Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

৩ মাসে ৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত তিন মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। 

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রবাসীরা গত মাসে বাংলাদেশে মোট .০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। এই তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ করেছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক . মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, গত তিন মাসে লাখ ২২ হাজার ৮২১ বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের মাধ্যমে হাজার ৪২৬ জন কর্মী বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য গেছেন।

প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিশ্লেষণ করে আরও বলা হয়েছে, সরকার বিদেশে মৃত্যুবরণ করা অভিবাসী শ্রমিকদের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে প্রদান করেছে। এছাড়া, আহত বা অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য .৮৮ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বিদেশে মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকদের মরদেহ দেশে আনা এবং শেষকৃত্য কার্যক্রমের জন্য .৩২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। 

এছাড়া, বিদেশে মৃত্যুবরণ করা শ্রমিকদের পরিবারের জন্য বীমা হিসেবে ১২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার অর্থ বিতরণ করা হয়েছে এবং প্রবাসী শ্রমিকদের মেধাবী সন্তানদের জন্য .৯৭ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। 

এসময় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আবাসন ঋণ হিসেবে ,৯৮৯ জন শ্রমিকের মধ্যে মোট ২১৬.৩৩ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। পুনর্বাসন ঋণ হিসেবে ৮১১ জন শ্রমিকের মধ্যে ২২.৮৯ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। 

এছাড়া, বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের সহায়তার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে, যাতে তাদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়। পাশাপাশি, প্রবাসী সহায়তা কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে।

এদিকে, অক্টোবর ২০২৪- ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড (ডব্লিউইডব্লিউবি) এবং মালয়েশিয়ার সোশ্যাল সিকিউরিটি বোর্ড (পিইআরকেইএসও) একটি সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) স্বাক্ষর করেছে, যার ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা নতুন সুবিধা পাবেন।


আরও খবর

পেঁয়াজ উৎপাদনে আশার খবর

রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় ক্রমাগত বাড়ছে সবজির দাম

শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫




মহররম মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

মহাররম আরবি সনের প্রথম মাস। এটি সম্মানিত চার মাসের একটি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আসমান-জমিন সৃষ্টিলগ্ন থেকে সময় তার মতো করে চলছে। বছরে ১২ মাসের চারটি সম্মানিত মাস। ধারাবাহিকভাবে তিনটি: জিলকদ, জিলহজ ও মহররম। চতুর্থটি হলো রজব।’ (বুখারি ৩১৯৭)


অনেক আলেমের মতে, সম্মানিত চার মাসের মধ্যে মহররম শ্রেষ্ঠ। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু জর (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করি, ‘হে আল্লাহর রসুল, কোন বাহন ভালো? রাতের কোন অংশ ও কোন মাস সর্বোত্তম?’ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে বাহনের দাম বেশি, সেটি বেশি কল্যাণকর; আর রাতের সর্বোত্তম অংশ হলো মধ্যভাগ; সর্বোত্তম মাস আল্লাহর মাস, যাকে তোমরা মহররম বলে ডাকো।’ (আস-সুনানুল কুবরা ৪২১৬)

 

এখানে মহররম মাস শ্রেষ্ঠ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, রমজানের পরে শ্রেষ্ঠ মাস। ওয়াহাব ইবনু জারির কুররা ইবনু খালিদের সূত্রে হাসান বসরি থেকে বর্ণনা করেন; তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহ বছর শুরু করেন সম্মানিত মাস দ্বারা; বছর শেষ করেন সম্মানিত মাস দ্বারা। রমজানের পর মহররমের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোনো মাস নেই।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ ৪৭)

 

এ মাসে রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা মহররমের রোজা; আর ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ রাতের নামাজ। (মুসলিম ১১৬৩)


মহররম মাসে কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দান-সদকা, দরুদ পাঠ ইত্যাদি বেশি বেশি করা উচিত। তবে মহররম মাসকে কেন্দ্র করে তাজিয়া মিছিল বের করা, মাতম-মর্সিয়া করা, শরীর রক্তাক্ত করা শরিয়ত সম্মত নয়।


আরও খবর



ইরানে ইসরায়েলের হামলা অবৈধ, রাশিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ |

Image

ইরানের ওপর ইসরায়েলের চলমান হামলাকে অবৈধ হিসেবে অভিহিত করেছে রাশিয়া। দেশটি বলেছে, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগের সমাধান কূটনৈতিকভাবে হওয়া উচিত।

মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে। এতে বলা হয়, পশ্চিমা দেশগুলো বর্তমান সংকটাপন্ন পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক শত্রুতার প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ইসরায়েলের ধারাবাহিক ও তীব্র হামলা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ। এসব হামলা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছে এবং বিশ্বকে এমন এক পারমাণবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যার প্রভাব ইসরায়েলসহ পুরো বিশ্বেই পড়বে।

রাশিয়া আরো বলেছে, আমরা ইসরায়েলি নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি— আইএইএর তত্ত্বাবধানে থাকা পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলা বন্ধ করুন।

বিবৃতিতে কিছু পশ্চিমা দেশ সুযোগসন্ধানী আচরণ করছে বলে অভিযোগ করা হয়। তবে নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

বিবৃতিতে রাশিয়া জানায়, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে করা আন্তর্জাতিক চুক্তি ট্রিটি অন দ্য নন-প্রোলিফারেশন অব নিউক্লিয়ার উইপনসে (এনপিটি) অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার ব্যাপারে বারবার স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছে। তেহরান পারমাণবিক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহও প্রকাশ করেছে।

বিবৃতিতে মস্কো আরো জানায়, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা জানতে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পক্ষ থেকে একটি সত্যনিষ্ঠ বিশ্লেষণ তারা প্রত্যাশা করছে।

রাশিয়া উল্লেখ করেছে, ইরান এখনও এনপিটিতে সইকারী এবং তারা আইএইএ-কে তাদের পারমাণবিক স্থাপনায় পরিদর্শনের অনুমতি দিয়ে আসছে। অন্যদিকে ইসরায়েল কখনোই ওই চুক্তিতে সই করেনি এবং দেশটির কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বলে আন্তর্জাতিকভাবে মনে করা হয়। সূত্র : সিএনএন ও রয়টার্স


আরও খবর



ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত এবং ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ডের নির্দেশ মেনে চলার জন্য জেরুজালেমে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এবং তেল আবিবে অবস্থিত কনস্যুলার বিভাগ আজ (বুধবার) থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। খবর আল-জাজিরার।

মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন দূতাবাস নির্দেশ দিয়েছে যে, সব মার্কিন সরকারি কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের বাসভবনের ভেতরে এবং তার কাছাকাছি স্থানে আশ্রয় নেবেন।

দূতাবাস আরো জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বেসরকারি মার্কিন নাগরিকদের ইসরায়েল ত্যাগে সহায়তা করার বিষয়ে কোনো ঘোষণা তাদের কাছে নেই।

এর আগে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ইসরায়েল থেকে মার্কিন নাগরিকদের সরিয়ে নিতে বা আমেরিকানদের সরাসরি সহায়তা করতে সক্ষম নয় তারা।

দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেন গুরিওন বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে এবং সেখান থেকে কোনো বাণিজ্যিক বা চার্টার ফ্লাইট চলাচল করছে না। ইসরায়েলের সমুদ্রবন্দরগুলোও বন্ধ রয়েছে। জর্ডানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য স্থলপথগুলো বর্তমানে চালু রয়েছে এবং বুধবারও এগুলো খোলার কথা রয়েছে।


আরও খবর



ইশরাক না সরলে ঢাকার দুই সিটিতে নতুন নির্বাচন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়রের দায়িত্ব পালনের দাবিতে নগর ভবন অবরুদ্ধ করে রাখা বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন স্বেচ্ছায় না সরলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নতুন নির্বাচনের পথে হাঁটবে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’তে উপদেষ্টা পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে উপস্থিত একাধিক উপদেষ্টা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সরকারের ৯ জন উপদেষ্টা অংশ নেন। বৈঠকে ইশরাকের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। বিশেষ করে শপথ না নিয়েই মেয়রের ‘দায়িত্ব’ পালন এবং নগর ভবন অচল করে রাখায় উপদেষ্টারা ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেন। অনেকে সরকারপ্রধানকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ারও পরামর্শ দেন।

বৈঠকে উপদেষ্টারা জানান, সরকার ইতোমধ্যেই ইশরাকের কর্মকাণ্ডে ভীষণভাবে বিরক্ত। একাধিক উপদেষ্টা বলেন, নাগরিক সেবা বন্ধ করে রেখে তিনি নগরবাসীর দুর্ভোগ বাড়িয়েছেন। সেইসঙ্গে সরকারের কর্তৃত্বকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উঠে আসে।

তবে বিএনপির সঙ্গে সরকারের সাম্প্রতিক আস্থার সম্পর্ক এবং লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহার এখনই না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আশঙ্কা করা হয়, ইশরাকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে তিনি রাজনৈতিকভাবে সহানুভূতি পেতে পারেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস বিজয়ী হন। বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ফল বাতিল চেয়ে মামলা করেন। গত ২৭ মার্চ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা করে। এরপর ইসির গেজেট প্রকাশ এবং হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে মামলার রায় ইশরাকের পক্ষে গেলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় শপথ পড়াতে অস্বীকৃতি জানায়।

