Logo
শিরোনাম

আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কয়েক মাস ধরে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামা করছে। জানুয়ারির শুরুতে এটি ২১ বিলিয়ন ডলার ছুঁলেও আকু বিল পরিশোধের পর তা ১৯ বিলিয়নে নেমে আসে। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নির্ধারিত হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পৃথক হিসাবে মোট রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।

২৯ জানুয়ারি বিপিএম-৬ অনুসারে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে মাত্র ছয় দিনে বিপিএম-৬ মান অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়েছে ২৩ কোটি ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা প্রকাশ করা হয় না; শুধু আইএমএফকে সরবরাহ করা হয়। সূত্রমতে, সেটি বর্তমানে ১৫ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি পৃথক হিসাব সংরক্ষণ করে। প্রথমটি মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ সমগ্র রিজার্ভ, যার মধ্যে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তের ঋণসহ বিভিন্ন তহবিল অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয়টি হলো, আইএমএফের হিসাবায়ন পদ্ধতি। এটি বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে একটি তহবিল। এর বাইরে হিসাবটি ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল। তখন বৈদেশিক ঋণ এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ থাকায় এবং বিভিন্ন উৎস থেকে ডলার সংযোজন হওয়ায় রিজার্ভের ধারা ইতিবাচক হয়েছে।


আরও খবর

ফল আমদানিতে কমল শুল্ক-কর

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




রমজানে ত্বকের পানিশূন্যতা রোধে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

রোজা রাখায় অনেকের দেহে পানির ঘাটতি দিয়ে থাকে। পানিশূন্যতায় চরম ক্ষতি হয় ত্বকের। দেখা দেয় শুষ্কতা। পাশাপাশি ত্বক হারায় ঔজ্জ্বল্য। একজন রোজাদারের শরীরে পানিশূন্যতার পরিমাণ নির্ভর করে ব্যক্তিটি ইফতার থেকে শুরু করে সেহরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করেছেন, তার ওপর। অর্থাৎ তিনি রোজা থাকা অবস্থায় কী পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করেন এবং তিনি যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানকার আবহাওয়ার ওপর। পানি ও খাবারের স্বল্পতা, দৈনন্দিন রুটিনের পরিবর্তন এবং পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতিতে রমজান মাসে আমাদের শারীরিক ও মানসিক এক ধরনের চাপতৈরি হয়। ক্লান্তিহীনতা দেখা দেয়। এ ছাড়া চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল অর্থাৎ কালো দাগ পড়ে। শরীর পানিশূন্য হলে চোখের ক্লান্তি ফুটে ওঠে।

লক্ষণ : রোজা থাকা অবস্থায় যদি শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, তা হলে দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া, চোখ গর্তে চলে যাওয়া, প্রস্রাবে ইনফেকশন, প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা ও ঝিমঝিম, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, দুর্বলতা, শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। পানির অভাব দেখা দিলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়। অর্থাৎ শরীরে তরলরূপে থাকা বিভিন্ন লবণ, যেমন- সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম, ফসফেট, পটাসিয়ামের মতো বিভিন্ন উপাদানের অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। এ অবস্থা আরও বেড়ে গেলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

যা খাবেন : পানিশূন্যতা রোধে রমজানে শুধু পানি পরিমাণমতো পান করলেই চলবে না। বেশি বেশি অন্যান্য তরল খাবার খেতে হবে, যাতে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স না হয়। ডাবের পানি, চিনির শরবত, গুড়ের শরবত, লাচ্ছি, দুধ, স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা খাবার দিয়েও পূরণ করা যায়। মাছের ঝোল, ডাল, দুধ খেতে হবে। এতে কিছুটা পানির চাহিদা পূরণ হবে। ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সে ঠিক রাখতে পানির চাহিদা পূরণে ফলের রস পান করা যায়। এটি ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সে সাহায্য করবে। তরমুজ, বাঙি, কমলা, বেলসহ মৌসুমি ফল খেতে পারেন। তবে ফলের জুস ইফতারের সময় সরাসরি খাওয়া যাবে না। পানি মিলিয়ে খেতে হবে। সারা দিন রোজা রেখে খালি পেটে ফলের রস খেলে অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা হতে পারে।

