Logo
শিরোনাম

২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত ৮ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিশ্বব্যাপী সংঘাত, দুর্যোগ আর জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে ২০২৪ সালে ৮ কোটি ৩০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যা জার্মানির মোট জনসংখ্যার সমান। যদিও তারা কেউই সীমান্ত পেরোয়নি, দেশ ছেড়েও যায়নি তবে প্রাণে বাঁচতে নিজের ভিটেমাটি, গ্রাম বা শহর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার ও নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের যৌথ প্রতিবেদনে এ উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছয় বছর আগেও বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বর্তমানের তুলনায় অর্ধেকের কম ছিল। অর্থাৎ গত ছয় বছরে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

বাস্তুচ্যুতদের প্রায় ৯০ শতাংশ বা ৭ কোটি ৩৫ লাখ মানুষ সংঘাত ও সহিংসতার কারণে ঘরছাড়া হয়েছেন। এই সংখ্যা ২০১৮ সালের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গৃহযুদ্ধ চলা সুদানের পরিস্থিতি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। দেশটিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লাখে পৌঁছেছে। আর এই সময়ে গাজা উপত্যকায় গৃহহীন হয়েছে ২০ লাখ ফিলিস্তিনি।

এছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচতে ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়েছেন ৪ কোটি ৫৮ লাখ। যা এক বছরে দুর্যোগজনিত বাস্তুচ্যুতির নতুন রেকর্ড। এরমধ্যে এক কোটি মানুষ ভিটেমাটি ছেড়েছে শুধুমাত্র ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে।

২০২৪ সালের দুর্যোগজনিত বাস্তুচ্যুতির ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশই আবহাওয়া সম্পর্কিত, যার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ১৫ বছরে এমন দেশের সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে, যেখানে একই সঙ্গে সংঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুতি ঘটছে। আবার সংঘাতজনিত বাস্তুচ্যুতদের প্রায় চারভাগের তিনভাগ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর নাগরিক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস্তুচ্যুতির কারণ ও প্রভাব প্রায়শই একে অপরের সঙ্গে জড়িত। ফলে সংকট আরো জটিল হয়ে ওঠে এবং বাস্তুচ্যুতদের দুর্দশা দীর্ঘস্থায়ী হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাস্তুচ্যুত এসব মানুষ নিজের দেশ ছাড়েননি। তবু রাষ্ট্রের সীমার ভেতরেই তারা পরিণত হয়েছেন আশ্রয়হীন, সুবিধাবঞ্চিত ও উপেক্ষিত উদ্বাস্তুতে।


আরও খবর



নওগাঁয় বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর সাপাহারে  বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২২ মে বেলা ১১টায় নওগাঁর সাপাহার উপজেলার মধইল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ''প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য এবং টেকসই উন্নয়ন'' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জবই বিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সমাজ কল্যাণ সংস্থা দিবসটি উদযাপন করেন।

দিবসে শিক্ষার্থীদের মাঝে রচনা প্রতিয়োগীতা, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সোহানুর রহমান সবুজ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থার সভাপতি ফরহাদ, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উক্ত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবাদুর রহমান, আলোচনায় অংশ নেন সহকারী শিক্ষক আল ফারুক সহ অন্যান্যরা।

সভাটির সঞ্চালনা করেন সংস্থার সহ সাধারণ সম্পাদক  শামিম রেজা।


আরও খবর



টিউলিপের সঙ্গে দেখা করবেন না ড. ইউনূস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডন সফরের সময় লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করতে ড. ইউনূসকে দেখা করার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন টিউলিপ।

টিউলিপের বিরুদ্ধে তার খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে অবৈধভাবে জমি গ্রহণের অভিযোগ আনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। লন্ডনে সাবেক ট্রেজারি মিনিস্টার টিউলিপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানোর অভিযোগ করেছেন তিনি।

একটি চিঠিতে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধ করেন টিউলিপ। তিনি উল্লেখ করেন, এই সাক্ষাৎ ‘ঢাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সহায়ক হতে পারে।’

বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূসকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি চলতি সফরে টিউলিপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কিনা।

ড. ইউনূস বলেন, ‘না, করব না। কারণ এটা আইনি প্রক্রিয়া। আমি আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে চাই না। প্রক্রিয়াটি চলতে থাকুক।’

টিউলিপ যুক্তি দেখিয়েছেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ তাদের অভিযোগের সমর্থনে কোনো প্রমাণ দেয়নি এবং তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এর জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি আদালতের বিষয়। আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে মামলা চালিয়ে নেওয়ার মতো যথেষ্ট উপাদান আছে কিনা অথবা তা বাতিল করা হবে।’ বাংলাদেশের প্রসিকিউটরদের আরও স্বচ্ছ হওয়া উচিত এবং টিউলিপকে অপরাধের প্রমাণ দেওয়া উচিত কিনা– এই প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দুদকের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে এবং তারা সঠিক কাজটিই করছে।’

