Logo
শিরোনাম

৬৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় পিরোজপুরের রেজিষ্ট্রি অফিসগুলোতে

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image


সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে জেলার ৭ উপজেলার রেজিষ্ট্রি অফিসগুলোর বিভিন্ন খাতসমূহ হতে রেকর্ড পরিমাণ ৬৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।


৭টি সাব রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে জুলাই ২০২৩ হতে ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত সমন্বিত আয়ের পরিমাণ হচ্ছে ৬৫ কোটি ৯৬ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭৫৪ টাকা। একই সময় এ জেলায় দলিল রেজিষ্ট্রি হয়েছে ২১ হাজার ২০৭টি। দলিল রেজিষ্ট্রেশন ফি বাবদ আদায় হয়েছে ৮ কোটি ৯২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৭৩ টাকা। দলিলের সহিমোহরী প্রদানে আয় হয়েছে ৫৯ লক্ষ ৪৮ হাজার ৭০৯ টাকা। এছাড়া প্রতিটি খাতেই গত অর্থ বছরের চেয়ে অধিক রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে। তল্লাশী ও পরিদর্শন ফি, দলিলে ব্যবহৃত ষ্ট্যাম্পের মূল্য, দলিল লেখকদের লাইসেন্স নবায়ন ফি, মূল্য সংযোজন কর, নকল সরবরাহে ব্যবহৃত ষ্ট্যাম্প, চালানে আদায়, নকলের আবেদন বাবদ কোর্ট ফি, হস্তান্তর নোটিশের উপর আদায়কৃত কোর্টফিসহ অন্যান খাতে ৫৬ কোটি ৪৩ লক্ষ  ৮৮ হাজার ২৭২ টাকা রাজস্ব আদায় করে সংশ্লিষ্ট কোড অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকে জমা করা হয়।


পিরোজপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা রেজিষ্ট্রার ও পিরোজপুর সদরের সাব-রেজিষ্ট্রার মোঃ হুমায়ুন বিন সিরাজ জানান, জেলার প্রতিটি সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে সেবা গ্রহীতাদের হয়রানীমুক্ত পরিবেশে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। মঠবাড়িয়া এবং ইন্দুরকানীতে সম্প্রতি আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ২টি সাবরেজিষ্ট্রি অফিস ভবন নির্মিত হয়েছে। রাজস্ব আয় বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক পান্না লাল রায় জানান, গত অর্থ বছরে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকা, গত ১৫ বছরে মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রবাসীদের মধ্যে জমি কেনার আগ্রহসহ বিভিন্ন কারণে জমি ক্রয়-বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর ফলে সরকারের রাজস্ব রেকর্ড পরিমাণ আদায় হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এখন আর অভাব-অনটনের কারণে কেউ জমি বিক্রি করে না। 


যারা জমি বিক্রি করেন তাদের অনেকে জমি বিক্রি করে বাড়ি নির্মাণ করেন বা ব্যবসা বাণিজ্যে অর্থলগ্নি অথবা নতুন করে পছন্দের জমি ক্রয় করেন। এসব কারণে দলিল রেজিষ্ট্রির সংখ্যা এবং সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে রাজস্ব আদায় ক্রমশ: বৃদ্ধি পাচ্ছে।


আরও খবর



হেফাজত ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন, ২০২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলন ও চব্বিশের ছাত্র-জনতার ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার বিচার এবং হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে দায়ের হওয়া সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ৩ মে (শনিবার) ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক।

তিনি জানান, আগামী ৩ মের ঢাকার মহাসমাবেশ ছাড়া আগামী জুন মাসে সব জেলা ও মহানগর প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় কনভেনশন করা হবে।

ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় খাস কমিটির এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানা গেছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী ও প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী প্রমুখ।

জানা গেছে, সভায় পরামর্শক্রমে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দল এদেশে ১৬ বছর মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে। বাংলাদেশের মাটিতে অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে আওয়ামী লীগ দল হিসেবেই সন্ত্রাস ও মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল। দেশে ঘুম, খুন, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল বলে সভায় দাবি করা হয়।

