Logo
শিরোনাম

আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

রবিবার বেলা ১১টায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রায় ঘোষণা শুরু হয়। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রায় পাঠ করে শোনান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোর্সে‌স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।

এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। গত বছরের অক্টোবরে এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ উদ্যোগ নেন।


আরও খবর



পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন খালেদা জিয়ার

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। যুক্তরাজ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া প্রায় এক দশক পর লন্ডনে বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় ঈদ উদযাপন করছেন। এর আগে ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছিলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, “খালেদা জিয়া বর্তমানে লন্ডনে সুস্থ আছেন এবং পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন। এটি আমাদের জন্য একটি আনন্দের মুহূর্ত।”

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ‘ম্যাডাম ওনার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বাসায় আছেন। ঈদের দিনটি উনি বাসায় আপনজনদের নিয়ে একান্তে কাটাচ্ছেন। বাসায় দুই পুত্রবধূ (ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান) আছেন। আছেন তিন নাতনি (ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, জাফিয়া রহমান, জাহিয়া রহমান)। ম্যাডামকে ঘিরে ঈদের সব আয়োজন তারাই সাজিয়েছেন। কারণ দীর্ঘ কয়েক বছর পর ম্যাডাম তার আপনজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছেন। বুঝতেই পারছেন এখানে অনেক আবেগ জড়িত। ’

তিনি আরও বলেন, “খালেদা জিয়া এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো আছেন। তার অবস্থা আগের থেকে মাচ বেটার। খালেদা জিয়া দেশবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।

গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পৌঁছান। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিক’ এ ভর্তি করা হয়। ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন এই হাসপাতালে অধ্যাপক জন কেনেডির তত্ত্বাবধানে। এরপর লন্ডন ক্লিনিকে তার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অধ্যাপক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকছেন খালেদা জিয়া।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।

কথিত দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালে বিএনপির চেয়ারপারসনকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি করে তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকার। করোনার সময়কালে সরকার তাকে বিশেষ কারামুক্তি দেয়। কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদে কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।

৫ আগস্ট পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার পরিবার বারবার আবেদন করলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন খালেদা জিয়া। এরপর তার বিদেশ যাওয়ার দরজা উন্মুক্ত হয়।


আরও খবর



নওগাঁয় নার্সিং শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতক সমমান (ডিগ্রি) করার দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নার্স-মিডওয়াইফ শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা ১১টা থেকে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন (বিডিএসএনইউ) নওগাঁ শাখার আয়োজনে নওগাঁ জেলা শহরের কাজীর মোড়ে মানববন্ধন শুরু করেন তারা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ভর্তিতে স্নাতক (পাস) কোর্সের ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারণকৃত শর্তের চেয়ে অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন আমরা। অধিক জিপিএ, অধিক মেয়াদকাল এবং সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে আমাদের কোর্স পরিচালিত হয়। কেন্দ্রীয় পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তিকৃত উচ্চ মাধ্যমিক যোগ্যতাসহ ৩ বছর ৬ মাস মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স আমাদের। মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, অবিলম্বে আমাদের এ দুটি সনদের মান স্নাতক (পাস) কোর্স করার দাবিটি মেনে নেওয়া হোক। তা না হলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনের ডাকের হুঁশিয়ারি দেন এসময় শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



ঢাকা শহরের যানজটের সমাধানের আর কোন আশা আমি দেখি না

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ড. কাজী সাইফুন নেওয়াজ, যোগাযোগ বিশ্লেষক :

আমরা শুধু শুধু ট্রাফিক পুলিশের উপর একটা পাহাড় ঠেলে সরানোর কাজ দিচ্ছি যে পাহাড়ের উপরে আমারাই ক্রমাগত পাথর বোঝাই করে ওজন বাড়াচ্ছি...  

১) ব্যাটারি রিক্সা আর প্যাডেল রিক্সা যেভাবে এবনারমালি আমরা বাড়াচ্ছি তা আমাদের জন্য অভিশাপ হবে। না পারব সরাতে না পরব রাখতে...। এরা অগণিত...।  যে কোন ইন্টারসেকশনের সিগ্ন্যালে ৮০% তারা। এরা না দিচ্ছে ট্যাক্স বরং অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ এ আমার উপর বিলের বোঝা চাপাচ্ছে। এরা নিয়ম মানেও না। হুটকরে উল্টা পথে চলে যায়, আর আমি লজ্জায় থাকি। এদের নিয়ন্ত্রণ করেন , না হলে দয়া করে আপনারা চলাচলের সময় প্রটোকল দিয়ে রাস্তা ফাঁকা করে চলে না গিয়ে আমাদের মত চলেন... আপনাদের জীবন/সময়ের দাম আছে তেমন আমাদের ও আছে...। নিজে উপলব্ধি করলে বুঝবেন যানজট কতটা ক্ষতিকর একটা মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য এর উপর...। 


