Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত
দিনমজুর সেজে ক্লুলেস

৮ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি খালেকে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল ঃ

দিনমজুর সেজে ক্লুলেস ৮ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুল খালেক (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার  বিকেলে রূপগঞ্জের ইসলামবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার নিজের দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে খালেক। এসময় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আ. খালেক রূপগঞ্জ থানার ইসলামবাগ এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তার বেপারীর ছেলে।

জেলা পুলিশের উপ—পুলিশ পরিদর্শক (ইনচার্জ, আইসিটি এন্ড মিডিয়া) হাফিজুর রহমান জানান, আসামি আ. খালেকের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও ধর্ষণ এবং মাদকের একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। ঘটনাস্থলের পাশেই তার শশুর বাড়ি। শশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে সে এ শিশু ধর্ষণের মত জঘণ্য অপরাধ করেছে।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত বছর ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয় শ্রেণীর বাৎসরিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ভুক্তভোগী ওই শিশু বেড়াতে এসেছিল মামার বাড়িতে । সন্ধ্যায় মামির অনুরোধে পাশের দোকান থেকে শুকনা মরিচ কিনতে সমবয়সী মামাত বোনের সাথে গিয়েছিল সে । ওই সময় সেখানে দেখা হয় এক অপরিচিত মধ্যবয়সী আব্দুল খালেকের সাথে। সে জিগ্যেস করে জনৈক ব্যাক্তির বাড়ি চিনে কিনা। সাথে থাকা মামাত বোন চিনে বলে জানালে তাদের দু’জনকে বলে বাড়িটি দেখিয়ে দিতে। তারা খালেককে সাথে নিয়ে ওই বাড়ির সামনে যায়। সেখানে গিয়ে ওই ব্যাক্তি নতুন কৌশলে মামাত বোনকে বলে তুমি আগে দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখো পূর্ব পাশের ফ্লাটের দরজা খোলা আছে কিনা। সরল সহজ শিশুটি চলে যায় দ্বিতীয় তলায়। এ সুযোগে সে ভুক্তভোগী শিশুর মুখ চেপে জোর করে পাশের বাড়ির বসত ঘরের পিছনে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ভয়ভীতি দেখিয়ে ফেলে চলে যায়। এসময় শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকে সেখানে। অপরদিকে মামাত বোন এসে কার বোনকে এবং অপরিচিত সেই ব্যক্তিকে দেখতে না পেয়ে দৌঁড়ে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনদের জানায়। এরপর খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে পাওয়া যায় অনেকটা জ্ঞানহীন অবস্থায়। দ্রুত নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের সিসিইউতে। তিন মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউ, আইসিইউ এবং কেবিনে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কেটেছে সময়। চার ব্যাগ রক্ত লেগেছিল রক্ত শুণ্যতা কাটাতে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় থানায় মামলা হয় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে। কিন্তু অনেক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েও ঘটনার রহস্য এবং আসামি সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। শেষে মামলা চলে আসে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের কাছে। ডিবির চৌকস অফিসার এসআই মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান তদন্তভার গ্রহণ করে বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে সনাক্ত করেন মূল আসামিকে। ছদ্দবেশে দিন মজুরের বেশে কৌশল অবলম্বন করে ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে আসামি  আব্দুল খালেককে তার নিজ গ্রামের বাড়ি রূপগঞ্জের ইসলামবাগ এলাকার একটি মাঠ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতে উঠালে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধরায় জবানবন্দি দিয়েছে খালেক। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


আরও খবর



হজ গাইডদের সর্তক করলেন ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, সৌদি আরবে আপনার পরিচয় একজন হজ গাইড নয়। আপনার পরিচয় আপনি বাংলাদেশী। আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফুটে উঠবে। আপনার কারণে দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মান হানি যেন না ঘটে সেদিকে বিশেষভাবে সর্তক থাকবেন।

