Logo
শিরোনাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রন্ত হয়ে সারাদেশে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯৩ জনে। গত একদিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯৮১ ডেঙ্গু রোগী। মঙ্গলবার ( ৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯৮১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়ই ৩৭৬ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১৫৯ জন, বরিশালে ৯৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬০ জন, খুলনায় ৯৫ জন ময়মনসিংহে ১৭ জন ও রাজশাহীতে ৪৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৩৮ হাজার ৭৮৯ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।

১ জানুয়ারি থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মৃত ১৯৩ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৩ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।


আরও খবর

১০ মাসে ডেঙ্গুতে ৩০০ মৃত্যু

শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4




যুদ্ধবিরতি নিয়ে যে শর্ত দেবে হামাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ থামাতে কাতারের রাজধানী দোহায় আবারও আলোচনায় বসেছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দোহায় আলোচনার জন্য পৌঁছেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আলোচনায় অংশ নিতে সেখানে পৌঁছেছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান বিল বার্নস।

এরইমধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের একটি সূত্র সৌদির সংবাদমাধ্যম আশরাক নিউজকে জানিয়েছে, তারা দোহায় একটি বিস্তৃত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেবেন। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, দখলদার ইসরায়েল গাজা থেকে তাদের সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাবে এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে হামাস একদিনে ইসরায়েলের সব জিম্মিকে ছেড়ে দেবে। আর ওইদিনই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রবিবারও দোহায় বৈঠকে বসে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং ইসরায়েলি প্রতিনিধিরা। সোমবার (আজ) তাদের বৈঠকের পরই হামাস প্রস্তাবটি উত্থাপন করবে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে বলা হয় তারা হামাসের সঙ্গে দুই সপ্তাহ যুদ্ধ বন্ধ রাখবে। এর বদলে হামাস পাঁচ জিম্মিকে মুক্তি দেবে।

তবে হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ তারা চায় যুদ্ধ একেবারে বন্ধ হোক। সৌদির সংবাদমাধ্যমকে হামাসের সূত্রটি বলেছেন, আমরা আলোচনাকারীদের প্রস্তাব শুনব। কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে আমরা একটি বিস্তৃত চুক্তি চাই। যেটি এক ধাপে হবে এবং যুদ্ধ একেবারে বন্ধ করবে। এর বদলে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির বদলে ইসরায়েলি জিম্মিরা মুক্তি পাবে।

এদিকে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি গাজায় দুইদিনের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি তার প্রস্তাবে বলেছেন এই দুইদিনে হামাস চার ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল কিছু ফিলিস্তিনিকে তাদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেবে।


আরও খবর



সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে পূজার পর সাঁড়াশি অভিযান

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে শারদীয় দুর্গাপূজার পর সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম।

অপরাধ করলে কারও পার পাওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিচয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না

শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠ ও মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পুলিশ প্রধান

ময়নুল ইসলাম বলেন, যারা অপতৎপরতা চালাতে চায় তারা মুষ্টিমেয়। আমরা যদি একতাবদ্ধ থাকি এই সংখ্যা কোনো সংখ্যাই না। গতকালের ঘটনাই তার প্রমাণ। আমরা কিন্তু তাদের ধরেছি এবং সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুতরাং যারাই কোনো অপরাধ করতে চাইবে তাদের পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেটুকুভাবে আশ্বস্ত করতে চাই

পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, আমরা পূজার পর ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ মাদক এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সবগুলো নিয়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করব। মাঝে মাঝে আপনাদের যে শঙ্কা তৈরি হয় এবং আমাদের কাছে যে অভিযোগ আসে আমরা সেগুলোকে আমলে নিতে চাই। আমরা যেন আইন-শৃঙ্খলা অবনতির ঘটনাগুলো প্রতিহত করতে পারি

চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ সকল অপরাধের তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ জানিয়ে আইজিপি বলেন, আমি বলব কোনো সংবাদ যদি সেনসেটিভ মনে হয় তবে সে বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। সেটা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় জানছেন অথবা অন্যভাবে জানছেন সেটা আমাদের জানান। আপনার পরিচয় গোপন করে জানান। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অথবা চাঁদাবাজি যেটাই হোক না কেন চুপ করে দেখেন আমরা ব্যবস্থা নেই কি না। আমরা আপনাদের পাশে আছি, সবার পাশে আছি। আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই।এ সময় ঢাকা মহানগর কমিশনার মাইনুল হাসান এবং মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে কটুক্তির প্রতিবাদে কাউনিয়ার বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ |

Image


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ


ভারতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে কটুক্তি ও মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে রংপুরের কাউনিয়া তে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।


ভারতে পুরোহিত রামগীরি মহারাজ ও বিজেপি বিধায়ক নিতেশ রানে কর্তৃক বিশ্ব নবী (সাঃ) এর অবমাননা ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বেইলিব্রিজ যুব সমাজ ও সর্বস্তরের মুসলিম জনতার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।  শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর বেইলিব্রীজ বাজার এলাকার প্রায় প্রত্যেকটা মসজিদ থেকে খন্ড খন্ড আকারে   মিছিল বের করে একত্রিত হন মুসল্লিরা । মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে  রংপুর কুড়িগ্রাম মহাসড়কের পাশে বেইলিব্রীজ বাস স্ট্যান্ড এসে শেষ হয়। 

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বেইলি ব্রিজ বাজার জামে মসজিদের সভাপতি নুরুল আমিন, পুরাতন জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুল ওহাব, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন। বেইলিব্রিজ কেন্দ্রীয়  ঈদগাহ মাঠে সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সুমন প্রমুখ।

