Logo
শিরোনাম

২০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত ২০ সাংবাদিক ও কর্মকর্তার প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদপ্তর

তাদের কার্ড বাতিল করে আজ (মঙ্গলবার) সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান তথ্য অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মো. নিজামূল কবীর। 

যে সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল হলো তারা হচ্ছেন- প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের সাবেক ডিজি জাফর ওয়াজেদ, নয়াদিল্লির সাবেক প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক ও বিশেষ প্রতিনিধি ফারজানা রুপা, ওমেননিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদা ইয়াসমিন, দি ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম |

এবিনিউজ২৪ ডটকমের প্রধান সম্পাদক সুভাস চন্দ্র সিংহ রায়, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবীর, এটিএন নিউজের প্রধান বার্তা সম্পাদক মুন্নী সাহা, আমাদের সময় ডটকমের প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, দৈনিক বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ফরাজী আজমল হোসেন, একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, দৈনিক ঢাকা টাইমসের সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মিথিলা ফারজানা, বৈশাখী টিভির বার্তা প্রধান অশোক চৌধুরী ও ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা

এতে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৬.৯, ৬.১০, ৯.৫ ও ৯.৬ এর আলোকে এসব সাংবাদিক ও ব্যক্তিদের অনুকূলে তথ্য অধিদপ্তর থেকে এর আগে ইস্যু করা স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হল


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের দাবি ’৯৪ সাল থেকে বাম-প্রগতিশীল দলগুলোর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর তৃতীয় দফা সংলাপকে কেন্দ্র করে আবারও সামনে এসেছে সংসদে ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা’র বিষয়টি। সম্প্রতি কয়েকটি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি উপস্থাপন করায় রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে। ‘নব্বই দশক থেকে, বিশেষ করে ১৯৯৪ সালের পর তৎকালীন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের আলোচনায় জাতীয় সংসদে আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের কথা আছে। তখন থেকেই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি ও বামজোট আনুপাতিক নির্বাচনের কথা তুলে ধরি তুলে ধরি।’ বলছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল সিপিবির এই সাধারণ সম্পাদক আরও উল্লেখ করেন, ‘২০০৭ সালে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে আলোচনার সময় আমরা তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সুনির্দিষ্টভাবে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির আলোচনা লিখিতভাবে তুলে ধরি। ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত বইয়ে এটি লিপিবদ্ধ করা আছে।’

২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ সিপিবির নেতারা নির্বাচনে কমিশনে প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবেও ছিল, ‘যতদিন সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে, ততদিন আরও তিনটি ব্যবস্থা’ রাখার সুপারিশ করে দলটি। সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত ও সরাসরি ভোট; নির্বাচিত প্রতিনিধি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ওই প্রতিনিধিকে প্রত্যাহারের বিধান; না ভোটের বিধান যুক্ত করা।

বামজোটের নেতারা জানান, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও দাবি তুলেছিল বাম, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল দল এবং জোটগুলো। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ টাকার খেলা, পেশীশক্তি, সাম্প্রদায়িকতা, প্রশাসনিক কারসাজিনির্ভর বিদ্যমান গোটা নির্বাচনি ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবি করেছিলো তারা।

‘প্রয়োজনে দেড়শ আসনেও হতে পারে’

সিপিবি সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘স্থানীয় সরকারকে দক্ষ ও শক্তিশালী করা এবং সংবিধানের দেওয়া দায়িত্ব অনুযায়ী তাদের ভূমিকা পালন করার সঙ্গে সঙ্গে আনুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানটাও জরুরি হয়ে পড়েছে।’

এক্ষেত্রে প্রিন্সের পরামর্শ, ‘আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যদি একবারে আমরা পুরো ৩০০ আসনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি নাও করতে পারি— ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনে এখন দেড়শ আসনে আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ও বাকি আসনে প্রচলিত ব্যবস্থায় নির্বাচন হতে পারে।’