গত ১৪ মে থেকে ইশরাকের সমর্থকরা ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে নগর ভবন ঘেরাও করে রাখে। বিভিন্ন কক্ষে তালা দিয়ে নাগরিক সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর তারা তিন দিন ধরে যমুনা বাসভবনও ঘেরাও করে রাখেন। ইশরাক নিজেও বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে সভা করেন, যেখানে তাকে ‘মাননীয় মেয়র’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১ জুন। এরপরও ইশরাক মেয়র দাবি করে নগর ভবনে সক্রিয় আছেন। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপিসহ আরও কয়েকটি দল সরকারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

এ পরিস্থিতিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ইশরাক যদি স্বেচ্ছায় সরে না দাঁড়ান এবং নগর ভবনের অচলাবস্থা না সরান, তাহলে সরকার নতুন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পথে এগোবে। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল স্থানীয় সরকারের নতুন নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, এখন আর চুপ করে থাকার সময় নেই। সরকার জানে, কী ঘটছে। সবকিছু সমন্বয়ের মাধ্যমেই হচ্ছে। তিনি বলেন, নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে ঠিকই, তবে বাইরে থেকেও যতটা সম্ভব সেবা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ পরিস্থিতিতে সরকার, বিএনপি ও ইশরাক—সবপক্ষই বাড়াবাড়ি করছে। তার মতে, আইন অনুযায়ী এখন ইশরাকের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই। তবে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে চাইলে তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। তিনি ইশরাকের বর্তমান ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও লজ্জাজনক।


আরও খবর



দেশের মধ্যাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিলের নাম আড়িয়াল বিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

বর্ষাকালে অথৈ জলরাশি আর শীতকালে বিস্তীর্ণ সবুজ শস্যক্ষেতে পূর্ণ দেশের মধ্যাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন  বিলের নাম আড়িয়াল বিল (Arial Bil)। ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলার প্রায় ১৩৬ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই বিলের অধিকাংশ অংশ মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত। ধারণা করা হয়, প্রাচীনকালে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলনস্থল নদীর প্রবাহের ফলে শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে মুন্সিগঞ্জ জেলার পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর মাঝে আড়িয়াল বিলের উৎপত্তি।

 

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে সাজানো আড়িয়াল বিল ঋতুভেদে নতুন নতুন বৈচিত্রের প্রকাশ ঘটে। বর্ষাকালে সবুজে ঘেরা বিলের স্বচ্ছ পানিতে শাপলা, কচুরি পানার ফুল এবং নানা জাতের পাখির উপস্থিতি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অনন্য মাত্রা যুক্ত করে। আর শীতকালে বিলের স্থলভাগে নানা ধরনের শীতকালীন সবজির চাষ করা হয়। শাপলা তোলা, নৌকায় চড়ে মাছ ধরা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভ্রমণকারী সময় কাটাতে ছুটে আসেন আপন রুপে অনন্য আড়িয়াল বিলে।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শ্রীনগর উপজেলার আড়িয়াল বিলের দূরত্ব প্রায় ৪২ কিলোমিটার। ঢাকার গুলিস্থান, আবদুল্লাপুর বা মিরপুর থেকে মাওয়াগামী যেকোন বাসে চড়ে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে যাওয়া যায়। শ্রীনগরের বাজার থেকে রিকশা নিয়ে গাদিঘাট যেতে হবে। ঘাট থেকে হাতে টানা বা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় শ্রীনগর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আড়িয়াল বিলে যেতে পারবেন। চাইলে কয়েকজন মিলে ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে নৌকা ভাড়া করে সারাদিন আড়িয়াল বিল ঘুরতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় সকালে রওনা দিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসা যায়। তবে রাত্রিযাপনের প্রয়োজনে মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরে হোটেল থ্রি স্টার ও হোটেল কমফোর্টের মতো বেশকিছু সাধারন মানের হোটেল পাবেন। এছাড়া মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত আকর্ষণীয় রিসোর্টের মধ্যে পদ্মা রিসোর্ট, মাওয়া রিসোর্ট এবং মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

কোথায় খাবেন

আড়িয়াল বিলের আশেপাশে খাওয়ার জন্য ভাল কোন ব্যবস্থা নেই। তাই নিজ প্রয়োজনে শুকনা খাবার ও পানি সাথে পরিবহণ করুন। তবে মুন্সিগঞ্জে ভালো মানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে। মুন্সিগঞ্জের চিত্তর দই, আনন্দর মিষ্টি, খুদের বৌউয়া (খুদের খিচুড়ি) এবং ভাগ্যকুলের মিষ্টি বেশ জনপ্রিয় খাবার।


আরও খবর