Logo
শিরোনাম

২ হাজার কোটি টাকার আম বিক্রি করার সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :


প্রতি বছরের মত এবারও নওগাঁয় গাছ থেকে আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন নওগাঁ জেলা প্রশাসন। 

সেই মোতাবেক সোমবার ২২ মে থেকে আম পাড়া শুরু হয়েছে। এরপর পর্যায় ক্রমে বাজারে আসবে সুস্বাদু গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাত, আম রুপালি, নাকফজলি, ল্যাংড়া, বারী-৪ ও গৌরমতিসহ অন্যান্য আম। এর আগে গত ৭ মে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান জাতভেদে আম পাড়ার সময়সূচী নির্ধারণ করে দেন। সভায় আম চাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান জানান, এ বছর আম পাড়া শুরু হবে সোমবার (২২ মে) থেকে। এই দিন বা তার পরে যে কোনো দিন গুটি আম পাড়া যাবে বা বাজারজাত করা যাবে। এরপর আসবে গোপালভোগ। গোপালভোগ গাছ থেকে পাড়া যাবে ৩০ মে। এছাড়াও ক্ষীরশাপাত বা হিমসাগর ৫ জুন, নাকফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙ্গা ১২ জুন, ফজলি আম ২২ জুন ও আম রুপালি ২৫ জুন থেকে নামানো যাবে। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে নামানো যাবে আর্শ্বিনা, বারী-৪ ও গৌরমতি জাতের আম। মূলত অপরিপক্ক অবস্থায় আম পেড়ে তাতে মেডিসিন দিয়ে পাকিয়ে কেউ যাতে আম বাজারে নিয়ে আসতে না পারে এ জন্যই গত কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের দেওয়া সময়ের নির্ধারিত দিনের আগে নির্ধারিত আম পাড়া যাবে না। তবে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই যদি কোনো বাগানে আম পেকে যায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম পাড়তে পারবেন।

সভায় জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন জানান, জেলায় এ বছর ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫২৫ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১২ দশমিক ৫০ টন হিসেবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৫ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ বছর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা আম বেচাকেনা হতে পারে বলে আশা কৃষি বিভাগের।


আরও খবর



জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলই থাকবে

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 |

Image

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলই থাকবে। ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে রবিবার সকালে হরতালে আইনজীবী আসতে পারবেন না কারণ দেখিয়ে নিববন্ধনের শুনানিতে আপিল বিভাগে ৬ সপ্তাহ সময় চায় জামায়াতের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর জুনিয়র জিয়াউর রহমান। তবে সময়ের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

গত সপ্তাহেও (১২ নভেম্বর) আপিল বিভাগে সময় চাওয়ার পর এক সপ্তাহ সময় দেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ৮ সপ্তাহ সময় চান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।

গত ১ আগস্ট দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে পক্ষভুক্তের আবেদন করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধাসহ জামায়াতে সমর্থক ৪৭ নাগরিক। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেন।

পরে জামায়াতের আইনজীবী প্যানেলের সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে আপিল বিভাগে বক্তব্য তুলে ধরতে ৪৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক আবেদন করেছেন।

আবেদনকারীদের মধ্যে জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, হামিদুর রহমান আজাদ, হাফেজা আসমা খাতুন, মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এম উমার আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুর রব এবং তিন জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।

এদিকে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ করার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সভা, জনসভা বা মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদনে পক্ষভুক্ত হতে চেয়েছেন ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তারা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্টজন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।


আরও খবর



একক’ ভর্তি পরীক্ষায় যাচ্ছে না পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

আসন্ন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ‘একক’ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা ছিল তা এখনই বাস্তবায়িত হচ্ছে না। 

নতুন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে ইউজিসি গত ৩১ অক্টোবর ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে স্নাতক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৩’–এর খসড়া চূড়ান্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠালেও সেটি চূড়ান্ত হয়নি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারও আগের নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 

বুধবার (২৯ অক্টোবর) ইউজিসির শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা–সংক্রান্ত এক সভায় ইউজিসির চেয়ারম্যানের রুটিন দায়িত্বে থাকা সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীরও আসন্ন শিক্ষাবর্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন।

গত রোববার প্রকাশিত হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল। এখন সময় সারাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি প্রস্তুতির। বর্তমানে দেশে ৫৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে।

 এ ছাড়া দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৩টি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আলাদাভাবে ভর্তি করা হয়।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা ভর্তি পরীক্ষা হয়। 

তবে ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একটি গুচ্ছভুক্ত হয়, তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট) আরেকটি গুচ্ছে এবং কৃষি ও কৃষিশিক্ষাপ্রধান সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় অপর একটি গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে।