ত্বক সতেজ রাখতে : একজন রোজাদার ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করবেন। ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত শর্করা, লবণাক্ত খাবার, ফলমূলের কনসেনট্রেটেড জুস পুরোপুরি বাদ দিন। বেশি করে শাক-সবজি, ফলমূল খান। আট ঘণ্টার মতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফেইস-সিরাম ও হায়ালুরনিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ প্রসাধন ব্যবহার করতে পারেন। মানসিক চাপমুক্ত থাকুন। ইফতারের আধঘণ্টা পর অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটুন বা শারীরিক ব্যায়াম করুন।

 

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ


আরও খবর



ট্রাম্পের হুমকিকে তোয়াক্কা করছে না গাজার মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

মার্কিন জিম্মিদের মুক্তি দিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার জনগণকে হুমকি দিয়েছেন। গত বুধবার রাতে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, যদি জিাম্মদের আটক রাখে, তবে গাজার সব বাসিন্দা মারা যাবে।

তবে ট্রাম্পের এ হুমকিকে কোনো পাত্তা দিচ্ছেন না গাজাবাসী। তারা বলছেন- আমাদের হারানো আর কিছুই নেই। খবর আল-জাজিরার।

গাজার ৫৯ বছর বয়সি এক ব্যবসায়ী ইয়াসির আল-শারাফা আল জাজিরাকে বলেন, আমি এসব হুমকিকে আর ভয় পাই না। কারণ গাজার অনেক মানুষের মতো আমিও বিশ্বাস করি- আমার হারানোর কিছুই নেই।

তিনি বলেন, আগে পোশাক ব্যবসায়ী ছিলাম। আমার একটি বড় দোকান, ছয়তলা একটি ভবন, একটি গাড়ি এবং গাজা সিটির তেল আল-হাওয়ায় স্টক রাখার জন্য গুদাম ছিল।

বছরের পর বছরের কঠোর পরিশ্রম এসব করেছিলাম। এখন সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে, যুদ্ধ সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। যেদিকেই তাকাই, কেবল ধ্বংস, ধ্বংসাবশেষ আর দুর্দশা। আমাদের শোক করার মতো আর কিছু বাকি আছে কি? আমি এখন শিশুদের জন্য ক্যান্ডি ও স্ন্যাকস বিক্রি করি।

যুদ্ধের সময় দক্ষিণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর, আল-শারাফা ও তার পরিবার যুদ্ধবিরতি শুরু হলে উত্তরে ফিরে আসেন, কিন্তু সেখানে এসে দেখেন এক বিধ্বস্ত এলাকা, যেখানে জীবনযাপন প্রায় অসম্ভব।

তিনি বলেন, যদি আমরা জিম্মিদের হস্তান্তর করি, তবুও কিছুই বদলাবে না। তারা নতুন অজুহাত তৈরি করে যে কোনো সময় যুদ্ধ আবার শুরু করতে পারে। আমরা পুরো বিশ্ব থেকেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি।

৬২ বছর বয়সি জামিলা মাহমুদ ট্রাম্পের কথাগুলো শোনেননি, তবে বৃহস্পতিবার সকালে তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য এ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের হুমকিগুলো একটি মানসিক যুদ্ধের অংশ, যার উদ্দেশ্য গাজার মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, আমরা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। না আছে ইন্টারনেট, না বিদ্যুৎ, না কোনো যোগাযোগের মাধ্যম। প্রতিবারই একটা নতুন পরিকল্পনা আসে– কখনো বলে গাজার মানুষকে জোর করে সরিয়ে দেবে, কখনো বলে ইসরায়েল পুরো গাজা দখল নেবে। আর এখন তারা পুরো গাজার জনগণকে জিম্মিদের কারণে হুমকি দিচ্ছে।

জামিলা মাহমুদ জোর দিয়ে বলেন, যা কিছু ঘটুক না কেন, তিনি কখনোই গাজা ছেড়ে যাবেন না। আমার বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও আমাকে সরাতে পারবে না।

