Logo
শিরোনাম

৫৮ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, বিস্তৃত হতে পারে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image


ডিজিটাল ডেস্ক:


কয়েকদিনের বিরতির পর আবার দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়েছে তাপপ্রবাহ। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে ৪৮ ঘণ্টার সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


 জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে ওই বার্তায় জানানো হয়েছে।


আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, সারাদেশে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে ৪০ ডিগ্রিতেই ওঠানামা করবে। বুধবার সন্ধ্যার বুলেটিনে বলা হয়, পাবনা, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।


এর বাইরে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বাকি অংশে।


এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার আভাসও এসেছে পূর্বাভাসে।



আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কারই হবে বড় সংস্কার

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, যে যন্ত্রপাতি দিয়ে শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছে, সেই যন্ত্রপাতি অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সংস্কার করতে। নানা কারণে মানুষের মিছিল, জনতার মিছিল হতেই পারে। সেখানে টিয়ারগ্যাস মারতে পারেন, লাঠিচার্জ করতে পারেন। কিন্তু মিঠিলের আওয়াজ শোনা মাত্রই শর্টগান দিয়ে পাখির মতো গুলি করবেন। গত ১৭ বছরে বিএনপির কত মানুষ অন্ধ হয়েছে, কত মানুষের পা চলে গেছে, কত মানুষের হাত চলে গেছে, কত মানুষ খোড়া হয়েছে। এগুলো নিষিদ্ধ করতে হবে। নতুন করে ডেলে সাজাতে হবে পুলিশকে। তাহলেই হবে সবচাইতে বড় সংস্কার। মানুষের আহারের নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং বিচার বিভাগের সত্যিকারের স্বাধীনতা দিতে হবে। এর চাইতে বড় আর সংস্কার আর হতে পারে না। আর এগুলো সংস্কারের জন্য বেশি সময়ের প্রয়োজনের হয় না। তাছাড়া সংস্কার তো একটা ধারাবাহিকতা চলমান প্রক্রিয়া। একটা বন্ধ রাখবেন আর একটা করবো,এভাবে হয়না।

মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ১ যুগপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেছেন, আপনারা সংস্কার করবেন, করুন। আপনারা এমন সংস্কার করুন, যাতে আর কোন দিন ফ্যাসিবাদের উত্থান না হয়। সেই ধরনের একটা দৃষ্টান্ত আপনারা স্থাপন করুন। তা-না হলে তো তারা নানা ভাবে মাথাচাড়া দিবে। এখনো চালের দাম কমেনি। চাল তো কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। হয়তো সবজির দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। এক চালের দাম না কমানোর কারণে, দুর্ভিক্ষ হওয়ার কারণে শেখ মুজিবের পাহার সমান জনপ্রিয়তা একবারে ধূলায় লুটিয়ে গেলো। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, সিন্ডিকেটবাজদের ধরতে হবে, অপরাধীদের ধরতে হবে, তাদেরকে আইনের মধ্যে আনতে হবে এবং সমাজের মধ্যে একটা স্বস্তি আনতে হবে।

রুহুল কবীর রিজভী আরও বলেন, ১৫ আগস্টের মর্মাহত মৃত্যু হলো কিন্তু মানুষ ইন্নানিল্লাহ পড়লো না। এটা আওয়ামী লীগ কোনদিন বিশ্লেষণ করেনি। যে আমার বাবার রাজত্ব্যে বাংলাদেশ ভালোমতো চলেনি। যদি দুর্ভিক্ষের সময় মানুষ গাছের পাতা চিবিয়ে খায় আর একি সময়ে ৩২ নম্বরের ধানমন্ডিতে সোনার মুকুট পড়ে ভাইয়ের বিয়ে হয়। তাহলে মানুষ এটা ভালো ভাবে নিবেনা। এই বোধ আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার ছিলনা। যদি এই বোধ তাদের থাকতো, তাহলে আবার তারা দ্বিতীয় বাকশাল তৈরি করতে পারতো না। গোটা দেশকে বন্দিশালায় পরিণত করতে পারতো না।

জেলা জিয়া স্মৃতি পাঠাগার জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মো.জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মো.রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস.এ জিন্নাহ কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রফেসর রোবায়েত ফেরদৌস ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গোলাম হাফিজ কেনেডিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ঘন কুয়াশা থাকলেও শীত কম ঢাকায়

