Logo
শিরোনাম

৩৩টি লেকের পাড়ে সবুজায়ন কার্যক্রম শুরু আগামী সপ্তাহে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

রাজধানীর ৩৩টি খাল ও লেক দখলমুক্ত এবং দূষণরোধে খাল ও লেকের পাড়ে সবুজায়ন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

৮ মে ঢাকা শহরের খাল ও লেকের পাড় সবুজায়ন কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতিবেদন প্রদান সভায় এ তথ্য জানান ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

সভায় উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলোর সদস্যরা সরেজমিন পরিদর্শনকালে খালসগুলোতে বিদ্যমান অবস্থার বিবরণ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া দূষণরোধ ও সবুজায়নের জন্য করণীয় কর্মপরিকল্পনাও উপস্থাপন করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া তথ্য ও মতামতের ভিত্তিতে যেসব স্থানে অসঙ্গতি রয়েছে, সেসব স্থানে দ্রুত অভিযানের পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে ডিএনসিসির। পাশাপাশি খালে গৃহস্থালি বর্জ্য না ফেলার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে স্বেচ্ছাসেবকরা। এ জন্য চিহ্নিত স্থানগুলোতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

ডিএনসিসি প্রশাসক জানান, পরিবেশ বিপর্যয় রোধে ক্ষতিকর প্লাস্টিক ব্যবহার কমাতে ডিএনসিসির সব অনুষ্ঠানে প্লাস্টিক বাক্স ও পানির বোতল পরিহার করা হবে। এ ছাড়া খালের পাড়ে দ্রুত বর্জ্য অপসারণ এবং গাছ লাগানোর মতো পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।



আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




সব ধর্মের শিক্ষার্থীর জন্য মাভাবিপ্রবি ছাত্রদল নেতার খাবারের আয়োজন

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎ঈদ মানেই আনন্দের ভাগাভাগি। ঈদের ছুটিতে মেস ও হলের প্রায় সবাই বাসায় গেলেও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলসমূহে অবস্থান করছে কিছু শিক্ষার্থী। আর সেসব শিক্ষার্থীদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই এবার পবিত্র ঈদুল আজহার রাতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা দীপু হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য রাতে বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে।


‎মাভাবিপ্রবি পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সাজিদ ইসলাম দিপু জানান, "আমরা ছাত্ররাজনীতি করি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই বোনের জন্য, তাদের কল্যাণের জন্য। তাদের বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে সর্বদা পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা জানি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভাই-বোনেরা চাকরির প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন কারণে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে পারেনি। ঈদের ছুটির কারণে হলের ডাইনিং বন্ধ রয়েছে আর ভালো কোন খাবার হোস্টেল ও এখন খোলা নেই। ঈদের এই খুশি, আনন্দ আমার ভাইদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাইয়ের নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কল্যাণে আমরা সদা প্রস্তুত আছি। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খাবারের আয়োজন করছে বলেই আমি রাতের আয়োজনটির ব‍্যবস্থা করছি।"‎

‎নাসিফ ইকবাল পিয়াল বলেন, "আমরা আগামীতে একটি বৈষম্যহীন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। 

‎তারই ধারাবাহিকতায় যারা পরিবার থেকে দূরে থেকে ঈদের আনন্দ হতে বঞ্চিত হয়েছে তাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাইয়ের নির্দেশনায় ক্ষুদ্র প্রয়াস।"


আরও খবর



ঈদের আগেই আসছে নতুন নোট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই বাজারে আসছে নতুন নকশার টাকা। নতুন নকশার ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট ছাড়া হবে। এসব নোটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকছে না। এতে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির পাশাপাশি আগের নকশাও ফিরে আসছে।নতুন নকশার এই তিন ধরনের নোটের ছাপা চলছে গাজীপুরের দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড বা টাঁকশালে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও টাঁকশালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০ টাকার নোটের ছাপা প্রায় সম্পন্ন। আগামী সপ্তাহে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করবে টাঁকশাল কর্তৃপক্ষ। পরের সপ্তাহে ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট বাংলাদেশ ব্যাংককে বুঝিয়ে দেবে টাঁকশাল। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে এই টাকা কবে বাজারে ছাড়বে। প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস ও অন্যান্য শাখা এবং পরে ব্যাংকগুলোকে এই টাকা দেওয়া হবে। ঈদের ছুটি শুরুর আগে সীমিতসংখ্যক নোট ছাড়া হতে পারে। কারণ, নতুন টাকার যে চাহিদা, তার তুলনায় ছাপা হচ্ছে কম।