আরও খবর



আমদানি শুরু, ভারত থেকে আসছে আলু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 |

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে দ্বিতীয় দিনে ৫১৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। ৪ নভেম্বর দুপুরের পর থেকে আলুবাহী ভারতীয় ট্রাক বন্দরের ইয়ার্ডে প্রবেশ করতে শুরু করে। এ নিয়ে দুই দিনে দেশের অন্যতম এই স্থলবন্দরে ২১টি ট্রাকে মোট ৫৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে।

স্বস্তি ফিরছে ক্রেতাদের মাঝে। কেননা আমদানির পর থেকেই কমতে শুরু করেছে দাম। ২ নভেম্বর ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও শনিবার দুপুরে জেলার বিভিন্ন বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। আমদানি অব্যাহত থাকলে আরও দাম কমবে, বলছেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার দুপুরে জেলার সবচেয়ে বড় আলুর আড়ৎ পুরানো বাজারে গিয়ে দেখা যায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। এখানকার এক খুচরা বিক্রেতা সামশুল আলম বলেন, এক দিনের ব্যবধানে প্রতি বস্তায় আলুর দাম কমেছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। হঠাৎ করেই ভারতীয় আলু আমদানির খবর পেয়ে স্টকে থাকা আলুর দাম কমিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন কোল্ড স্টোরেজে রাখা ব্যবসায়ীরা।

বাজারে আলু কিনতে আসা আলী আশরাফ বলেন, কয়েকদিন আগেই কেজিপ্রতি আলু কিনতে হয়েছে ৬০ টাকা করে। এমন দাম অস্বাভাবিক। সাধারণ মানুষের এই দামে আলু কিনে খাওয়া অনেক কষ্টকর। তাই ভারত থেকে আলু আমদানির সিন্ধান্তটি অত্যন্ত যৌক্তিক। এভাবে কয়েকদিন আলু আমদানি অব্যাহত থাকলে এমনিতেই আলুর দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এ ছাড়াও আলুর বাজার যারা অস্থিতিশীল করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

পাইকারি আলু বিক্রেতা আজম আলী জানান, কয়েকদিন আগে আমরা বেশি দামে কিনছিলাম, তাই বেশি দামে বিক্রিও করতে হয়েছে। এখন কম দামে পাচ্ছি, তাই বিক্রিও করছি কম দামে। গত কয়েকদিনে ব্যাপকহারে বেচাকেনা কমে গিয়েছিল। এখন দাম কমতে শুরু করেছে, আবারও বিক্রি বেশি হবে।

আড়তদার রহমত আলী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনামসজিদ ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি শুরুর খবর পেয়েই মজুতদাররা ২ থেকে ৪ টাকা কেজিপ্রতি দাম কমিয়েছিল। মাঝে এক দিন যাওয়াতেই এক লাফে ৮ থেকে ১০ টাকা করে দাম কমেছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে আরও দাম কমবে।

ভারতীয় এক রফতানিকারক মোবাইল ফোনে জানান, বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে। বাংলাদেশে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিকারকরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আলু আমদানি করছে। আগামী কয়েকদিনে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আলু রফতানি করতে ট্রাক ভর্তি করা হচ্ছে। আলু আমদানিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় স্থলবন্দর কাস্টমস।

সোনামসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মো. মাইনুল ইসলাম জানান, সরকারের আলু আমদানির সিন্ধান্তের পর বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আলু আসছে। মাঝে শুক্রবার ছুটির দিনে হওয়ায় বন্ধ ছিল। শনিবার আবারও আলু আমদানি শুরু হয়েছে।

এর আগে দেশে প্রথমবারের মতো গত বৃহস্পতিবার দুটি ট্রাকে আসে ৫২ মেট্রিক টন আলু। সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ২১ জন আমদানিকারক ১৫ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।


আরও খবর

দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

কমলো আকরিক লোহার দাম

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3




বায়ুদূষণ মারাত্মক রূপ নিচ্ছে ঢাকায়

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৫ নভেম্বর সকালে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২৫১ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান খুব অস্বাস্থ্যকর।

১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর ৩০১ থেকে ৪০০ এর এর মধ্যে থাকা একিউআইকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

ভারতের দিল্লি ও কলকাতা যথাক্রমে ৩০৩ ও ২৩৮ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম ও তৃতীয় স্থানে আছে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

একই সময়ে সবচেয়ে নির্মল বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ তিনে রয়েছে ইতালির মিলানো, জাপানের নাগোয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সিডনি। এর মধ্যে সকালে মিলানো ও নাগোয়ার স্কোর ছিল ৪। আর সিডনির স্কোর ছিল ১০।