২) বাস রুট ফ্রাঞ্চাইসি হলে তখন অনেকের অনেক হিসাব-নিকাশ বন্ধ হয়ে যাবে... তাই ক্রমাগত চেষ্টা হচ্ছে ফ্রাঞ্চাইসি বন্ধ করার। যখন DTCA , এ বিষয়ে তোড়জোড় করে কাজ শুরু করছিল তখন একপক্ষ নিয়ে আসল "গোলাপি কালার বাস"... একই জিনিস শুধু নাম বদল... । সিস্টেম এর কোন চেঞ্জ নাই।  কারন সিস্টেম ভালো হলে যাত্রীদের লাভ কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের লস ... । এটা আপনারা জানেন কিন্তু করেন না কারন শেষ কবে আপনি বা আপনার পরিবার বাসে চড়ছেন সেটা আপনি ভুলে গেছেন...।

আজ বিকাল ৫ টা নাগাদ পলাশী মোড়ে মোটরসাইকেল ( বর্তমান সময়ের ক্রেজ ব্র্যান্ডের) কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল ব্যাটারি রিক্সা... ২ জনেই টান দিলে থামাতে চায় না , থামায় না...  এই ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে, আরও বাড়বে...। আপনারা ধাক্কা খান না, কারন আপনারা যে রাস্তায় চলেন সে রাস্তা ফাঁকা করে দেয়া হয়,... আর যারা ফাঁকা করে দেয় আর যারা আপনাদের চলে যাওয়া দেখে তারা ধাক্কা খায়... আর ট্রাফিক পুলিশকে গালি দেয়। অথচ আমরা পাহাড় কে পর্বত বানাচ্ছি ক্রমাগত। যতটুকু ছিল তার চাইতে ভালো করতে না পারেন কিন্তু খারাপ কইরা দিয়ে যাইয়েন না। দেশেই থাকতে হবে আমাদের। আপনাদের মত সবার পরিবার আছে, সবার ছেলে-মেয়েই চায় তাদের বাবা একটু আগে বাসায় ফিরে আসুক...।  

কিছু একটা করেন আপনারা, এভাবে চলতে পারে না... এভাবে চলতে পারে না।


আরও খবর



ক্যানসারে আক্রান্ত উপস্থাপিকা-অভিনেত্রী সামিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আড়াই বছর ধরে এই মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন টিভি উপস্থাপক-অভিনেত্রী সামিয়া আফরিন।সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে তারকাদের পোশাক নিয়ে ‘রিভোগ ওয়্যার টু কেয়ার’ নামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যেখান থেকে প্রাপ্ত পোশাক বিক্রির টাকা ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় ব্যয় হবে। গতকাল ২২ মার্চ উজ্জ্বলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রদর্শনী শেষ হয়েছে।

এই আয়োজনে উজ্জ্বলা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সামিয়া আফরিন বলেন, ‘আমার ক্যানসার ধরা পড়ে ২০২২-এর ঠিক এপ্রিলে। তখন কোভিড থেকে সবেমাত্র লকডাউন উঠছে এবং কিছু কিছু দেশ খুলছে (ভ্রমণ অনুমতি)। ওই সময় স্টেজ ৪-এ ছিল আমার ক্যানসার। এটা খুবই ভীতিকর ব্যাপার হয়ে গিয়েছিল আমার পরিবারের লোকজনের জন্য। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে যে, এটা একটা অসুখ; এ জন্য আমাকে লড়াই করতে হবে অথবা নিরাময়ের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। ভয় না পেয়ে কীভাবে নিরাময় হতে পারে, আমি সেসব খুঁজে বের করি।

যোগ করে তিনি বলেন, ‘তখন মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে, বরং আমি আমার পরিবারের জন্য সহায়ক হয়েছিলাম। কারণ, কারও কাছ থেকে সহানুভূতিশীল কোনো কথা বা সেই দৃষ্টিতে দেখতে চাইনি। আমি সবসময় দৃঢ়চেতা হতে চেয়েছিলাম। তাতে হয় কী, এটা একজন রোগীকে আরও বেশি শক্তি জোগায় তাড়াতাড়ি সেরে ওঠার জন্য।’

ক্যানসারে আক্রান্ত হলে রোগীর মনোবল ভেঙে পড়ার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেই বিষয়ে সামিয়ার ভাষ্য, ‘আমরা হয় কী, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। মনে হয়—আমার জীবন শেষ হয়ে গেল, এরপর আর বুঝি কিছু নেই। এটা নিছক ভুল কথা। যদি আমরা চেষ্টা করি, মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারি এবং সাথে সাথে অনেক লাইফ স্টাইলেও পরিবর্তন আনতে হয়, তাহলে এটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব, যদিও তা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। লাইফ স্টাইল যদি ঠিক থাকে, তাহলে পরবর্তীতে এটা আর হওয়ার সুযোগ থাকে না বলে আমার মনে হয়।