টাঁকশালের কর্মকর্তারা জানান, নতুন নকশার নোট ছাপাতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। গত ডিসেম্বরে নতুন নকশার নোট বাজারে আনার সিদ্ধান্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে নতুন নকশার নোট ছাপানো শুরু করে। তবে একসঙ্গে তিনটি নোটের বেশি ছাপানোর সক্ষমতা নেই টাঁকশালের। তাই প্রথম ধাপে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে।


আরও খবর



নওগাঁয় এবার ৬ কোটি টাকা মূল্যের চামড়ার বাণিজ্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

এবার নওগাঁয় সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চামড়া ক্রয়-বিক্রয় করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই চামড়া সংরক্ষণ করছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। এবার নওগাঁয় প্রকার ভেদে গরুর চামড়া ৩ থেকে ৭শত টাকা দরে বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়া কিনে লোকসান গুনছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে সঠিক নিয়মে চামড়া সংরক্ষন করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৭৪ টন লবণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। তাই এবার নওগাঁয় চামড়া নষ্ট হয়নি এবং ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা মূল্যের বাণিজ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। সূত্রে জানা এবার কোরবানীর ইদে নওগাঁয় ৩লাখ ৭৮ হাজার গবাদিপশু জবাই করা হয়েছে যার মধ্যে সিংহভাগই হচ্ছে গরু। তবে এবার গরুর ল্যাম্পিস্কিন রোগে আক্রান্ত চামড়াগুলোর দাম একেবারেই নেই। এছাড়া গরুর চামড়ার দাম মিললেও প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ছাগলের চামড়ার দাম নেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন শ্রমিক সংকট ও লবণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ছোট ছোট চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। অপরদিকে কোম্পানিগুলোও ছোট ছোট চামড়াগুলো নিতে অনিহা প্রকাশ করে যার কারণে ছাগলের চামড়ার চাহিদা একেবারে না থাকার কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি। এবার নওগাঁয় ছাগলের চামড়া প্রকার ভেদে ১০ থেকে ২শত টাকা মূল্য পর্যন্ত ক্রয় করা হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।অপরদিকে এবার সরকারের নির্ধারণ করা মূল্য অনুসারে সকল চামড়া ক্রয় করার ঘোষণা হওয়ায় লাভের আশায় গ্রামগঞ্জ থেকে একটু বেশি দামে চামড়া কিনে লোকসান গুনছেন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। এদিকে একটি চামড়াও যেন নষ্ট না হয় সেই লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো সরকারের পক্ষ থেকে নওগাঁর ১১টি উপজেলার বড় বড় বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিগুলোতে ৭৪ টন লবণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে যাতে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাপ্ত চামড়াগুলো পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সহজেই সংরক্ষণ করা যায়। তবে দীর্ঘদিন যাবত ধরে চামড়া নেওয়ার পর কোম্পানিরা ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা সঠিক ভাবে পরিশোধ করে না। তাই শুধু ইদুল আজাহাতেই নয় সারা বছরই একটি কমিটির মাধ্যমে চামড়া শিল্পকে মনিটরিং করার অনুরোধ জানিয়েছেন নওগাঁর চামড়া ব্যবসায়ীরা। নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার ফড়িয়া চামড়া ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভেবেছিলাম এবার চামড়া কিনে একটু লাভের মুখ দেখবো। কিন্তু প্রতিবছরের ন্যায় এবারোও লোকসান গুনতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের কাছে চামড়া বিক্রি করতে গেলে ক্রুটির শেষ নেই। তাই লোকসান দিয়েই চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। আর ছাগলের চামড়ার তো কোন দামই নেই। তবে এবার চামড়া নিয়ে মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়েছে।

