Logo
শিরোনাম

৫ আগষ্টে ইসলামী উগ্রবাদ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভ্যুত্থান হয়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

বললেন আসাদুজ্জামান  কামাল :

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-র সাক্ষাৎকার টি নিম্নরুপ....!

প্রশ্ন: চলমান পরিস্থিতি থেকে আওয়ামী লীগ কোথায় যাবে? দলটির পুনরুত্থান কীভাবে হবে?

উত্তর:  আমি ১০ বছর ছয় মাস বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলাম। এ সময়ের মধ্যে আমি বহু উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছি...। এখন সবকিছু ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে উল্টে গেছে। গত বছরের ৩রা আগস্ট থেকে ৫ই আগস্টের মধ্যে প্রায় ৪৬০টি থানা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র লুট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেখানে থাকেন সেই গণভবন থেকে এসএসএফের (ভিভিআইপি নিরাপত্তার দায়িত্বপালনকারী বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী) অস্ত্রও কেড়ে নেয়া হয়। আমি নিজে ৫ এবং ৬ই আগস্ট ঢাকায় ছিলাম; পরে ৭ই আগস্ট আমার বাড়ি ছাড়ি। 

প্রশ্ন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আপনি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। আপনি কি এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না?

উত্তর: যখন থানাগুলো পুড়েছে কার্যত পুলিশ তখন অকার্যকর হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে মৃতদের সাক্ষী করে তাদের মৃতদেহ গণনা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। যেখানে পুলিশ সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা দেয় সেখানে তারা যখন নিজেরাই অকার্যকর হয়ে যায় তাহলে বিষয়টা কেমন হয়? আমি বলবো সেখানে যৌথ অভ্যুত্থান ঘটানো হয়েছে। ইসলামী উগ্রবাদ এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভ্যুত্থান।  

প্রশ্ন: স্পষ্টতই এখানে গোয়েন্দাদের বড় রকমের ব্যর্থতা ছিল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আপনি কি এ বিষয়টি স্বীকার করেন?

উত্তর: হ্যাঁ আমি এ বিষয়ে একমত যে, ইচ্ছাকৃত হোক বা অন্যভাবেই হোক গোয়েন্দাদের বিশাল ব্যর্থতা ছিল। সেনাবাহিনীর বিশেষ একটি গোয়েন্দা ইউনিট রয়েছে, ডিজিএফআই (ডিরেক্টর জেনারেল ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স)। তারা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাও সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে। এমনকি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে। গোয়েন্দাদের রিপোর্টের সারসংক্ষেপটাই শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আসে। 


প্রশ্ন: আপনি কি স্বীকার করেন যে, আপনার দল কিছু মৌলিক ভুল করেছে; যার ফলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে?

উত্তর: আমি বিষয়টিকে ভুল বলবো না, তবে হ্যাঁ, দল পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের অনেক দেরি হয়ে গেছে। এটাই মূল কথা। দুই বছর পর নতুন নেতাদের আসার কথা ছিল। কিন্তু আমরা যথাসময়ে নেতা নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছি।


প্রশ্ন: আপনার দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে কি আপনার যোগাযোগ হচ্ছে?

উত্তর: তার সঙ্গে দেখা করতে পারছি না; তবে তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয়। সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে, তিনি দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। ৪ঠা আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আমি তার সঙ্গেই ছিলাম। পুলিশের প্রধানও ছিলেন সেখানে। সেনাপ্রধানও সেখানে ছিলেন। তিনি শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, কিছুই হবে না। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। সেনাপ্রধান শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন আপনার সুরক্ষার দায়িত্ব আমার জিম্মায়। এসব কিছুর সাক্ষী আমি নিজে। তখন আমি সেনাপ্রধানকে জিজ্ঞেস করেছি- আপনি কি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছেন? তিনি জবাবে হ্যাঁ বলেছিলেন। এরপর আমি আমার অধীনে থাকা পুলিশ প্রধানকে সেনাপ্রধানের সঙ্গে স্বাধীনভাবে আলোচনা করার কথা বলেছি। তারা যেন সব স্বাভাবিক করে। কিন্তু আপনি দেখেছেন ৫ই আগস্ট কী হয়েছে। 


প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পলাতক আছেন; অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আটক। তাদের মনোবল ধরে রাখতে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তা কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

উত্তর: আওয়ামী লীগের কর্মীদের মনোবল অনেক উঁচু। শেখ হাসিনা ছাড়া তারা ভবিষ্যতের কথা ভাবতে পারে না। তিনিই বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি অর্থনীতির পরিবর্তন করেছেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার পরিবর্তন করেছেন।


প্রশ্ন: আপনি ভারতের কাছ থেকে কী আশা করছেন? ভারত কীভাবে সাহায্য করতে পারে?

উত্তর: আমি মুক্তিযোদ্ধাদের একজন কমান্ডার ছিলাম, তাই আমি জানি ১৯৭১ সালে ভারত বাংলাদেশের জন্য কী করেছে। আমি স্বীকার করি যে, ভারত সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্য সেখানে ছিল। এখন ভারত কূটনৈতিকভাবে আমাদের সাহায্য করতে পারে। আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা আদালতে যেতে পারছেন না। নতুন করে বিচারক নিয়োগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথমত, আদালত যাতে পুনরায় কাজ শুরু করতে পারে, সেজন্য কূটনৈতিক চাপ এবং এর পক্ষে আওয়াজ উত্থাপন করা উচিত। আমি মনে করি ভারত এভাবে সাহায্য করতে পারে।


প্রশ্ন: আপনার পরিবার এবং অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ কী?

উত্তর: আমার একমাত্র ছেলে বর্তমানে জেলে...আমার অনেক আত্মীয়স্বজনও ভালো অবস্থায় নেই। আমার ছেলে কাশিমপুরের একটি কারাগারে রয়েছে; যেখানে আমরা একসময় সন্ত্রাসীদের আটক রাখতাম। কয়েকদিন পরপরই  ছেলের কাছে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা কেউ না কেউ আমার অবস্থান জানতে চায়। এ ছাড়া আমার ওপর একের পর এক মামলা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে প্রায় ২৯০টি খুনের মামলা হয়েছে। এটি নিশ্চয়ই একটি রেকর্ড, হয়তো আন্তর্জাতিক রেকর্ডও। ৫৪টি মামলায় যাকে খুন করার কথা বলা হয়েছে তিনি জীবিত ফিরে এসেছেন...সেই মামলাগুলোতে, আমার সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতার নামও রয়েছে।


প্রশ্ন: আপনি কি বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে আইনের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত? এ ছাড়া আওয়ামী লীগ কি নির্বাচনে লড়তে প্রস্তুত?

উত্তর: আমি ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছি না। তবে তা কেবল তখনই সম্ভব যখন আইনের শাসন পুনরুদ্ধার করা হবে, বিচারকরা অবাধে এবং নির্ভয়ে মামলার শুনানি করতে পারবেন এবং আমাদের আইনজীবীরা আমাদের পক্ষে উপস্থিত হতে পারবেন। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি, আমরা অবশ্যই নির্বাচনে লড়বো যদি আমরা সবাই সেখানে যেতে পারি...।


প্রশ্ন: শেখ হাসিনা নির্বাসিত। দলের বেশির ভাগ নেতাও এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে। এমন পরিস্থিতিতে দলকে শক্তিশালী করাটা কতোটা চ্যালেঞ্জের বলে আপনি মনে করেন? 

উত্তর: এটা অসম্ভব নয়। আমি বিশ্বাস করি- এটা সম্ভব। আমার বিশ্বাস খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা বদলে যাবে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমি সেখানকার পরিস্থিতি দেখেছি। সেখানকার জনগণকে দেখেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমরা খুব শিগগিরই চলমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো। যদিও অনেক নেতার সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো খোঁজ নেই...। তবে যদি লড়াই শুরু করি তারা পুনরায় ফিরে আসবেন। আমার বয়স ৭৫ হতে চলেছে, আমি বিশ্বাস করি যে, আমি এখন বোনাস জীবনে আছি। সেজন্য আমি ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। আওয়ামী লীগের তরুণ নেতারাও এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। তরুণদের এগিয়ে আসার সময় এসেছে।


প্রশ্ন: চলমান পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা কী?

উত্তর: গণমাধ্যম সম্পূর্ণভাবে এখন তাদের (অন্তর্বর্তী সরকারের) নিয়ন্ত্রণে। গণমাধ্যম কোনো বিষয়ে স্বাধীনভাবে মন্তব্য করতে পারছে না। তারা সবকিছুর জন্য আওয়াজ তুলতে পারে না। তারা এখন নীরব। আমি বিশ্বাস করি যদি আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে এগিয়ে আসতে বলেন, তাহলে অবশ্যই সেটা ঘটবে।


প্রশ্ন: শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলার সময় তার কাছ থেকে কী নির্দেশনা পেয়েছেন?

উত্তর: তিন দিন আগে আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। তার নির্দেশনা হচ্ছে- সকল নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে; যার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা যায়।


প্রশ্ন: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আপনার বার্তা কী?

