Logo
শিরোনাম

২০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো এপ্রিলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশে ২০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো এপ্রিলে। দর বাড়িয়ে ডলার কেনায় এপ্রিলে বেড়েছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।

আগের মাসে যেখানে ১৯৯ কোটি এবং আগের বছরের একই মাসে এসেছিল ১৬৮ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এক হাজার ৯১২ কোটি ডলার দেশে এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল এক হাজার ৭৫৭ কোটি ডলার।

রেমিট্যান্স বাড়লেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে যেখানে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। এরপর থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ১১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


আরও খবর

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে বিমান হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।

এই খবর জানিয়েছে রাজ্যটির সশস্ত্র জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ)। কেআইএর মুখপাত্র কর্নেল নাও বু বলেন, ‘শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিমান হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত ব্যক্তিদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সোনার খনিতে কাজ করা শ্রমিক এবং স্থানীয় দোকানদারও রয়েছেন।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, আহত ১০ জনের মধ্যে পরে ৩ জন মারা গেছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে হামলা হয়েছে, সেখানে একটি বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বোমার আঘাতে আশপাশের এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

হামলা চলা এলাকা এখন কেআইএর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর সদস্য রয়েছেন প্রায় সাত হাজার। স্বায়ত্তশাসন ও কাচিনের খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণের দাবিতে কয়েক দশক ধরে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তারা লড়ছে। রাজ্যটিতে রত্নপাথরের বড় বড় খনির পাশাপাশি খনিজ সম্পদের বিপুল মজুত রয়েছে, যার বেশির ভাগই চীনে রপ্তানি হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর অন্যান্য রাজ্যের মতো কাচিনেও জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াই শুরু হয়। অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত অং সান সু চির সরকার জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) নামে একটি সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তুলেছে। জান্তার অভিযোগ, এই বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে কেআইএ।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




র‍্যাবের বিলুপ্তি চায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপব্যবহার রোধই নয়, নিরাপত্তা বাহিনী যাতে পরবর্তী সরকারের দমন–পীড়নের হাতিয়ার না হয়, তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি বাংলাদেশের সংস্কার নিয়ে তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে দ্রুত ও কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের কষ্টার্জিত অগ্রগতি ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্যই সংস্কার প্রয়োজন।

এইচআরডব্লিউর ৫০ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) প্রকাশিত হচ্ছে। গত আগস্টে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বাংলাদেশে পদ্ধতিগত সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

‘আফটার দ্য মুনসুন রেভল্যুশন: আ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে সমালোচকদের দমনের জন্য ব্যবহৃত আটকাদেশ ও আইন বাতিলের অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংস্কারের ক্ষেত্রে ক্ষমতার পৃথককরণ এবং জনপ্রশাসন, পুলিশ, সামরিক, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার ওপর মনোযোগ দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে সংস্কার নিশ্চিত করার স্বার্থে প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তা, পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিবেদন তৈরি–সংক্রান্ত সহায়তা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০৪ সালে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) গঠন করা হয়েছিল। এরপর যেসব সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এই বাহিনীকে দায়মুক্তি দিয়ে কাজ করার অনুমতি দেয়। র‌্যাবের এক কর্মকর্তা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেন, গুম, হত্যা বা ক্রসফায়ারের ঘটনার জন্য র‌্যাবের একটি আলাদা দল রয়েছে। বেশির ভাগ কাজই ওই দল করে।

র‌্যাবে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে একজন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৬ সালে তিনি র‌্যাবে যোগ দিয়ে হতবাক হয়েছিলেন। কারণ, একজন প্রশিক্ষক প্রকাশ্যে বলেছিলেন যে তিনি ১৬৯টি ক্রসফায়ার পরিচালনা করেছেন।

রাজনৈতিক নেতারা যখনই ক্ষমতার বাইরে থাকেন, তখন র‌্যাবের বিলুপ্তির বিষয়ে একমত পোষণ করেন। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মার্কিন সরকার র‌্যাবের পাশাপাশি বাহিনীর সাতজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

গুম–সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর তাদের প্রতিবেদনে র‍্যাবকে বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে। র‌্যাব প্রধান এ কে এম শহীদুর রহমান ইউনিটের গোপন আটক কেন্দ্রের কথা স্বীকার করেন এবং বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ইউনিটটি বিলুপ্তি করে দিতে চাইলে র‌্যাব তা মেনে নেবে।