রুহিন হোসেন জানান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন সংস্কার বিষয়ে কমিউনিস্ট পার্টি প্রকাশিত পুস্তিকায়ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির কথা সিপিবি প্রচার করেছে। সারাদেশে এ বিষয়ে দলটির ব্যাপক প্রচার অব্যাহত রয়েছে।


উল্লেখ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে সংসদে দুই কক্ষ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। দলটি গণভোট ফেরানো এবং পর-পর দুই বার একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের পক্ষ থেকেও ১০ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেখানে ‘প্রাণীর মূর্তিনির্ভর ভাস্কর্য নির্মাণ না করে দেশীয় প্রকৃতি, ঐতিহ্যকে বিভিন্ন চিত্রাঙ্কন-ভাস্কর্যে তুলে আনা’, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা চালু, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে স্থায়ীভাবে সন্নিবেশিত করা, ইভিএম ভোটিং ব্যবস্থা বাতিল, ২০০৮ সালে প্রবর্তিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা বাতিলসহ নানা প্রস্তাব


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




আওয়ামী লীগ জুলুমবাজ দল

প্রকাশিত:রবিবার ২০ অক্টোবর ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ জুলুমবাজ দল

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চেয়ে জুলুমবাজ আর নেই। তারা সারা জাতীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। মামলা, হামলা, খুন, গুম ও ধর্ষণসহ অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণতি হয়েছিল। দেশের মানুষ ছিল তাদের কাছে অসহায়। তারা বিচারের নামে প্রহসন করে আমাদের ১১ নেত ও শত শত কর্মীকে হত্যা করেছে

১৯ অক্টোবর বিকেল ৩টায় নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে রুকন সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন

জামায়াতে ইসলামী বিভক্ত কোনো জাতী দেখতে চায় না মন্তব্য করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যারা একটা জাতীকে বিভিন্ন ধোয়া তুলে টুকরো টুকরো করে বিভক্ত করতে চায়, তারা জাতীর দুশমন। রাজনীতি ও দল যার যার অবস্থানে থাকবে। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে সবাই এক। কোনো বৈরি শক্তি ও শত্রু শক্তি কখনো বিজয়ী হতে পারে না

তিনি আরও বলেন, আল্লাহ যদি কখনো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের দেন, আমরা সেবক হবো। যারা মালিক হয়েছে তাদের পরিণতি চোখের সামনে আপনারা দেখেছেন। মানুষের সঙ্গে গাদ্দারি ও ধোঁকা দিলে কি হয়। এ থেকে সব রাজনৈতিক দলের শিক্ষা নেওয়া উচিত

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দীন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী অঞ্চল সহ-পরিচালক অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরী আমির ড. মো. কেরামত আলী


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

সুপারশপের পর কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সব স্তরের মানুষ। তবে তাদের পরামর্শ, শুরুতেই বাজারে নয়, পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি পাটসহ পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহারে বাড়াতে হবে সচেতনতা। পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন উৎপাদনকারী কারখানাগুলোর বিরুদ্ধেও শুরু হবে অভিযান।

নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও আইন অনুবিভাগ)। সদস্য হিসেবে থাকছেন যুগ্ম সচিব (পরিবেশ-১ অধিশাখা), উপসচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ-১ ও ২) এবং জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব (পরিবেশ-৩)।

এ কমিটি ১ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী পরিচালিত পলিথিন বন্ধের অভিযান দেখভাল করবে। মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা ও প্রয়োজনে মাঠ কার্যক্রম পরিদর্শন করবে। এ ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরও একটি আলাদা কমিটি গঠন করবে। অধিদপ্তরের কমিটি প্রতিদিন বিকেল ৫টার পর পরিচালিত অভিযানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটিকে পাঠাবে। মনিটরিং কমিটি আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট এবং এর আশপাশের বিভিন্ন সুপারশপ ও বাজারের অভিযান পরিচালনা করবে।

