Logo
শিরোনাম

৮১ বছর পর বন্ধ হলো বিবিসি বাংলা রেডিও

প্রকাশিত:রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সংবাদ ও সাময়িক প্রসঙ্গের অনুষ্ঠান ‘প্রবাহ’ আর ‘পরিক্রমা’ শেষবারের মত প্রচারিত হবে আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা এবং রাত সাড়ে দশটায়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন লন্ডনে মানসী বড়ুয়া আর ঢাকায় আকবর হোসেন।

বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে ব্যাপক পরিবর্তনের পটভূমিতে বিবিসি বাংলা রেডিও বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ওয়ার্ল্ড সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বাংলায় রেডিও সম্প্রচার বন্ধ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।

বিবিসি বাংলার সম্পাদক সাবির মুস্তাফা বলেন,‘বিবিসি বেশ কিছু দিন থেকে ডিজিটাল প্লাটফর্মের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে, এখন এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত করা হবে।

রেডিও শ্রোতাদের আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা যেন সংবাদ এবং সাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, সাক্ষাতকার ইত্যাদির জন্য ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করেন –অর্থাৎ, বিবিসি বাংলার নিজস্ব ওয়েবসাইট

(www.bbcbangla.com), ইউটিউব চ্যানেল (https://www.youtube.com/bbcbangla),

ফেসবুকপেজ (https://www.facebook.com/BBCBengaliService)

এবং টুইটার (https://twitter.com/bbcbangla)

বিবিসি বাংলা রেডিও যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৪১ সালের ১১ই অক্টোবর, একটি সাপ্তাহিক নিউজলেটার দিয়ে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্রান্তিকালে মিত্র পক্ষের বক্তব্য ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওবার লক্ষ্য নিয়েই শুরু হয়েছিল বিবিসি বাংলা রেডিওর যাত্রা।

বাংলাদেশের মানুষের মাঝে বিবিসি নামটি সব চেয়ে বেশি পরিচিতি পায় ১৯৭১ সালে, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়।

বিবিসির খবরের ওপর শ্রোতাদের আস্থা আর বিবিসি বাংলা রেডিওর জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। মানুষ তখন যুদ্ধের খবরের জন্য পুরোপুরি নির্ভর করত বিবিসি বাংলার ওপর।

বিগত আট দশকে বিবিসি বাংলার রেডিও অনুষ্ঠানমালা এবং ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। রেডিওর চূড়ান্ত সম্প্রসারণ ঘটে ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে যখন চতুর্থ একটি দৈনিক অধিবেশন শুরু করা হয়।

তার চার বছরের মাথায় সকালের দুটি রেডিও অধিবেশন লন্ডন থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়, এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিবিসি বাংলার সাংবাদিক সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ ঘটে।

তবে রেডিওর শ্রোতা কমে যাওয়ায় বিবিসি বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে। চ্যানেল আই-এর সহযোগিতায় ‘বিবিসি প্রবাহ’ নামক সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান নিয়ে ২০১৫ সালে বিবিসি বাংলা বাংলাদেশের টেলিভিশন জগতে প্রবেশ করে।

সাবির মুস্তাফা বলেন, বিবিসি বাংলা রেডিও ঘিরে অনেক স্মৃতি, অনেক আবেগ রয়েছে। কিন্তু যারা সংবাদের প্রতি আগ্রহী, তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য বিবিসি রেডিও বন্ধ করার মত কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাস্তবতার আলোকে বিবিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা রেডিও বন্ধ করে লোকবল ডিজিটাল মাধ্যমে নিয়োজিত করতে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা


আরও খবর



ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী সব বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ বুধবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বারতা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারা বাংলায়, সারা বিশ্বে। এ দিন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশএ প্রত্যাশা করি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, কূপমণ্ডূকতার কোনো স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য ও পারস্পরিক সহাবস্থান এবং পরমতসহিষ্ণুতাসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী নানাবিধ সংকটের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও এ মন্দার প্রভাব দৃশ্যমান। ফলে সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠী স্বাভাবিক জীবনধারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিবর্গের প্রতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই ঈদের আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করতে পারে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মানবতার মুক্তির দিশারি হিসেবে ইসলামের মর্মার্থ ও শ্বাশত বাণী ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র, বিশ্ব ভরে উঠুক শান্তি আর সৌহার্দ্যেপবিত্র ঈদুল ফিতরে এ আমার প্রত্যাশা।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এবার মুসলমানদের সিয়াম সাধনার পবিত্র মাস রমজানের ৩০ দিন পূর্ণ হলো।


আরও খবর



ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের বাজারে সোনার দামের অস্থিরতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত চার দিনের মধ্যে তিন দিনই দামি এই ধাতুর দর পরিবর্তন হয়েছে। তার মধ্যে গতকাল শনিবার প্রতি ভরি সোনার দাম ৮৪০ টাকা কমেছিল। আজ রোববার ভরিপ্রতি সোনার দাম বেড়েছে ৬৩০ টাকা। এর ফলে ২২ ক্যারেট সোনার দাম আবার ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায় পৌঁছে গেছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি রোববার বেলা সাড়ে তিনটায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে সোনার দাম বাড়ানোর পেছনে তারা যুক্তি দিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিউর গোল্ড) দাম বেড়েছে নতুন দাম  বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে

জুয়েলার্স সমিতির তথ্যানুযায়ী, হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার ভরি বেড়ে হয়েছে লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা। একইভাবে ২১ ক্যারেট সোনার ভরি লাখ ১৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা। আজ থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনায় ৬৩০ টাকা, ২১ ক্যারেটে ৬০৭, ১৮ ক্যারেট ৫১৩ এবং সনাতন পদ্ধতির সোনায় বাড়ছে ৪২০ টাকা


আরও খবর

কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




আইন, আদালতকে ও সম্মান করে না ভূমিদস্যু, নাজিম!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকার ত্রাস, সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতা, ভূমিদস্যু হিসাবে পরিচিত নাজিম উদ্দিন ভুইয়া। নিউগিনি প্রপার্টিজ নামক ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার তিনি। নাজিম উদ্দিন ভূইয়া ও তার চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এলাকার কিছু কিশোর বয়সী ছেলে এবং কয়েকজন হিজড়া বাহিনী দিয়ে অন্যের জমি জোর পূর্বক অবৈধ দখল, ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল অবসর প্রাপ্ত লোকের কাছে।

 লোভনীয় মূল্যে ফ্ল্যাট, প্লট, জমির শেয়ার বিক্রির নামে শতাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন নাজিম উদ্দিন। এসব জমির নিরীহ মালিকগণ নাজিম বাহিনীর ভয়ে নাম মাত্র মূল্যে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। আর একবিঘা জমি কিনে আশে পাশে দশ বিঘা জমিতে জোর পূর্বক সাইন বোর্ড লাগিয়ে দখলে নিয়ে রাতের অন্ধকারে মাটি ভরাট করে জমির চেহারা পাল্টে ফেলে নিজের কোম্পানির সাইন বোর্ড লাগিয়ে, জোর পূর্বক আশে পাশের রাস্তা বন্ধ করে এলাকার মানুষকে জিম্ম করে ফেলে নাজিম উদ্দিন। অন্যের জমি দখল করে মসজিদ ও কবরস্থানের সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেন তিনি।

 শেয়ার মালিক ও ফ্ল্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণ কাজ শুরু করলে জমির আসল মালিকগণ আদালতে দেওয়ানী মামলা করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা পেলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই নাজিম বাহিনী নির্মাণ কাজ শুরু করে নিউগিনি প্রপার্টিজ। এলাকায় নাজিম উদ্দিনের ক্ষমতার জোর দেখিয়ে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে নাজিম উদ্দিন তথা নিউনিগি প্রপার্টিজ। আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজউক এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের সহযোগীতায় গত ২০ই মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ ও উচ্ছেদ অভিযোনে গেলে সৃষ্টি হয় এক অপ্রীতিকর ঘটনা।

 নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটর নির্দেশে উক্ত ভবনের অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করতে গেলে সদলবণে সেখানে উপস্থিত হয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান নিউগিনি প্রপার্টিজের এমডি নাজিম উদ্দিন ভূইয়া। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সরাসরি বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারওয়ারকে লাঞ্চিত করেন ও প্রশাসনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন নাজিম উদ্দিন। বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপর চূড়ান্ত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার হুমকি দেন নাজিম উদ্দিন।

ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের কর্মকান্ডকে অবৈধ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকি প্রদান করেন। তার অসৌজন্য মূলক আচরণ এবং বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনীর চাপে অবশেষে ভদ্র মহিলা (নিঃম্যাঃ) নিজের সম্মান বাচাতে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে শুধুমাত্র নোটিশ প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

 অভিযোগ রয়েছে অবৈধ ও ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে রাজউক নকশা অনুমোদন করিয়ে রাজউকের নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন। তার কোম্পানির নেই কোন ইঞ্জিনিয়ার, নেই কোন অভিজ্ঞ লোকজন। সকল কার্য পরিচালনা করেন নিউগিনি প্রপার্টিজের এমডি নাজিম উদ্দিন। তিনিই মালিক, তিনিই ইঞ্জিনিয়ার তিনিই সেলসম্যান তিনিই কন্ট্রাকক্টর, তিনিই পার্চেজার। সব কিছুই তিনি তার মতো করে করেন।

তার ধারনা তিনি যা করেন সেটাই আইন, সেটাই আদালত। আইন, বিচার শালিস, আদালত, প্রশাসন কোন কিছুকেই পরোয়া করেন না নাজিম উদ্দিন। ক্যান্টনমেন্ট থানাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী ধারায় প্রায় ৩০টি মামলার আসামী নাজিম উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যগণ। আর সাধারণ ডায়েরী রয়েছে অসংখ্য। এর মধ্যে প্রায় ১০টি মামলা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(২)এর (ঈ) ১০/১২, ১৪৩/৩৪১/৪২৭/৩২৫ সহ অন্যান্য ধারায়। নাজিম বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, জামাত শিবিরের অর্থযোগান, মানিলন্ডারিং সরকারের কর ফাঁকি, দুর্নীতি কোন কিছুই আর সরকারের নিয়ন্ত্রনে থাকছে না নাজিমের বেলায়। নাজিমের এসব কর্মকান্ডে বেশ কয়েকবার জেল খাটার পর টাকা আর ক্ষমতার জোরে জেল থেকে বেরিয়ে নাজিম উদ্দিন গর্ব করে বলেন তাকে আটকে রাখার মত জেলখানা বাংলাদেশে তৈরী হয়নি। কোথায় নাজিমের খুঁটির জোর কেউ জানে না। এক অদৃশ্য শক্তির জোরে ইসলামী লেবাচে চলাফেরা করে নানা প্রকার বে-আইনী কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানিকদি মাটিকাটা এলাকায় অঘোষিত ক্ষমতার নায়ক নাজিম উদ্দিন।

তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এজন্য নিরপেক্ষ স্বাক্ষীর অভাবে খারিজ হয়ে যায় নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ। পুলিশ, র‍্যাব সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নাজিম উদ্দিনের সব মামলার তদন্ত করতে ভয় পায়। স্বাধীন দেশে এক পরাধীন এলাকা মাটিাকাটা-মানিকদি। এলাকার লোকজনের কাছে নাজিম বাহিনীর বিষয়ে জানতে চাইলে সবাই কৌশলে এড়িয়ে যায়। আবার চেষ্টা অনেক করেও নাজিম উদ্দিনের দেখা পেলে সব প্রশ্নের জবাব উগ্র ও সন্ত্রাসী ভাষায় প্রদান করেন তিনি।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র নতুন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে ইরান

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান। জবাবে ইসরায়েলও প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজছে, সাজাচ্ছে নানা পরিকল্পনা।

এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইসরায়েল অবশ্য আগেই ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে- সপ্তাহান্তে ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর তারা এখন ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দিকে নজর দিচ্ছে।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, তিনি আগামী দিনগুলোতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করছেন। অন্যদিকে ইইউয়ের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, তার ব্লক এটি নিয়ে কাজ করছে।

ইসরায়েল অবশ্য ইতোমধ্যেই তার মিত্রদের প্রতি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। মূলত ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য একটি বিস্তৃত চুক্তির সাথে যুক্ত ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে এবং বিভিন্ন সময়ে নতুন নিষেধাজ্ঞাও যুক্ত করেছে।

সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেছেন, ইরানের হামলার জবাব দেওয়া হবে।

সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারপরও উত্তেজনার আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।

মূলত গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসরায়েলে রাতারাতি ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে তেহরান। এর বেশিরভাগই ইরানের অভ্যন্তর থেকে নিক্ষেপ করা হয়।

তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রবাহিনী।

নজিরবিহীন সেই হামলার জবাবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল শুধুমাত্র কূটনৈতিক ভাবে আক্রমণ চালিয়েই পাল্টা জবাব দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩০টিরও বেশি দেশকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া ইরানের প্রধান সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি - ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করার আহ্বানও জানিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করলেও যুক্তরাজ্য এখনও তা করেনি।

এমন অবস্থায় মঙ্গলবার বক্তৃতাকালে মার্কিন অর্থমন্ত্রী ইয়েলেন বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে, আমি পুরোপুরি আশা করি, আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগে থেকে বলি না। তবে ইরানের সন্ত্রাসী অর্থায়ন ব্যাহত করার সমস্ত বিকল্পই আমার টেবিলে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইরানের তেল রপ্তানি এমন একটি সম্ভাব্য ক্ষেত্র যা আমরা টার্গেট করতে পারি। তার ভাষায়, স্পষ্টতই, ইরান এখনও কিছু পরিমাণ তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা হয়তো আরও কিছু করতে পারি।

ইয়েলেন বলেন, ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই আর্থিক নিষেধাজ্ঞাগুলোকে ব্যবহার করছে। পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি এবং সংস্থাকে লক্ষ্য করে আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞা প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করার এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করার কাজ করছে।

ইরানের ওপর বিদ্যমান মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইতোমধ্যে দেশটির সাথে প্রায় সমস্ত আমেরিকান বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেছে।

এদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন কর্মসূচির পাশাপাশি বিপ্লবী গার্ড এবং ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে লক্ষ্যবস্তু করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা শিগগিরই তাদের নিজস্ব নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করবে।

অন্যদিকে ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল বলেছেন, কিছু সদস্য দেশ ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানোর জন্য বলেছে। তিনি বলেন, তিনি নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করার জন্য ইইউয়ের কূটনৈতিক পরিষেবার কাছে অনুরোধ পাঠাবেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই ইতিবাচক প্রবণতাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলে ইরানের সর্বশেষ হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের উত্তেজনা এড়াতে বিশ্বনেতারা সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি ফোন কলে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে চলমান পরিস্থিতিতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।

ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তিনি (সুনাক) জোর দিয়ে বলেছেন, উত্তেজনার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি কারও স্বার্থে ভালো কিছু নয় এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তাহীনতাকে আরও গভীরে নিয়ে যাবে। জয়ের জন্য মাথা ঠান্ডা রাখার সময় এখন।


আরও খবর

কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরলো ৪০৭ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এবারের ঈদে গতবারের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ। ঈদে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত এ তথ্য উঠে এসেছে।

একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে দুটি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, পাঁচজন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

আর বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭. দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ মানুষের বেশি যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনে গতি বেড়েছে। দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মাসেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে উঠেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুৰ্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত, ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রায়।

এ সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৮৭ জন চালক, ৩১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪০ জন পথচারী, ৭৫ জন নারী, ৪৭ জন শিশু, ২৭ জন শিক্ষার্থী, ০৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, চারজন শিক্ষক, একজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দুজন চিকিৎসকের পরিচয় মিলেছে।


আরও খবর