শনিবার (০৯ মার্চ) রাজধানী ঢাকার আশকোনায় হজ অফিসে সরকারি হজ গাইড প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সর্তকতা বার্তা দেন।

হজ পালনের ফজিলত তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক সুস্থ ও সামর্থ্যবান মুসলমান নর-নারীর উপর হজ আদায় করা ফরজ। ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হজের বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। প্রত্যেক হজযাত্রী যাতে সহীহ্ ও শুদ্ধভাবে হজ পালন করতে পারে সে বিষয়ে হজ গাইডদের সর্বদা সোচ্চার থাকতে হবে। হজ গাইডদের গাফলতির কারণে একজন হজযাত্রীর হজ পালনে বিঘ্ন ঘটে এর বর্তাবে হজ গাইডের ওপরেই।

হজ গাইডদের উদ্দেশ্যে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আপনাদেরকে দক্ষ হজ গাইড হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের প্রতিটি অধিবেশনে শতভাগ মনোযোগী থাকবেন। হজের নিয়ম কানুন, হুকুম-আহকাম ও ধারাবাহিক কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে প্রশিক্ষকদেরকে বারবার জিজ্ঞাসা করতে হবে। প্রশিক্ষণ যথাযথভাবে গ্রহণ করলেই আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, ইনশাল্লাহ।

ধর্মমন্ত্রী হজ গাইডদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনি হলেন আপনার দলের হজযাত্রীদের জিম্মাদার, পথ প্রদর্শক ও পরামর্শক। হজযাত্রীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। হজ যাত্রা শুরুর পর থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত নিজ দলের হজযাত্রীদের কাছে সার্বক্ষণিক অবস্থান করতে হবে। হজের আরকান-আহকাম এবং সফরের যাবতীয় বিষয়াদি সম্পর্কে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মো. ফরিদুল হক খান বলেন, দক্ষ হজ গাইড গড়ে তুলতে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন প্রশিক্ষণার্থীই যাতে পিছিয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ধীরে শেখে এমন প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।


আরও খবর



গাজায় ত্রাণ চাইতে আসা মানুষের ওপর হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ চাইতে আসা মানুষের ওপরও গুলি করেছে ইসরায়েলের সেনারা। ইসরায়েল বলছে, বেশির ভাগই ভিড়ের মধ্যে পদলিত হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু ওই ঘটনায় আহতদের নিরীক্ষা করে দেখা গেছে- তাদের মধ্যে ৮০ ভাগই গুলিতে জখম হয়েছেন। গতকাল এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ সর্বত্রই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এবার ত্রাণের আশায় যেসব মানুষ এসেছিল, তাদেরও গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচার চেয়েছে জাতিসংঘ। বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

ত্রাণপ্রত্যাশীদের ওপর গুলির ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৭৫০ জন। আল-আওদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সালহা এপিকে বলেছেন, ১৭৬ জন আহতের মধ্যে ১৪২ জনেরই গুলি লেগেছে। এর মধ্যে বাকি ৩৪ জন পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন। তবে নিহতদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি তিনি। কেননা, মরদেহগুলো গণনার জন্য সরকার পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রমজানের আগেই যুদ্ধবিরতি : আসন্ন রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি শুক্রবার এই আশাবাদ জানিয়েছেন। একই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আন্তর্জাতিক জোট আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে তুরস্কে রয়েছেন শৌকরি। সেখানে এক ভাষণে তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলতে পারি যে এই যুদ্ধের সব পক্ষ, অর্থাৎ আমরা সবাই ইতোমধ্যে সমঝোতার একটি পয়েন্টে পৌঁছাতে পেরেছি। আশা করছি, রমজানের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি হস্তান্তর শুরু হবে।

ইসরায়েলের হামলায় ৭ জিম্মি নিহত : গাজা উপত্যকায় অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এই নিহতদের মধ্যে ৪ জন ইসরায়েলি এবং ৩ জন বিদেশি নাগরিক। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হামাসের সামরিক বিভাগ আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা উবাইদা। কিন্তু উপত্যকার কোন এলাকায় এই ৭ জিম্মি নিহত হয়েছেন, তা বলেননি তিনি।

গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলবে যুক্তরাষ্ট্র : ইসরায়েলের নির্বিচার চলমান গণহত্যার মধ্যে দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা গাজাবাসীর জন্য বিমান থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার গাজা সিটির কাছে ত্রাণের জন্য ভিড় করা শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যুর পরদিন শুক্রবার বাইডেন এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। বাইডেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করবে। এদিকে ত্রাণ সংস্থা অক্সফাম বলেছে, গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ ফেলার বিষয়টি অক্সফাম সমর্থন করে না, এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তাদের বিবেকের দায় থেকে মুক্তি দিতে কাজ করবে, যাদের নীতি গাজায় চলমান নৃশংসতা এবং দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে অবদান রাখছে। এর পরিবর্তে ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা উচিত বলে মনে করে সংস্থাটি।


আরও খবর



জলদস্যুর কবলে লক্ষ্মীপুরের ক্যাডেট ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুবের বাড়ীতে শোকের মাতম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুরে কবলে পড়া জাহাজে থাকা বাংলাদেশী ২৩ নাবিকদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার ক্যাডেট আইয়ুব খান লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের রাখালিয়া গ্রামে। প্রায় ১ মাস আগে তার বাবা আজহার মিয়া মারা যান। এখনো গৃহকর্তা হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরিবারটি। এরমধ্যেই পরিবারের ছোট ছেলে সাগরে ডাকাতদের কবলে রয়েছে। এ শোকে আইয়ুবের মা হোমায়রা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। কিছুক্ষণ পর পরই ছেলেকে বুকে চেয়ে চিৎকার করে উঠেন। আইয়ুব বাবা তুমি কই বাবারে, কথা বলতে বলতে মূর্ছা যাচ্ছেন  ৬০ বছর বয়সী মা হুমায়ারা বেগম। হাতে তার মোবাইল ফোন। ফোনে রয়েছে ছেলের ছবি, আর চোখের কোণে অশ্রু। ইঞ্জিনিয়ার ক্যাডেট আইয়ুব খান এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে গত মঙ্গলবার সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সেসহ আরো ২২ নাবিক। তার উদ্বিগ্ন মা ছুটে চলেছেন আর কোন মানুষ দেখলে বলতে থাকেন আমার বাবা কি হয়েছে। বাবা আইয়ুব খান এসেছে? কাঁদছেন আর বলছেন, ‘আমার মানিক কোথায়? তারে আমার সামনে আনেন। আমি আমার মানিকরে বুকে নেব।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রোজার ইফতারের পর থেকে খবর পেয়ে মূর্ছা যান ইঞ্জিনিয়ার ক্যাডেট আইয়ুব খানের মা হুমায়ারা বেগম (৬০)। আইয়ুব খানের মা  হুমায়ারা বেগম বলেন, ‘আমরা যখন ইফতার করছিলাম, এর মাঝেই আমার ছেলে তার ভাই রাব্বীর সাথে ফোনে কথা হয় জাহাজটি সোমালিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’‘টাকা না দিলে মেরে ফেলবে’, শুনে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন আইয়ুব খান এর মাসহ পরিবারের সদস্যরা। মুক্ত করতে মালিকপক্ষের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে চলেছেন তারা।

আইয়ুব লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাখালিয়া গ্রামের বিরন বেপারী বাড়ির মৃত আজহার মিয়ার ছোট ছেলে। তিনি রাখালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও রামগঞ্জের ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া একাডেমি থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি থেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। প্রায় ১ বছর ধরে ইন্টার্নি করছে আইয়ুব ।