২০০২ সালে সরকার আইন করে সাধারণ পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে (২০০১-২০০৬) পরিবেশমন্ত্রী শাজাহান সিরাজ বাজারগুলোকে পলিথিনমুক্ত করেছিলেন। দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের পর তিনি যখন পলিথিন থেকে মুক্তির ঠিক কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরও বাজারে তেমন পলিথিন দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের শুরুর দিকেও পলিথিন ব্যবসায়ীরা বাজারে ঢুকতে পারেনি। পরে ধীরে ধীরে বিগত সরকারের শিথিল নীতির কারণে পলিথিনে সয়লাব হয়ে ওঠে বাজার। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পলিথিন নিষিদ্ধের আইনের কঠোরভাবে প্রয়োগের ঘোষণা দেন। এর অংশ হিসেবে গত ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে এ ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। আজ থেকে কাঁচাবাজারেও ব্যাগটির ব্যবহার করা যাবে না।

সচেতনতা এবং ক্রমাগত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পলিথিন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এক পাও পিছপা হবেন না বলে জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, যে পলিথিন ব্যাগ ২০০২ সাল থেকে নিষিদ্ধ, সেই ব্যাগের বিষয়ে ২০২৪ সালে এসে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। পলিথিন নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি আমরা পাটজাত দ্রব্যকে প্রণোদিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এটি পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগ। আমরা যখন বাংলাদেশি হিসেবে বিকল্পের কথা ভাবি, অন্তত আমার মতো বয়সের লোকেরা জানে, সারা জীবনই বিকল্প ছিল। আমার আগের প্রজন্ম, এমনকি আমার প্রজন্ম পর্যন্ত সেই বিকল্পই ব্যবহার করেছি। পলিথিন আসার পর আমরা সেই বিকল্পের কথা ভুলে গেছি। কারণ, আমরা মনে করি পলিথিন সস্তা। আসলে এটা সস্তা নয়, সহজলভ্য। সুপারশপ গত এক মাস পলিথিনমুক্ত ছিল, কোনো গ্রাহকের সমস্যা হয়নি। ফলে কাঁচাবাজারেও সমস্যা হবে না।


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




ঝুঁকির মুখে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

এম এস সেকিল চৌধুরী :

এগারো কোটির বেশি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন দেশে কর্মরত দেড় কোটির বেশি প্রবাসী, যাদের রেমিট্যান্স, বিনিয়োগ ও সামাজিক-পারিবারিক অবদান আমাদের দেশটাকে আর্থ-সামাজিকভাবে সবল করে রেখেছে। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রেস ব্রিফিং ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত খবর অনুযায়ী দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিগত তথ্য অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে উন্মুক্ত হয়ে গেছে কতিপয় অসাধু প্রভাবশালী মানুষের ব্যক্তিগত অর্থ লালসার কারণে। এ ঘটনা জাতিকে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন দেশে কর্মরত ও বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিক যাদের এনআইডি কার্ড রয়েছে তারা ভীষণ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। অনেকের এনআইডি কার্ডে ছোটখাটো বানান বিভ্রাট ও তথ্যের ভ্রান্তি থাকার অবকাশ আছে। এ কারণে প্রবাসীদের পাসপোর্ট ও ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থান সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

প্রবাসীদের তথ্যভাণ্ডারের সম্ভাব্য অসঙ্গতির প্রধান কারণ হচ্ছে এ বিষয়ে আমরা প্রথম জেনারেশন এবং সম্যকভাবে অবহিত ছিলাম না সুতরাং ভ্রান্তিগুলো নির্মূল করে আদর্শ অবস্থানে আসতে আমরা এখনো সক্ষম হইনি। দ্বিতীয়ত: অনেকদিন আগে থেকে যারা বিদেশে থাকেন তাদের বিদেশের তথ্যাবলী ও দেশের তথ্যভাণ্ডারে থাকা তথ্যের সমন্বয়ে কিছু ঘাটতি আছে। এমতাবস্থায় দেশে থাকা তথ্য ভাণ্ডারের তথ্য বিদেশি নিয়োগকর্তা ও কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছালে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। 