নওগাঁ চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, তারা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চামড়া ক্রয় করেছেন। তবে এবার শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ ল্যাম্পিস্কিন রোগে আক্রান্ত গরু জবাই করা হয়েছে। ফলে দাগ পড়া সেই চামড়াগুলো ফিট হিসেবে নয় কেজি হিসেবে কোম্পানিরা তাদের কাছ থেকে গড় মূল্যে ক্রয় করবে তাই তারাও সেই চামড়াগুলো কম দামে কিনতে বাধ্য হয়েছেন। তবে সরকারি ভাবে বিনামূল্যে লবণ গুলো যদি আদি চামড়া ব্যবসায়ীদের মাঝে দেয়া হতো তাহলে যে পরিমাণ চামড়া এবার নষ্ট হয়েছে তাও নষ্ট হতো না। যেসব প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে লবণ দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই জানে না কিভাবে চামড়া সংরক্ষণ করতে হয়। তাই তারা সেই লবণগুলো খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে।

নওগাঁ চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মো. মমতাজ হোসেন বলেন, এবার নওগাঁতে ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা মূল্যের চামড়া ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। যদি কোম্পানিগুলো নগদ মূল্যে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া ক্রয় করে তাহলেই মঙ্গল। তবে ট্যানারী মালিকদের উপর নির্ভরশীল না হয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সারা বছরই যদি একটি কমিটির মাধ্যমে চামড়া শিল্পকে তদারকি করা হয় এবং চামড়া শিল্পে যে দুর্নীতি আর অনিয়মের সিন্ডিকেট আছে সেগুলো ভেঙ্গে দেয়া যায় তাহলে ধীরে ধীরে আবার চামড়া শিল্পের যৌবন ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন এই চামড়া ব্যবসায়ী। নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, নওগাঁয় চামড়া ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে যেন কোন প্রকারের অরাজকতার সৃষ্টি না হয় এবং সরকারের পক্ষ থেকে প্রদান করা লবণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঈদের আগেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একাধিক সভা করা হয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে চামড়া নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেও প্রচার প্রচারণার চালানো হয়েছে। তাই এবার জেলায় চামড়া সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপগুলো মাঠ পর্যায়ে সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করায় দেশের জাতীয় সম্পদ চামড়া তেমন একটা নষ্ট হয়নি। এছাড়া প্রথমবারের মতো এবার সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে লবণ বিতরণ করায় মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়েছে। এছাড়া নওগাঁ জেলা ভারতের সীমান্তবর্তী হওয়াই এক ইঞ্চি চামড়াও যেন পাচার না হতে পারে সেই বিষয়টি কঠোর ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। ফলে এবার নওগাঁয় সুষ্ঠ ভাবে চামড়া ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।


আরও খবর



পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিদেশ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টে ডলার সংযুক্তি (এনডোর্সমেন্ট) করতে চাইলে এখন থেকে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত ফি নিতে পারবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর বাইরে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি বাবদ বাড়তি কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না। রবিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক এই ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তফসিলি ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রির সময় বিভিন্ন হারে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি ও চার্জ এবং অতিরিক্ত সার্ভিস ফি বা কমিশন নিচ্ছে। অতিরিক্ত ফি আদায় করায় ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে নিরুৎসাহিত হন গ্রাহকরা।

এ কারণে বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে উৎসাহিত করতে প্রথমবারের মতো পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি যে কারণে হয়ে থাকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ডা. মো. তালহা চৌধুরী

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথিতে স্নায়ুর ক্ষতি হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ঘটতে পারে, বিশেষ করে যদি দীর্ঘ সময় ধরে তার রক্তে শর্করার মাত্রা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না হয়। এটি অসাড়তা, ঝনঝন, ব্যথা এবং পেশি দুর্বলতাসহ বিভিন্ন উপসর্গের কারণ হতে পারে। প্রায়ই পায়ে শুরু হয় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে অগ্রসর হতে পারে। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির চিকিৎসার লক্ষ্যÑ লক্ষণগুলো উপশম করা, স্নায়ুর ক্ষতির অগ্রগতি ধীর করা এবং অন্তর্নিহিত ডায়াবেটিস পরিচালনা করা।

প্রকারভেদ : ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি বিভিন্ন ধরনের। প্রতিটি ধরন স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং নির্দিষ্ট উপসর্গ সৃষ্টি করে। এ ধরনগুলোর অন্তর্ভুক্ত হলো-