বর্তমান নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা জানিয়ে সামিয়া বলেন, ‘প্রতি ঘরে-ঘরেই দেখা যায় এক-দুজন ক্যানসারের রোগী আছেন, আমি নিজেও একজন ক্যানসারের রোগী। প্রায় আড়াই বছর ধরে আমি এটার সঙ্গে লড়াই করছি। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।

এই প্রদর্শনীর উদ্যোগ মূলত ক্যানসার রোগীদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। সামিয়া বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, এটা ব্যয়বহুল চিকিৎসা পদ্ধতি এবং সবার পক্ষে ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব না—এমনটা শোনার সাথে সাথে সবার ভেতর যে ভয় বা ভীতি কাজ করতে থাকে, সেই জায়গা থেকে একটা মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য তার যদি আর্থিক সামর্থ্য থাকে, তবে সে মানসিকভাবে একটু পরিত্রাণ পায়।

তিনি বলেন, ‘সবারই ইচ্ছে থাকে কিছু করার, সহায়তা দেওয়ার, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে এতটা সুযোগ হয় না। আমাদের যেহেতু কিছু জিনিস আছে, যেগুলো পরিধেয় পোশাক; টেলিভিশন-মিডিয়ায় কাজ করার সুবাদে আমাদের অনেক কাপড় পরতে হয়েছে এবং সেগুলো পুনরায় আর পরা হয়নি, তাই মনে হয়েছে এই কাপড়গুলো বিক্রি করে যে টাকা আসবে, সেটা আমরা ক্যানসার আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যয় করব। এই ভাবনা থেকে বন্ধুদের জানালাম, সবাই সহমত প্রকাশ করেছে এবং একাত্মতা ঘোষণা করে তারাও এসেছে, সবাইকে সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি এই প্রদর্শনী এক ধরনের সচেতনতা তৈরি করাও যে, আমরা আমাদের জায়গা থেকে কতটুকু সহায়তা করতে পারি, দেখা যায় এক-দুই হাজার টাকা করে একসঙ্গে একটা বড় অ্যামাউন্ট হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, একসময় টিভি উপস্থাপনার নিয়মিত মুখ ছিলেন উপস্থাপিকা সামিয়া আফরিন। মাঝেমধ্যে তাকে নাটকেও দেখা গেছে। ইমরাউল রাফাতের ‘পাপপূণ্য’, মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের ‘ধুলোর মানুষ’, ‘মানুষের ঘ্রাণ’ এবং রাজিবুল ইসলামের ‘ব্লাফমাস্টার’ ছাড়াও বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।


আরও খবর



শুল্ক স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর নতুন বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে বিশ্বজুড়ে রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন। বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতোমধ্যেই তার প্রভাব অনুভূত হওয়া শুরু হয়েছে।

গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে— এমন সব দেশের ওপর বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে মৌলিক বা বেসলাইন ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, সিঙ্গাপুরসহ ১২টি দেশের ওপর, বাকি দেশগুলোর ওপর আরোপিত শুল্ক ১০ শতাংশের বেশি। সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ভিয়েতনামের ওপর— ৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ধার্য করা হয়েছে ৩৭ শতাংশ শুল্ক।

৫ এপ্রিল থেকে বেসলাইন শুল্ক সংগ্রহ শুরু হয়েছে। যেসব দেশের ওপর ১০ শতাংশের বেশি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে, তা সংগ্রহ শুরু হবে ৯ এপ্রিল থেকে।

অনেক দেশ এর মধ্যেই বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার বা স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন কূটনৈতিক পন্থায় যোগাযোগ করছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে; প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা স্বীকারও করেছেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন—এ ইস্যুতে তিনি অনমনীয়।

সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে শুল্ক স্থগিত করবেন কি না— এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এমন কিছু ভাবছি না। আপাতত (শুল্ক স্থগিতের) কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।”

“এমন অনেক, অনেক দেশ আছে যারা আমাদের সাথে বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা করতে আসছে এবং তারা ন্যায্য চুক্তি করবে, এবং কিছু ক্ষেত্রে, তারা প্রচুর শুল্ক দেবে। আমরা ন্যায্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক চাই।”

আগের দিন রোববার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। সংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সেই বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেন, “গতকাল আমি জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমি তাকে মাত্র একটি কথা বলেছি যে মার্কিন পণ্যের জন্য জাপানকে উন্মুক্ত করতে হবে আপনাদের। কারণ বর্তমানে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি রপ্তানির হার শূণ্যের কাছাকাছি অথচ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর লাখ লাখ গাড়ি রপ্তানি করে জাপান।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