এদিকে, ২০০৯ সালের সন্ত্রাস দমন আইনে প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে এবং ১৯৭৮ সালের ‘দ্য পলিটিক্যাল পার্টিস অর্ডিন্যান্স’ অনুযায়ী সরকার চাইলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারবে।

এই দাবি আদায়ে দেশের স্বার্থেই সব মত-পথ ও ঘরানার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বলে জানান বক্তারা।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শহিদ স্মৃতি পাঠচক্র নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বারের মত শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। 

আজ ২৫ শে মার্চ (সোমবার) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদকে সভাপতি এবং সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাকসুদুল হাসান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৩৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।


মাভাবিপ্রবি শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র সংগঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টামণ্ডলীর সর্বসম্মতিতে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে উপদেষ্টা হিসাবে রয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সাহা, এফটিএনএস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার জাহান মলয়, সিপিএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, মো: আওরঙ্গজেব আকন্দ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রাজ্জাক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. আব্দুল হালিম, সহকারী রেজিস্ট্রার আজাদ খান ভাসানী।


সংগঠনের বাকি সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান সাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোছা. সুখী আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক অভিষেক চৌধুরী, মো. আশরাফুল ইসলাম, সাকিব আল হাসান রাব্বি, আশরাফুল আলম হৃদয়, কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল মিয়া, উপ-কোষাধ্যক্ষ 

মো. সজিব শেখ, দপ্তর সম্পাদক এস. এম. জাহিদ হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সমাপ্তী খান, গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. হৃদয় হোসাইন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. নাজমুল হাসান ভূঁইয়া, উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবিদ ফেরদৌস মিয়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নাইস আক্তার সারা, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদকমিজানুর রহমান ইমন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শুভ, কার্যনির্বাহী সদস্য, তুষার আহমেদ,অনিক ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান রাকিব, ইসরাত জাহান এ্যাথি, ইসরাত জাহান ঈশা, সাদিয়া জান্নাত, সিদ্দিক আল ছোয়াদ, মো. নাঈম ইসলাম, নুসরাত জাহান অর্পি, তাসনিম খান অয়োমী, সিফাত,নাসিমুল হাসনাত চৌধুরী আকিব, আমজাদ হোসেন, জিসান রহমান, ফারিয়া আক্তার, মো. ইমরান হোসেন, নোমান হাসান।


সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি তৌকির আহমেদ বলেন, "আজ শহিদ স্মৃতি পাঠচক্র, মাভাবিপ্রবি এর নির্বাহী কমিটি (২০২৪-২৫) এর যাত্রা শুরু হলো। এ কমিটি করার পিছনে আমাদের সম্মানিত উপদেষ্টা স্যারদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। ২০২৪ এর ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ আমাদের সংগঠনের উদ্ধোধনী যাত্রা শুরু করেছিলাম। প্রথম কমিটি আহ্বায়ক কমিটি করে যাত্রা শুরু করেছিলাম। বর্তমানে সংগঠনের পূর্ণ রূপ দিতে এবং নতুন নেতৃত্ব বের করে আনার জন্য এই নির্বাহী কমিটির প্রয়োজন। আমাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য হলো বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান চর্চা করা। সকলের মাঝে ইতিহাসে ঘটে যাওয়া শহিদদের ঘটনা নিরপেক্ষ ভাবে বিশ্লেষণ ও সঠিক তথ্য প্রচার করা। সত্যনিষ্ঠ গবেষণা ও আলোচনার মাধ্যমে সঠিক ইতিহাসের জ্ঞান বিস্তার করা। ইতিহাস ও সংগ্রামের শিক্ষাকে আধুনিক সমাজে স্থান দেয়া। আমি চাই, এ সংগঠন আজকের পর থেকে এভাবে ধারাবাহিকভাবে ধারা অব্যাহত রাখুক। সকল সদস্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের জ্ঞান ও বুদ্ধির চর্চায় এগিয়ে যাক।"

প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদুল হাসান বলেন, "জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে সত্যকে জানা এবং সত্যকে জানানোই আমাদের লক্ষ্য। এর দ্বারা সবার মাঝে যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করবে তা ভবিষ্যৎ সংগ্রামের জন্য উৎসাহ যোগাবে ইন শাহ আল্লাহ।

