইত্যাদি নানা ধরনের গবেষণার কাজে সিমুলেশনের মাধ্যমে কম্পিউটারের থ্রিডি ইমেজ ব্যবহার করা যায়

৯. মহাকাশ যাত্রা নভোচারীদের ভার্চুয়াল পরিবেশে মহাকাশে অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়ক। ১০. ভার্চুয়াল মিটিং অনলাইন যোগাযোগ, যা বিভিন্ন ভৌত অবস্থানের লোকদের একই ভার্চুয়াল রুমে মিলিত হতে তাদের মোবাইল বা ইন্টারনেট সংযুক্ত ডিভাইস ব্যবহার করতে সক্ষম করে। বিগত করোনাকালে বিশ্বব্যাপী মানুষে মানুষে সংযুক্ত ছিল ভার্চুয়াল রিয়েলিটির এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সাহায্যে প্রযুক্তিতে অনেক উন্নতি হয়েছে বটে, কিন্তু মানুষের জীবনে এর অনেক নেতিবাচক প্রভাবও পড়ছে। এগুলো হলো ১. বাচ্চারা গেমসের ওপর দিন দিন আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তির ক্ষতি হতে পারে। এমনকি কর্নিয়াও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ইষঁব যিধষব নামে এক ধরনের গেমস সফটওয়্যার মানুষের মাঝে ভয়ের সৃষ্টি করেছিল। অনেক ছেলেমেয়ে এই গেমের নেশায় পড়ে জীবন দিয়েছে পর্যন্ত। ২. কল্পনা জগতের প্রতি মানুষ বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে

সেজন্য সমাজে মনুষ্যত্বহীনতার মতো বিষয়গুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইচ্ছামতো কল্পনার জগতে বিচরণের সুযোগ লাভের ফলে মানুষ বাস্তবতার অনুভূতি সম্পর্কে উদাসীন থাকছে। ৩. একে অপরের মাঝে পারস্পরিক ইন্টারেকশনের অভাবে সমাজে অনিশ্চয়তা বিরাজ করতে পারে। 
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ইতিহাস দেড়শ
বছরের বেশি। শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন ফরাসি কবি ও নাট্যকার অ্যান্টনিম আরচিউড তার লেখা ১৮৩৮ সালে প্রকাশিত গ্রন্থে। এরপর আঠারো শতকে ত্রিশের দশকে স্টেরিওস্কোপ আবিষ্কারকালে ইমেজ প্রোজেক্ট করার জন্য একটি টুইন মিরর ব্যবহার করা হয়, যেখানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়াও ডেমিয়েন ব্রডরিকের নামক সায়েন্স ফিকশনেও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি শব্দটি ব্যবহৃত হয়। ১৯৬১ সালে সেন্সোরমা সেমুলেটর নামক একটি যন্ত্র আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে বাস্তব উপায়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি উপস্থাপন করলেও, সেখানে কোনো প্রকার কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়নি

পরবর্তীতে মরটন হেইলিং গড়ৎঃড়হ ঐবরষরম  কর্তৃক ১৯৫৭ সালে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির কারিগরি উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। অবশ্য ১৯৮০ দশকের মধ্যভাগে জারন জেনিয়ার সর্বপ্রথম একে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নামকরণ করেন। পরবর্তীতে ভিজুয়াল প্রোগ্রাম ল্যাব এর প্রতিষ্ঠাতা হ্যাকার লেনিয়ার ১৯৮৪ সাল থেকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেন। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। 

লেখক : অধ্যাপক এবং তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, আইআইটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


