Logo
শিরোনাম

আবারও বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

আবারও বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৯ টাকা। তেলের এ দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের এ নতুন দাম কার্যকর করবে ভোজ্যতেল উৎপাদক সমিতি। ভোজ্যতেলের আমদানিতে সরকারের ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ দাম নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল বিপণনকারী সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা।

নতুন মূল্য অনুযায়ী খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৭৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৬০ টাকা, পাম সুপার খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় ট্রাক চাকায় মোটরসাইকেল চালক যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল চালক এক যুবকের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর সন্ধার পূর্ব মহূর্তে নওগাঁ বাইপাস সড়কের (জৈনক জসিম এর ধান চাতাল) নামক এলাকায়। নিহত যুবক হলেন, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার কোমাইগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা হাসান আহম্মেদ (২১)।

দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফয়সাল বিন আহসান মুঠোফোনে প্রতিবেদক কে জানান, সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হোন ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে দূর্ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক ২১ বছর বয়সী হাসান আহম্মেদ এর মৃত্যু হয়েছে এবং নিহত হাসান আহম্মেদ এর বাসা নওগাঁ সদর উপজেলার কোমাইগাড়ী গ্রামে। তবে তথ্য নেওয়ার সময় পর্যন্ত এব্যাপারে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি জানিয়ে অফিসার ইনচার্জ বলেন, এব্যাপারে আইনানুগ পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে সেশন জট নিরসনে আমরা সফল হতে পেরেছি- উপাচার্য

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্যতম দাবি ছিল সেশনজট নিরশন। বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন যোগদানের পর ২০২৩ সাল থেকে যথাযথভাবে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করার প্রতি জোর দেন। 

আজ ১৮ নভেম্বর ২০২৩ (শনিবার) একাডেমিক ক্যালেন্ডারের ২য় দফা অনুযায়ী ১ম দিনে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ইন্ট্রোডাকটরি বায়োকেমিস্ট্রি-২ কোর্সের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন। এসময় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে আমার অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল সেশনজট নিরসন। বিগত সেমিস্টারগুলো প্রায় চার মাসে সম্পন্ন করা গেছে। ২০২৩ সালের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে যথাযথ সময়ে সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু করেছি। আমরা বলতেই পারি, সেশন জট নিরসনে আমরা সফল হতে পেরেছি।

পরীক্ষার হল পরিদর্শনকালে ভাইস-চ্যান্সেলরের সাথে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাহীন উদ্দিনসহ বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আবারো ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ বিএনপির

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দুই দিনের বিরতি দিয়ে আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর (রবি ও সোমবার) ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনপ্রতিষ্ঠা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং অবৈধ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আগামী ২৬ নভেম্বর রবিবার ভোর ৬টা থেকে ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে রিজভী বলেন, এক বিশেষ পরিস্থিতি ও দুর্যোগ দুর্বিপাকের মধ্যে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেন না। আর সরকার প্রতিনিয়ত ধাপ্পাবাজি করছে জনগণের সঙ্গে। সরকার প্রধান বলেছেন, নির্বাচনে আসুন কার কত দৌড় আমরা দেখি। নির্বাচনে দৌড়াবেন তো আপনি, আপনার মনের মতো করে তৈরি করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন তাদেরকে নিয়ে আপনি দৌড়াবেন। জনগণ তো প্রতিযোগিতার জন্য দৌড়াতে পারবে না। কারণ জনগণকে আপনি বন্দি করে রেখেছেন।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রকামী মানুষ আজ বন্দি জীবনযাপন করছে। বিএনপির অধিকাংশ নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কারাগারে দিয়েছেন। আমাদের দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলে ঢুকিয়েছেন। মাঠ খালি করে একা দৌড়ানোর জন্য আপনি রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করেছেন। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, আন্ডারগ্রাউন্ড দল নই। আমরা রাস্তায় প্রতিবাদ করি সকল অন্যায়ের। আর এই অপরাধেই আপনি গ্রেপ্তার করছেন । গ্রেফতারের জন্য মহাউৎসব শুরু করেছেন আপনি। প্রাণভরে গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছেন আপনি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচন, দুর্নীতি এবং টাকা পাচার করতে আপনি এবং আপনার সরকার পছন্দ করেন। একতরফা নির্বাচনী দৌড় আপনি দেবেন। তবে বলে রাখছি, এটা বাংলাদেশ। দেশের অসংখ্য মানুষের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ গঠিত হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আপনি কিছু কিছু দেশকে সব উজাড় করে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেদিন এক পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। সমাবেশ ভন্ডুল করার প্রতিবাদে পরদিন হরতাল আহ্বান করে বিএনপি। ওইদিন বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরের কয়েকদিনে মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।