পরিবারের জন্য অল্প কিছু খাবার নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ৬০ বছর বয়সি আইমান আবু দাইয়েহ আল জাজিরাকে বলেন, তিনি শুধু চান 'হামাস এখন জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিক – একটি চুক্তি গ্রহণ করুক, আলোচনা করুক, এবং বন্দিদের হস্তান্তর করুক, যাতে এই অন্তহীন দুঃস্বপ্ন শেষ হয়।'

এটাই একমাত্র বাস্তবসম্মত পথ... আমাদের অবস্থান দুর্বল, আর কেউ আমাদের পাশে নেই।

তবে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, শুধুমাত্র জিম্মিদের হস্তান্তর করলেই কি ট্রাম্প ও ইসরায়েলের জন্য যুদ্ধ শেষ হবে? যদিও এটি ভবিষ্যতে যুদ্ধকে কিছুটা কম বিধ্বংসী করতে পারে।

আইমান আবু দাইয়েহ বলেন, আমরা ৫০ হাজার মানুষ হারিয়েছি। আমার দুই ছেলে মারা গেছে– একজন ২০২৩ সালের অক্টোবরে, আরেকজন ডিসেম্বর। তারা দুজনই তরুণ ছিল। আমার বাড়িটিও ধ্বংস হয়েছে। আমরা যথেষ্ট ক্ষতি ও দুর্ভোগ সহ্য করেছি। আমাদের বিষয়ে আরব দেশগুলো নীরব, ইউরোপের দেশগুলোও নীরব।

তিনি বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্যের কোনো মূল্য নেই। আমার মনে হয়, সে শুধু হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এসব হুমকি দিচ্ছে। তাদের যা করার বাকি, তা হলো আমাদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া।


আরও খবর



দেশে শান্তি বজায় রাখতে ধৈর্য ধরার আহ্বান

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান দেশের চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় বল প্রয়োগ না করার এবং ধৈর্য ধরে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ না করার আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেছেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আজ দুপুরে সাভার সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর ফায়ারিং প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ বক্তব্য দেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা এখন দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যস্ত। দেশ ও জাতির জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে। যতদিন না আমরা একটি নির্বাচিত সরকার পেয়ে যাই, আমাদের ধৈর্য ধরে এই কাজ করতে হবে। দেশের মধ্যে কোন ধরনের অশান্তি ও শৃঙ্খলার অভাব যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন,"আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত আছি, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজগুলোই আমাদের প্রধান দায়িত্ব। আমি প্রথমে মনে করেছিলাম খুব দ্রুত এই কাজ শেষ করে সেনানিবাসে ফিরে আসব, কিন্তু কাজটা দীর্ঘায়িত হচ্ছে।"


জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেন,"আমাদের এই কাজটি করতে হবে, আমাদের দেশের জন্য। আমি জানি, দীর্ঘ সময় ধরে আমরা এই কাজগুলো করছি, তাই ধৈর্য থাকতে হবে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজটি শেষ করতে হবে। দেশ এবং জাতির জন্য আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে যতদিন না আমরা একটি নির্বাচিত সরকার পেয়ে যাই, এবং দেশ একটি শৃঙ্খলা ফিরে পায়।"


তিনি আরও বলেন,"এটা নিশ্চিত করতে হবে, কোনো ধরনের উশৃঙ্খল কাজ যেন না হয়। বলপ্রয়োগ কখনও কখনও প্রয়োগ হতে পারে, তবে সেটা হবে যথাসম্ভব প্রপোরশনেট এবং যত কম বলপ্রয়োগ করা যায়, ততই ভালো।"
শেষে সেনাপ্রধান বলেন,"ইনশাআল্লাহ, যদি আমরা সবাই একসাথে কাজ করি, আমরা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারব এবং একটি সুন্দর দেশ পাবো।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