প্রসঙ্গত জ্ঞান, ভ্রাতৃত্ব, সংগ্রাম” এই মূলনীতিকে সামনে রেখে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে “শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র, মাভাবিপ্রবি”র অফিসিয়াল যাত্রা শুরু হয়েছে।"


আরও খবর



চীনের পাল্টা শুল্ক আরোপে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার (২ এপ্রিল) চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। পাল্টা জবাব হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর চীনও ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। আর এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প। চীনকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, চীন তার শুল্কের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে ‘ভুল খেলেছে।৪ এপ্রিল তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধস নেমেছে। আর এটিকে গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো ‘ধনী হওয়ার সুযোগ’ হিসেবে তুলে ধরেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বড় অক্ষরে লেখেন, ‘চীন ভুল খেলেছে, তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে — আর এর পরিণাম ভোগার মতো অবস্থায় তারা একদমই নেই!

বিশ্ববাজারে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ধস নামে। ফলে বিনিয়োগ এবং অবসরকালীন সঞ্চয় খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ হারিয়ে যায়। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সতর্ক করে বলেন, এই শুল্ক উচ্চতর মুদ্রাস্ফীতি এবং কম প্রবৃদ্ধি ডেকে আনতে পারে।

এশিয়া এবং ইউরোপের বাজারের ধসের ধারাবাহিকতায় ওয়াল স্ট্রিটে ব্যাপক পতন দেখা যায়। ডাও জোন্স সূচক ৫.৫ শতাংশ এবং এসঅ্যান্ডপি ৫.৯৭ শতাংশ কমে যায়।

ট্রাম্প ‘স্বাধীনতা দিবস’ ঘোষণা করে শুল্ক আরোপের পর থেকে এখন পর্যন্ত শুধু মার্কিন আর্থিক বাজারে ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে।

একসঙ্গে অনেক দেশের ওপর আমদানি শুল্ক আরোপের পর ট্রাম্প এ নিয়ে কোনো অনুশোচনাবোধ না দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘আমার নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও লিখেন, ‘এটি ধনী হওয়ার দুর্দান্ত সময়।

৭৮ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান নেতা মনে করছেন তার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি বিদেশি কোম্পানিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানি নয়, উৎপাদনে বাধ্য করবে। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি আরও লেখেন, ‘শুধু দুর্বলরাই ব্যর্থ হবে!

বড় কর্পোরেশনগুলো অপ্রস্তুত ছিল অবে তারা শুল্ক নিয়ে চিন্তিত নয় জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো শুল্ক নিয়ে চিন্তিত নয়। কারণ, তারা জানে তারা এখানে থাকবে।


আরও খবর



শেষ সময়ে ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট ঈদ বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, রাজাপুর ঝালকাঠি:

দোকানিদের হাঁকডাক আর ক্রেতাদের পদচারণায় শেষের দিকে জমে উঠেছে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ঈদ বাজার। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজন ও প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে নতুন কাপড় কিনতে সবাই ভিড় করছেন পোশাকের দোকানগুলোতে। তবে, গতবছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম একটু বেশি হওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের বাজেটে টান পড়ছে। পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি হলেও জুতা, কসমেটিকস, পাঞ্জাবি ও প্যান্টের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের কমতি নেই। বাহারি রং আর নকশার পোশাকে সেজেছে দোকানগুলো। ক্রেতারাও তাদের পছন্দের পোশাক খুঁজে নিতে ব্যস্ত।


শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজাপুরের তারাবিবি সুপার মার্কেট, স্কুল মার্কেট , উপজেলা মার্কেট সহ আশপাশের কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, শেষ দিকের কেনাকাটা সারছেন ক্রেতারা।


স্কুল মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, দোকানে রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। কেউ দামাদামি করছেন, কেউ পছন্দের পোশাক কিনে খুশি মনে বাড়ি যাচ্ছেন।


