Logo
শিরোনাম

৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও নির্বাচনের প্রস্তাব

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

জাতীয় অথবা স্থানীয় সরকার যেকোনো নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়াও সরকারের কাছে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে কমিশন। সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেবে অন্তর্বর্তী সরকার বলেও জানানো হয়েছে প্রস্তাবনায়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়।

নির্বাচন ব্যবস্থা:

(ক) নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করা।

(খ) নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা ।

(গ) কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০% ভোট না পড়লে পুন:নির্বাচন করা।

(ঘ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বন্ধ করা, রাজনৈতিক দলগুলোকে সৎ, যোগ্য এবং ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনে ‘না-ভোটের’ বিধান প্রবর্তন করা। নির্বাচনে না-ভোট বিজয়ী হলে সেই নির্বাচন বাতিল করা এবং পুন:নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাতিলকৃত নির্বাচনের কোনো প্রার্থী নতুন নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারার বিধান করা।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:

(ক) ঋণ-বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(খ) কোনো আদালত কর্তৃক ফেরারি আসামি হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(গ) বেসরকারি সংস্থার কার্যনির্বাহী পদে আসীন ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ওই পদ থেকে তিন বছর আগে অবসর গ্রহণ সংক্রান্ত আরপিওর ধারা বাতিল করা।

(ঘ) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬(২)(ঘ) এর অধীনে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(ঙ) আইসিটি আইনে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) শাস্তি প্রাপ্তদের সংসদ নির্বাচনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(চ) গুরুতর মানবাধিকার (বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন, সাংবাদিকদের/মানবাধিকারকর্মী ওপর হামলা, ইত্যাদি) এবং গুরুতর দুর্নীতি, অর্থপাচারের অভিযোগে গুম কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশন বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হলে তাদেরকে সংবিধানের ৬৬(২)(ছ) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা। (সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি উচ্চতর হওয়া দরকার এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা দরকার। এ ক্ষেত্রে ‘ট্রানজিশান্যার জাস্টিসের’ যুক্তিও উত্থাপন করা যেতে পারে।)

(ছ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পদত্যাগ না করে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(জ) তরুণ, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য শতকরা ১০ ভাগ মনোনয়নের সুযোগ তৈরির বিধান করা।

(ঝ) স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১% শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধানের পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতির বিধান করা এবং এ ক্ষেত্রে একক কিংবা যৌথ হলফনামার মাধ্যমে ভোটারদের সম্মতি জ্ঞাপনের বিধান করা।

(ঞ) একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থীর হওয়ার বিধান বাতিল করা।

(ট) হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের প্রেক্ষাপটে আপিল প্রক্রিয়ায় অনুচ্ছেদ ১২৫(গ) বহাল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। কোনো আদালত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনোরূপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না ।

(ঠ) হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কিংবা তথ্য গোপনের কারণে আদালত কর্তৃক কোনো নির্বাচিত ব্যক্তির নির্বাচন বাতিল করা হলে ভবিষ্যতে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার বিধান করা।

মনোনয়নপত্র:

(ক) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যতীত সব প্রার্থীর সশরীরে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা ।

(খ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

(গ) প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করা। এ লক্ষ্যে আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি শুধু ‘কোরাম নন জুডিস’ ও ‘ম্যালিস ইন ল’-এর ক্ষেত্রে সীমিত করা।

(ঘ) মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ৫ বছরের আয়কর রিটার্নের কপি জমা দেওয়ার বিধান করা।

(ঙ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

২.৩ হলফনামা:

(ক) প্রার্থী কর্তৃক মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রত্যেক দল তার প্রার্থীদের জন্য প্রত্যয়নপত্রের পরিবর্তে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা অনুরূপ পদধারী ব্যক্তি কর্তৃক হলফনামা জমা দেয়ার বিধান করা, যাতে মনোনীত প্রার্থীর নামের পাশাপাশি মনোনয়ন বাণিজ্য না হওয়ার ও দলীয় প্যানেল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ থাকে।