এমন প্রেক্ষাপটে এইচআরডব্লিউ জাতিসংঘ এবং দাতা সরকারকে সুপারিশ করে বলেছে, র‌্যাব বিলুপ্তি করা হবে শুধু এই শর্তেই যে র‌্যাবের সঙ্গে যুক্ত সব কর্মকর্তা যাতে অন্য ইউনিটে গিয়ে একই অপকর্মের চর্চা করতে না পারেন, সে জন্য তাঁদের মানবাধিকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে এইচআরডব্লিউর জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বাধীন করতে হবে। তাদের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে। তাদের পদোন্নতি থেকে শুরু করে নিয়োগ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকতে হবে। তার মতে, যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, র‍্যাবকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। র‍্যাবকে সংস্কার করা সম্ভব নয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই–অভ্যুত্থানের সময়ে নজিরবিহীন মাত্রায় দমন–পীড়ন চালানো হয়েছে। এ ধরনের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সুপ্রতিষ্ঠিত অনুশীলন, যারা দীর্ঘ সময় ধরে দায়মুক্তির সংস্কৃতি উপভোগ করে আসছে। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কমিটি (সিএটি) বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীকে ‘রাষ্ট্রের ভেতরে রাষ্ট্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল। পুলিশসহ বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়মুক্তি ও জবাবদিহি না থাকার বিষয়টিও প্রতিষ্ঠিত।

শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর বহু থানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং প্রতিশোধের ভয়ে পুলিশ সদস্যরাও গা ঢাকা দিয়েছিলেন। যদিও মধ্য আগস্টের দিকে ৬৩৯ থানার মধ্যে ৬২৮টি আবার কার্যক্রম শুরু করে। এখন নিরাপত্তা খাতের সংস্কার এবং একই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ও সংস্কারের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। আর গুমের বিষয়টি তদন্তে কমিশনও গঠন করেছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে সংস্কারের পাশাপাশি পুলিশের সংস্কার নিয়ে আলাদা কমিশন গঠন করেছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আগে যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিল নিরাপত্তা বাহিনীগুলো, তা যাতে আর করতে না পারে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাঠামোগত সংস্কার নিয়ে এইচআরডব্লিউর এশিয়া বিভাগের পরিচালক ইলেইন পিয়ারসন ঢাকায় কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেন, শেখ হাসিনার আমলে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো যেভাবে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়েছে, সেখান থেকে বের হয়ে তাদের সংস্কার করা কঠিন হবে। এটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রতিবেদনে নিরাপত্তা বাহিনীকে সংস্কার করে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সরকারি আইনজীবী ও বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি নাগরিক সমাজের ওপর নজরদারি ও নিবর্তনমূলক চর্চা বন্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কাঠামোগত সংস্কার নিশ্চিত করতে দাতাদেশগুলোর উচিত বিনিয়োগ করা। আর ভবিষ্যৎ সরকার ক্ষমতায় এসে যাতে এসব সংস্কারকে পাল্টে ফেলতে না পারে, সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে একটি প্রস্তাব নেওয়া, যাতে তারা সংস্কার বাস্তবায়নে সহযোগিতার পাশাপাশি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মগলিশপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে এই ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ৫টি ক্যাটাগরিতে অংশ নেই ২৪ টি ঘোড়া। 

এ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন, হালিমা আক্তার, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন, মজিবর রহমান ও তৃতীয় কামরুল হাসান। যুব সমাজকে মাদক থেকে বিরত রাখতে ও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার রীতি ফিরিয়ে আনতে এবং গ্রামের সাধারণ মানুষদের বাড়তি বিনোদন দিতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা। এ প্রতিযোগিতা দেখতে দুপুর থেকে আশে পাশের এলাকাগুলো থেকে সব বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশু আসতে থাকে। বিকেলে মাঠে হাজারো মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়। ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে মোঃ রাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় ও মোহাম্মদ মিলন হোসেনের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথির পক্ষে উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাশমত আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, মোঃ আঃ সাত্তার নান্নু, মোঃ শহিদুল ইসলাম সাগর, মোঃ আক্কাস আলী, মোঃ আবুল কালাম আজাদ স্বপন, দুলাল হোসেন, আবুল কালাম সাবেক, মোজাফফর হোসেন, আমিনুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান টিক্কা, মাহফুজ আলম, শামীম আহম্মেদ, আইনুল হক, আবুল কালাম দুলাল, ইফতে খারুল আলম ইপু, মহসিন রেজা যুগ্ম, মর্জিনা আক্তার, বিদ্যুৎ হোসেন, উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের আহবায়ক নুরুদ্দিন নরু প্রমুখ।