যদি টিউলিপ বাংলাদেশে কোনো অপরাধে দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে তাঁর প্রত্যর্পণ চাওয়া হবে কিনা– এই প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যদি এটি আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হয়, তবে অবশ্যই।’

এদিকে বিবৃতিতে টিউলিপ জানান, ড. ইউনূস দেখা করতে অস্বীকৃতি জানানোয় তিনি হতাশ। তিনি বলেন, ‘কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি (অধ্যাপক ইউনূস) এ প্রতিহিংসার কেন্দ্রে রয়েছেন।’

টিউলিপ আরও বলেন, ‘আমি আশা করি তিনি এখন সংবাদমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়ার অভ্যাস বন্ধ করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেবেন। আদালতকে এটা প্রমাণ করার সুযোগ দেবেন যে, তাদের তদন্তের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই।’

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অর্থের একটি বড় অংশ যুক্তরাজ্যে রয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, আমার হতাশ হওয়া উচিত নাকি তাঁর (স্টারমার) হতাশ হওয়া উচিত। এটা এক ধরনের মিসড অপারচুনিটি (হাতছাড়া হওয়া সুযোগ)।’ স্টারমারকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এলে সুযোগ হতো বিশ্রাম করে পরিস্থিতি দেখার ও অনুভব করার।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সাক্ষাৎসূচি স্থির না করার কারণ ব্যাখ্যা করেছে কিনা– এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা এ ধরনের কোনো ব্যাখ্যা পাইনি। সম্ভবত তিনি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত।’

বিবিসি জানতে পেরেছে, আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সমন্বয় কেন্দ্র (আইএসিসিসি) হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার সুযোগ খুঁজছে।


আরও খবর



তাপপ্রবাহ বইছে দেশের ২৬ জেলায়

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দেশের তিন বিভাগ ও ছয় জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। মোট ২৬ জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ১৩ জুন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী রোববার (১৫ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আগামী সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আগামী মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




শাকিব খানের তাণ্ডবেই আগ্রহ বেশি দর্শকের

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সিনেমাপ্রেমীদের আনন্দ দ্বিগুণ করতে প্রতি বছর চমৎকার গল্প নিয়ে হাজির হন নির্মাতারা। ঈদে চলচ্চিত্র মুক্তি দিতে তাদের দৌড়ঝাঁপ থাকে তুঙ্গে। এবারের কোরবানির ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ছয়টি সিনেমা। এর মধ্যে দেশব্যাপী একাই রাজত্ব করছে শাকিব খানের তাণ্ডব। ঈদে রেকর্ডসংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। দেশের ১৩২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তাণ্ডব। মুক্তিপ্রাপ্ত সব সিনেমা হলে তাণ্ডবেরই দর্শক বেশি লক্ষ করা যায়।

ট্রিজার, ট্রেলার রিলিজ হওয়ার পর থেকেই তাণ্ডব সিনেমা নিয়ে দর্শকের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। ঈদের দিন সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দেখা গেল সে নিদর্শন। সিনেমাপ্রিয় দর্শকরা বলছেন তাণ্ডব সিনেমা দেখে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন শাকিব খানের এর আগের সিনেমা তুফান কিংবা বরবাদকেও ছাড়িয়েছে তাণ্ডব

বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে তাণ্ডব দেখে বের হওয়া এ দর্শক বলেন, সিনেমাটি এত ভালো লাগবে ভাবিনি। তাণ্ডবের পরতে পরতে চমক ছিল। বিশেষ করে শেষের ১০ মিনিট খুব ভালো লেগেছে।

রায়হান রাফীর নির্মাণের প্রশংসা করছেন অনেক দর্শক। তারা বলছেন, রাফীর নির্মাণ অসাধারণ। বাংলা সিনেমায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন রায়হান রাফী। একের পর এক ভালো সিনেমা উপহার দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন রায়হান রাফী। তাণ্ডব সিনেমা নিয়ে সিনেপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বলছেন, এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যান্য সিনেমার তুলনায় সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে তাণ্ডব সিনেমার। তাণ্ডবে শাকিব খানের বিপরীতে এবারই প্রথম বড় পর্দায় পা রাখলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। শাকিব খান ও সাবিলা জুটিকে প্রথমবার পর্দায় দেখতে হলে এসেছেন অনেক দর্শক।

রাজধানীর বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, অন্য সিনেমার তুলনায় শাকিব খানের তাণ্ডবেই আগ্রহ বেশি দর্শকদের। তবে কম বেশি অন্য সিনেমাগুলোও দেখছে দর্শক। তাণ্ডবের পর এবারের ঈদে দেশের ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শরিফুল রাজ ও তাসনিয়া ফারিণ অভিনীত ইনসাফ। সিনেমাটি দেখে দর্শকরা রাজ ও তাসনিয়া ফারিণের অভিনয়ের প্রশংসা করছেন। প্রশংসা করছেন তাদের অভিনীত আকাশেতে লক্ষ তারা গানের। এক দর্শক বলেন, শুধু আকাশেতে লক্ষ তারা এ গানের কারণেই সিনেমাটি দেখতে এসেছি।

তানিম নূরের উৎসব সিনেমাটি দেখতেও দর্শক পরিবার নিয়ে হলে আসছেন। স্টার সিনেপ্লেক্সের পাঁচটি ও যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস ও কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।

এছাড়া এবারের ঈদে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার ও লায়ন সিনেমায় মুক্তি পেয়েছে এশা মার্ডার: কর্মফল৷। সিনেমাটিও দেখছেন অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার পক্ষ থেকে এখনো হল লিস্ট প্রকাশ করা হয়নি টগর সিনেমার। জানা গেছে, স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার, লায়ন সিনেমার পাশাপাশি ঢাকার আজাদ সিনেমা হলে চলছে সিনেমাটি। স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার ও লায়ন সিনেমায় দেখা যাচ্ছে নীলচক্র। দীর্ঘদিন পর পর্দায় ফিরেছেন আরিফিন শুভ। শুভ ভক্তরাও প্রশংসা করছেন তার অভিনীত নীলচক্র সিনেমার।


আরও খবর



নওগাঁর পশুর হাটগুলোতে ফিরেছে শৃঙ্খলা, আদায় হচ্ছে নির্ধারিত খাজনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

পূর্বের দিনগুলোতে কোরবানীর ইদে নওগাঁর পশুর হাটগুলোতে অতিরিক্ত টোল আদায়ের ধুম পড়তো। সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত টোলের হার অনেক কম হওয়ার কারণে সারা বছরের লোকসানের অজুহাতে হাটের ইজারাদাররা কোরবানীর ইদে গবাদিপশুর অতিরিক্ত টোল আদায় করতো। এতে করে বছরের পর বছর ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই প্রতারিত হয়ে আসতো। এমন প্রতারণার হাত থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের রক্ষা করতে চলতি বছরে জেলা প্রশাসন হাটের প্রতিটি পণ্যের খাজনার পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি করে। এছাড়া হাটের শৃঙ্খলা ফেরাতেও জেলা প্রশাসনের গৃহিত নানামুখি পদক্ষেপে এবার জেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী সকল পশুর হাটে জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেয়া হারেই গবাদিপশুর খাজনা আদায় করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এমন তৎপরতার কারণে হাটের যেমন শৃঙ্খলা ফিরেছে তেমনি ভাবে ক্রেতা ও বিক্রেতারা প্রতারণার হাত থেকে মুক্ত হয়েছেন বলে মনে করছেন নওগাঁর সচেতন মহল।

নওগাঁ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১১টি উপজেলায় তালিকাভুক্ত ছোট-বড় মোট ৬৭টি হাট-বাজার রয়েছে। পূর্বে দীর্ঘদিন যাবত এই হাটগুলোতে গরু-মহিষের নির্ধারিত টোল ছিলো ৫শত টাকা আর ছাগল-ভেড়ার টোল ২শত টাকা। ফলে বছর শেষে ইজাদারদের লভাংশ খুবই কম হতো। যার ফলে ইজারাদাররা কোরবানীর ইদকে টার্গেট করে রাখতো। কোরবানীর ইদের কয়েকটি হাটে ইজারাদাররা রাজনৈতিক প্রভাবের সঙ্গে পেশী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গবাদিপশুর টোল দ্বিগুনের চেয়ে বেশি আদায় করে বছরের লোকশান পুষিয়ে নিতো। ফলে খাজনা আদায়ের নামে হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়দের গলা কাটা হতো। এছাড়া খাজনার রশিদে আদায়কৃত টাকার পরিমাণও উল্লেখ করা হতো না। ফলে অন্যান্য সাধারণ মানুষরা জানতে পারতো না যে কত টাকা খাজনা আদায় করা হয়েছে। ওই সময়ে প্রতিটি হাটে প্রশাসনের কঠোর তৎপরতার মধ্যেও এমন কর্মকান্ড প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিলো না। এমন নৈরাজ্য থেকে মুক্ত হতে চলতি বছর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জেলার সকল ইজাদার ও হাট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামতের ভিত্তিতে একাধিক শর্ত সাপেক্ষে হাটে আসা সকল পণ্যের টোলের হার বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক হাটের প্রধান পণ্য হিসেবে গরু-মহিষ জাতীয় পশুর খাজনা বৃদ্ধি করে ৭শত টাকা ও ছাগল-ভেড়া জাতীয় পশুর খাজনা ৩শত টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া খাজনা আদায়ের রশিদে আদায়কৃত খাজনার পরিমাণ লিখা বাধ্যতামূলক করা হয়। আসন্ন কোরবানীর ইদে জেলার হাটগুলোতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের সচেতন করাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার কারণে এখন পর্যন্ত জেলার কোন হাটে গবাদিপশুর অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।  

নওগাঁর আহসানগঞ্জ হাটে গরু কিনতে আসা আত্রাই উপজেলার মনিয়ারী এলাকার ক্রেতা রহিম শেখ জানান তিনি দুটি গরু কিনেছেন। তার কাছ থেকে প্রতিটি গরুর খাজনা হিসেবে ৭শত টাকা নেয়া হয়েছে। হাটে কয়েকবার সেনাবাহিনীর দল আসার কারণে খাজনা বেশি আদায় করা হচ্ছে না।

নওগাঁ জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম পশুর হাট রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর হাটে পশু বিক্রি করতে আসা আসলাম শেখ জানান তিনি হাটে একটি ষাড় বিক্রি করেছেন। ক্রেতার কাছ থেকে ষাড়ের খাজনা হিসেবে ৭শত টাকা নেয়া হয়েছে। কিন্তু বিগত সময়ে খাজনা আদায়ের নামে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই গলা কাটা হতো। এবার হাটে ভিন্ন একটি পরিবেশ বিরাজ করছে। এতে করে আমরা সুবিধাভোগীরা চরম ভাবে উপকৃত হচ্ছি।

রাণীনগর উপজেলার ত্রিমোহনী হাটের ইজাদার মো: বেদারুল ইসলাম জানান প্রশাসনের বেঁধে দেয়া নিয়মেই খাজনা আদায় করা হচ্ছে। যেহেতু প্রশাসন সকলের কথা ভেবে খাজনার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে তাই বিন্দুমাত্র অতিরিক্ত খাজনা আদায় করার কোন সুযোগ নেই। এছাড়া দীর্ঘদিনের অনিয়ম থেকে বেরিয়ে এসে এবার খাজনার রশিদে আদায়কৃত খাজনার পরিমাণ লিখে দেয়া হচ্ছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি।

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান জানান জেলার হাটগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরাতে জেলা প্রশাসক স্যারের গৃহিত এমন সিদ্ধান্তের কোন বিকল্প ছিলো না। জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত নতুন হারে খাজনা আদায় করা হচ্ছে কিনা তা আমরা উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং করছি। বিশেষ করে জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাট উপজেলার আবাদপুকুর হাটে গত একমাস প্রশাসন খাজনা আদায় করার কারণে ওই অঞ্চলের মানুষসহ হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতারা খাজনার পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন। যার ফলে কোন অজুহাতে হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কোন সুযোগ নেই। এছাড়া উপজেলার প্রতি হাটেই প্রশাসনের নিয়মিত টহল অব্যাহত রয়েছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত রাখা হবে। নিয়মের বাহিরে খাজনা আদায় করা হলেই জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার হুশিয়ারী দেন এই কর্মকর্তা।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন কোরবানীর ইদে প্রশাসনের গলার কাটা ছিলো হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়টি। এমন সমস্যা থেকে উত্তোরণের লক্ষ্যে জেলার সকল হাটে খাজনা আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে ও খাজনা আদায়ে শৃঙ্খলা ফেরাতে যাচাই-বাছাইয়ের পর খাজনার পরিমাণ কিছুটা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যার ফলে এখন পর্যন্ত জেলার ছোট-বড় কোন পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কোন ঘটনা ঘটেনি। প্রতিটি হাটেই সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিবির পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখা হয়েছে। প্রতিটি হাটের খাজনা আদায়ের বিষয়ে মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এবার নওগাঁতে ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকার গবাদিপশু বিক্রয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই হাটগুলোতে পশু কিনতে এসে যেন কোন ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা প্রতারিত না হোন সেই জন্য প্রতিটি হাটে নকল টাকা চিহ্নিত করতে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এককথায় এবার জেলার কোন হাটে বিন্দুমাত্র অনিয়ম করার কোন সুযোগ দেয়া হবে না বলে জানান জেলা প্রশাসক।


আরও খবর