Logo
শিরোনাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

একদিনে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ২১১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে মারা গেছেন ৭ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩৬৭ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮০০ জন।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৯৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। যার মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৮৩৮ জন, বাকি ২ হাজার ১৪২ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে।


আরও খবর



১৩ শতাংশ শুঁটকিতে কীটনাশক, ৮৭ শতাংশই নিরাপদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

দেশে উৎপাদিত শুঁটকিতে গড়ে ১৩ শতাংশ কীটনাশক ব্যবহারের চিত্র পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ৮৭ শতাংশ শুঁটকিই নিরাপদ। যে ১৩ শতাংশ শুঁটকিতে কীটনাশক ব্যবহারের চিত্র পাওয়া গেছে, তাতে রান্নার পর কীটনাশকের মাত্রা অনেক কমে যায় বলে জানিয়েছে গবেষকদল।

দেশে সবচেয়ে বেশি সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি উৎপাদন হয় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, দুবলার চরে। স্বাদু পানির মাছের শুঁটকি উৎপাদন হয় নাটোরের চলনবিল ও সুনামগঞ্জে। এসব স্থানে উৎপাদিত শুঁটকি নিয়ে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এসব শুঁটকিতে গড়ে ১৩ শতাংশ কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার মানুষ যেসব শুঁটকি গ্রহণ করে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় ছুরি শুঁটকি (চট্টগ্রাম ৫৭ শতাংশ ও কক্সবাজার ৫৫ শতাংশ), অন্যদিকে চলনবিলের মানুষ টাকি শুঁটকি বেশি গ্রহণ করে (৩৭ শতাংশ), আবার সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকার মানুষের সবচেয়ে পছন্দের হলো লইট্ট্যা শুঁটকি (৪৬ শতাংশ)৷ এই পাঁচটি স্থান থেকে মোট ৪০৫টি নমুনা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ সেমিনারে গবেষকদল গবেষণার ফলাফল উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান। বুধবার (১৪ মে) রাজধানীর শাহবাগে বিএফএসএর নিজ কার্যালয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।



আরও খবর



সাড়া ফেলেছে চার কেজি ওজনের শিঙাড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বানানো চার কেজি ওজনের দুটি শিঙাড়া সাড়া ফেলেছে। উপজেলার আহুতিয়া পুরাতন বাজারে স্বপন মিয়ার হোটেলে শিঙাড়া দুটি বানানো হয়। পাঁচ বন্ধুর ইচ্ছা পূরণ করতে বানানো হয়েছে চার কেজি ওজনের শিঙাড়াগুলো। এত বড় বড় শিঙাড়া দেখতে দোকানে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।

জানা গেছে, মোফাজ্জল হোসেন, অন্তর মিয়া, মিজানুর রহমান, টুটুল মিয়া ও দিদার আহমেদ— পাঁচ বন্ধু। তারা বড় আকারের শিঙাড়া বানানোর পরিকল্পনা করেন। পরে তারা মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক স্বপন মিয়ার কাছে পরিকল্পনার কথা জানান। সবাই ওই হোটেলের নিয়মিত ক্রেতা। পরে তাদের অনুরোধে বানানো হয় চার কেজি ওজনের দুটি শিঙাড়া।

গতকাল দিনব্যাপী চলে শিঙাড়া বানানোর আয়োজন। উপাদান হিসেবে প্রস্তুত করা হয় চার কেজি মুরগির মাংস, পরিমাণমতো আলু, গাজর, বাদাম, আটা, ময়দা ও বিভিন্ন ধরনের মসলা। এরপর আলুর পুর ভরা তিনকোণা ময়দার কোটিং ডুবোতেলে মচমচে করে ভাজা হয়। ভেতরটা ঝাল ঝাল নরম আলুর পুরে তৈরি হয় চার কেজি ওজনের শিঙাড়া। বিকেলে মূল আয়োজন ও তেলে শিঙাড়া ছাড়ার সময় হোটেলটিতে ভিড় করে আশপাশের উৎসুক জনতা। একেকটি শিঙাড়া বানাতে খরচ পড়েছে এক হাজার টাকার ওপর। দুটি শিঙাড়ায় প্রায় আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

দোকানদার স্বপন মিয়া বলেন, পাঁচ বন্ধু তার নিয়মিত ক্রেতা। তাদের আবদার রাখতেই এই আয়োজন করেছিলেন। কিছুটা ঝামেলা হয়েছে, সময়ও বেশি লেগেছে। তবে তাদের বন্ধুদের আনন্দ ও মজা দেখে ভালো লেগেছে। চাহিদা থাকলে ভবিষ্যতে এমন শিঙাড়া বানাবেন বলে জানান তিনি।


আরও খবর



আ. লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলে দলটিকে নিষিদ্ধ করতে পারে। রাজধানীর গুলশানে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য কার্টার সেন্টারের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মঈন খান বলেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক বিএনপি নয়; সিদ্ধান্ত নেবে দেশের মানুষ, নির্বাচন কমিশন। সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে বলেও জানান তিনি। তিন বলেন বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি।

বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে যত শিগগিরই নির্বাচন হবে ততই মঙ্গল হবে বলেও মন্তব্য করেন মঈন খান।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।

কার্টার সেন্টারের ছয় সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট। দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- তারা শরিফ, সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর; মাইকেল বালদাসারো, ডেটা সায়েন্টিস্ট; সাইরাহ জাইদি, অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর; ড্যানিয়েল রিচার্ডসন, পিস ও ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট এবং কাজী শহীদুল ইসলাম, স্থানীয় মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ।

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে বিএনপির সঙ্গে এ বৈঠক করেন কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিরা।


আরও খবর



জাতীয় সনদ তৈরিতে সবার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

চর্চা, ঐক্য এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ২৮ এপ্রিল জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কী লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায়ের সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



পাঁচতলা বাড়ির মালিকও পেয়েছিলেন টিসিবির কার্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

পাঁচতলা বাড়ির মালিক থেকে শুরু করে প্রশাসনের লোকও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছিলেন বলে জানালেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বুধবার ঢাকার আর্মি গলফ ক্লাবের গলফ গার্ডেনে টিসিবি আয়োজিত টিসিবির সঙ্গে বাণিজ্য শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি।

 

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আগস্ট বিপ্লবের আগে দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে রেহাই পায়নি টিসিবি। এক কোটি পরিবারের জন্য নির্ধারিত টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড করার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল। অনিয়ম চিহ্নিত করে প্রায় ৪০ লাখ কার্ডধারী কমানো হয়েছে।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনের ওপর আস্থা কখনোই আসবে না, যখন মানুষ দেখবে যে সবকিছুতে আছে দুর্বৃত্তায়ন। সে জন্য আমরা টিসিবিকে দুর্বৃত্তায়ন থেকে বের করে সঠিক পর্যায়ে আনতে চাই।

তিনি বলেন, বছরে ১২ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকার যে কেনাকাটা করে টিসিবি তাতে ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। একটা দুর্বৃত্তায়িত ব্যবস্থা অনেক দুর্বৃত্ত তৈরি করেছে। এ ব্যবস্থা থেকে আমরা সরে আসতে চাই। এখন থেকে নিম্ন আয়ের উপযুক্ত পরিবারগুলোই কার্ড পাবে।

কোটি মানুষের পাশে শীর্ষক এই সংলাপে আলাদা তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির দুই পরিচালক এস এম শাহীন পারভেজ ও আবেদ আলী এবং যুগ্ম পরিচালক আল আমিন হাওলাদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ, সমাপনী বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী। 


আরও খবর