আরও খবর



শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ার মূল প্রভাবক হতে পারে মাইজভান্ডারী দর্শন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল আধ্যাত্মিক সাধক, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা ও মাইজভান্ডারী তারিকার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারী, গাউছুল আজম হযরত শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) মাইজভান্ডারীর ১১৯ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ শুক্রবার বাংলা ১০ই মাঘ (২৪ জানুয়ারি) লাখো ভক্ত আশেকানের আমিন আমিন ধ্বনিতে আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফে সম্পন্ন হয়েছে। শত বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর এই মহান অলির ওফাত দিবসের স্মরণে ১০ মাঘ বংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বার্মা, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বহু দেশ হতে আগত লক্ষ লক্ষ ভক্ত অনুরক্ত আশেকের সমাগমে মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। শুক্রবার বাদে ফজর রওজা শরীফে গোসল, গিলাফ ছড়ানো, পুষ্পমাল্য অর্পন, খতমে কোরআন, খতমে গাউসিয়া, মিলাদ মাহফিল, জিকির আজকার, ভক্তদের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর, বিকালে হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা, মিলাদ কিয়াম, ছেমা মাহফিল, তবারুক বিতরণ ও ভোর রাতে আখেরী মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মনজিলের বর্তমান গদীনশীন পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারীর ইমামতিত্বে লাখো মুসল্লীর অংশগ্রহণে পবিত্র জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জুমা পরবর্তী আগত লাখো ভক্ত জনতার উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষনে তিনি বলেন, ১৯ শতকে হযরত গাউসুল আযম শাহ্সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) 'তরিকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়া' এর প্রবর্তন করেন, যা বাংলার ভূখণ্ডে প্রবর্তিত একমাত্র তরিকা। আজ এ তরিকা পৃথিবীজুড়ে একটি সমাদৃত তরিকায় পরিণত হয়েছে, যার কোটি কোটি অনুসারী রয়েছেন। মানবপ্রেম, সাম্য, মানবতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, বৈষম্যহীনতা এ তরিকার মূলমন্ত্র। এ তরিকা জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলকে গ্রহণ করতে পারে। মানব অন্তরে স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা জাগ্রত করতে পারে। তিনি আরো বলেন, প্রিয় নবি (দ.)'র প্রকৃত আদর্শের অনুসরণে সুফিবাদের মূলধারা এ দরবার শরীফের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হচ্ছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি সংগ্রামে এ দেশের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, জুলুমের বিরুদ্ধে এ দরবার শরীফ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অবদান রেখে আসছে। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান বিশ্বে দেশে দেশে যুদ্ধ-সংঘাত, ধর্মবিদ্বেষ, বর্ণবৈষম্য, ইসলামোফোবিয়া, দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার চরম আকার ধারণ করেছে। এ অশান্ত পরিস্থিতিতে হুযুর গাউসুল আযম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)'র মহৎ আদর্শ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা, মানুষে মানুষে ভাতৃত্ববোধ, সমতা সৃষ্টির শিক্ষা  মাইজভাণ্ডার শরীফ দিয়ে আসছে, তাই মাইজভান্ডারী দর্শনই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ার মূল প্রভাবক হতে পারে। ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ওরশে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো ভক্তের সুবিধার্থে থাকা–খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হযরত গাউছুল আজম শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) জীবনী, শান–মান সম্বলিত বিশেষ ক্রোড়পত্র বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশের ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়াও ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আগত দেশ বিদেশের আশেক-ভক্ত, জায়েরীনদের জন্য থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, পার্কিং, নিরাপত্তা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিং এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবক ও এলাকাবাসীর সহায়তায় সব ধরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ওরশ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহজাদা আলহাজ্ব সৈয়দ মেহবুব-এ মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা আলহাজ্ব হযরত সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব এডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আনজুমান-এ রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া কেন্দ্রীয় মহাসচিব খলিফা আলহাজ্ব আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শাহ্ আলম অভি, দপ্তর সম্পাদক মো: ইব্রাহিম মিয়া মাইজভাণ্ডারী, প্রচার সম্পাদক চৌধুরী মোঃ হোসেনসহ অন্যান্যরা। মাহফিলে হযরত বাবাভাণ্ডারীর (ক.) জীবন, কর্ম ওদর্শনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন,  ঘিলাতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা বাকী  বিল্লাহ আল আজহারী, হযরত মাওলানা রুহুল আমীন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, অধ্যক্ষ আল্লামা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী, আমতল সিদ্দিকীয়া মইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বাকের আনসারী, মুফতী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মাওলানা নাজের হোসাইন, খলিফা মাওলানা হাসান মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভাণ্ডারী, শায়ের মাওলানা মনছুর আলী মাইজভান্ডারী, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী মাইজভান্ডারী প্রমুখ। সালাত সালাম শেষে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুক্তি এবং দেশ ও বিশ্ববাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।


আরও খবর



মেট্রোরেলের সময়সূচি পরিবর্তন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, মেট্রোরেল এখন থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে চলাচল করবে। ফলে বন্ধের দিন মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ল।

বুধবার মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত নতুন সময়সূচি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সময়সূচিতে জানানো হয়, আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে প্রতি শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টার পরিবর্তে ৩টা থেকে মেট্রো চলাচল করবে। সেই হিসেবে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন দুপুর ৩টায় ছাড়বে এবং সর্বশেষ ট্রেন রাত ৯টায় ছাড়বে।

অন্যদিকে মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে ছাড়বে এবং সর্বশেষ ট্রেন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে। উভয়দিকের চলাচলে প্রতি ট্রেনের মধ্যে বিরতি থাকবে ১০ মিনিট।

আরও জানানো হয়, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে শুক্রবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট থেকে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে একক যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে। একই সঙ্গে র‌্যাপিড পাস কেনা এবং এমআরটি বা র‌্যাপিড পাসে টাকা প্রবেশ করানো যাবে।

মেট্রোরেল চলাচলের অন্য সব কার্যক্রম আগের মতোই অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানানো হয়।


আরও খবর

সড়কে আজও চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