উত্তর: তার চেয়ারে বসার কোনো অধিকার নেই, তিনি কোনো নেতা নন, কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিও নন। দেশে খুব অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ এক অদ্ভুত উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ড. ইউনূসের উচিত তার পদ ছেড়ে আওয়ামী লীগ সহ সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে লড়তে  দেয়া এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার সুযোগ করে দেয়া। কেননা, এটাই একমাত্র উপায়।


আরও খবর



হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ছোলার আমদানি

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

রমজান উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ছোলা আমদানি। যার প্রভাবে বাজারে কমতে শুরু করেছে ছোলার দাম। গত এক সপ্তাহ আগেও বাজারে ছোলা বুটের কেজি ছিলো ১২৫ টাকা কেজি, বর্তমান দাম কমে তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি অন্যান্য ডাল, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে মোটাটা ১০০ টাকা ও দেশিটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি। বুটের ডাল ১২০, খেঁসারির ডাল ১০৫, মাসকলাই ১৮০ ও মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে।

দাম কমে যাওয়ায় খুশি সাধারণ ক্রেতারা। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।

হিলি বাজারে ছোলা কিনতে আসা জাকিরুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে ছোলার প্রয়োজন বেশি হয়। বিশেষ করে ইফতারের জন্য ছোলার প্রয়োজনীয় অপরিসীম। তাই বাজারে ছোলা কিনতে আসছি। তবে দাম আগের চেয়ে কম। এর আগে ১২০ টাকা কেজি কিনেছিলাম এখন ১০০ টাকা কেজি কিনলাম।

হিলি বাজারে ছোলা বুট ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান হোসেন বলেন, বর্তমান ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত ছোলা আমদানি হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও ছোলা আমদানি করছেন সরকার। মূলত রমজান মাসে এসব পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্যই আমদানি করা হচ্ছে। আমরা ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি হিসেবে ছোলা বুট খুচরা বিক্রি করছি। আগের থেকে ক্রেতাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, পবিত্র মাহেরমজানে বাজারে ছোলা বুটের দাম কম এবং স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে পর্যাপ্ত ছোলা আমদানি করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগেও এই বন্দরে দিনে এক থেকে দুই ট্রাক ছোলা আমদানি হতো। বর্তমান রমজানকে ঘিরে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ট্রাক ছোলা বুট আমদানি হচ্ছে। যার কারণে খুচরা বাজারে কমে গেছে ছোলার দাম।

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে এই বন্দরে ছোলা আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুল্কমুক্ত ভাবে পণ্যটি আমদানি হচ্ছে। যেহেতু রমজান মাস চলে এসেছে, সেহেতু আমরা কাস্টমসের সকল কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পূর্ণ করে পণ্যটি ছাড়করণ করা হচ্ছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা দেশের বাজারে নিত্যপণ্যগুলো সরবরাহ করতে পারছেন।


আরও খবর

ফল আমদানিতে কমল শুল্ক-কর

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




বাংলাদেশে নারীদের আত্মহত্যার হার দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার প্রবণতা কমছে। সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি নানা উদ্যোগের কারণে এ প্রবণতা নিম্নমুখী। কিছুটা কমলেও বাংলাদেশে আত্মহত্যার হার এখনও তুলনামূলক অনেক বেশি। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আত্মহত্যাপ্রবণ দেশ। বয়সভিত্তিক আত্মহত্যার প্রবণতায় দেখা গেছে, ১০ থেকে ২৯ বছর বয়সী নারীর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ আত্মহত্যার হার বাংলাদেশে।

বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেটের এক নিবন্ধে এমন চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে ১৯৯০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকরা ২০৪টি দেশের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেছেন। বৈশ্বিকভাবে ১৯৯০ সালে প্রতি লাখ মানুষের মধ্যে ১৪ দশমিক ৯ জন আত্মহত্যা করতেন। ২০২১ সালে দেখা গেছে, এক লাখ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যা করছেন ৯ জন। ভৌগোলিকভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোয়। প্রতি লাখ মানুষে ১৯ দশমিক ২ জন আত্মহত্যা করে থাকেন।

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আত্মহত্যাপ্রবণ দেশ। ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় আত্মহত্যার হার প্রতি লাখে ১১ দশমিক ৪ জন, যা বৈশ্বিক গড়ের (৯ দশমিক ০) চেয়ে বেশি। নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার পুরুষের তুলনায় কম হলেও, এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বয়সভিত্তিক আত্মহত্যার প্রবণতায় দেখা গেছে, ১০ থেকে ২৯ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ আত্মহত্যার হার বাংলাদেশে। ৩০ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীর আত্মহত্যার হারও আশঙ্কাজনকভাবে বেশি। বয়স্কদের মধ্যেও আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে।

প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আত্মহত্যা একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা, যা সঠিক নীতিমালা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, সচেতনতা ও আইনি সংস্কারের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




তারা আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো: দিতির মেয়ে লামিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

শেখ ফরিদ :

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দিয়াপাড়া এলাকায় নানার বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে বিচার শালিশে মামীর লোকজনের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী দিতি ও সোহেল চৌধুরী কন্যা লামিয়া চৌধুরী। আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

লামিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আম্মা মারা যাওয়ার পর প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবারে কাজিনদের নিয়ে আমি নারায়ণগঞ্জে যাই। ওখানে আমাদের আত্মীয়স্বজন থাকেন। ওদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আসি। আজও গিয়েছিলাম। আসার পরই সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হই। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁতে আমাদের পৈতৃক জায়গা দখল করার চেষ্টা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। সেই টার্গেটে আমি যাওয়ার পর দলবল সন্ত্রাসীরা আসে। ওদের হাতে অস্ত্র ছিল, আমাদের মারার জন্য। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। আমার পা ভেঙে ফেলেছে। আমার ফোনও কেড়ে নিয়েছিল। আমার ওড়না টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে। আমি অনেক ভয় পেয়ে গেছি। এরপর আমি গাড়িতে উঠে গেছি।

লামিয়া বললেন, ‘আমার মা–বাবা মরে গেছে। ওরা আমাদের জায়গাজমি দিয়ে গেছে। কিছুই ভোগ করতে পারি না। চারদিক থেকে লোকজন সব দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমার ভাই দেশে নেই। আমি সবকিছু একাই হ্যান্ডেল করতেছি। এ কারণে সবাই এভাবে আমার পেছনে লেগেছে। কত বছর ধরে আমার জীবনে এসব চলছে, বলে বোঝাতে পারব না। আমার জীবন হুমকির মুখে। আমি একা, সন্ত্রাসীরা এসব বুঝে গেছে।’


দিতির বড় ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার দুপুরে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শারমিন প্রিতি স্থানীয় উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন,সিনিয়র সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম টিটু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দীন,সোহেল,জাহাঙ্গীর সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ আমাদের বাড়ী সার্ভে করে জোরপূর্বক পিলার বসায়।এসময় আমরা বাঁধা দিলে বিএনপি নেতাদের সহযোগিতায় আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সারমিন প্রিতি ও তার সঙ্গিয় বাহিনী আমার বোন দিতির মেয়ে লামিয়ার ওপর এবং আমাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে এবং লামিয়ার গাড়ী ভাংচুর করে।এসময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় প্রাণ বাঁচাতে লামিয়া গাড়ী নিয়ে চলে যায়।



এদিকে লামিয়া আক্তারের মামী ও চিত্র নায়িকা দিতির ভাই টিপু সুলতানের স্ত্রী শারমিন আক্তার প্রীতি জানান, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমার ওয়ারিশান সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে। লামিয়া শেখ মারুফের রক্ষিতা হয়ে আমার সম্পত্তি জোরপূর্বক আত্মসাত করে রেখেছে। আমি সমাজের লোকজন ডেকে বিচার শালিস করে আমার স্বামীর সম্পত্তি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলে লামিয়া  ঢাকা থেকে তার বন্ধুদের নিয়ে এসে আমার উপর হামলা চালায়। আমি হাসপাতালে ভর্তি আছি।


সোনারগাঁ থানার ওসি এম এ বারী জানান,  এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। পরে জানতে পারি বিষয়টি চিত্র নায়িকা দিতির পারিবারিক বিষয়।


আরও খবর



১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ড বিক্রির তারিখ নির্ধারণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকে আগামী মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ১০ বছর মেয়াদি গভর্নমেন্ট ট্রেজারি বন্ড বিক্রির নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে মঙ্গলবার ১০ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ট্রেজারি বন্ড বিক্রির নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এ নিলামে ১০ বছর মেয়াদি ৪ হাজার কোটি টাকা অভিহিত (লিখিত) মূল্যের বন্ড ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের জন্য বার্ষিক কাট অব ইয়েল্ড হারে কুপন বা মুনাফা ষাণ্মাষিক ভিত্তিতে পরিশোধ করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরো জানায়, নিলামে শুধু সরকারি সিকিউরিটিজের প্রাইমারি ডিলারের ভূমিকায় নিয়োগ পাওয়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিড করতে পারবে। তবে অন্যান্য ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানও নিজস্ব খাতে তাদের ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী গ্রাহকদের জন্য প্রাইমারি ডিলারের মাধ্যমে নিলামে বিড করতে পারবে।

অভিহিত (লিখিত) মূল্যে প্রতি ১০০ টাকা মূল্যের বন্ড ক্রয়ের জন্য কাঙ্ক্ষিত প্রাইস ও বন্ড ক্রয়ের পরিমাণ উল্লেখ করে নিলামে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত এফএমআইর মাধ্যমে বিড দাখিল করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।


আরও খবর

ফল আমদানিতে কমল শুল্ক-কর

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




টানা ৩ দিন ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশের বেশকিছু অঞ্চলে আগামী ৩ দিন অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এরমধ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পরদিন শুক্রবার একই সময় পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া আগামী শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহীর বাঘাবাড়ী, যশোর ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অবস্থায় বর্ধিত ৫ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