পেরিফেরাল স্নায়ুরোগ : এটি সবচেয়ে সাধারণ ফর্ম এবং এটি হাত-পায়ের স্নায়ুকে প্রভাবিত করে, বিশেষ করে পায়ে।

অটোনমিক নিউরোপ্যাথি : এ ধরনের স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, যা হজম, হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপের মতো অনিচ্ছাকৃত ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি : ডায়াবেটিক অ্যামিওট্রফি নামে এটি পরিচিত। এটি ঊরু ও নিতম্বকে প্রভাবিত করে এবং পেশি দুর্বলতা ও ব্যথা হতে পারে।

ফোকাল নিউরোপ্যাথি : এতে নির্দিষ্ট স্নায়ু বা স্নায়ুর গোষ্ঠীতে হঠাৎ এবং প্রায়ই গুরুতর দুর্বলতা বা ব্যথা হয়। এটি সাধারণত শরীরের একদিকে প্রভাবিত করে এবং বিভিন্ন অংশে ঘটতে পারে।

উপসর্গ : অসাড়তা এবং টিংলিং, জ্বলন্ত বা শ্যুটিং ব্যথা, পেশির দুর্বলতা, সংবেদন হারানো, অতি সংবেদনশীলতা, ভারসাম্য সমস্যা, হজমের সমস্যা, প্রস্রাবের সমস্যা, যৌন কর্মহীনতা, রক্তচাপের পরিবর্তন, পা, ত্বকের সমস্যা।

আমাদের করণীয় : রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ডায়াবেটিসের ওষুধ, যেগুলো সামঞ্জস্য করতে পারে বা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, এমন ইনসুলিন আপনার চিকিৎসক লিখে দিতে পারে। সুষম খাদ্য খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার অপরিহার্য উপাদান। ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথা উপশমকারী, যেমন- অ্যাসিটামিনোফেন বা ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস। প্রেসক্রিপশনের ওষুধ যেমন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস (যেমন- অ্যামিট্রিপটাইলাইন, ডুলোক্সেটাইন), অ্যান্টিকনভালসেন্ট (যেমন- গ্যাবাপেন্টিন, প্রিগাবালিন) বা ওপিওড ওষুধ (আসক্তির আশঙ্কার কারণে সাবধানে ব্যবহার করা হয়)।

শারীরিক থেরাপি পেশি শক্তি এবং সমন্বয় উন্নত করতে, ব্যথা কমাতে এবং সামগ্রিক গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া সাময়িক চিকিৎসা হিসেবে ওভার-দ্য-কাউন্টার ক্রিম বা প্যাচযুক্ত ক্যাপসাইসিন (মরিচ থেকে প্রাপ্ত) স্থানীয় ব্যথা থেকে সাময়িক উপশম দিতে পারে। ট্রান্সকিউটেনিয়াস ইলেকট্রিক্যাল নার্ভ স্টিমুলেশন থেরাপিতে এমন একটি যন্ত্রের ব্যবহার জড়িত যা স্নায়ুর প্রান্তে বৈদ্যুতিক আবেগ সরবরাহ করে, সম্ভাব্য ব্যথা উপশম প্রদান করে। এছাড়া জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। এজন্য নিয়মিত পায়ের যত্ন নিন এবং জটিলতা রোধ করতে পা পরিষ্কার ও ময়েশ্চারাইজ করুন। ধূমপান নিউরোপ্যাথির লক্ষণগুলো আরও খারাপ করতে পারে, জটিলতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বেশি অ্যালকোহল সেবন নিউরোপ্যাথির লক্ষণগুলো বাড়িয়ে তুলতে পারে।

চিকিৎসা : আপনি নির্দিষ্ট যেসব লক্ষণ অনুভব করেন, তার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসক অতিরিক্ত চিকিৎসার সুপারিশ করতে পারেন।

নিয়মিত পর্যবেক্ষণ : নিউরোপ্যাথির অগ্রগতি নিরীক্ষণ করতে এবং প্রয়োজন অনুসারে আপনার চিকিৎসা পরিকল্পনা সামঞ্জস্য করতে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে নিয়মিত চেক-আপ বজায় রাখা অপরিহার্য।

লেখক : কনসালট্যান্ট, ফ্যামিলি মেডিসিন, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল

চেম্বার : আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০, ঢাকা

হটলাইন : ১০৬৭২, ০৯৬৭৮৮২২৮২২


আরও খবর