Logo
শিরোনাম

২১ ডিসেম্বর টোল ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে এক্সপ্রেসওয়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিমানবন্দর, কুড়িল ও বনানী র‌্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে আগামী ২১ ডিসেম্বর ‘স্পিরিট অব জুলাই কনসার্ট’ উপলক্ষে দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত টোল ছাড়াব্যবহার করা যাবে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ‘স্পিরিট অব জুলাই কনসার্ট’ এবং স্কাইট্র্যাকার লিমিটেড কর্তৃক অনুষ্ঠিতব্য ‘ইকোস অব রেভ্যুলিউশন’ কনসার্টে দেশের নামকরা ব্যান্ডশিল্পীসহ সঙ্গীত পরিবেশনা করবেন বিশ্বখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান।

অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম এলাকায় শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা অনুসরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

১. স্টাফ রোড রেলগেট থেকে নেভি হেডকোয়ার্টার্স ক্রসিং পর্যন্ত টঙ্গী-উত্তরা থেকে গুলশান-বনানী-মহাখালীগামী যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হতে পারে বিধায় উল্লিখিত সময়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

২. দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিমানবন্দর, কুড়িল ও বনানী র‌্যাম্প ব্যবহারকারীরা টোল ব্যতীত এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

৩. উত্তরা-বিমানবন্দর থেকে গুলশান-বনানী-মহাখালীগামী যানবাহন রেডিসন হোটেলের আগে ইউটার্ন বা বনানী ওভারপাসের নিচের ইউলুপ দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারবে।

৪. গুলশান-বনানী-মহাখালীগামী যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর ও কুড়িল র‌্যাম্প ব্যবহার করতে পারবে।

৫. বিমানবন্দর, উত্তরা ও টঙ্গীগামী যানবাহন বনানী র‌্যাম্প ব্যবহার করে চলাচল করতে পারবে।

৬. ইসিবি চত্বর থেকে বনানীগামী ফ্লাইওভারের লুপটি বন্ধ থাকবে।

৭. ইসিবি চত্বর থেকে বনানীগামী যানবাহন কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনের র‌্যাম্প ব্যবহার করে বনানীর দিকে যাতায়াত করতে পারবে।

৮. র‌্যাম্প ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও বাইসাইকেল ব্যবহার করা যাবে না।

উল্লিখিত অনুষ্ঠান চলাকালে ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জনসাধারণের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর



নওগাঁর শিরন্টি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার শিরন্টি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২৪ শে জানুয়ারী বিকেলে খন্জনপুর বালিকা বিদ্যালয় মাঠে উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জাতীয়তাবাদী কৃষকদল শিরন্টি ইউনিয়ন শাখার  সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংখ্যা গরিষ্ট কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৩ মাস ব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  

উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাপাহার উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল  মজিদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সদস্য আব্দুল্লাহ আনসারী, শিরন্টি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আক্কাস আলী, যুগ্ন আহবায়ক বাবুল আকতার, ইসমাইল হোসেন, মোশারফ হোসেন,  ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সামেদুল ইসলাম, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম সরকার, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক হারেস আলী, যুবদল সভাপতি ডাঃ নিয়ামত আলী, সাধারন সম্পাদক আহসান হাবিব, ছাত্রদল নেতা হাসান আলি প্রমূখ। এসময় উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগ সংস্কারে ১০ দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image
  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিভাগ সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন সমাজ কল্যাণ বিভাগের চলমান সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভাগ সংস্কারের ১০ দফা দাবি উত্থাপন করে ৭ দিনের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ চান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো—প্রতিটি কোর্সের ন্যূনতম ক্লাস নিশ্চিত করা, তিন মাসের মধ্যে সেমিস্টার সম্পন্ন করা, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ, নতুন ক্লাসরুম ও সেমিনার লাইব্রেরি বরাদ্দ। প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নিয়ে ‘অন্য বিভাগ স্বর্গ, সমাজকল্যাণ কেন মর্গে’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’, ‘সেশনজট নিরসন করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো নির্দিষ্ট রুটিন প্রনয়ণ এবং প্রতিটি কোর্সের নুন্যতম ক্লাস নিতে হবে। সেশন জট নিরসনে তিন মাসের মধ্যে প্রত্যেক সেমিস্টারের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।


আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে পুর্নাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত গেস্ট টীচার দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।পর্যাপ্ত ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করতে হবে। সেমিনার লাইব্রেরী বরাদ্দ দিতে হবে। ইনকোর্স সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার আগে নিতে হবে এবং নম্বর প্রকাশ করতে হবে। বর্তমান ট্রেজারার, জাহাঙ্গীর আলম স্যারকে সমাজকল্যাণ বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানের দায়িত্ব দিতে হবে। প্রতি বছর বিভাগ থেকে শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেটা সম্পূর্ণ বিভাগের অর্থায়নে করতে হবে। আন্দোলন পরবর্তী প্রভাব কোনো শিক্ষার্থীর উপর যেনো না পড়ে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কয়েকবার দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু কোনো কর্ণপাত নাই।১০ দফার দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।