আরও খবর

৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ইমো

সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪

গেইমিং পিসি বানাতে যা করবেন

রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪




ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে জুলুমের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন মানুষকে ধোকা দিলে কি হয় তা সারা বিশ্ব দেখেছে। ধোকা দেয়া একটি জঘন্যতম কাজ। তাই আমরা যদি সরকার গঠন করতে পারি তাহলে কাউকে ধোকা দেওয়ার কাজ করবো না। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়। যে দেশে মানুষ মানুষকে সম্মান করবে, মানুষের সকল অধিকার নিশ্চিত হবে। যে দেশে কোন যুবক বেকার থাকবে না। সকলের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ সরকার গঠন করলে আমাদের মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) নারীদের যে সম্মান দিয়েছেন তাদের সেই সম্মান নিশ্চিত করা হবে। সেই স্বপ্নের দেশ গঠন করা কেবল মাত্র জামায়াতে ইসলামীর দ্বারাই সম্ভব নয়। এমন স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের সকল জনগণের সহযোগিতা ও সমর্থনেরও প্রয়োজন। 

তিনি আরো বলেন আমরা সরকার গঠন করলে দেশের মালিক হবো না, মানুষের সেবক হবো। ইতিপূর্বে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের দেশের মালিক মনে করেছেন তাদের কি ভয়াবহ পরিনতি হয়েছে আমরা দেখেছি এবং ইতিহাসের পাতায় তা লিপিবদ্ধও রয়েছে। তারা অস্থাকুড়ে নিক্ষেপিত হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল নানাভাবে জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছে। আমরা বিভেদ দেখতে চাই না। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র আমাদের সবার। কারণ বিভেদ জাতির জন্য কোন মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। 

তিনি বলেন বিগত সাড়ে ১৫ বছর শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে আমরা ছিলাম। আল্লাহর ইচ্ছায় ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে জুলুমের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। এই ১৫ বছরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই দলের মত ক্ষতি আর কোন দলের করা হয় নি। অন্যায়ভাবে আমাদের নিবন্ধন কেড়ে নেয়া হয়েছে। প্রতীক কেড়ে নেয়া হয়েছে। বিচারের নামে প্রহসন করে আমাদের দলের ১১জন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার মধ্যে দিয়ে ঐ ফ্যাসিবাদী সরকার হত্যার রাজনীতি শুরু করে। যুব সমাজ যুগে যুগে দেশের ক্লান্তিলগ্নে, সকল অন্যায় জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দেশেকে রক্ষা করেছে। ঠিক তেমনই ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে গত ৫ আগষ্ট জুলুমবাজ সরকারের পতন হয়েছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলন পরবতীতে সরকার পতনের যে এক দফার আন্দোলন তা কোন দলের বা কোন গোষ্ঠির আন্দোলন ছিলনা। সে আন্দোলন ছিল দেশের সকল মানুষের আন্দোলন। এর কৃতিত্ব ছাত্র জনতার। আল্লাহর ইচ্ছায় এই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, যারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নানা ভাবে অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরন করেছেন সে সব পরিবার জাতির বোঝা নয়, তারা জাতির সম্পদ। এসব পরিবারকে সম্মান দিতে হবে মর্যাদা দিতে হবে। মুক্তির এই আন্দোলনে শহীদের প্রত্যেকের পরিবার থেকে একজনকে চাকুরী দিয়ে সম্মানীত করতে হবে। আহতদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। তাদের বীর বলে আখ্যায়িত করে পাঠ পুস্তকে সন্নিবেশিত করতে হবে।  

শনিবার বিকালে তিনি নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা শাখার রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে এই কথাগুলো বলেন। পরে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে দীর্ঘ ১৮ বছর পর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা শাখার এই সম্মেলন যোগদান করেন। নওগাঁ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মোঃ শাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী অঞ্চল সহঃ পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আমীর ডঃ মোঃ কেরামত আলী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য খ,ম, আব্দুর রাকিব, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ এনামুল হক, এ্যড. আ,স,ম সায়েম, অধ্যাপক মোঃ মহিউদ্দিন, মওলানা হাবিবুর রহমান,ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল ও খুলনা মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য আ,স,ম মামুন শাহিন। রুকন সম্মেলন শেষে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা শাখার জন্য কমিটি গঠন করেন তিনি।


