Logo
শিরোনাম

২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার দল ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

আগামী ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মাঠে নামবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায় ইকুয়েডরের মুখোমুখি বাছাইপর্বের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মেসিদের নতুন মিশন। দুই রাউন্ডে লড়বে ইকুয়েডর ও বলিভিয়ার বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচকে সামনে রেখে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য ইতোমধ্যে দল ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য দলের অভিজ্ঞ এবং তারকা ফুটবলারদের নিয়ে শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আমেরিকার ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়া মেসিসহ দলে রয়েছেন ডি মারিয়া, মার্টিনেজ, ডি পলের মতো তারকা ফুটবলাররা। দল থেকে বাদ পড়েছেন পাউলো দিবালা, মার্কোস আকুনা, রুলি এবং লো সেলসোর মতো ফুটবলাররা।

আগামী শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টায় ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে আলবেলিস্তেরা। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বুয়েন্স আয়ার্সের স্তাদিও মনুমেন্তালে। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩ সেপ্টেম্বর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা বলিভিয়ার বিপক্ষে নামবে। ওই ম্যাচের ভেন্যু বলিভিয়ার লা পাজের হার্নান্দো সাইলস স্টেডিয়াম।

আর্জেন্টিনা দল

লাউতারো মার্টিনেজ, অ্যাঞ্জেল কোরেয়া, রদ্রিগো ডি পল, নাহুয়েল মলিনা, লুকাস বেলট্রেন, নিকোলাস গঞ্জালেস, জুয়ান মুসো, জার্মান পাজেলা, গুইদো রড্রিগুয়েজ, গঞ্জালো মন্টিয়েল, জুয়ান ফয়েথ, মার্কোস সেনেসি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ফাকুন্দো বুনানোতে, এনজো ফার্নান্দেজ, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, জুলিয়ান আলভারেজ, আলেজান্দ্রো গার্নাচো, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, এজুকুয়েল পালাসিও, ওয়াল্টার বেনিতেজ, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, নিকোলাস ওতামেন্দি, লিওনেল মেসি, ফ্রাঙ্কো আরমানি, অ্যালেন ভেলাস্কো, ব্রুনো জাপেল্লি, থিয়াগো আলমাদা, লুকাস এসকিউবেল।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ফতুল্লায় আলামিন শেখ হত্যা মামলার

প্রধান আসামি হাফিজ মাস্টারকে গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল :

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কবিরাজ আলামিন শেখ হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ মাস্টারকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই। রবিবার রাতে ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার নিজ ভাড়া বাসা থেকে হাফিজ মাস্টারকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারও উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআইয়ের কার্যালয়ে  সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই’র নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। 

পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি প্রথমে ক্লুলেছ হলেও পরবর্তীতে আমাদের লোকাল সোর্স এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার প্রধান আসামী হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ মাস্টার (৩৮) কে ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার নিজ ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারও উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত হাফিজ মাস্টার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে জানায়, হাফিজুর রহমান ও নিহত কবিরাজ আলামিন শেখ পূর্ব পরিচিত। দু’জনে একসাথে লাইটার জাহাজে কাজ করতেন। 

হাফিজুর ধারনা করে আলামিনের কবিরাজি ঝাড় ফুকের দ্বারা সমাজের অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। আসামী হাফিজুর কিছুতেই তাকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে না পেরে আদর্শগত দিক থেকে তার পূণ্য হবে এই ধারনায় কবিরাজ আলামিন শেখ কে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। 

হত্যার দিন হাফিজ ভিকটিমের সাথে মোবাইলে কথা বলে রাতে কবিরাজি রুমে আসে। রাতে ঘুমিয়ে পড়লে ভোর রাতে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী হাফিজ তার বন্ধু আলামিন শেখ কে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে। হত্যাকান্ড শেষে হাফিজুর ফতুল্লা পাগলা মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভোররাতে (৮ সেপ্টেম্বর) ফতুল্লায় ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকার এক কবিরাজকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।


আরও খবর



আসছে ডিজিজ এক্স! মৃত্যু হতে পারে ৫ কোটি মানুষের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : এখনো কোভিড-১৯ আতঙ্ক কাটেনি অনেকের মন থেকে, এরই মাঝে আবার নতুন ভাইরাসের সন্ধান চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। এবার আশঙ্কা কোভিডের চেয়েও মারাত্মক কোনো রোগ হানা দিতে পারে মানব শরীরে। করোনাভাইরাসের তুলনায় প্রায় আরো বেশি ভয়ানক এই অসুখ, এবার এমনই সতর্কতা জারি করা হলো ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। কোভিডের চেয়ে আরো বেশি মারাত্মক ভাইরাসকে ডিজিজ এক্স বলে সম্মোধন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দফতর (হু)। হু-এর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় সারা বিশ্বে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন।

ব্রিটেনের ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডেম কেট বিংহাম সম্প্রতি জানিয়েছেন, সারা বিশ্ব আরও বড় অতিমারির সাক্ষী হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। সেই অতিমারির দাপটে প্রাণ হারাতে পারেন পাঁচ কোটি মানুষ।

করোনার জেরে যে ভাবে সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়ায়, ডিজিজ এক্সের থাবায় তার সাতগুণ বেশি মৃত্যু এবং ভয়াবহতা দেখতে পাবে মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডিজিজ এক্স কথাটির অর্থ হলো, এমন একটি রোগ, যা মহামারী ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ওই রোগটির প্যাথোজেন কিভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে, তা এখনো অজানা। ডেম আরো বলেন, বিজ্ঞানীরা আপাতত ২৫টি ভাইরাসের পরিবারকে পর্যবেক্ষণ করছেন, যার প্রতিটিতে হাজার হাজার পৃথক ভাইরাস রয়েছে। এদের মধ্যে যেকোনো একটি মারাত্মক মহামারীতে রূপান্তরিত হতে পারে।

ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই একটি অজ্ঞাতভাইরাস ডিজিজ এক্স-এর জন্য টিকা তৈরির প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। উইল্টশায়ারের হাই সিকিউরিটি পোর্টন ডাউন ল্যাবরেটরি কমপ্লেক্সে পরিচালিত এই গবেষণার কাজে ২০০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী জড়িত আছেন। এই বিজ্ঞানীরা মূলত অ্যানিমাল ভাইরাস অর্থাৎ, যে ভাইরাস পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে মহামারী সৃষ্টি করতে পারে সেগুলোর উপরেই কাজ করছেন। এর মধ্যে বার্ড ফ্লু, মাঙ্কি ভাইরাস, হান্টা ভাইরাস অন্যতম।



আরও খবর

দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে কম বয়সি হৃদরোগীর সংখ্যা বাড়ছে

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী শিক্ষাবিদ :

  

তরুণদের বলবো, যত বড় বড় মানুষ হোকনা কেন, তুমি তাদের কথাকে নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা | কাউকে ১০০% বিশ্বাস করতে গিয়ে তোমাকে যাতে সারাজীবন কাঁদতে না হয়, ঝড়ের ভিতরে পড়তে না হয় | বড় বড় মানুষ হলেই বড় বড় সত্যের উম্মেষ ঘটবে এমনটা নয় | মানুষ বড় হলে খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে, তখন তার মিষ্টি কথায় কে পুড়ে মরলো, কে বেঁচে উঠলো সেটি কখনো সে চিন্তাও করেনা | কারণ এমন মানুষ সব সময় নিজেকে সামনের দিকেই টানতে থাকে, পিছনের ফেলে আসা সময় আর মানুষ তখন তাদের কাছে মূল্যহীন হয়ে যায় |

মানুষ বড় হয়ে উঠলে তার অভিনয়টাও বেড়ে যায়, লোভের নেশায় ক্রমাগত আক্রান্ত হয় | এই মানুষেরাই তাদের নিচে পড়ে থাকা মানুষদের নিয়ে খেলতে ভালোবাসে অথচ তাদের উপরের মানুষদের মিথ্যে আনুগত্য ও পরম বিশ্বাস দেখিয়ে আরও বড় থেকে বড় হবার পথ খুঁজে | পুরো জীবনটাই তাদের এমন অভিনয়ে কেটে যায় | হয়তো অভিনয়ে নিজেকে নায়ক-মহানায়ক হিসেবে প্রমান করতে গিয়ে সবাইকে জোকার হিসেবে দেখার মজা থাকে কিন্তু সুখ থাকেনা | যেখানে সুখ থাকেনা, সেখানে সত্য থাকেনা |

সবাই পৃথিবীতে বড় হবার স্বপ্ন দেখে, প্রতিযোগিতায় নামে | সে নগ্ন প্রতিযোগিতায় সত্যের চেয়ে মিথ্যের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে | খুব কম মানুষই আছে, যারা স্বপ্ন হয়তো দেখে কিন্তু সত্যকে বিসর্জন দিয়ে স্বপ্ন সফল হোক এটা তারা কখনো মন থেকে মেনে নিতে পারেনা | তারা সারাজীবন পিছনে পড়ে থাকলেও তাদের মধ্যে সুখ থাকে, বিশ্বাস দিয়ে বিশ্বাসকে প্রমান করার মতো সাহস থাকে |

তরুণদের বলবো, অন্ধ ভালোবাসায় গা ভাসিওনা, অন্যের বিশ্বাসের স্রোতে ভেসে গিয়ে নিজের বিশ্বাসকে হারিয়ে ফেলনা | তুমি নিজে যাচাই করতে শেখো, সেটা একদিন, দুইদিনে নয়, আরও অনেকটা সময় নাও, তারপর যেদিন তোমার মন সত্য-মিথ্যা উদ্ঘাটন করতে পারবে সেদিনই তুমি বিশ্বাস করতে শেখো | তাহলে তুমি কখনো ঠকবেনা | বিশ্বাস একটা আয়নার মতো, সেটা ভেঙে গেলে আর জোড়া লাগানো যায়না |

তুমি তোমার বিশ্বাসের পরীক্ষা নাও, সেখানে খাতা, কলম নিয়ে বসো, তারপর মা-বাবার বয়সের ভারে নুয়ে পড়া চোখের চশমাটা তার উপর রাখো | সে চশমাটা তোমাকে বুঝিয়ে দিবে তোমার বিশ্বাস আর ভালোবাসাকে জয় করতে গিয়ে তোমার মা-বাবাকে চোখে চশমা পড়তে হয়েছে | সবার চশমায় বিশ্বাসকে দেখা যায়না, কারণ সবাই চশমার দোষ দিয়ে নিজের চোখের মিথ্যা বিশ্বাসকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করে | বিশ্বাস বিশ্বাসঘাতক হলে সে বিশ্বাসের উপর যত বড় মানুষই দাঁড়িয়ে থাকুক না কেন তার পায়ের নিচে যে মাটি নেই সেটা হয়তো তার পক্ষে যতক্ষণ ক্ষমতা আছে ততক্ষন বুঝে উঠাটা খুব কঠিন |

তরুণদের তাই আবারও বলবো, তুমি তোমার বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাও, মুখ থুবড়ে মাটিতে বার বার পড়ে গেলেও একসময় তোমার বিশ্বাসেরই জয় হবে | ভাড়া করা বিশ্বাস অনেক সময় ভঙ্গুর হয়


আরও খবর

আমি শেখাতে আসিনি, শিখতে এসেছি

রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আমি শেখাতে আসিনি, শিখতে এসেছি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী শিক্ষাবিদ :

 

কখনো কখনো নিজেকে চিনতে পারিনা | হ্যাংলা পাতলা একটা মানুষ এসেছিলাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে | তখন ভাবতাম, আমি শিক্ষক হিসেবে এসেছি | সময় যত গড়িয়েছে ততই বুঝেছি শিক্ষক হওয়া খুব কঠিন, বরং যতই দিন যাচ্ছে ততই বুঝতে পারছি আমি শেখাতে আসিনি, শিখতে এসেছি | আমি শিক্ষক হতে পারিনি, তবে ছাত্র হবার চেষ্টা করছি |

তখন চোখে চশমা ছিলোনা, এখন কানের উপর ভর করে দু'চোখে চশমা জায়গা দখল করে নিয়েছে | যখন চোখে চশমা ছিলোনা তখন ব্ল্যাকবোর্ড আর সাদা চক ছিল সম্বল | বই হাতে কখনো ক্লাসে ঢুকবোনা, নিজেই একটা বই হবার চেষ্টা করবো, এমন একটা চিন্তা নিয়েই আমার এখানকার যাত্রাটা শুরু হয়েছিল | জানিনা নিজে বই হতে পেরেছি কিনা, তবে যাদের ছাত্র হিসেবে পেয়েছি তারাই আমার কাছে এক একটা বই, এক একটা বিস্ময় হয়েছে | ওদের পড়াতে গিয়ে, নিজে শিখেছি | শিখতে গিয়ে বুঝেছি, শিক্ষক হওয়া হয়তো আর কখনো হয়ে উঠবেনা | অদ্ভুত মনে হলেও সত্য, এখনও শিক্ষক হতে পারিনি, তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি | হয়তো এই চেষ্টাটা আমৃত্যুই চলতে থাকবে, কিন্তু শিক্ষক হওয়ার পিপাসাটা কখনোই মিটবেনা |