নওগাঁয় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

''সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের অঙ্গীকার'' প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় নওগাঁয় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গনে বেলুন, ফেষ্টুন ও পায়রা উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক আশীষ কুমার ভট্টাচার্য। পরে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজশাহী রেঞ্জের পরিচালক লুৎফর রহমান, নওগাঁর সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম, এনএসআই এর উপ-পরিচালক মোস্তাক আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনুল আবেদীন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট নাজমুল আসফাক সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার আগে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। সভা শেষে নিরাপত্তা রক্ষার কাজে ভালো ভূমিকা রাখায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিয়নের সদস্যদের মাঝে বাইসাইকেল, সেলাই মেশিন ও অন্যান্য উপহার তুলে দেয়া হয়। এসময় অতিথিরা বলেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের অনেক পুরাতন একটি বাহিনী। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রাম ভূমিকা রেখে চলেছে এই বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের পাশে প্রথমেই এগিয়ে আসে তৃণমূল পর্যায়ের এই আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। দেশের প্রতিটি মানুষের খবর রাখে এই বাহিনীর সদস্যরা। তৃণমূল পর্যায়ের সকল তথ্য যাদের কাছে পাওয়া যায় তারা হলেন এই বাহিনীর সদস্যরা। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অথচ অন্যান্য বাহিনীর চেয়ে এই বাহিনীর সদস্যরা খুবই অবহেলিত। তাই এই বাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন করতে বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দ্রুতই এই বাহিনী যুগোপযোগী একটি বাহিনীতে পরিণত হবে বলে জানান অতিথিরা।


আরও খবর



সবজির বাজারে স্বস্তি, চড়া দাম মাছ-মাংসের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

রোজা শুরুর দুই দিন আগে থেকেই আগুন লাগে নিত্যপণ্যের বাজারে। হাতেগোনা দু-একটি পণ্য ছাড়া অধিকাংশ পণ্যের দাম ছিল বাড়তি। এর মধ্যে রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে সেগুলো দাম হয়ে যায় লাগামহীন। রোজার এক সপ্তাহ পর সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে মাছ-মাংসের বাজার চড়া। শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালে থেকে ধানমন্ডি’র কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ট্যানারি মোড়ের সবজি বিক্রেতা মো. কবরী হোসেন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। লেবুর দামও গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম বলে জানান তিনি।

কবরী হোসেন বলেন, বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, গাজর ও টমেটোর কেজি যথাক্রমে ৩০ ও ২৫ টাকা। এছাড়া সব ধরনের সবজিতে ৫-১০ টাকা কমেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, আদা কেজি ১২০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। চিনি দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে। তবে ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের সংকট এখনো আছে।

সবজিতে কিছুটা স্বস্তি এলেও দাম কমেনি মাছ-মাংসের। মুরগি কেজি প্রতি ব্রয়লার ২১০ টাকা, লেয়ার ৩৩০ টাকা, সোনালী ৩০০ টাকা, দেশি ৬৬০ টাকা ও হাঁস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চড়া আছে গরুর মাংসের বাজারও। রোজার শুরু থেকে ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রোজা শুরু আগে মাংসের কেজি ছিল ৭৫০ টাকা। রোজার শুরু থেকে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম লিটার প্রতি ১৭৫ টাকা ও ৫ লিটারের একটি বোতল বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা।

মাছের বাজার চড়া। এদিন মাঝারি আকারের রুই ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, বড় কাতল ৪শ’ টাকা, বড় পাঙ্গাশ ২৫০ টাকা, চাষের কই (ছোট) ৩৩০ টাকা, তেলাপিয়া আড়াইশ’ টাকা ও শিং মাছ ৬০০-৬৫০’ টাকা, শোল মাছ ৭৫০-৮০০ টাকা, পাবদা ৬০০-৬৫০ থেকে টাকা, ট্যাংরা মাছের কেজি আকারভেদে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ছোটমাছ ৪০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫০০ টাকা, গলদা ৭০০-৭৫০ টাকা’ এবং বাগদা ৮০০’ থেকে ৯০০’ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজার করতে আসা চাকরিজীবী সোহেল বলেন, ‘আমরা যারা ভালো বেতনের চাকরি করি বর্তমান নিত্যপণের যে বাজার তা সামান্য সমস্যা হলেও আমাদের চলে যাচ্ছে, যা সহনীয়। তবে যারা নিম্নআয়ের মানুষ তারা এমন বাজার দরেও অস্তিত্বে আছেন।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