(খ) পরবর্তী নির্বাচনের আগে যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত ব্যক্তির হলফনামা যাচাই-বাছাই করতে এবং মিথ্যা তথ্য বা গোপন তথ্য পেলে তার নির্বাচন বাতিল করা।

নির্বাচনী ব্যয়:

(ক) সংসদীয় আসনের ভোটার প্রতি ১০ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণের বিধান করা।

(খ) সব নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রযুক্তির (যেমন, বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে পরিচালনা করা।

(গ) নির্বাচনী আসনভিত্তিক নির্বাচনী ব্যয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবিড়ভাবে নজরদারিত্ব করা।

(ঘ) প্রার্থী এবং দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবের রিটার্নের নিরীক্ষা এবং হিসাবে অসঙ্গতির জন্য শাস্তির বিধান করা।

২.৬ নির্বাচনী অভিযোগ ব্যবস্থাপনা:

(ক) বিদ্যমান ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি'কে অনুসন্ধান বা তদন্ত করার ক্ষমতা প্রদানের পাশাপাশি বিচার-নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করে’ ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিচারিক সত্তা/বডি গঠন করা।’

(খ) নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটির আওতায় প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত কমিটিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা মতে বিচারার্থে অপরাধ আমলে নেওয়ার এবং সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতিতে অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা অর্পণ করা।

(গ) সংসদ নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলোর কার্যাবলি তদারকি করার নিমিত্তে নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটি’ একজন নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে গঠন করা।

(ঘ) কার্যকালীন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলো প্রশাসনিকভাবে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটির আওতায় আনা। বিচারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এগুলোকে স্বাধীন করা।

(ঙ) হাইকোর্ট বিভাগে নির্বাচনি মামলার চাপ কমাতে এবং শুধু নির্বাচনি বিরোধ সংশ্লিষ্ট মামলা (ইলেকশন পিটিশন) দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জেলা পর্যায়ে ‘সংসদীয় নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল’ স্থাপন এবং ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের সুযোগ রাখা।


আরও খবর



ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে তেলবাহী ট্রাক লুট

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন(স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ওপর ব্যারিকেড দিয়ে ট্রাক থামিয়ে ৩০ লাখ টাকার পামওয়েল তেলসহ ট্রাক লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চালক ও তার সহকারীকে আটকে বেঁধে মারধর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ভুক্তভোগী ট্রাকচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস (৫৫) থানায় অভিযোগ করেন।

এর আগে, সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে ধামরাইয়ের সূতিপাড়া ইউনিয়নের বাথুলি-বালিথা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ওপরে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা হলেন পাবনার সুজানগর থানার সুজানগর মানিকদী এলাকার বাসিন্দা ট্রাকচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস (৫৫) ও পাবনার কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা মাসুম (৫০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ বছর ধরে পাবনার মায়া নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ৬ চাকা বিশিষ্ট আন্তঃজেলা ট্রাক চালাচ্ছিলেন শ্যামল কুমার বিশ্বাস। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কামাল অয়েল মিলস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪.৫ টন ওজনের ৭৫ ড্রাম বাটার ফ্লাই পাম ওয়েল তেল লোড করে পাবনার উদ্যেশ্যে রওনা হন তিনি। যার বাজারমূল্য প্রায় ২১ লাখ টাকা।


রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বালিথা এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাত অন্তত চারজন দুষ্কৃতকারী একটি অজ্ঞাত পিকআপ নিয়ে ব্যারিকেড দেয়। একপর্যায়ে তারা ট্রাকের কাছে এসে চালক ও সহকারীকে জোরপূর্বক টেনেহিচড়ে নিচে নামিয়ে এনে মারধর করে। ধারালো চাকু দিয়ে তাদের জখম করে। ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের হাত পা ও মুখ বেঁধে ফেলে দুটি ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তেলবাহী ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়।


একপর্যায়ে ট্রাক চালক ও সহকারীকে কৌশলে পায়ের বাঁধন খুলে পার্শ্ববর্তী একটি হোটেলে গিয়ে লোকজনকে সব ঘটনা খুলে বলেন। পরে জাতীয় জরুরি যোগাযোগ নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীরা জানান, অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা ২৫-৩৫ বছর বয়সী ছিল। তাদের পরণে ফুল প্যান্ট ও বিভিন্ন রঙের গেঞ্জি ছিল। তারা স্থানীয় ভাষায় কথা বলছিল।


ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ট্রাক চুরির ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিম অভিযান পরিচালনা করছে।


আরও খবর



শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন সোমবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী সোমবার দাখিল করবে তদন্ত সংস্থা। এছাড়া আগামী সপ্তাহে চানখারপুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবে প্রসিকিউশন বিভাগ। ৯ মে ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

পোস্টে তিনি লেখেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট আগামী সোমবার চিফ প্রসিকিউটর বরাবরে দাখিল করবে আশা করছি। তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ অর্থাৎ ফরমাল চার্জ দাখিলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে।

ইতোমধ্যে চানখারপুল হত্যাকাণ্ডের দায়ে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আনুষ্ঠানিক বিচারের জন্য ফরমাল চার্জ চলতি সপ্তাহেই দাখিল করা হবে এবং এর মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে ইনশাআল্লাহ


আরও খবর



নওগাঁয় ৩০হাজার ৩শ' হেক্টর জমিতে আম চাষ, ২২মে থেকে আমপাড়া শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

আসছে ২২ মে থেকে নওগাঁসহ দেশের বাজারে আসবে নওগাঁর রসালো, সুমিষ্ট ও সুস্বাদু আম। প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় সূচী অনুযায়ী নওগাঁর বাগান থেকে স্থানীয় জাতের/গুটি আম নামানোর মধ্যে দিয়ে এই আম পাড়া শুরু হবে। তবে ভোক্তাদের নওগাঁর ঐতিহ্য আম্রপালি আমসহ অন্যান্য জাতের সুস্বাদু ও সুমিষ্ট আম পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

সোমবার ১২ মে দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাত ভেদে গাছ থেকে আম সংগ্রহ ও বাজার জাতকরণের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল এই সময় সূচি ঘোষনা করেন। জেলা প্রশাসক বলেন, আগামী ২২মে স্থানীয় গুটি আম নামানোর মধ্যদিয়ে বাজারে আসবে নওগাঁর আম।


এরপর পর্যায়ক্রমে উন্নত জাতের আমের মধ্যে গোপালভোগ ৩০মে,  হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাত ২জুন থেকে থেকে গাছ থেকে পাড়া যাবে। এ ছাড়া জিআই স্বীকৃতি পাওয়া নাক ফজলি ৫ জুন, ল্যাংড়া ১০ জুন, আম্রপালি ১৮ জুন ও ফজলি ২৫ জুন থেকে পাড়তে পারবেন আম চাষিরা বা বাগানীরা। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে পাড়া যাবে আশ্বিনা, বারি-৪, গৌড়মতি, ব্যানানা ম্যাংগো ২৫ জুন থেকে। তবে আবহাওয়া তাপমাত্রার কারণে আগেই আম পরিপক্ক হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসের অনুমতি সাপেক্ষে আগে আম পাড়া যাবে। সভায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীসহ আম চাষিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে চলতি বছর নওগাঁয় ৩০হাজার ৩০০হেক্টর জমির বাগানে আম চাষ হয়েছে। এছাড়া ব্যানানা ম্যাংগো, মিয়াজাকি, কাটিমন, গৌড়মতি, বারি-৪ আমসহ দেশি-বিদেশি প্রায় ১৬ জাতের আম চাষ করেছেন আম চাষিরা। যেখান থেকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্টিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করছে কৃষি বিভাগ। এছাড়া চলতি বছর ৪ হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের আশা করা হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ২২মে থেকে স্থানীয় জাতের গুটি আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করা সেই সময় অনুযায়ী চাষিরা আম নামাবেন। এছাড়াও উন্নত জাতের যে সব আম আছে সেগুলো বাজারে আসতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। পরিপক্ব ও ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মুক্ত আম নিশ্চিত করতে এমন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ইতি মধ্যেই নওগাঁর নাক ফজলী আম জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই নাক ফজলী আম এখন শুধু নওগাঁরই নয় সারা দেশের সম্পদ। নাক ফজলী আমের মাধ্যমে নওগাঁকে পুরো দেশসহ সারা বিশ্ব নতুন করে চিনবে ও জানবে। তাই ভোক্তাদের কাছে নওগাঁর পরিপক্ক ও বিষমুক্ত আম পৌছে দিতে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ বদ্ধ পরিকর। ভোক্তাদের কাছে নওগাঁর আমের সুনাম ধরে রাখতে সকল ধরণের গঠনমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। বিশেষ করে নওগাঁর ব্রান্ড আমকে নিয়ে কোন অরাজকতা, অনিয়ম ও দুর্নীতিকে আশ্রয় দেয়া হবে না। সুনামের সঙ্গে নওগাঁর আমকে দেশের বিভিন্ন স্থানসহ বিদেশে রপ্তানী করে নওগাঁর সুনামকে আরো দৃঢ় করতে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।