দেশের অপরাপর জনগোষ্ঠীর তথ্যও অন্যদের কাছে থাকা নিরাপদ নয়। এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।  বিশ্ব সম্প্রদায় যখন নিজেদের নাগরিকদের তথ্য ভাণ্ডার সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখার জন্য নানা কর্মকৌশল গ্রহণ করছে, প্রতিনিয়ত নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং নিরাপত্তা বেষ্টনী নিশ্চিত করার জন্য নিয়ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে তখন আমাদের দেশের কতিপয় লোক নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে দেশ জাতির নিরাপত্তা বিক্রি করে দিচ্ছে এবং এ কাজে রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল সহায়তা পাচ্ছে। কি বিভৎস্য ও ভয়ঙ্কর এই ঘটনা!

বিশ্বায়নের যুগে আন্তর্জাতিক নানা উপলক্ষে বাংলাদেশের বহু নাগরিকের বিভিন্ন পারিবারিক, সামাজিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ আছে বহির্বিশ্বের সঙ্গে। এই তথ্যপাচার এসব মানুষকে বিপদগ্রস্ত করতে পারে। আর্থিক ও বৈষয়িক নানা ক্ষেত্রে এই তথ্য সংশ্লিষ্ট থাকায় মানুষ বিপদে থাকবেন। 

এমনিতেই আমাদের আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার নষ্ট করার জন্য প্রতিযোগী কতিপয় দেশ আমাদের নামে দেশে-বিদেশে নানা অপপ্রচার চালায়। আমরাও নানা রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার জন্য নিজ দেশকে জঙ্গিবাদের ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির উত্থানের কথা বলে বেড়িয়েছি নিজেদের দলীয় রাজনীতির সুবিধা আদায়ের জন্য। এ সবই আমাদেরকে জাতি হিসেবে ঝুঁকির মধ্যে রেখেছে। 

উপরন্তু কতিপয় মানুষের অতি লোভ ও অসাধুতায় গোটা জাতির নিরাপত্তা আজ ঝুঁকিপূর্ণ, এ অবস্থায় দেশে ও বিদেশে অবস্থানকারী সকল নাগরিকদের ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেয়া যায় এ ব্যাপারে খাত-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। এ ব্যাপারে সরকারকে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাই। এ ক্ষেত্রে যেকোনো বিলম্ব নানা বিপদ ডেকে আনতে পারে


আরও খবর



নওগাঁয় অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:রবিবার ২০ অক্টোবর ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকউলী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়োগ বাণিজ্য, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর সাথে অসদাচরণের প্রতিবাদে ও তার স্থায়ীভাবে পদত্যাগের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। 

রবিবার সকাল ১১ টারদিকে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী, গভর্নিং বডির সদস্য ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এ ঝাড়ু মিছিল করেন। এ সময় অধ্যক্ষের স্থায়ীভাবে পদত্যাগের জন্য দাবি জানান তারা। এক পর্যায়ে বক্তব্যে বলেন, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম সব কিছুতে দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে নিজের ইচ্ছামত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। ক্ষমতার অপব্যাবহার দেখিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এমনকি নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রায় অর্ধকোটি টাকার অবৈধ্য নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রী, অবিভাবক এবং এলাকাবাসীর সাথে অসদাচরণের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননা। তার বিরেুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে থাকেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এমতাবস্থায় অতিদ্রুত তার স্থায়ীভাবে পদত্যাগের দাবি জানান বক্তারা।

এসময় বক্তব্য রাখেন, অত্র প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক খায়রুল আলম, শিক্ষার্থী ইশরাত হিমেল রিমা ও আয়েশা সিদ্দিকা। এছাড়াও স্থানীয় আব্দুস সালাম, গিয়াস উদ্দিন সরদার, রোস্তম আলী,সাইফুল ইসলাম, ইয়াছিন আলী এবং মমতাজ বেগম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর