Logo
শিরোনাম

৬ ঘণ্টা স্কুলের টয়লেটে আটকা, তালা ভেঙে উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image



শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:



মাদারীপুরে স্কুলের টয়লেটে আটকা পড়ে প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। ৬ ঘণ্টা বাথরুমে আটকে থাকার পর সন্ধ্যায় তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়। 


গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর পাঁচখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাফিন হোসেন (৭) পাঁচখোলা ইউনিয়নের মৃত নুরুল হকের ছেলেএতটা সময় আটকে থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে কোমলমতি ওই শিক্ষার্থী। তাকে জেলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


একাধিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলে যায় রাফিন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে টয়লেটে যায় সে। শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষা থাকার কারণে সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল ছুটি হয়ে যায়। ছুটির ঘণ্টা পড়লে সব শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে যায়। পরে স্কুলের দপ্তরি খোকন খান শ্রেণিকক্ষ ও টয়লেটের দরজা তালাবদ্ধ করে চলে যান। এতে আটকা পড়ে রাফিন।  



বের হতে না পেরে অঝোরে কাঁদতে থাকে রাফিন। এক পর্যায়ে চিৎকার করে সাহায্য চাইতে থাকে। কিন্তু দরজা-জানালা সব বন্ধ থাকায় রাফিনের কান্না ও চিৎকার স্কুলের বাইরে কারও কান অবধি পৌঁছায়নি। 


এদিকে স্কুল ছুটির পরও রাফিন বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া এক পথচারী শুনতে পান তালাবদ্ধ স্কুলের ভেতর থেকে শিশুর কান্নার শব্দ ভেসে আসছে। 


তিনি দৌড়ে স্কুলের কাছে ছুটে যান। টয়লেটের ভেতর একটি শিশু আটকা পড়েছে বুঝতে পেরে তালা ভেঙে রাফিনকে উদ্ধার করেন।  ঘটনাটি পরদিন শুক্রবার (১৭ মে) বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।


মাদারীপুর সদরের ৯ নম্বর পাঁচখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। এই ঘটনা কেউ ইচ্ছাকৃত করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুন বলেন, ‘কেন এমন ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এই ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের সঙ্গে এমন ঘটনা কাম্য নয়।’


মাদারীপুর জেলা শিশু একাডেমির কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এমন ঘটনা ১৯৮০ সালের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ছুটির ঘণ্টা মতো হতো পারতো! বিষয়টি দুঃখজনক ও কষ্টদায়ক। এই ঘটনার দায় প্রধান শিক্ষক, দপ্তরি—কেউই এড়াতে পারেন না। তাদের সবার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি নিয়মিত মামলা হওয়া উচিত।’


আরও খবর



চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আমরা চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। বলবেন- তার প্রমাণ কি আপনারা যে পারবেন? তার প্রমাণ হচ্ছে আমাদের দলের কর্মীরা চাঁদাবাজিও করে না, দখলদাবাজিও করে না বলে মন্তব্য করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াতে আমির বলেন, নারী-পুরুষের ব্যবধান এনে আমাদেরকে বলে- জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে এদেশের মানুষ বিপদে পড়বে। মহিলারা মায়ের জাতি, আমরা তাদেরকে মায়ের মতো সম্মান করি। যারা সন্তুষ্টির সঙ্গে বোরকা পরতে চাইবেন, তারা পরবেন। অন্যান্য ধর্মের মায়েদের আমি কীভাবে বোরকা পরাবো? ইসলাম কি আমাদের এই দায়িত্ব বা অধিকার দিয়েছে? কোনোটাই দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, তারা যা পছন্দ করবেন, তাই পরবেন। পোশাকের ব্যাপারে জোর খাটানো যাবে না। নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আল্লাহর আইন সবার জন্য সমান। আমরা সেই আইনের জন্য লড়াই করছি। আমি মানুষকে মানুষের মর্যাদা দিব। যদি প্রত্যেকটা মানুষ মানুষকে সম্মান দেয়, ভালোবাসে। তাহলে এই দেশ জান্নাতের টুকরোয় পরিণত হবে।

শফিকুর রহমান বলেন, এই রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সম্পদ, ইজ্জত ও জীবন সম্পূর্ণ নিরাপদ। এদেশের সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে ও নিরাপত্তার সঙ্গে পালন করতে পারবে। ধর্ম পালনে কোথাও বাধার সম্মুখীন হবে না।

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা উপহার দেব, যাতে এ দেশের যুবক-যুবতীদের সার্টিফিকেট নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে না ঘুরতে হয়। কাগজের টুকরো নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে দৌড়াদৌড়ি করা লাগবে না। পড়াশোনা শেষে চাকরি বা কাজ পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। যুবক-যুবতীদের প্রতিটি হাতকে দেশ গড়ার কারিগরের হাত হিসেবে তৈরি করতে চাই। এ দেশের মানুষ আর বিশ্বে চাকরির জন্য যাবে না। এর আগে বিশ্ব থেকে এদেশে চাকরি করতে আসতো। সেই গৌরব ফিরে পাব ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, যারা ধর্মের বিভাজন তৈরি করে মেজোরিটি মাইনোরিটি দিয়ে তারাই ৫৩ বছর আপনাদেরকে কষ্ট দিয়েছে। আমাদের দলের কেউই এসব অপকর্মে জড়িত নাই। অথচ দোষ দেন আমাদের ঘাড়ে।

শফিকুর রহমান বলেন, যেই সমাজে চাঁদাবাজি-ঘুষখোর থাকবে না, যেই সমাজে দখল বাণিজ্য চলবে না, মানুষে-মানুষে ধর্মে-ধর্মে বৈষম্য থাকবে না। সেই সমাজ গড়ার জন্য লড়াই করতে হবে। আমর সেই লড়াই চালিয়ে যাব।

তিনি আরও, আমরা দুই দুইবার স্বাধীন হয়েছিলাম ৪৭ ও ৭১ এ। স্বাধীনতা লগ্নে যারা জাতিকে ওয়াদা করেছিলেন, যে সমস্ত অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার। তারা কেউ অধিকার ফিরিয়ে দেননি। তারা কথা রাখেননি। তারা জাতির সাথে বেইমানি করেছে। জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বিশেষ করে স্বাধীনতার পর এখনো পর্যন্ত, ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা এদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে নিজের তালুক মনে করতেন, চেতনার কথা বলে তারাই এ জাতিকে লুণ্ঠন করেছেন। গণহত্যা চালিয়েছেন, আকাম-কুকাম ধর্ষণের সেঞ্চুরি করেছেন। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছেন। গত সাড়ে ১৫ বছরের আমলে যার হিসাব বের হয়ে এসেছে ২৬ লাখ কোটি টাকা। যা বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেটের প্রায় পাঁচ গুণ। দেশে যেখানেই তাদের হাড়িতে হাত ঢুকছে সেখানেই টাকার খনি। এ টাকা এরা পেল কোথায়? তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পিয়নের ছিল সাড়ে চার শ কোটি টাকা। পিয়নের এতো টাকা হলে মালিকের কত টাকা?

জামায়াতের আমির বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প থেকে মালিকের পরিবার ৫৭ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। মেগা উন্নয়নের নামে মেগা ডাকাতি করা হয়েছে। একটা পদ্মা সেতু তৈরি করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে সেই খরচে কমপক্ষে চারটা পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত। তাহলে বাকি তিনটি গেল কোথায়। দেশের টাকা দিয়ে যারা বিদেশে বেগমপাড়া গঠন করেছেন তারাই এই টাকা চুরি করেছেন। কিন্তু চোরের মার বড় গলা। প্রত্যেকটা প্রকল্পে নিজেদের দলের লোককে কন্ট্রাক্টর নিয়োগ করেছে। আমি আর মামু মিলে কারবার চালাইছে। এভাবে তারা দেশটাকে ফুকলা করেছে। ব্যাংকগুলোকে শেষ করে দিয়েছে। ডাকাত এস আলমকে লেলিয়ে দিয়ে ভাগবাটোয়ারা করে ইসলামী ব্যাংককে শেষ করে দিয়েছে। এই ব্যাংকের টাকা চুরি করেছে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা। বাংলাদেশ তাদের ইনকাম সোর্সের জায়গা। আর তাদের কলিজা বিশ্বের অন্যান্য জায়গায়। তারা ও তাদের ছেলেমেয়ে বেগমপাড়ায় থাকে। তারা দেশকে ভালোবাসলে এই দেশেই থাকতো এবং এই দেশে অবদান রাখতো।

তিনি বলেন, এরা শুধু বিরোধী দল ও আলেম উলামাদের ওপর নির্যাতন করেনি। ১৮ কোটি মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে। ১৮ কোটি মানুষকে বেইজ্জতি করেছে, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। সিন্ডিকেট করে বাজারে অগ্নিমূল্য চালু করে দিয়েছিল। এই সরকার এখনো ভাঙতে পারেনি। সিন্ডিকেটের হাত বদল হয়ে গেছে। আগে যাদের কাছে ছিল, এখন আরেকদল সেটা তাদের হাতে তুলে নিয়েছে। এই সিন্ডিকেটের হাত ভেঙে দিতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের শোষণ চালানো যাবে না।

কর্মী সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারেক হোসেন, অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেম, অধ্যক্ষ খন্দকার এ কে এম আলী মুহসিন, কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, জেলা শিবিরের সভাপতি ইমরান খান প্রমুখ।

এই কর্মী সম্মেলনে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল নামে। সম্মেলন প্রাঙ্গণ ও আশপাশে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। খুব সকাল থেকে শীত উপেক্ষা করে মানুষের জমায়েত হয়। সম্মেলন স্থান ছাপিয়ে সড়কে মানুষের ঢল নামে। শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা দেয়।


আরও খবর



বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী, ৭০ ভাগই শিশু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শীত তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ। রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০-এর মতো শিশু। এমন অবস্থা যে, হাসপাতালের সামনে তাঁবু গেড়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ডায়রিয়া আক্রান্তদের।

মহাখালীর হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান গেটের পরই বড় করে টানানো হয়েছে তাঁবু। যদিও এখনো সেখানে বেড করার প্রয়োজন পড়েনি। হাসপাতালের প্রধান ভবনের শুরুতেই নার্সরা এন্ট্রি নিচ্ছেন এবং চিকিৎসকরা রোগীদের দেখভাল করছেন। এই দুই বুথে ভিড় লেগেই আছে সারাদিন। এর ভেতরেই ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ও বয়স্করা। আর আউটপেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ওপিডি) এ শিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে স্যালাইন।

ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ইমার্জেন্সি রুমের বেডে তিন বছরের শিশু মুসাকে নিয়ে শুয়ে আছেন তার বাবা মো. বিপ্লব হোসেন। তারা এসেছেন কেরানিগঞ্জ থেকে। দুদিন ধরে ছেলের মাঝে মাঝে পাতলা পায়খানা হচ্ছিল। শুক্রবার অনেক বেশি বেড়ে যায়, সঙ্গে জ্বরও আসে। এজন্য রাতেই তাকে নিয়ে আইসিডিডিআর, বিতে ছুটে আসেন তিনি।

পাশের আরেকটি বেডে ছেলে ইউসুফ আলীকে কোলে নিয়ে বসে আছেন মা শারমিন আক্তার। তারা এসেছেন জামালপুর থেকে। ছেলে ইউসুফ আলীর বয়স ১১ মাস। প্রায় ছয় দিন ধরে পাতলা পায়খানা ইউসুফের। জামালপুরে চিকিৎসক দেখানো হলেও লাভ হয়নি। তাই ঢাকায় নিয়ে এসেছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, তাকে স্যালাইন খাওয়াতে।

হাসপাতালে আগত শিশুদের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে নিয়ে গুরুতর না হলে কিছু সময় চিকিৎসা ও স্যালাইন খাইয়ে ও পরামর্শ মোতাবেক ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আইসিডিডিআর,বির তথ্য বলছে, শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৬৭ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। অন্যদিকে, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ৬৪৮ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসেন। ২০২৫ সালের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি চিকিৎসা নেন ৮৫০ জন।

এর আগে ২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর এ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৮৯১ জন, ২৯ ডিসেম্বর ৮২৬ জন, ৩০ ডিসেম্বর ৯১৩ জন, ৩১ ডিসেম্বর ৮৮৪ জন।

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসে গড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ২৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে গড়ে ৮৫০ থেকে ৯০০ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ৮০ শতাংশই শিশু।

আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ কমিউনিকেশন ম্যানেজার এ কে এম তারিফুল ইসলাম খান বলেন, প্রতি বছর শীত এলেই ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। বিশেষ করে নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই চার মাস রোটাভাইরাসের প্রভাব বেশি থাকে।

তিনি আরোা বলেন, আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি ৫০তম রোগীর টয়লেট পরীক্ষা করে দেখা হয়— ডায়রিয়ার কারণ ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়াজনিত। পরীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমান সময়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ রোগীর ডায়রিয়া হচ্ছে রোটাভাইরাসের কারণে। বাকি ৫০ শতাংশ অন্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার কারণে।



আরও খবর

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫




সহনীয় পর্যায়ে সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

গেল ২-৩ সপ্তাহ ধরে বাজারে কমেছে সবজির দাম। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে সবজির সরবরাহও বেড়েছে। নতুন টাটকা সবজিতে ভরে গেছে বাজার, ফলে কমেছে দামও ।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে দুই একটি সবজির এখন মৌসুম না হওয়ায় সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে। তারমধ্যে রয়েছে ঢেঁড়স, পটল, বরবটি। এগুলোর দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বড় সাইজের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, একইভায়াবে প্রতি পিস বাধা কপিও বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকায় ও পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি মুলা ২০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বিচি যুক্ত শিম ৬০ টাকা, সাধারণ শিম ৩০ টাকা, নতুন আলু ৪০ টাকা, নতুন লাল আলু ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর মহাখালী বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফরিদ আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে অন্যান্য জিনিসের তুলনায় সবজি কিনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হচ্ছে। কারণ বর্তমানে সবজির দাম কম যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছিল, সেই তুলনায় এখন সবজির দাম কম। আমরা চাই সবজির এমন দামের মতো বাজারে অন্যান্য পণ্য সাধারণ ক্রেতাদের এমন ক্ষমতার মধ্যে আসুক। তবে কয়েক বছর আগে শীতের সময় অর্থাৎ সবজির ফুল মৌসুমে সব ধরনের সবজির দাম আরো অনেক কম থাকতো, সে হিসেব করলে সবজির দাম আর আগের মত নেই। তবে কিছুদিন আগে সবজির চড়া দামের তুলনায় বর্তমানে সবজির বাজার কম যাচ্ছে।

রাজধানীর মগবাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা জয়নাল হক বলেন, বাজারে একেবারে কমে গেছে সবজির দাম, ক্রেতারা ব্যাগ ভরে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তবে দু একটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হয়, সেগুলোর দাম একটু বেশি। বাকি সব সবজির দাম অনেক কমে গেছে বাজারে। এছাড়াও বাজারে টাটকা সবজির সরবরাহও অনেক বেশি, যে কারণে দাম কম যাচ্ছে। পুরো শীতকালীন সময়ে সবজির দাম এমন কম যাবে। সামনে আরো কমতে পারে সবজির দাম।

সবজির দাম বিষয় কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে সবজি ঢাকায় আসছে প্রতিদিন। সব সবজি নতুন এবং টাটকা, আগের তুলনায় বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজির সরবরাহ হচ্ছে। যে কারণে বাজারে সবজির দাম কমে গেছে। কমপক্ষে আরো দেড় মাস সবজির দাম এমন কম থাকবে। এরপর থেকে কিছুটা বাড়তে শুরু করবে। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে সবজির দাম বর্তমানে যা যাচ্ছে, এর চেয়েও আরো অনেক কম দাম কারওয়ানবাজারে। যেকোনো ক্রেতা অন্যান্য বাজারের চেয়ে কারওয়ানবাজার থেকে আরো অনেক কম দামে সবজি কিনতে পারবে।

মাংসের দাম স্থিতিশীল : সবজির দাম কমার ধারাবাহিকতার সাথে স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের মাংসের দাম। তবে এতে ক্রেতাদের মধ্যে সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা যায়নি। বরং বর্তমান দামকে গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল উল্লেখ করে সরকারকে দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ ও মৌচাকের একাধিক বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

মুরগির পাশাপাশি অন্যান্য মাংসের ক্ষেত্রেও স্থিতিশীল অবস্থা দেখা গেছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকা দরে। এছাড়া কলিজা, হাড় ছাড়া মাংস আলাদা আলাদা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস প্রতিকেজি ১০৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল থাকলেও সার্বিকভাবে মাংসের দাম নিয়ে অসন্তোষ দেখা গেছে ক্রেতাদের মধ্যে। তারা বলছেন, বাজার স্থিতিশিল মানেই তা ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে না। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগির দাম স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়লেন শান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়বেন–এমন একটা গুঞ্জন চাউর হয়েছিল গেল বছরের মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু সেটা সত্যি হয়নি। আফগানিস্তান সিরিজেও শান্তই ছিলেন টাইগারদের অধিনায়ক। তবে দৃশ্যপট বদল হতে খুব একটা সময়ও নেয়নি। নতুন বছরের শুরুতেই জানা গেল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়কের পদটা ছেড়ে দিচ্ছেন শান্ত।

ক্রিকেটবিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজ তাদের এক খবরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু সেটা গুঞ্জন থেকে আর বাস্তব হয়নি। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শান্ত। নিজের ব্যাটিং নিয়ে আরও মনোযোগী হতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।

তবে এই দফায় আপাতত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দায়িত্ব থেকেই সরে আসছেন শান্ত। টেস্ট এবং ওয়ানডে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন। ক্রিকবাজ বিসিবির শীর্ষ এক কর্তাকে উদ্ধৃত করে জানায়, ‘শান্ত শেষ পর্যন্ত আমাদের জানিয়ে দিয়েছে সে আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়ক থাকছে না। আর আমরা সেটা মেনে নিয়েছি, কারণ আমাদের এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেই। তবে কোনো ইনজুরি সমস্যা না থাকলে নাজমুল টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে অধিনায়ক থাকবে। এই বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে।


আরও খবর



মেট্রোরেলের সময়সূচি পরিবর্তন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, মেট্রোরেল এখন থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে চলাচল করবে। ফলে বন্ধের দিন মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ল।

বুধবার মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত নতুন সময়সূচি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সময়সূচিতে জানানো হয়, আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে প্রতি শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টার পরিবর্তে ৩টা থেকে মেট্রো চলাচল করবে। সেই হিসেবে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন দুপুর ৩টায় ছাড়বে এবং সর্বশেষ ট্রেন রাত ৯টায় ছাড়বে।

অন্যদিকে মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে ছাড়বে এবং সর্বশেষ ট্রেন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে। উভয়দিকের চলাচলে প্রতি ট্রেনের মধ্যে বিরতি থাকবে ১০ মিনিট।

আরও জানানো হয়, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে শুক্রবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট থেকে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে একক যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে। একই সঙ্গে র‌্যাপিড পাস কেনা এবং এমআরটি বা র‌্যাপিড পাসে টাকা প্রবেশ করানো যাবে।

মেট্রোরেল চলাচলের অন্য সব কার্যক্রম আগের মতোই অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানানো হয়।


আরও খবর

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব

মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