Logo
শিরোনাম

৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বললেন, ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের মামলার বিচার সম্পন্ন করতে হবে।

রোববার (৯ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এটি করতে হবে।

আসিফ নজরুল বলেন, আমরা বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা মাগুরায় আছিয়ার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এ ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সরকার নারী নির্যাতন আইন পরিবর্তন করছে। গত কয়েকদিনে যেসব মব জাস্টিস এবং মোরাল পুলিশিংয়ের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সব ঘটনা সরকারের পর্যবেক্ষণে আছে। আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, কোনো অপরাধী বিচারের বাইরে থাকবে না।

উপদেষ্টা আরও বলেন, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দমনে সরকার সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সব ধর্ষণের মামলার দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি কল্পে মামলাগুলো নিয়মিত পর্যালোচনায় আনছে। রাস্তাঘাটে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধ করতে পুলিশ দ্রুত আলাদা হটলাইন চালু করবে।


আরও খবর



নওগাঁয় গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৪ জন আটক

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে এসিল্যান্ডের গাড়ীর চালকসহ ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ঈদের পূর্বরাত অথাৎ গতকাল রবিবার দিনগত রাতে নওগাঁর মান্দা উপজেলায়। এঘটনায় মান্দা থানা পুলিশ ভিকটিম গৃহবধূকে উদ্ধার উদ্ধার পূর্বক পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ৪ জন যুবক হলেন, মান্দা উপজেলার ছোট-বেলালদহ গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম সোহাগ (২৯), বড়পই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে সুইট (২৯), বিজয়পুরের প্রিন্সিপালের মোড় এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান ওরফে মুন্না (২৯) ও বিজয়পুর মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে নাসির উদ্দিন (২৯)। এদের মধ্যে নাসির উদ্দিন মাষ্টার রোলে এসিল্যান্ডের গাড়ী চালকের দায়িত্বে ছিলেন। মামলার এহাজার সুত্রে জানাযায়, ভিকটিম গৃহবধূর স্বামী পেশায় পিক-আপ চালক। তারা স্বামী-স্ত্রী ও তাদের কন্যা সন্তান সহ বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। ঈদ উপলক্ষে একমাত্র কন্যা সন্তানকে নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার দিনরাতে পিকআপের ভাড়া মারার জন্য গৃহবধূর স্বামী বাইরে যাওয়ায় বাসাতে একাই ছিলেন গৃহবধূ। ভিকটিম গৃহবধূ জানান, রবিবার দিনগত রাত সারে ৭টারদিকে আমার স্বামী পিকআপের ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে রাত ৯ টারদিকে আমি খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি। রাত সারে ১০টারদিকে আসামী স্বাধীন বাসায় এসে স্বামীকে ডাকাডাকি করেন। স্বাধীন আমার স্বামীর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সরল বিশ্বাসে আমি দরজা খুলে দেওয়ার সাথে সাথে ৬-৭জন যুবক বাসার ভেতরে প্রবেশ করে এবং আমার মুখ চেপে ধরে ঘরে নিয়ে একে অপরের সহায়তায় তারা আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকাকালে আমার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ৪জন কে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনুসর রহমান বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ মামলায় ৪ আসামীকে গ্রেফতার করে আজ সোমবার নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শারীরিক পরীক্ষার জন্য ভিকটিম গৃহবধূকে নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে হয়েছে।


আরও খবর



মডেল মেঘনার সঙ্গে এই আইন প্রথম ব্যবহৃত হচ্ছে না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী বললেন, মডেল মেঘনা আলমের সঙ্গে এই আইন প্রথম ব্যবহৃত হচ্ছে, বিষয়টা তা নয়। তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি আদালতে গেছে। বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে মেঘনা আলমের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে খোদা বখস চৌধুরী বলেন, আপনার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে সরকার একটা বেআইনি কাজ করে ফেলেছে। এই আইন যে ব্যবহৃত হচ্ছে না, তা নয়। তারা আদালতে গেছেন। আদালত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আমরা আদালতকে জবাব দেব।

মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়াটা সঠিক হয়নি বলে আইন উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন, আরেক সাংবাদিক এমন প্রসঙ্গ তুলে ধরে খোদা বখস চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন- আইন উপদেষ্টা কোনও প্রেক্ষিতে এই কথা বলেছেন, তা আমরা জানি না। তিনি আমাদের কাছে এ বিষয়ে কিছু জানতেও চাননি। এখন বিষয়টি আদালতে চলে গেছে।

১০ এপ্রিল সুনামগঞ্জে আপনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, জনগণ এই সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চায়, কোন পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছিলেন- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি তো বলিনি সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়। এটা জনগণ বলেছে। সরকার তো বলে দিয়েছে আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমি রাজনীতিবিদ নই। আমার এই কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না।