আরও খবর

অবরোধেও রাজধানীতে গাড়ির চাপ

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

১৩ দিনে ঢাকায় ৬৪ গাড়িতে আগুন

শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩




আইকনিক রেলস্টেশনের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 |

Image

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি নির্মিত দেশের প্রথম এবং এশিয়ার বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১১ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন চত্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের রেল চলাচলের উদ্বোধন করেন তিনি।

এর আগে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শেষে শিশুদের সঙ্গে ছবি তুলেন। এরপরই মঞ্চে উঠে বসেন। সেখানে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি।

উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে রামু পর্যন্ত ভ্রমণ করবেন। দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধনের পর রামু থেকে হেলিকপ্টার যোগে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনার আগমনে সাজ সাজ রব উঠেছে সমুদ্রের কোলঘেঁষা প্রত্যন্ত জনপদ মহেশখালীর মাতারবাড়ি। নির্মাণাধীন ১২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটসহ, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন করবেন সরকারপ্রধান।

সেখানে এ উপলক্ষ্যে জনসভারও আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীনরা। স্থানীয়দের তাই বহুমাত্রিক উচ্ছ্বাস দিনটিকে ঘিরে। রেলসেবা সম্প্রসারণ, বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ একগুচ্ছ কৌশলগত প্রকল্পের উদ্বোধনে পাল্টে যাবে পুরো এলাকার প্রতিচ্ছবি। প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

যা আছে আইকনিক রেলস্টেশনে : কক্সবাজার সৈকতের কাছে ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ায় নির্মিত হয়েছে ঝিনুক আকৃতির দৃষ্টিনন্দন ছয়তলাবিশিষ্ট আইকনিক রেলস্টেশন। ২৯ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা ১ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুটের রেলস্টেশনটি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

নতুন এই রেলস্টেশনে থাকছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, রেস্তোরাঁ, শিশুযত্ন কেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সুবিধা। দৈনিক ৪৬ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত আইকনিক রেলস্টেশনে আরও আছে ডাকঘর, কনভেনশন সেন্টার, তথ্যকেন্দ্র, এটিএম বুথ ও প্রার্থনার স্থান।

চোখধাঁধানো আইকনিক এ স্টেশনের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চারপাশে ব্যবহার করা হয়েছে কাচ; ছাদের ওপর অত্যাধুনিক স্টিল ক্যানোফি। ফলে দিনের বেলা ব্যবহার করতে হবে না বাড়তি আলো। আর আধুনিক নির্মাণশৈলীর কারণেই একে বলা হচ্ছে গ্রিন স্টেশন। একই সঙ্গে সুবিশাল চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলা থেকে নামতে হবে ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে। আর আসার যাত্রীরা বের হবেন নিচ থেকে। যার জন্য প্রস্তুত চারটি চলন্ত সিঁড়ি। স্টেশনের ভেতরেই রয়েছে সাতটি টিকিট কাউন্টার। আর চাইলেই নির্দিষ্ট লকারে ব্যাগ রেখে পর্যটকরা ঘুরে আসতে পারবেন পুরো শহর।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এসি বার্থ শ্রেণির জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৬ টাকা। শোভন চেয়ারের জন্য ২০৫ টাকা, এসি চেয়ারের জন্য ৩৮৬ টাকা এবং এসি সিটের জন্য ৪৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, লোকাল ট্রেনের জন্য (দ্বিতীয় সাধারণ শ্রেণির আসন) চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ভাড়া ধরা হয়েছে ৫৫ টাকা। মেইল ট্রেনের জন্য ৭০ টাকা। এ ছাড়া কমিউটার ট্রেনে করে গেলে দিতে হবে ৮৫ টাকা।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের দূরত্ব ৫৫১ কিলোমিটার। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এ পথে নন-এসি অর্থাৎ শোভন চেয়ারে ৫১৫ ও এসি সিটে ৯৮৪ টাকা ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে। এসি সিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভাড়া হবে ১ হাজার ১৩২ টাকা। ভ্যাটসহ এসি কেবিনে ১ হাজার ৩৬৩ ও এসি বার্থে ভাড়া পড়বে ২ হাজার ৩৬ টাকা। কিন্তু এখনই এ পথের ভাড়া চূড়ান্ত করেনি রেলওয়ে।

১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে ৯টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট ও ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট। আর লেভেল ক্রসিং করা হয়েছে ৯৬টি।

উদ্বোধনের প্রায় সাত বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েল গেজ এবং সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু কক্সবাজারে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক স্টেশনটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা।

এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড পৃথক দুই ভাগে কাজটি করে।


আরও খবর