আরও খবর



চার দফা বেড়ে দেশের বাজারে কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম চার দফা বেড়ে রেকর্ড দামে পৌঁছানোর পর বড় পতন হয়েছে। এবার ভরিতে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি, যা এর আগে ছিল এক লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা।

২৩ এপ্রিল বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা নির্ধারণ করা ছিল। এছাড়াও ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২০ হাজার ৫১২ টাকা নির্ধারণ করা ছিল।

স্বর্ণের দাম কমলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।


আরও খবর



চিকিৎসাখাতে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বললেন, চিকিৎসকদের নিজের দায়িত্ব, সৃজনশীলতা, মননশীলতা ও সক্ষমতা নিয়ে চিকিৎসাসেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে সিভিল সার্জন সম্মেলন-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন । জেলা সিভিল সার্জনদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী সম্মেলন সোমবার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা যে স্বাস্থ্যহীন সেটা আমরা সবাই বুঝি এবং একে অপরকে দোষ দেই। কিন্তু দোষ দিলে তো স্বাস্থ্যহীনতা দূর হয়ে যাবে না। এটার প্রতিকার করতে হবে যাতে করে আমরা স্বাস্থ্যসেবা ঠিক করতে পারি। দুনিয়ার যত দেশ আছে, যত জাতি আছে তারা যদি নিজ নিজ স্বাস্থ্যসেবা আমাদের চাইতে ভালো করতে পারে তাহলে আমাদের মধ্যে কী গাফেলতি আছে, কী অভাব আছে যে কারণে আমরা পারছি না? নিজেদের কাছে আত্মজিজ্ঞাসা করতে হবে যে, কীভাবে আমরা এটা ঠিক করতে পারব।

তিনি বলেন, আমাদের যতটুকু চিকিৎসা সরঞ্জাম বা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যে যদি আমরা পরিবর্তনের জন্য নিজের মন ঠিক করতে পারি তাহলে আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার ২৫ শতাংশ উন্নতি হয়ে যাবে।

সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম কোভিড মহামারি ও জুলাই আন্দোলনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা করায় চিকিৎসদের অভিনন্দন জানান।

স্বাস্থ্যসেবায় সিভিল সার্জনরা মূল কান্ডারি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের যথেষ্ট সাফল্য থাকলেও ওষুধ খাত, যন্ত্রপাতিসহ জনবলের ঘাটতি প্রকট থাকায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত এখনো অনেকটাই পেছনে। কিন্তু সিভিল সার্জনরা তাদের মেধা-মনন ও দায়িত্বশীলতাকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসাখাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

সাত হাজার সুপার নিউমারারি (অতিরিক্ত) পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির কাজ চলমান আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। শুধু চিকিৎসক নয়, নার্সও নিয়োগ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. সাইয়েদুর রহমান বলেন, পদোন্নতি, পদায়ন, বাজেট এবং ওষুধের অপ্রতুলতা সমস্যার সমাধান হলেই স্বাস্থ্যখাতের উন্নতি সম্ভব। স্বাস্থ্যখাত পুনর্গঠনের জন্য ইউনিক হেলথ কার্ড করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. জিল্লুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর।


আরও খবর