এসব গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের আগে থেকে চলা এক দফা দাবিতে ৩১ অক্টোবর থেকে মোটামুটি লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষিত হওয়ায় এর প্রতিবাদে দুই দিন হরতাল পালন করা হয়। এখন নিয়মিতভাবে সপ্তাহের মঙ্গলবার বাদে বাকি চার দিন অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

 


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




শান্তি চুক্তির ২৬ বছর আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৬ বছর পূর্তি আজ। পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে পার্বত্য জেলাসমূহে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটে; সূচিত হয় শান্তির পথচলা। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উদ্যোগ শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য এলাকার সব অধিবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অঞ্চল। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক, অবকাঠামো ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোনো তৃতীয় পক্ষ বা বহিঃশক্তির মধ্যস্থতা ছাড়াই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এ ঐতিহাসিক শান্তির দলিলটি স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জাতিগত হানাহানি বন্ধ হয়। অনগ্রসর ও অনুন্নত পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার অর্জন এ চুক্তির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির স্মারক।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির আলোকে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছি। 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চেয়েও আলোচিত যে সব স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক :

 আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগই ইতোমধ্যে ২৯৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

 এবারের নির্বাচন এমনভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যেখানে আওয়ামী লীগের জয় নিয়ে কোনরকম সংশয় নেই। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যেমন জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম তারা নির্বাচনের দ্বিতীয় হওয়ার লড়াই করছে।

 কিন্তু কেউই নির্বাচনে ক্ষমতায় যাবে এমন কোন আশাবাদ ব্যক্ত করছেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

 যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে নানা ভাবে যুক্ত ছিলেন, আছেন। তারাই এবার অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

এর ফলে এবারের নির্বাচন শুরু থেকেই জমে গেছে। 

অনেক স্থানেই দেখা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীর চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী অনেক বেশি আলোচিত এবং আলোকিত।

 যে সমস্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন জাতীয় রাজনীতিতেও আলোচিত, গুরুত্বপূর্ণ এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে তারা কোণঠাসা করে ফেলতে ফেলতে পারেন এমন আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে।

এ কে আজাদ চৌধুরী:

      এ কে আজাদ চৌধুরী একজন বর্ণাঢ্য শিল্পপতি ব্যবসায়ী। তিনি এক সময় বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ছিলেন। 

আওয়ামী ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী একদা আওয়ামী লীগ সভাপতিরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন ফরিদপুর-৩ আসনে।

 কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন পাননি। তার বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে শামীম হককে। শামীম হকের চেয়ে জাতীয়ভাবে অনেক বেশি পরিচিত এ কে আজাদ চৌধুরী।

 তিনি ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের নেতাই শুধু নন, একটি টেলিভিশন চ্যানেল এবং একটি দৈনিক পত্রিকার মালিকও বটে। আর এর ফলে নির্বাচনের মাঠে তিনি যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দেবেন এটি এখন থেকেই বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে।

হাবিবে মিল্লাত:

   হাবিবে মিল্লাত সিরাজগঞ্জ থেকে দুই বারের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে এবার তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

 তার বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জান্নাত আরা হেনরীকে। হাবিবে মিল্লাত সাবেক  স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের জামাতা।