ডিবির প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পুলিশের পদগুলোতে যাবে, আসবে এটাই নিয়ম। মেঘনা আলমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে সরানো হয়নি। উনি হয়তো অসুস্থ আছেন, সে জন্য তাকে সরানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পেরিয়ে গেল, পুলিশ এখনো দায়িত্ব পালন করছে না, জনগণের অভিযোগ নিচ্ছে না এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খোদা বখস চৌধুরী বলেন, পুলিশ অভিযোগ নেয় না, এটা আজকের অভিযোগ নয়। বহু পুরোনো। অন্তর্বর্তী সরকার দুটি বিষয় অনলাইনে করতে যাচ্ছে। এক, জেনারেল ডায়েরি (জিডি), দুই, এফআইআর বা অভিযোগপত্র। প্রথমে দুটি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে জিডি নেওয়া শুরু হবে। পরে এফআইআর নেওয়া শুরু হবে। ধীরে ধীরে একটা স্থায়ী সমাধান হবে।

জুলাই আন্দোলনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাদের মধ্যে ধরছেন চুনোপুঁটিদের, রাঘববোয়ালদের ধরছেন না, এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাঘববোয়ালদের কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। তাদের জালে আসতে হবে। রাঘববোয়ালরা জালে আসার পর যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন আপনারা অভিযোগ করতে পারেন।


আরও খবর



টানা ৫ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের সব বিভাগে আগামী পাঁচ দিন বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে। সেই সঙ্গে এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে— এ অবস্থায় আজ শনিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এ ছাড়া আগামীকাল রবিবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ দিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী সোমবার সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপামাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।

পরদিন মঙ্গলবার ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

এ ছাড়া আগামী বুধবার সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এ দিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্ক বলা হয়েছে, এ সময় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



নাটোরের উত্তরা গণভবনে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পারিজাত

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নাটোরের উত্তরা গণভবনে ফুটেছে দুষ্প্রাপ্য পারিজাত ফুল। তাপদাহ উপেক্ষা করে ঈদের ছুটিতে গণভবনে আগন্তুক দর্শনার্থীদের মনে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছে পারিজাত। ফুলকে কেন্দ্র করে হাজারো মৌমাছির গুঞ্জন মোহনীয় করে তুলেছে চারপাশ।

পারিজাত এদেশে দুষ্প্রাপ্য ফুল। উত্তরা গণভবনের প্রবেশ পথ ধরে হ্রদ পেরিয়ে গেলেই শতবর্ষী দুটো পারিজাত ফুলের গাছ। প্রায় সাত মিটার করে উচ্চতায় অনেকখানি এলাকা জুড়ে ছাতার মত ছড়িয়ে আছে চির সবুজ এ গাছ। ঘন পাতার আচ্ছাদনে গাছের নীচে সূর্যের আলো আর তাপ পৌঁছনোর উপায় নেই। কান্ড আর ডালপালা অশোকের মত। সবুজ পাতা তৈরী হওয়াটা অনেক মনোরম আর বৈচিত্রের।

কলার মোচার মত হরিণ রঙের কচি পল্লব অনেক আকর্ষণীয়। পথ পরিক্রমায় পল্লবের এক একটি মোচা রকমারী রঙ ছড়িয়ে শত শত পাতায় পরিণত হয়। আর ফুল? রক্ত রাঙা এক একটা ফুলের মধ্যে প্রায় শতটি ছোট ছোট ফুলের সমাহার। ফুলে গন্ধ নেই। তবে আছে পরাগ রেণু আর অনেক মধু। পারিজাতের এক একটি ফুলে অসংখ্য মৌমাছির সমাবেশ। দুটো গাছ জুড়ে হাজারো ফুলে মৌমাছির দল সারাদিন ব্যস্ত মধু আহরণে। ছায়া, ফুল আর মৌমাছি এ এলাকাকে স্বর্গীয় করে তুলেছে। তাই হয়তো পারিজাতকে বলা হয় স্বর্গীয় ফুল!

বিপ্রদাশ বড়ুয়া গাছপালা তরুলতাতে বলেন, দেবর্ষি নারদ স্বর্গ থেকে পারিজাত নিয়ে এসেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ এ ফুল তাঁর পত্নীকে উপহার দেন। পারিজাত ফুল নিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী নার্গিসকে চিঠিতে লিখেছিলেন, তোমার যে কল্যাণ-রুপ আমি আমার কিশোর বয়সে প্রথম দেখেছিলাম, সে রুপ আজো স্বর্গের পারিজাত-মন্দারের মতো চির অম্লান হয়েই আছে আমার বক্ষে। আর নজরুল সংগীতে বললেন, পরো কুন্তলে, ধরো অঞ্চলে/ামলিন প্রেম-পারিজাত। রবি ঠাকুর বললেন, পারিজাত কেশর নিয়ে ধরায় শশী, ছড়াও কী এ/ ইন্দ্রপুরীর কোন রমণী বাসর প্রদীপ জ্বালো

উত্তরা গণভবনের হিসাব সহকারী নুর মোহাম্মদ জানান, উত্তরা গণভবনে মোট ছয়টি পারিজাত ফুলের গাছ থাকলেও প্রবেশ পথ পেরিয়ে বাম পাশের দুটি গাছ রাজার আমলের। বয়স দুইশ বছর পেরিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন দুষ্প্রাপ্য এ গাছের বিস্তার ঘটাতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চেষ্টা চলছে চারা তৈরীর।

ঈদ আর ঈদ পরবর্তী দিনগুলোতে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার দর্শনার্থী গণভবন পরিদর্শনে এসে মুগ্ধ হচ্ছেন পারিজাতের সৌন্দর্যে। এ তাপদাহে পারিজাত যেন দুদন্ড শান্তির পরশ। পারিজাতের সৌন্দর্যে প্রতিবছর এ সময়ে গণভবনে আসি। ফিরে ফিরে আসি- বললেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসমাউল হুসনা।

নাটোরের জেলা প্রশাসক ও উত্তরা গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আসমা শাহীন বলেন, তাপদাহ উপেক্ষা করে হাজারো দর্শনার্থী  প্রতিদিন ঈদের ছুটিতে গণভবন পরিদর্শনে আসছেন। দর্শনার্থীদের জন্যে বসন্তের ফুল পারিজাত শান্তির হয়ে উঠেছে।  



আরও খবর

প্রিয় বন্ধু হবেন যেভাবে

মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫




মিয়ানমারে ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মৃতদেহ

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শতাব্দীর ভয়ংকর ভূমিকম্পে সাগাইং এখন মৃত্যুপুরী! মিয়ানমারে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ‘সাগাইং শহরটি যেন পারমাণবিক বোমায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মৃতদেহের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহরে।

যেদিকে চোখ যায় ধ্বংসাবশেষ। আর তার নিচে চাপা পড়ে আছে লাশ। মরদেহ বা চাপা পড়ে থাকা জীবিতদের উদ্ধারে বিন্দুমাত্র কোনো প্রচেষ্টা নেই জান্তা সরকারের।

উলটো রাস্তায় রাস্তায় তল্লাশির মাধ্যমে আরও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সিএনএনকে দেওয়া ধসে পড়া সাগাইং শহরের ভূমিকম্প-পরবর্তী অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) স্থানীয় বাসিন্দা কো জেয়ার বলেন, আমরা নিজেরাই যতটুকু পাড়ছি গৃহস্থালি সরঞ্জাম দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। সবাই মিলে গণকবরে ব্যবস্থা করছি।

সাগাইংয়ের প্রায় ৮০% ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশপাশের গ্রামীণ শহরগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মান্দালয় থেকে ৪৫ মিনিট দূরত্বের এ শহরটিতে আসতে এখন সময় লাগে ৪৫ মিনিট।

গত ২৯ মার্চ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তায় বড় বড় ফাটল-গর্ত, ছোট ছোট ব্রিজ-কালভার্টগুলো সব ভেঙে গেছে। এখন পর্যন্ত তিন হাজার ১৪৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরো কত লাশ চাপা পড়ে আছে তার হিসাব নেই। যার বেঁচে আছেন তারাও আতঙ্কে দিন পার করছেন। ভূমিকম্পের ৭ দিন পরও থেকে থেকেই আফটারশক হচ্ছে।

ভয়ে স্থানীয়রা কেউ ঘরে ঘুমাচ্ছেন না। প্রায় পুরো শহরটির মানুষ এখন- রাস্তা, প্ল্যাটফর্ম, ফুটবল মাঠে ঘুমান। আমি নিজেও ঘরের ভেতরে ঘুমাই না। দরজায় ঘুমাই। যেন সহজেই দৌড়াতে পারি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরেকটি আফটারশক আঘাত হানার পর ফোনে সিএনএনকে এ কথা বলেন জেয়ার। আফটারশকগুলো অঞ্চলটিকে কাঁপিয়ে তুলছে।

আরেক স্বেচ্ছাসেবক কিয়াও মিন বলেন, সাগাইংয়ের যেদিকেই তাকান- ঘরবাড়ি, স্কুল, মন্দির, মসজিদ এবং দোকান ধ্বংসস্তূপে ভরা। আমরা উদ্ধারকারীরা খালি হাতে বা ন্যূনতম সরঞ্জাম দিয়ে জীবিতদের সন্ধানে ধ্বংসস্তূপ খনন করে চলছি। আমরা আমাদের কাছে থাকা সামান্য সরঞ্জাম দিয়ে যতটা সম্ভব মানুষকে বাঁচাতে পেরেছি।

আমরা অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করেছি, যার মধ্যে শিশু এবং বয়স্করাও রয়েছেন... মাথা, হাত বা পা ছাড়া মৃতদেহ ... আমরা এত ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আগে কখনো হইনি।

একই মন্তব্য জাতিসংঘের সাবেক বিশেষ প্রতিবেদক ইয়াংহি লির। তিনি বলেন, আমরা কেবল বেসামরিক লোকদের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খনন করতে দেখছি। কেন মিন অং হ্লাইং তার সব সামরিক বাহিনীকে উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য পাঠাননি?


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