গবেষণার কিছুই জানতাম না, এখনো জানিনা | এখনও গবেষণা শিখছি, আমার ছাত্ররাই আমাকে শেখাচ্ছে | ওদের নতুন নতুন চিন্তা, নতুন নতুন আইডিয়া, নতুন নতুন স্বপ্ন, আমাকেও বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে আগ্রহী করছে | ওদের মতো এতো মেধাবী আমি নই, ওদের চিন্তার গতির সাথে আমার চিন্তার গতি কখনোই পেরে উঠেনি, বরং ওদের চিন্তা আমার চিন্তাকে এগিয়ে নিয়েছে | আমার কাছে আমার ছাত্ররাই আমার শিক্ষক, আমি তাদের ছাত্র | আর শিক্ষকরা মেধাবী হলে গবেষণায় ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই | বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে মনে হয়েছিল, গতানুগতিক শিক্ষাদানের মধ্যেই বুঝি শিক্ষা বন্দি হয়ে থাকবে | কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই বুঝেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের চেয়েও বড় নতুন নতুন জ্ঞানের জন্ম দেওয়া | কিন্তু সেটাতে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কতটা এগিয়েছে, সেটা হয়তো ভাবনার বিষয় | সেখানে আত্মসমালোচনটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ | কিন্তু আত্মসমালোচনাতে আমরা ভয় পাই, যতটা সাহসী আমরা আত্মপ্রচারে | এর সাথে ক্ষমতার অসুখও এখন প্রায় সবার শরীরে বাসা বেঁধেছে | শরীরের রোগ সরানো যায়, মনের রোগ সারানোর কোনো ওষুধও নেই, চিকিৎসাও নেই |

তখন শুনেছি, গবেষণা করার পরিবেশ এই দেশে নেই | গবেষণা করতে দামি দামি যন্ত্রপাতি লাগে, অনেক অর্থের বাজেট লাগে | এতো অর্থ, এতো দামি যন্ত্রপাতি কেনার কি আমাদের সাধ্য আছে | এমন সময়টাতেই আমার ছাত্ররাই খুব কম বাজেটে আধুনিক যন্ত্রপাতি ডিজাইন করেছে, তৈরী করেছে | | গবেষণার অধরা স্বপ্ন ওদের সৃজনশীল সৃষ্টি দিয়েই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে | সেই ধারা এখনও অব্যাহত আছে | ওদের এখন দেখছি, মলিকুলার ডিনামিক্স, ডেনসিটি ফাংশনাল থিওরি, মেটল্যাবের মতো জটিল জটিল বিষয়গুলো কত সহজে সমাধান করছে | তখন আমি মাথায় হাত দিয়ে চুলগুলোকে এলিয়ে নিচ্ছি, যদি চুলগুলো নড়াতে গিয়ে আমার ভোঁতা মগজটাই নতুন করে নড়েচড়ে উঠে !

ব্ল্যাকবোর্ড-চকের যুগ গেলো, হোয়াইট বোর্ড-মার্কার পেনের যুগ গেলো, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের যুগ গেলো, এখন এসেছে স্মার্ট বোর্ড | খুব আনস্মার্ট আর বোকা মানুষ আমি, স্মার্ট বোর্ডে পড়াতে গিয়ে যখন প্রায় প্রতিদিন খেই হারিয়ে ফেলি, তখন আমার এখনকার মেধাবী ও সম্ভাবনাময় ছাত্ররাই আমাকে শিখিয়ে দিচ্ছে কত সহজে স্মার্ট বোর্ড ব্যবহার করে সারা পৃথিবীর জ্ঞানভাণ্ডারকে হাতের নাগালে আনা যায় | ওদের কাছে শিখতে গিয়ে খুব আনন্দ পাচ্ছি, গর্বিত হচ্ছি, ওরাও আমার মতো বোকা একটা ছাত্র পেয়ে আনন্দ পাচ্ছে | শিক্ষার মধ্যেই তো আনন্দ, যে শিক্ষায় আনন্দ নেই, সেই শিক্ষা মূল্যহীন | বড় বড় মনীষীদের কথা | খুব ছোট একটা মানুষ আমি | কিন্তু যখন দেখছি আমার ছাত্ররা দেশ ছাড়িয়ে সারা পৃথিবী জয় করে চলেছে, তখন চোখে আনন্দ অশ্রু, গর্বিত বুক | সন্তানরা যখন এগিয়ে যায় বাবারা তখন সত্যিকার অর্থেই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হয়ে উঠে |