 তিনি এলাকাতেও অনেক শক্তিশালী অবস্থানে ছিলেন বলে কোন কোন মহল মনে করে। তবে তার বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী তৎপরতা নানা অভিযোগ রয়েছে।

 হাবিবে মিল্লাত একজন শুধু চিকিৎসকই নন, তিনি বিভিন্ন টকশোর কারণে দেশে আলোচিত নাম। দু বারের এমপি থাকার কারণে স্থানীয় পর্যায়ে তার একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে।

 এই অবস্থায় তার নির্বাচনী আসনে জান্নাত আরা হেনরীকে প্রার্থী করা হয়েছে যিনি ২০০৮ এর নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। 

এরপর তিনি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হন এবং সেখানে সেখানেও তিনি নানা কর্মকাণ্ডের কারণে বিতর্কিত হয়েছিলেন। তবে দীর্ঘদিন রাজনীতি করে এবং রাজনৈতিক পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা হেনরী, হাবিবে মিল্লাত এর চেয়ে জাতীয় পর্যায়ে কম আলোচিত হলেও স্থানীয় পর্যায়ে তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। 

এই নির্বাচনী এলাকাতেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। 

মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন:

 ফরিদপুর মানেই কাজী জাফর উল্লাহ এবং মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের লড়াই। গত দুটি নির্বাচনে কাজী জাফর উল্লাহ ফরিদপুর-৪ আসন থেকে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন।

 এবার কাজী জাফর উল্লাহ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ার হয়েছেন। অনেকে ধারণা করেছিলেন যে, তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবেন না। তারপরও তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সকলকে বিস্মিত করেছেন। 

এই আসনে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সঙ্গে পেরে ওঠা কষ্টকর হবে বলেই অনেকে মনে করছেন। 

ইহতেশামুল হক চৌধুরী: 

      ইহতেশামুল হক চৌধুরী আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিএম-এর মহাসচিব হিসেবেও কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। 

তিনি এবার সিলেটের তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিলেটে তার একটা শক্ত ভিত রয়েছে। চিকিৎসক মহলে তার আলাদা অবস্থান রয়েছে। তিনি সিলেট অঞ্চলে নির্বাচন জমিয়ে দিতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। 

মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূঁইয়া: 

  মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূঁইয়া আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। কিন্তু এবার তিনি মনোনয়ন পাননি। তার বদলে কুমিল্লা-১ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আবদুস সবুর। এটি পছন্দ করেনি মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূঁইয়া।

 তিনি এখন পাল্টা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এই নির্বাচনী এলাকাতে নিঃসন্দেহে সুবিদ আলী ভূঁইয়া আলোচিত নাম। জাতীয়ভাবেও তিনি একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব। 

এই আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন জমিয়ে ফেলবেন বলে অনেকেই মনে করছেন।

ইকবাল হোসেন সবুজ:


   গাজীপুর-৩ আসনের বর্তমান এমপি দলিয় মনোনয়ন না পেয়ে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থি হয়েছেন।নির্বাচনী এলাকাটির প্রতিটি কোন চষে বেড়ানো জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা মনোনয়ন না পাওয়াটা ছিল বিস্ময়ের।

অনেকেই ধারনা করেছিল তার মনোনয়ন না পাওয়ার কারনে হয়ত বা তার রাজনৈতিক জীবনের চরম উত্থানের ভাটা পড়তে যাচ্ছে।কেউ কেউ ধারনা করেছিল হয়ত বা তার রাজনৈতিক উত্থানে ছন্দনপতন শুরু হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু জনদাবির প্রেক্ষিতে আকস্মিকভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থি হওয়ার ঘোষণা এবং বুধবার লক্ষাধিক লোকের সমাবেশের মধ্য দিয়ে তিনি মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে যে চমক এনেছেন তা দেখে অনেকেই চমকে গেছেন।

এখানে তার জনপ্রিয়তা এখনো অটুট বলে বলে মনে করছেন অনেকেই এবং নৌকার সাথে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