প্রয়োজনে আমরণ অনশনে নেমে যাব। শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কিছু সময় নিতে পারে কিন্তু খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ সহ অন্য দাবিগুলো সব মেনে নিতে হবে। তাদের দাবি সব রোডম্যাপ রাজপথে ঘোষণা দিয়ে ক্লাসে ফেরার সুযোগ দিতে হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি আসমা সাদিয়া রুনা জানান, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়া হয়েছে। সবার চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে অর্থাৎ এক সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান সংস্কার দেখতে পাবে শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বিভাগের শিক্ষকরা স্বাক্ষর করেছেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্যের সম্মতিক্রমে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমকে সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। খণ্ডকালীন শিক্ষক সহ সব সংকট দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রেজারার দেখভাল করবেন।


শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহের মধ্যে বর্তমান ট্রেজারারকে বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে আসলে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগের প্রশাসন কী করছে বা করছে না সেটা দেখার বিষয় না। আমি দায়িত্ব নিয়েছি যেহেতু প্রতিদিন জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা হবে। শিক্ষার্থীদের এইটুকু আশ্বস্ত করতে পারি যে আমি যেখানে থাকবো সেখানে স্বল্প সময়ের মধ্যেই দৃশ্যমান ফলাফল দেখতে পাবে।


আরও খবর

পদোন্নতি পেলেন মাভাবিপ্রবির ২৩ শিক্ষক

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রাজাপুরে এনজিওর কর্মীদের ঋণের চাপে গ্রাহকের মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান :

ঝালকাঠির রাজাপুরে এনজিও টিএমএসএস’র কর্মীদের হুমকি ভয়ভীতি ও ঋণের চাপে বাবুল খান নামে এক গ্রাহকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার ভোররাতে উপজেলার পশ্চিম ইন্দ্রপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবুল ওই গ্রামের মৃত আকুব আলী খানের ছেলে। নিহতের ছেলে রাব্বি খান ও ভাই নান্নু খান ঋণের জামিনদার মোস্তফা কামাল অভিযোগ করে জানান, ঠঙামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) এনজিওর উপজেলা শাখা থেকে ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই বছর ১ লাখ টাকা ঋন উত্তোলন করে। সে নিয়মিত কিস্তি দিলেও পারিবাকির আর্থিক সমস্যার কারনে গত কয়েক মাস ধরে কিস্তি দিতে না পারায় তার কাছে ১৭ টাকার রয়েছে। এ কারনে এনজিও টিএমএসএস’র ম্যানেজার সাইফুল ইসলামসহ ১০/১৫ জন কয়েক দফায় বাড়িতে গিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এমনকি তার চাকুরিজীবি ছেলে রাব্বির কর্মস্থলে অভিযোগ দিয়ে ও মামলা দিয়ে চাকরি চ্যুত করাসহ নানা রকম হুমকি দেয়। তাছাড়া বিভিন্ন সময় ফোন করে রাতে তাকে পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে যাবে বলেও হুমকি দেয়। এ কারনে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পরে বাবুল খান। সর্বশেষ তার স্ত্রী রাণী বেগমের নামে বরিশাল টিএমএসএস সহকারি শাখা ব্যবস্থাপক নাঈমা আক্তার বাদি হয়ে বরিশালের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬০ হাজার টাক কিস্তি পাওয়া দেখিয়ে চেক ডিসওনার মামলা করে। গতকাল সন্ধ্যায় মামলার সমন নোটিশ পেয়ে মানসিকচাপে ও ভয়ে রাতে ঘরে ঘুমাতেও পারতেন না বাবুল খান। এসব কারনে শেষ রাতে তিনি স্ট্রোক করে মারা যায় বলে অভিযোগ স্বজনদের। হুমকি ও ভয়ভীতির অভিযোগ অস্বীকার করে ঠেঙামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) উপজেলা শাখার ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রাহক বাবুল ঠিকমত ঋণ পরিশোধ না করায় কাগজপত্র বরিশাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তার করলে তার স্ত্রীর নামে মামলা করা হয়েছে। ৪ মাসেও তার বাড়িতে কেহ যায়নি, যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্য নয়।


আরও খবর



১০ লাখ টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করবে সরকার। তবে বোরোর ফলন কম-বেশির ওপর আমদানি নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চালের দামে অস্থিরতা কমেছে দাবি করে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বাজারে চাল ও গমের মজুত পরিস্থিতি ভালো। এরপরও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে খাদ্য মজুত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তাহলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি।

১৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম মজুত রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে ৮ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাল, আর গম ৩ লাখ ৪১ হাজার টন। এরপরও চাল ও গম মিলিয়ে ১০ লাখ টন আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে গম ৩ লাখ টন, যা রাশিয়া ও ভারত থেকে আমদানি হবে। এ ছাড়া ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকেও আমদানি করা হচ্ছে।

চালের দাম এখন কেজিপ্রতি ৬০ টাকার মতো, দাম আগের চেয়ে ক্রমান্বয়ে কমছে বলে দাবি আলী ইমাম মজুমদারের। তিনি বলেন, মোটা চালসহ মধ্যবিত্তের চালের দাম কমানোর চেষ্টা করা হবে। এখন চালের যে দাম, তা আরও কমানো যেতে পারে বলে মনে করেন খাদ্য উপদেষ্টা।

এর আগে ১৬ জানুয়ারি সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার টন আতপ চাল জিটুজি পদ্ধতিতে পাকিস্তান থেকে আমদানির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হয়। বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে পাকিস্তান চাল সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে দুদেশ আলাপের মাধ্যমে প্রতি টন চাল ৪৯৯ ডলার নির্ধারণ করা হয়।

একই উদ্দেশ্যে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ছয়টি দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স গুরুদিও এক্সপোর্টস করপোরেশনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতি টন ৪৫৪ দশমিক ১৪ ডলার হিসাবে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার ডলার সমপরিমাণ ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও চাল আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর আওতায় ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর

আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দু-তিন মাস লাগবে

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে বিটিআরসির সুখবর

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মোবাইল ইন্টারনেটে বেঁধে দেওয়া ৪০টি প্যাকেজ অফারের লিমিট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখন থেকে ঘণ্টা হিসেবেও প্যাকেজ কিনতে পারবেন গ্রাহকরা। পাশাপাশি গ্রাহককেন্দ্রিক বিভিন্ন মেয়াদের প্যাকেজও দিতে পারবে অপারেটররা।

বিটিআরসির জারি করা মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের ডেটা এবং ডেটা-সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ-সম্পর্কিত নির্দেশিকায় মুঠোফোন ইন্টারনেট প্যাকেজের ক্ষেত্রে এসব সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১৫ মাসের মাথায় ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির ক্ষেত্রে অপারেটরদের ওপর থাকা শর্তগুলো শিথিল হলো।

বিটিআরসি ২০২৩ সালের অক্টোবরে সর্বেশষ যে নির্দেশিকা দিয়েছিল, তাতে প্যাকেজের সংখ্যা সর্বোচ্চ ছিল ৪০ এবং মেয়াদ ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড (নির্দিষ্ট মেয়াদহীন) করা হয়, যা নিয়ে অপারেটররা অসন্তুষ্টি জানিয়ে আসছিল।

নতুন নির্দেশিকায় অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ দিতে পারবে—১. নিয়মিত প্যাকেজ; যে প্যাকেজগুলো সব গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত থাকে ২. গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ; গ্রাহকের ব্যবহার ও গ্রাহকপ্রতি গড় রেভিনিউর ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির গ্রাহকের জন্য ও ৩. রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ; বাজার যাচাই-বাছাই করতে এবং ধরন বুঝতে যে প্যাকেজ গ্রাহকদের দেওয়া হবে।

নিয়মিত প্যাকেজগুলোর মেয়াদ সর্বনিম্ন ১৫ দিন, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ দিন এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ সর্বনিম্ন সাত দিন মেয়াদি হবে।

এই তিন প্যাকেজের বাইরেও গ্রাহকের স্বার্থ এবং আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অপারেটররা নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। তার আওতায় ঘণ্টাভিত্তিক এবং এক থেকে তিন দিন মেয়াদি প্যাকেজ করার সুযোগ দিয়েছে বিটিআরসি। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ঘণ্টার জন্য সর্বোচ্চ ২০০ এমবি (মেগাবাইট), এক দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৩ জিবি (গিগাবাইট), দুদিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫ জিবি এবং তিন দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৮ জিবি প্যাকেজ দিতে পারবে অপারেটররা।

গ্রাহক যাতে তার সুবিধা অনুযায়ী প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারে, সে জন্য ‘ফ্লেক্সিবল প্ল্যান’ হিসেবেও একটি পাকেজ থাকবে। এ ছাড়া মেয়াদবিহীন অর্থাৎ আনলিমিটেড প্যাকেজও থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। যেকোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে সে বিষয়ে জানাতে হবে।

অবশ্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টা-মিনিটভিত্তিক কোনো প্যাকেজ দেওয়া যাবে না।

কোনো ডেটা প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডেটা থেকে গেলে, তা ‘ক্যারি ফরওয়ার্ড’ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি গ্রাহক একই প্যাকেজ আবার কেনে, তাহলে পরের প্যাকেজে অব্যবহৃত ডেটা ব্যবহার করা যাবে।


আরও খবর