আমি ঝুলন্ত তারার মতো, কখনো কেঁদেছি, কখনো হেসেছি, কখনো অভিমান করেছি কিন্তু জীবনের সবচেয়ে পরম পাওয়াগুলো আমার প্রিয় সন্তানরাই দিয়েছে | আমি ঝুলন্ত তারা, যেদিন আকাশ থেকে খসে পড়বো, সেদিনও ওদের জীবনজয়ের জয়োধ্বনিগুলো কান পেতে শুনবো | আমার মতো একটা সাধারণ মানুষকে কেউ হয়তো মনে রাখবেনা, এটাই প্রকৃতির নিয়ম, সময়ের স্রোতে সব যে হারিয়ে যায়, তবে জীবনের অনেক না বলা কথা থেকে যাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গে তরঙ্গে |

আমি হয়তো মানুষ না, ছিলামও না, হয়তো আমি একটা চিত্রকরের কল্পনায় আঁকা ছবি | আমি কাঁদছিনা, আমি বৃষ্টিতে কল্পনায় হাটছি, বৃষ্টিতে কাঁদতে গেলে বৃষ্টি সেই কান্না খেয়ে ফেলে, হাসিমুখটা তখন বেরিয়ে আসে | হয়তো কান্না লুকিয়ে হাসির চেষ্টাটাই জীবন | জীবন খুব কঠিন একটা বিষয়, এর পরীক্ষাটাও কঠিন, কারণ জীবনের পরীক্ষায় পাশ-ফেল নেই |


আরও খবর

নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা

রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মানুষ এখন পূর্নাঙ্গ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন... খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকারকে কার্যকর ও শক্তিশালী করেছেন। 

গ্রাম আদালত শক্তিশালী হওয়ায় দেশবাসী হয়রানি মুক্ত সঠিক সেবা পাচ্ছেন।

মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা মুক্তমঞ্চে জাতীয় ''স্থানীয় সরকার দিবস'' উপলক্ষে উন্নয়ন মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

একই সময় তার নির্বাচনী এলাকার অপর দুটি উপজেলা নিয়ামতপুর ও পোরশা উপজেলা উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চূয়ালীতে যুক্ত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের মানুষ এখন পূর্নাঙ্গ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন। শেখ হাসিনার পরবর্তী টার্গেট স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য সরকার বহুমুখী উদ্যাগ নিয়েছে। এই পরিকল্পনায় সরকারী দপ্তরগুলোতে স্মার্ট সেবা প্রদানের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আমন্ত্রন জানিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সম্মানিত করেছেন। তার দূরদর্শি চিন্তার সুফল ভোগ করছে মানুষ। এখন আর কোন মানুষ অবহেলিত নেই। প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিডি, ভিজিএফ, বিধবা ও মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে অন্তত ১০ হাজার মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার আওতায় এনেছে বর্তমান সরকার।

 তিনি বলেন, ভোটের মালিক জনগণ। দেশের মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনা তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে উন্নত বিশ্বে রোল মডেল‌ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। জনগণ উন্নয়নের পক্ষে থাকবে।

অনুষ্ঠানে সাপাহার উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সকল  ইউপি চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারী উপকারভোগী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে দু'জন ব্যাক্তির মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার চেক, ৫০ জন  আইজিএ প্রশিক্ষনার্থীদের ভাতা প্রদানের চেক, ৬টি ইউনিয়নের ১৮০ জন কিশোর কিশোরীকে গেঞ্জি ও ট্রাউজার, ১২০ জন দরিদ্র মায়ের প্রত্যেককে ৯ হাজার ৬০০ টাকা করে মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ক্রীড়া সামগ্রী,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা ও মেলায় অংশ গ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।


আরও খবর