লক্ষ্মীপুরের রায়পুর রাখালিয়া গ্রামের ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের বাড়ী উপস্থিত সংবাদকর্মীদের কথা শুনে ঢাকা থেকে টেলিফোনে কথা বলেন ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের  মেজো ভাই রাব্বী। বলছেন, মিডিয়া বেশি কিছু বলতে পারবো না। তবে বিপদে আছেন তারা। টাকা না দিলে মেরে ফেলবে, জিম্মি ২৩ নাবিক পরিবারের মতো চরম উৎকন্ঠায় জিম্মি লক্ষ্মীপুরের ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের পরিবার। মুক্তিপণ না পেলে জলদস্যুরা তার ভাইসহ অন্যদের মেরে ফেলবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশী সময় সন্ধ্যায় মেজো ভাই রাব্বীর সাথে সর্বশেষ কথা ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের সাথে। তখন আইয়ুব খান ফোনে বলছেন জলদস্যুরা তাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের মেরে ফেলবে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাশে সময় দুপুরে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। এ সময় শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে নেয় সোমালিয়ান দস্যুরা। এদিন বিকেলে জাহাজটি সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। জাহাজে লক্ষ্মীপুরের আইয়ুব খানসহ মোট ২৩ জন নাবিক জিম্মি। এর মধ্যে জিম্মি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানও রয়েছে।  তিনি বিয়ে না করলে ও তাদের সংসারে রয়েছেন দুই ভাই এক বোন।



আরও খবর



চাকরি পেলেন ১৮১ তরুণ-তরুণী, প্রশংসায় ভাসছেন নওগাঁর ডিসি ও এসপি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

সরকারি চাকরি নামক সোনার হরিণ পেতে গেলে গুনতে হবে লাখ লাখ টাকা।এছাড়া লাগবে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত মামা-খালু বা আত্মীয়-স্বজনের সুপারিশ। সহায় সম্বল বিক্রি কিংবা সংসারের জমানো অর্থ দিয়ে কর্তা ব্যক্তিদের করতে হবে ম্যানেজ। কিন্তু এবার নওগাঁর লোকজনের মন থেকে পাল্টেছে এমন সব ধারনা। সম্প্রতি মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নওগাঁ জেলার রাজস্ব প্রশাসনে ১শ' ১৬ জন এবং পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন ৬৫ জন তরুণ ও তরুণী। কাজে আসেনি কোনোই যোগাযোগ বা কারো তদবির। হয়নি অর্থের লেনদেনও। আরো স্বচ্ছতার সাথে এসব নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নওগাঁ জেলা জুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা এবং নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক। নিয়োগে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন অনেক দরিদ্র পরিবারের স্বপ্নবাজ ছেলে-মেয়েরা। এসব নিয়োগে এমনিতেই নানা অনিয়মের খবর মুখরোচক হিসেবে সমাজে প্রচলিত রয়েছে। তবে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ হবে তা ছিলো কল্পনাতীত।

নওগাঁ জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার রাজস্ব প্রশাসনে ১৫ ও ১৬ তম গ্রেডে ৯টি ক্যাটাগরিতে ড্রাফটসম্যান, নাজির কাম-ক্যাশিয়ার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, সার্টিফিকেট পেশকার, সার্টিফিকেট সহকারী, ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী, মিউটেশন কাম সার্টিফিকেট সহকারী, ট্রেসার ও কার্যসহকারী পদে মোট ৩৭টি শূণ্য পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এতে ৬ হাজার ৭শ' ৭২ জন চাকরি প্রার্থী আবেদন করেন। এরমধ্যে লিখিত পরীক্ষায় ৩ হাজার ৪২ জন অংশ গ্রহণ করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে উত্তীর্ণ হন ১শ' ৬ জন।

এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে গত ১২ ও ১৩ মার্চ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে মোট ৩৩ জনকে সাতটি ক্যাটাগরিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে দ্রুত সুপারিশ প্রাপ্তদের পদায়ন করা হবে। এতে ট্রেসার ও কার্যসহকারী পদে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ৩টি পদে কাউকে সুপারিশ করা হয়নি। এছাড়াও ২০ তম গ্রেডে তিনটি ক্যাটাগরিতে অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মোট ৮৩টি পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে নিয়োগের জন্য ৮৩ জনকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করে সংশ্লিষ্টরা। সুপারিশ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা, উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে পদায়ন করা হয়েছে। এদিকে, জেলার রাজস্ব প্রশাসনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর গত ৫ ফেব্রূয়ারি জেলা প্রশাসনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয়ে পোস্ট করেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক। মুহূর্তের মধ্যেই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে মন্তব্যের ঘরে জেলা প্রশাসনের প্রশংসায় মেতে ওঠেন অনেকেই। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগের এ ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা নওগাঁবাসির। অপরদিকে, নওগাঁর পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় দু' হাজার ২শ' ৩১ জন প্রার্থী। প্রথম ধাপে শারীরিক, দ্বিতীয় ধাপে দৌঁড়, পুশআপ, লং ও হাই জাম্প এবং তৃতীয় ধাপে দৌঁড়, ড্রাগিং ও রোপ ক্লাইম্বিং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উর্ত্তীন হন ৫শ' ৪৫। গত ৬ মার্চ চর্তুথ ধাপে লিখিত পরীক্ষায় ২শ' ২০ জন উর্ত্তীণ হয়। যেখানে চূড়ান্ত ভাবে মৌখিক পরীক্ষায় ৬৫ জন নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রাপ্ত হয়।


নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁপানিয়া ইউনিয়নের চকতাতারু গ্রামের চা বিক্রেতার মেয়ে শ্রাবন্তী বানু তার অনুভূতি ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের বলেন, ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিলো পুলিশে চাকরি করার। বান্ধবিদের কথায় পুলিশের নিয়োগে ১২০ টাকা খরচ করে আবেদন করেছিলাম। যে দোকান থেকে আবেদন করেছিলাম, অনেকেই বলেছিল এসব নিয়োগে অনেক টাকা লাগে। এতে মন ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু তারপরও মনোবল হারাইনি। অবশেষে সব পরীক্ষায় সফলতার সাথে উর্ত্তীণ হয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছি। না কারো সুপারিশের দরকার হয়েছে, না কোনো টাকা লেগেছে। শ্রাবন্তীর মতো অনেক দরিদ্র পরিবারের স্বপ্নবাজ ছেলে-মেয়ের নাম পুলিশ ও জেলার রাজস্ব প্রশাসনে নিয়োগ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে। যারা আসলে কল্পনা করতে পারেনি এতো সহজে নিয়োগ হবে। সরকারি নিয়োগে এমনিতেই নানা অনিয়মের খবর মুখরোচক হিসেবে সমাজে প্রচলিত রয়েছে। তবে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ হবে তা ছিলো কল্পনাতীত। অনেকের কাছে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বপ্নের মতো।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, নিয়োগে কিছু কিছু বিতর্ক থাকায় অনেক বড় চ্যালেঞ্জিং ছিল। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই নিজেদের যোগ্যতা ও মেধায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সে জায়গা থেকে স্বচ্ছতার সহিত আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরেছি। এখানে কোনো যোগাযোগ ও অর্থের লেনদেন হয়নি। জানতে চাইলে নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বলেন, নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর থেকেই আমি প্রচার করেছি, শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ দেওয়া হবে। কেউ যেনো প্রতারণার শিকার না হয়। অযথা তদবিরের পেছনে না ছুটে, সবাইকে লেখাপড়া করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমি আমার কথা রেখেছি। কোনো অনিয়ম হতে দেইনি। কারও তদবির শুনিনাই। শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সামনে আরও একটা নিয়োগ আছে। সেটাও একইভাবে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে দেওয়া হবে বলে ও নিশ্চিত করেন তিনি।


আরও খবর



দেশে রাজবন্দি নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি বলছে যে, হাজার হাজার রাজবন্দি। আমি বলব দেশে রাজবন্দি বলতে এখানে কেউ নেই। আমাদের কাছে যারা বন্দি আছেন তারা বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট।

পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষ্যে পুলিশ স্টাফ কলেজে কনভেনশন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজবন্দি বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা পুলিশ-আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। যেটা পুলিশ করছে।

মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালেও তারা (বিএনপি) একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। ২০০৮ সালে ৩০টি, ২০১৮ ছয়টি সিট পেয়েছে

তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ইংল্যান্ডে গেছেন আত্মগোপন করেছেন তার নির্দেশ অনুযায়ী আমরা দেখলাম দলটির সেক্রেটারি জেনারেল পদত্যাগ করেছেন। ইংল্যান্ডে বসে থেকে তিনি এদেশে তার দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধু এ দেশের জনগণ নয় তার দলীয় নেতাকর্মীদেরও বুঝি তিনি ভালো-মন্দ চান না। দিন দিন এই দলটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপনারা দেখেন যেখানে যাবেন তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যতোদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যেভাবে বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনকালে নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করেছেন। গত নির্বাচনে অনেক মন্ত্রী, বড় বড় নেতা এই নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছেন। কাজেই আমরা সুনিশ্চিত করে বলতে পারি এই নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি বা কোন ধরনের সাপোর্ট কেউ পেয়েছে বলে আমরা মনে করি না, দেখিওনি। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

তিনি বলেন, যে দলটির কথা বললাম এই দলটি নানান দেশে নানান সময়ে নানান ধরনের অপপ্রচার করছে। গত ২৮ অক্টোবর নির্বাচনের আগে তারা কি একটা সহিংস অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। আমরা কোথাও দেখিনি পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নেই, প্রধান বিচারপতি বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে ভাঙচুর করার দৃশ্য, সাংবাদিকদের নির্যাতন, মারধর করা দৃশ্য, জাজেস কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢুকে অগ্নিসংযোগ করা দৃশ্য আমরা কখনো দেখিনি। আসলে এসব করা হয়েছে মূলত তারা নিশ্চিত হয়েছে যে নির্বাচনে আসলে তাদের পরাজয় হবে, জয়ী হতে পারবে না, সেজন্য তারা এ ধরনের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এখন তারা বিভিন্ন দেশে গিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের কোন ধরনের সত্যতা নেই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে অন্যায়ভাবে বা রাজনৈতিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তবে তারা নির্বাচনের পরে মনগড়া তথ্য প্রচার করে বিদেশিদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। অথচ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি সাংবাদিকরা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বলেছেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমেরিকারও দুই একটি সংগঠন বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

তবে কে কি বলল সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না। আমাদের দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছিল, হামলা মামলা করে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল। নির্বাচন সংক্রান্ত ও গণগ্রেপ্তার, আটক, নির্যাতন সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বক্তব্য আপনারা প্রত্যাখ্যান করছেন কি না? প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো হামলা মামলা, আমাদের পুলিশ বাহিনী, আমাদের পলিটিকাল বাহিনী করেনি। তারাই (বিএনপি) করেছে। তারা করে তারাই যদি অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা তরে তাহলে আমরা এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা মনে করি এগুলো সত্যের অপলাপ। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আরেকটি ষড়যন্ত্রের একটা নতুন ক্ষেত্র তৈরির প্রচেষ্টা নিচ্ছেন।

আপনি বলছেন একটি দল অর্থাৎ বিএনপি অপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কিসের ভিত্তিতে, কিসের বিনিময়ে স্টেটমেন্টগুলো দিচ্ছে বলে আপনি মনে করেন? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ক্রমাগতভাবে বিএনপি মিথ্যা তথ্য প্রচার বা দিয়ে যাচ্ছে। তারা কে কীভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছেন সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে পারি, তারা যেসব বলছেন সেসব দেশে ঘটেনি। দুই একটি দেশ বাদে সব দেশ সাধুবাদ ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। তারা মনে করেন দেশে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে।


আরও খবর