ঈদের কেনাকাটা করতে আসা শহরের বাইপাসের গৃহবধূ সেলিনা জানান, মার্কেটে স্বামীর জন্য শার্ট কিনতে এসেছি , কিন্তু দাম কাপড়ের মানের তুলনায় অনেকটাই বেশি।


সরকারি এক চাকরিজীবী এডভোকেট নুরুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি বিয়ে করেছেন তিনি; স্ত্রীকে ঈদের পোশাক কিনে দেওয়ার জন্য মার্কেটে ঘুরছেন তিনি। তবে দামে মিলছে না।


বিয়ের পর তো রেসপনসিবিলিটি বাড়ে, পোশাকের দামও বাড়ছে মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজেটে হচ্ছে না। দুই হাজারের মধ্যে কাপড় খুঁজছিলাম, পাচ্ছি না। দেখি অন্য কোথাও পাই কিনা।


লিমা  “সব জিনিসের দাম বেশি, এ কারণে আয়ে আর কুলাইতে পারি না। 


"নিজেদের জন্য কিছু কিনিনি। এবার মনে হয় মেয়ের জন্যও কিছু কিনতে পারব না। ফুটপাতে একবার দেখব।”


দোকানটির বিক্রেতা জালাল বলেন, এক বছরের ব্যবধানে অর্ধেকের বেশি ক্রেতা হারিয়েছেন তারা। আরও বলেন, পাবলিকের কাছে টাকা নাই৷ কাস্টমার আসছে, ঘাটাঘাটি করতেছে৷ আমাদের এখানে সারাজীবন একই দাম থাকে। ঈদের জন্য বাড়ছে, এমন হলেও একটা কথা ছিল। অ্যাবিলিটি আগের মত নেই, তাই চলে যাচ্ছে৷


অর্ধেক ক্রেতা হারানোর কথা জানালেন সোহেল ফ্যাশন হাউসের বিক্রেতা মো. সোহেল।


সন্তানদের জন্য ঈদের পোশাক কিনতে একটি দোকানে আসেন দিনমজুর হেনা বেগম। ২০ মিনিট যাচাই-বাছাই করেও বাজেটের মধ্যে মেয়ের জন্য একটি পোশাক কিনতে পারেননি তিনি। নাজমুলের ভাষ্যমতে, গতবার যে টাকায় নিজের জন্য, স্বামী ও তাদের ৮ বছরের মেয়ের জন্য কেনাকাটা করেছেন, এবার সেই টাকার পারবেন না। দ্বিগুণের বেশি টাকা খরচ হবে।


এদিকে মার্কেটের পাশাপাশি ফুটপাতেও সমান ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে কম দামে ভাল জিনিস কিনতে ফুটপাতে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের ক্রেতারা। জুতা, শাট, টি- শার্ট, পাঞ্জাবি, পাজামা, সানগ্লাস, ঘড়ি, আন্ডারগার্মেন্টসসহ সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতের বিভিন্ন অস্থায়ী দোকানে।


অন্যদিকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্রেতাদের মধ্যে নিরাপত্তার আশঙ্কা ছিল। তবে ঈদের কেনাকাটাকে ঘিরে কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মার্কেট কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০০

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০০-তে। ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানেই। আহত হয়েছেন সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩০০ জন।

গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভূমিকম্পটি মিয়ানমারসহ অন্তত আটটি দেশকে কাঁপিয়ে দেয়। প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সেখানে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। দুই দেশে হাজারো ভবন ধসে পড়েছে, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

দুর্যোগের তিন দিন পার হলেও উদ্ধারকাজ ধীরগতিতে চলছে। স্থানীয়রা দলবেঁধে জীবিতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালালেও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এত বড় দুর্যোগ সামাল দেওয়ার মতো সক্ষমতা মিয়ানমারের নেই।

বিদেশি সাহায্যকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন, তবে অবকাঠামোগত বিপর্যয় ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে তাদের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।

এরই মধ্যে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে মিয়ানমারে ৫.১ মাত্রার একটি পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যাতেও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তবে নতুন এই কম্পনে বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। মান্দালয়ের ২৫ বছর বয়সী হতেত মিন রয়টার্সকে জানান, তার স্বজনেরা ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছায়নি।


আরও খবর