 

  বক্তাগণ বলেন, রসুল (সাঃ) সারা বিশ্বের সর্বকালের সেরা মানব।  তাকে মানা অথবা না মানার স্বাধীনতা আছে। তবে অবমাননা করার অধিকার কারো নেই। বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর অবমাননাকারীর শাস্তি দাবি ও ভারতে মুসলিম নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আজ  এই বিক্ষোভ মিছিল । আমরা বিশ্ব নেতাদের প্রতি এর সঠিক বিচারের এর কঠিন বিচার ও কটুক্তিকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। 

পারে ভারত ফিলিস্তিন সহ সারা বিশ্বে নির্যাতিত মুসলানদের  শান্তি কামনা দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাজার মসজিদ খতিব মুফতি রবিউল ইসলাম।


আরও খবর



নওগাঁয় চাঁদার টাকা না পেয়ে বালু মহালে হামলা ও ভাঙচুর, দুই জন আহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় চাঁদার টাকা না পেয়ে বালু মহালে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ইজারাদার রহমত আলী মোল্লা। হামলায় ভেকু মেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেন ও বালু পয়েন্টের ম্যানেজার মামুনুর রশিদ আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর উজান অংশের পার-কালিকাপুর এলাকায়। এ ঘটনায় ইজারাদার রহমত আলী মোল্লা বাদী হয়ে মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত কছির চৌধুরীর ছেলে শহিদুল চৌধুরী, কাঞ্চন গ্রামের মৃত অবের আলীর ছেলে সামছুল ইসলাম, সূর্য নারায়নপুর গ্রামের মৃত খুদুর ছেলে ফিরোজ হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ মহল্লার মৃত আলহাজ্ব মিজানুর রহমানের ছেলে রহমত আলী মোল্লা বালু মহলের ইজারাদার। তিনি মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর উজান অংশ বালু মহাল ইজারা নিয়ে সরকারী নিয়ম মেনে পরিকল্পিতভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছিলেন। ঘটনার দিন গত সোমবার বেলা সকাল সারে ১১টারদিকে উক্ত আসামীরা পার-কালিকাপুর বালুর পয়েন্টে গিয়ে ম্যানেজারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে ৪টি পয়েন্টে বালু উত্তোলন করতে দিবে না বলে তারা বাঁশের লাঠি, হাসুয়া, লোহার রড, হাতুড়ি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে হামলা চালায়। এ সময় উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত কছির চৌধুরীর ছেলে শহিদুল চৌধুরীর আদেশে তার সহযোগীরা ৪টি ড্রেজার পাইপ, ১টি ভেকুমেশিন ও ১টি ড্রাম ট্রাক ভাংচুর করে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। হামলা ও ভাংচুরের সময় ভেকুমেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেন এবং বালু পয়েন্টের ম্যানেজার মামুনুর রশিদ বাধা দিলে তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় হামলাকারীরা ভেকু মেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেনের কাছে থাকা একটি ১৫ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে এবং তার কাছে থাকা নগদ ১৬ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশী সৈকত, আব্দুল মতিন, নাজমুল হকসহ আরো অনেকে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকী দেয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর জানান, বালু মহালে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে এটা শুনেছি। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



হত্যা মামলায় নওগাঁ থেকে আটককৃত আ.লীগ নেতা ডাবলু ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ থেকে আটককৃত আ.লীগ নেতা ডাবলু সরকার ৫ দিনের রিমান্ডে।

রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দু'জন শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার সহ যুবলীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী জহুরুল হক রুবেল কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শনিবার শুনানি শেষে ডাবলু সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। এছাড়া রুবেল এর ৩ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত।

শনিবার বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল তারেকের আদালতে তাদেরকে একে একে হাজির করা হয়।

এ সময় তাদের উপস্থিতিতেই পৃথক ভাবে রিমান্ড শুনানী শেষে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালতের বিচারক।

শনিবার বিকেলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে প্রিজন ভ্যানে ডাবলু সরকার ও রুবেলকে পৃথক ভাবে আদালতে আনা হয়। আদালতে নেওয়ার সময় তাদের মাথায় পুলিশের হেলমেট ও শরীরে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পড়ানো ছিলো।

গত শুক্রবার ৪ অক্টোবর নওগাঁ থেকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে আটক করেন র‌্যাব-৫, এর অভিযানিক দল। আটকের পর রাজশাহী নিয়ে এসে মহানগরের বোয়ালিয়া থানার দুটি হত্যা সহ মোট ৮টি মামলায় ডাবলু সরকারকে গ্রেফতার দেখানো হয়। অপরদিকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার হোন রুবেল। তাকে দুটি হত্যা সহ ৪টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় ঐ সময়। গ্রেফতারের পর রুবেলকে দু'দফা পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিলো। 

সর্বশেষ ১০ দিনের রিমান্ড শেষে গত শনিবার বিকেলে রুবেলকে আবারও আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে ৩ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আর রুবেলকে আদালতে হাজির করার প্রায় ২০ মিনিট আগে ডাবলু সরকারকেও একই আদালতে তোলা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালতের বিচারক।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ এর কোর্ট পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) আবদুর রফিক জানান, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ইসলামী ছাত্র শিবির নেতা আলী রায়হান হত্যা মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা রুবেলকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এ দু'জন ছাত্র হত্যা মামলার তদন্ত করছেন রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক মশিউর রহমান।


আরও খবর