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে রাজধানীর আকাশ। রবিবার ভোর থেকেই তীব্র কুয়াশায় ছেয়ে গেছে পুরো শহর।তবে ঘন কুয়াশা থাকলেও ঢাকায় শীতের তীব্রতা অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম অনুভূত হচ্ছে।

গত কয়েক দিনে দেশের রংপুর বিভাগ ছাড়া অন্যান্য স্থানে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বেড়েছে। এতে করে শীতের অনুভূতিও অনেকটাই কমে গেছে। রাজধানীতে বেড়েছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। গত দুদিনে ঢাকার তাপমাত্রা বেড়েছে সাড়ে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারা দেশে কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। এই ঘন কুয়াশা কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, আগামী দুদিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোম বা মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।

শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়। ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপি-জামায়াত মতভেদ বাড়ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

২০২৪ সালে রক্তঝরা জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে এ আন্দোলনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ছিল অন্যতম সহসংগ্রামী।

গত ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন হটাতে জেল-জুলাম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এ দুদলের নেতাকর্মীরা। এ দুদলের ছাত্র-তরুণরা বিপুল ত্যাগ শিকার করেছেন হাসিনা সরকারকে গদিছাড়া করতে। তারা হয়েছেন হত্যা ও গুমের শিকার। তাদের ও দেশবাসীর আশা ছিল আন্দোলনের শক্তিগুলো ঐকমত্য থেকে দেশকে গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে এগিয়ে নেবে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আইনের শাসন পরিপন্থি কাজ এবং সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জেঁকে বসা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এখন বাস্তবতা বলছে অন্য কথা। জাতীয় নির্বাচন আগে নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে—এই প্রশ্নে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রবল দ্বিমত। এ প্রশ্নে দল দুটির নেতারা কার্যত বিপরীতমুখী অবস্থান নিচ্ছে ক্রমেই। যা এখন দেশবাসীর সামনে পরিষ্কার।

ভোটবর্জনের ঘোষণা দিতে পারে বিএনপি

জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় নির্বাচন চায় না বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের পেছনে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর কূটকৌশল রয়েছে। এতে সুবিধা পাবে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল। এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিলে ভোটবর্জনের মতো সিদ্ধান্তও নিতে পারে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো।

এদিকে এলজিআরডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জানা গেছে, নির্বাচন নিয়ে সরকারের এমন অবস্থানের পক্ষে নয় বিএনপি। নীতিনির্ধারণী ফোরামে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনাও করেছে দলটি। সিদ্ধান্ত হয়েছে শেষ পর্যন্ত সরকার স্থানীয় নির্বাচন করলে সমর্থন দেবে না বিএনপি। এমনকি আসতে পারে ভোটবর্জনের মতো ঘোষণাও। বিষয়টি নিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় নির্বাচনকে আমরা মেনে নেব না। জনগণের প্রথম দাবি রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সরকার।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনির্বাচিত এরশাদ সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের খারাপ নজির রয়েছে। সেই উদাহরণ টেনে বিএনপি নেতারা বলছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের নামে অহেতুক সময়ক্ষেপণ করা হবে। এর পেছনে রয়েছে সমন্বয়কদের নতুন রাজনৈতিক দলকে শক্তিশালী করার কূটকৌশলও।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বলেন, এদের (সরকার) মূল লক্ষ্য নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া। অন্যদিকে, ছাত্রদের সমন্বয়ে যে দল হচ্ছে তাদের সময় দেওয়া; যাতে তারা গুছিয়ে নিতে পারে। তাদের তো কোনো ক্যাডার নেই। তারা ভাবছে, একবার স্থানীয় সরকার নির্বাচন করে দিলে চেয়ারম্যান, মেম্বার এরাই তাদের ক্যাডার হবে। এরাই তাদের দলকে ধরে রাখবে। এই উদ্দেশেই তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলে। এর বাইরে কোনো মহৎ উদ্দেশ্য নেই। ক্ষমতা যতদিন পারা যায় বিলম্বিত রাখা যায়, সেই উদ্দেশেই এমন কথা বলছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। একটি নির্বাচন করতে তিন চার মাস সময় লাগে। উপজেলা, পৌসভা বা সিটি করপোরেশনে আরো সময় লাগে। এক্ষেত্রে এই নির্বাচনের জন্য এত দীর্ঘসময় তো নেই।

বিএনপি জোটের শরিক নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নাও স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এরশাদ আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করাই ছিল পার্টি বানানোর ধান্দা। এরকম সন্দেহ তো সবার ভেতরে ভেতরে। সরকারকে এই প্রশ্নে পড়তে হবে কেন? যদি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন (জাতীয় নির্বাচন) করা যায়, তাহলে সেটি (স্থানীয় নির্বাচন) পরে হবে। এই বিবেচনায় আমি মনে করি, এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন দরকার নেই।

যদিও মাহমুদুর রহমান দাবি করেন, জনগণের সেবার জন্য স্থানীয় সরকার প্রয়োজন। তবে রাজনৈতিক সরকারের অধীনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে তিনি। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর শীর্ষ নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল কাজ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা।

সংস্কার শেষে নির্বাচন চায় জামায়াত

এক যুগ পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে ‘জরুরি সংস্কার’ সেরে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পূর্ণ করে, নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু করতে যেটুকু সংস্কার লাগে সেটুকুই করুক সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনে সমর্থন রয়েছে জামায়াতের। তিনি বলেন, কমিশনকে আমরা পরামর্শ দিয়েছি, জনগণের আকাঙ্ক্ষা, জনগণ চায় স্থানীয় নির্বাচন আগে হোক। আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন ও সম্মান জানাই।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে জামায়াত সেক্রেটারি ছাড়াও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, প্রকাশনা ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মজলিসে শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসূফ আলী, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, পূর্বের তিনটি নির্বাচনে জনগণ যে ভোট দিতে পারেনি, সেই নির্বাচনেরই পুনরাবৃত্তি ঘটবে যদি সংস্কার সঠিকভাবে না হয়। এ দেশের জনগণ ২ হাজার ছাত্র-জনতার জীবন, ৩০ হাজার আহত জনতার রক্ত বৃথা যেতে দেবে না। এ জন্য আমরা বলেছি, সংস্কার সম্পূর্ণ করে, নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু করতে যেটুকু সংস্কার লাগে সেটুকু করুক। আমরা পুরো রাষ্ট্রের সংস্কারের কথা বলিনি। অনেকে এটা নিয়ে ভুল বোঝার চেষ্টা করেন। এটা (সংস্কার) করতে গেলে সময় লাগে, এটা সরকারের দায়িত্ব বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে গেলে যে সংস্কারটুকু ন্যূনতম প্রয়োজন, তার জন্য যতটুকু সময় যৌক্তিক প্রয়োজন, জমায়াতে ইসলামী সে সময় দিতে প্রস্তুত। আমরা কোনো দিন, মাস, ক্ষণ বেঁধে দিইনি। সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য ‘যৌক্তিক সময়’ নিয়ে জামায়াতে ইসলামী বরাবরই আগের অবস্থানে রয়েছে বলে জানান সেক্রেটারি জেনারেল।

ডিসেম্বর ধরে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, গভর্মেন্ট একটি টেনটেটিভ আইডিয়া দিয়েছে। তারা যদি তাদের ঘোষিত সময়ে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণ শেষ করে নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার করতে পারেন তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। মাস আমাদের কাছে ফ্যাক্টর নয়। সংস্কারটা পূর্ণ করে নির্বাচন ফেয়ার হবে কিনা, সেটার জন্য যে মাস লাগে তাতে আমরা প্রস্তুত আছি।

সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১(এ) অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল দাবি করা হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশে এ ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছিল।’

‘প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত, সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছর পূর্ণ না হলে নির্বাচন নয়- এমন বিধানের সুপারিশ করা হয়েছে।’

ডিসেম্বর ধরে ভোটের প্রস্তুতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা বলেছি, সরকার একটি টেনটেটিভ আইডিয়া দিয়েছে। তারা যদি তাদের ঘোষিত সময়ে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণ শেষ করে নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার করতে পারেন, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। মাস আমাদের কাছে ফ্যাক্টর নয়। সংস্কারটা পূর্ণ করে নির্বাচন ফেয়ার হবে কিনা, সেটা জন্য যত মাস লাগে আমরা প্রস্তুত আছি।’

এ জামায়াত নেতা জানান, প্রস্তাবনার মধ্যে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর); আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব হারের নির্বাচনব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্বের ৬০টি দেশে এ ব্যবস্থা চালু রয়েছে।

‘পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত রেখে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এ ব্যবস্থা দরকার বলে আমরা সুপারিশ করেছি।’

অনিয়মের জন্য ভোট আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ বাতিলের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার বিষয়েও সুপারিশ রয়েছে জামায়াতের।

তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ৯১(এ) অনুচ্ছে পুনর্বহাল দাবি করা হযেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশে এ ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছিল।’

প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত, সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছর পূর্ণ না হলে নির্বাচন নয়- এমন বিধানের সুপারিশ করা হয়েছে।

শর্ত পূরণ না হওয়ার যুক্তি দিয়ে এক রিট মামলার রায়ে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্ট। তাদের জন্য বরাদ্দ মার্কা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের তালিকা থেকে বাদ দেয় নির্বাচন কমিশন।

জামায়াত আপিল বিভাগে গেলেও ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে দলটির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করা হয় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে। গত ২০ অক্টোবর তা পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। ফলে দলটির নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার আশা তৈরি হয়।

সেই প্রসঙ্গ ধরে এক প্রশ্নে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, নিবন্ধনের বিষয়ে তারা আদালতে ‘ন্যয়বিচার’ পাবেন বলে আশা করছেন। তিনি বলেন, ‘নিবন্ধন আইনে এত কঠিন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এ কঠিন শর্ত পূরণ করে (নিবন্ধন করা) রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। এ আইনটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা বাতিল করতে হবে। দল ও রাজনীতি করার অধিকার সবার।’ এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘নিবন্ধনের কোনো প্রয়োজনই নেই। দল হলেই নির্বাচন (করবে)। ২০০৮ সালের আগে নিবন্ধন আইনই ছিল না। এসব করে রাজনৈতিকভাবে দল ও রাজনীতি করার অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। এ আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মিটার ছাড়াই চলবে সিএনজি

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), তা থেকে সরে এসেছে সংস্থাটি।

ফলে এখন থেকে রাজধানীতে মিটার ছাড়াই চলবে সব সিএনজিচালিত অটোরিকশা। বিআরটিএর এ পদক্ষেপে নিজেদের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ট্রাফিক পরিস্থিতি।

রবিবার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভের মুখে মিটার মামলায় জরিমানার সিদ্ধান্ত বাতিলের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানিয়েছেন, ফোর স্ট্রোক থ্রি-হুইলার যানসম্পর্কিত বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যু করা সাম্প্রতিক নির্দেশনাটি আজ বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হলো এবং অবরোধ প্রত্যাহার করে যান চলাচলে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো।

এদিন সকাল থেকেই রামপুরা, মিরপুর-১৪ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অবরোধ করে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন বিক্ষুব্ধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা।

এতে অনেক জায়গায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ফলে তীব্র যানজটে নাকাল হয়ে পড়ে রাজধানী। ভোগান্তির শিকার হন অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কয়েক মাস ধরে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামা করছে। জানুয়ারির শুরুতে এটি ২১ বিলিয়ন ডলার ছুঁলেও আকু বিল পরিশোধের পর তা ১৯ বিলিয়নে নেমে আসে। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নির্ধারিত হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পৃথক হিসাবে মোট রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।

২৯ জানুয়ারি বিপিএম-৬ অনুসারে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে মাত্র ছয় দিনে বিপিএম-৬ মান অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়েছে ২৩ কোটি ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা প্রকাশ করা হয় না; শুধু আইএমএফকে সরবরাহ করা হয়। সূত্রমতে, সেটি বর্তমানে ১৫ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি পৃথক হিসাব সংরক্ষণ করে। প্রথমটি মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ সমগ্র রিজার্ভ, যার মধ্যে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তের ঋণসহ বিভিন্ন তহবিল অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয়টি হলো, আইএমএফের হিসাবায়ন পদ্ধতি। এটি বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে একটি তহবিল। এর বাইরে হিসাবটি ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল। তখন বৈদেশিক ঋণ এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ থাকায় এবং বিভিন্ন উৎস থেকে ডলার সংযোজন হওয়ায় রিজার্ভের ধারা ইতিবাচক হয়েছে।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