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের কাজ শেষ পর্যায়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রক্রিয়াধীন থাকা স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের কাজ শেষ পর্যায়ে এবং আগামী সপ্তাহেই তা মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে ড্রিমার্স কনসালটেশন এন্ড রিসার্চ আয়োজিত 'দুইশততম মেডিকেল ক্যাম্প উদ্‌যাপন' শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের আগেই উচিত ছিল দরিদ্র মানুষকে হেলথ কার্ড প্রদান করা কিন্তু সেটা করা হয়নি। দেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়েও এখনো শেষ হয়নি। আমি এই পদে আসীন হওয়ার পরে আমাকে সময় দেওয়া হলো মাত্র ৮ দিন। আমি বললাম আমি এটা জানি না, আমাকে আগে জানতে হবে তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আজকে ২ মাস পেরিয়েছে, আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটা ক্যাবিনেটে দিতে পারবো বলে আশাবাদী

তিনি বলেন, সরকার একা সব কাজ করতে পারে না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক সংগঠন ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারছি না। যে যেভাবে যোগ্য তাকে সেভাবেই অভিনন্দন জানানো উচিত। ভালো কাজের সম্মান দিলে এই জেনারেশন সেটা থেকে শিখবে। দেশের নানা প্রান্তে অনেক হিরো আছে যাদেরকে আমরা যথাযোগ্য সম্মান দিতে পারি না

স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজানো উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, নানান সমস্যায় জর্জরিত ছিল এই মন্ত্রণালয়। আজকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করতে পারলে আমাদের হাসপাতালে আসতে হতো না। আমরা সেটা প্রতিরোধ করতে পারিনি। স্বাস্থ্য খাত এখন এমন পর্যায়ে এসেছে যে এখন সংস্কার প্রায় অসম্ভব। এটাকে ভেঙে পুনরায় ঢেলে সাজাতে হবে

আন্দোলনের আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসা সহজ করতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। দেশের ডাক্তারদের পাশাপাশি আমরা ফ্রান্স, চীন থেকে ডাক্তার এনেছি। তারপর নেপাল থেকে চক্ষু চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করিয়েছি। তবুও অনেক রোগীর চোখ আমরা ভালো করতে পারিনি

পা হারানোদের ব্যাপারে আমরা যুক্তরাজ্য, চীন ও ফ্রান্সের ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একজনকে আমরা ব্যাংককে পাঠিয়েছি, যার চিকিৎসা ব্যয় প্রায় ২ কোটি টাকা। একজন সিএমএইচ এ আছেন, একজন বার্ন ইউনিটে আছেন যাকে অস্ট্রেলিয়া পাঠাতে ৪ কোটি টাকা খরচ হবে। এরকম অনেককে আমরা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে তাদের বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি

সভাপতির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যা শুধু অ্যাকাডেমিক দিকে নয় বরং একটি সমাজ এ দেশ গঠন করেছে। যখন দেশের মানুষ হতাশ হয়েছে বা বাধাগ্রস্ত হয়েছে সেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসেছে। অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। তারই উদাহরণ। এই জুলাই বিপ্লবকে সফল করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিয়েছে

অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন, বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মোরশেদ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, আব্দুল কাদের, মাহিন সরকার, স্বাস্থ্য কমিটির আহ্বায়ক নাহিদা বুশরা, সদস্য সচিব তারেক রেজা প্রমুখ


আরও খবর

১০ মাসে ডেঙ্গুতে ৩০০ মৃত্যু

শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4




পীরগাছায় রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার-

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪ |

Image



পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি -


রংপুরের পীরগাছায় মহির উদ্দিন(৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রংপুর- চৌধুরাণী- সুন্দরগঞ্জ সড়কের পাশে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তেয়ানী মনিরাম গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মহির উদ্দিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের অনন্তরাম গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে রংপুর-চৌধুরাণী-সুন্দরগঞ্জ সড়কের তেয়ানী মনিরাম এলাকায় অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মরদেহটি মহির উদ্দিনের বলে সনাক্ত করে স্বজনরা।

পীরগাছা থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর