Logo
শিরোনাম

আদালতের ‘সময় নষ্ট’ করায় সেলিম প্রধানকে জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিলের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

আদালতের সময় নষ্ট করায় সেলিম প্রধানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তার প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড পাওয়া সেলিম প্রধান রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।


ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় গত ২৩ এপ্রিল যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

পরে মনোনয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর সেলিম আপিল করলেও গত ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন।

এরপর গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টে নিজের প্রার্থিতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে রিট করেন সেলিম প্রধান। রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেয়।


সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান। এর প্রেক্ষিতে ২ মে সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা ও প্রতীক বরাদ্দে হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডগামী বিমান থেকে নামিয়ে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

এরপর তার বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয় বলে র‌্যাব জানায়।


আরও খবর



ভালো খেলেও জয়বঞ্চিত মেসির ইন্টার মিয়ামি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

প্রথমবারের মতো ৩২ দল নিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের পর্দা উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচেই লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামি মিশরীয় ক্লাব আল-আহলির মুখোমুখির হয়। রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে দারুণ সব সেভ করে দুই দলকেই জয়বঞ্চিত করেছেন উভয় গোলরক্ষক। মেসির ফ্রি-কিক কিংবা বাঁ পায়ের বাঁকানো শটও তাই প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায়নি। ফলে আহলির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো মিয়ামিকে।

এর আগে তিনবার ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছিলেন মেসি। তখন অবশ্য আর্জেন্টাইন মহাতারকার গায়ে বার্সেলোনার জার্সি, আর বিশ্বকাপের পরিসরও ছিল ছোট। সাত দল থেকে অভূতপূর্বভাবে এই প্রথমবার ফিফা ক্লাবের এই মেগা টুর্নামেন্ট ৩২ দলে রূপ দিয়েছে। এ ছাড়া ইন্টার মিয়ামির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও খুব একটা সুখকর নয়। ফলে এবার মেসির লক্ষ্যটা ছিল সর্বোচ্চ পারফর্ম করা। দল কতদূর যেতে চায় সেই আলাপ তিনি সরিয়ে রেখেছিলেন।

ফ্লোরিডার হার্ডরক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শুরুর কথা ছিল মিয়ামি-আহলির এই ম্যাচ। পরে আসরের উদ্বোধনী পর্ব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে বল মাঠে গড়াতে কিছুটা বিলম্ব হয়। শুরু থেকেই দুই দল শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে। প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার অনেক বড় সুযোগ ছিল আল আহলির জন্য। কিন্তু তাদের ফুটবলার মাহমুদ ট্রেজেগুয়েটের নেওয়া পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন মিয়ামির আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। ম্যাচজুড়ে এমন সব সেভের জন্য তিনি ম্যাচসেরাও হয়েছেন। অবশ্য আহলির গোলরক্ষক মোহামেদ আল এলশেনাওয়ি-ও বারবার হতাশ করেন মেসিদের।

ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই আল-আহলির আবু আলি প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করেন। কিন্তু বক্সে ঢুকে তিনি বিলম্বে শট নেন মিয়ামি গোলরক্ষকের হাতে। পরে জানা যায় অফসাইড ছিল সেটি। তিনি মিনিটের মাথায় আবারও মিয়ামির রক্ষণে হানা। তবে ইমাম আশুরের শট ঠেকাতে এগিয়ে এসে এবারও ঢাল বনে যান গোলরক্ষক উস্তারি। তাকে একা পেয়েও গোলবঞ্চিত আহলি। ১৫ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় মিয়ামি। কিন্তু ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য শটটি মেসি বেশ বাইরে দিয়ে মারেন। এভাবে দুই দলই আক্রমণ শাণালেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল অনেকটাই আহলির কাছে।

৩২ মিনিটে এক ফাঁকা হেডার থেকেও অভিজ্ঞ আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মিয়ামিকে বাঁচিয়ে দেন। ফলে গোলশূন্য সমতা নিয়েই উভয় দল বিরতিতে যাওয়ার প্রস্তুতিতে ছিল। তবে নিজেদের বক্সে আহলি ফুটবলারকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেয় মিয়ামি। স্পট কিকে ট্রেজেগুয়েট মিয়ামি গোলরক্ষককে বিচলিত করতে পারেননি। বরং বল মেরেছেন তার হাতে। সেই স্বস্তি নিয়ে ফেরার পর মিয়ামির ছন্দ ফেরে দ্বিতীয়ার্ধে। মেসিকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে তারা বেশ গোছালো ফুটবল খেলতে থাকে। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি হয়। ৬৪ মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক একটুর জন্য জালের পাশে গিয়ে লাগে।

শেষ পর্যন্ত উভয় দল একের পর এক আক্রমণ শাণায়। গোলের সুযোগ থাকলেও প্রতিবারই দুই গোলরক্ষক দারুণ মুনসিয়ানা দেখিয়েছেন। শেষদিকে মিয়ামির কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ফাফা ফিকোল্ট দারুণ হেডে প্রায় আহলির জালে ঠেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু অসাধারণ দক্ষতায় সেটি ঠেকিয়ে দেন আহলি গোলরক্ষক। এরপর তিনি আরও দুটি কর্নার থেকে আসা বল আটকান। শেষ পর্যন্ত আর কোনো দল ডেডলক ভাঙতে পারেনি। ফলে স্কোরলাইন ০-০।


আরও খবর



বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা’ স্থগিত করল সৌদি আরব

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

ভারত, পাকিস্তান এবং মিশরসহ ১৪টি দেশের জন্য ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা কোটা ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছে সৌদি সরকার। ওমরাহ, ব্যবসা এবং পারিবারিক ভিজিট ভিসার মতো আরও বেশ কয়েকটি ভিসা বিভাগও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। রিয়াদ থেকে এক প্রতিবেদনে এএফপি এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সৌদি আরব ১৪টি দেশের নাগরিকের জন্য ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা কোটা’ উল্লেখযোগ্যভাবে সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে অসংখ্য বিদেশি কর্মী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসন্ন হজ মৌসুমের সমাপ্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই সিদ্ধান্তটি রাজ্যের অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ পরিচালনা এবং ব্যস্ত সময়ে নিয়ন্ত্রক সম্মতি নিশ্চিত করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।

ভারতীয় এবং অন্যান্য ১৩ দেশের জন্য নতুন কোনো ওয়ার্ক ভিসা নেই। এ নতুন নিয়ম যেসব দেশের জন্য প্রযোজ্য সেগুলো হলো: ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া, জর্ডান, আলজেরিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন ও মরক্কো।

সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত জারি করেছে, যা ২০২৫ সালের জুনের শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

ব্লক ওয়ার্ক ভিসা হলো একটি পূর্ব-অনুমোদিত কোটা যা সৌদি নিয়োগকর্তাদের নির্দিষ্ট সংখ্যক বিদেশি নাগরিক নিয়োগের অনুমতি দেয়। একবার একটি কোটা অনুমোদিত হলে, কোম্পানিগুলো তাদের নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য ওয়ার্ক এন্ট্রি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। একে গ্রুপ ভিসাও বলা হয়।


আরও খবর



রাজনৈতিক দলগুলোতে তীব্র হচ্ছে বিরোধ

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ক্ষমতার দ্বন্দ্বে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র হচ্ছে মতবিরোধ। হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে এক ছাতার নিতে দাঁড়ানো দলগুলোর মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। যেখানে দায়িত্বহীন আচরণ ও অশ্রদ্ধাই বড় কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অবস্থান না পাল্টালে সামনে আরও বড় খেসারত দিতে হবে বাংলাদেশকে। যা কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয় বলে মনে করছেন তারা।

স্বৈরাচার ঠেকাতে মত-পথের ভিন্নতা ভুলে ৫ আগস্ট এক মোহনায় ভিড়েছিল যে জনপদ সেখানেই এখন উল্টো সুর। রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতা আর স্বার্থের দ্বন্দ্ব এখন অনেকটাই প্রকাশ্যে। ফ্যাসিবাদবিরোধী প্লাটফর্মগুলোও যেন ছন্নছাড়া অবস্থা। যার প্রভাব স্পষ্ট রাজনীতির মাঠে। সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে দূরত্ব বেড়েছ অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গেও। যা নতুন বাংলাদেশের আকাশে ফেলছে কালো মেঘের ছায়া।

মাত্র ১০ মাসে কেন এমন পরিস্থিতির তৈরি হলো বিশ্লেষক ও গবেষকদের মতে এর পুরো দায় নিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই। দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে অভ্যুত্থান পরবর্তী নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে বড় দলগুলোকে আরও পরিণত রাজনীতি আচরণের পরামর্শ দেন বিশ্লেষকরা।

লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বদরুদ্দিন ওমর বলেন, একটা দল যখন ক্ষমতায় থাকে তখন বিরোধী দলগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করার একধরণের ক্ষমতা সে দলের থাকতে হয়। ড. ইউনূসের পক্ষে অনির্বাচিত সরকার হিসেবে সেই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কাজেই দেশে একটা সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, পুরো পরিস্থিতির জন্য আমি দায়ী করি বিএনপিকে। বাংলাদেশের আগামীতে পরিস্থিতি যদি খারাপের দিকে যায় এবং খোদা না করুক যদি গৃহযুদ্ধের দিকে যায় তার জন্য শতভাগ দায়ী থাকবে বিএনপি।

বিশ্লেষকরা বলছে, রাজনৈতিক ব্যর্থতায় গণতন্ত্রের জন্য ৯০‘র পরবর্তী বাংলাদেশ যে বিশ্বাসঘাতকতার মুখোমুখি হতে হয়েছে, ২৪ এর অভ্যুত্থানের পর সেই আকাঙ্খার বাস্তবায়ন না হলে, পরিণতি হবে একই।

রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, লুটেরা মাফিয়া শ্রেণির যে নির্বাচনী ব্যবস্থা, এর সমস্ত কিছু যেমন আছে তেমনি রেখে দলগুলো চাচ্ছে আমাকে নির্বাচন দাও। তারা নির্বাচন দাওয়ের মধ্যদিয়ে তো ক্ষ্যান্ত থাকলো না, তারা ক্রমাগতই সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকলো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, একজন একজন করে ডাকা না, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে বসা। এটা অনেক জরুরী। সবার সঙ্গে বসে সমস্যাগুলো শুনে সরকার যেটা ভাবছে ও তারা যেটা ভাবছে তার ফারাক কোথায় সেটা তো দেখতে হবে।

অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠন ও তাদের পথ চলায় ত্রুটি দেখছেন কেউ কেউ। যার সুযোগ নিতে মরিয়া পুরনো ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সাব্বির আহমেদ আরও বলেন, একটা সদ্য জন্ম নেয়া দল যার বয়স মাত্র তিন মাস কিন্তু দলটার যে আচার আচরণ সে এমনভাব দেখাচ্ছে যে সে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল। যাকে ইচ্ছা তাকে হুমকি দিচ্ছে। এখনও ক্ষেত্র বিশেষে মব করছে।

লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বদরুদ্দিন ওমর আরও বলেন, এদের কিছু কিছু কথাবার্তা প্রতিক্রিয়াশীলও বটে। এটা খুবই হতাশাব্যঞ্জক ব্যাপার। কারণ যারা মনে করেছিল যে ছাত্ররা বেরিয়ে এসে এদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা বড় ভূমিকা রাখবে। গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে একটা ভূমিকা রাখবে, সেখানে দেখা গেল তারা উল্টো কাজ করছে।

রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার আরও বলেন, গণ অভুত্থ্যানকে পূর্ণ বিজয়ের দিকে না নিয়ে গিয়ে তাদের নির্বাচনী পথে আসাকে আমি সমর্থন করি না। আপনি ড. ইউনূসকে অরক্ষিত রেখে একটা সেনা সমর্থিত সরকার বানিয়ে আপনারা রাস্তায় নির্বাচনের জন্য হৈ চৈ করছেন। এটা তো হবে না গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আর নানা দাবিতে টানা আন্দোলন ঘিরে ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে আরো জটিল হয় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি।


আরও খবর



বন্যা মোকাবিলায় ঘাটতি সাড়ে ৫ কোটি ডলার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই অবনতির দিকে যাচ্ছে।জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এই জরুরি পরিস্থিতিতে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মাঠে নেমেছে। ২০২৫ সালে বন্যা মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতিতে ঘাটতি রয়েছে সাড়ে ৫ কোটি ডলার। তবে এর মধ্যেও সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জরুরি চাহিদা পূরণে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছে ডাবলুএফপি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ঢাকায় ডব্লিউএফপির কার্যালয়। এতে জানানো হয়, ২৯ মে সরকারের অনুরোধে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় বন্যার পূর্বাভাস জারির মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডব্লিউএফপি আগাম সহায়তা কার্যক্রম চালু করেছে।

এই কার্যক্রমের আওতায় সাড়ে ৬ হাজার পরিবারের প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে খাদ্য, জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার পাশাপাশি নিজেদের ঘরবাড়ি ও জীবিকা রক্ষায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পেরেছেন পরিবারগুলো।

ডব্লিউএফপির আগাম আর্থিক সহায়তার উপকারভোগী নুরুল বেগম বলেন, আগের বন্যাগুলোতে কখনো কোনো আর্থিক সাহায্য পাইনি। এবার এই টাকা দিয়ে আমি আমার সন্তানদের খাবার কিনব, আমার ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামত করব এবং ভবিষ্যতের জন্য কিছু টাকা জমিয়ে রাখব। এই সহযোগিতার জন্য ডব্লিউএফপিকে ধন্যবাদ।

ডব্লিউএফপির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্ক্যালপেলি বলেন, জলবায়ুজনিত দুর্যোগ সবসময়ই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে দারিদ্র্য ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা জনগোষ্ঠীর ওপর। আমাদের আগাম পদক্ষেপ নেওয়ায় এসব পরিবার দুর্যোগ মোকাবিলায় দৃঢ়তা ও মর্যাদার সাথে নিজেদের প্রস্তুত করতে পেরেছে।

২০২৫ সালে জলবায়ুজনিত সংকট মোকাবিলায় ডব্লিউএফপি একটি চারধাপের জরুরি প্রস্তুতি ও সাড়া প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে– দুর্যোগের আগে আগাম প্রস্তুতি, দুর্যোগের পরপরই জরুরি খাদ্য সরবরাহ, বাজার সচল হলে আর্থিক সহায়তা এবং নগদ অর্থের বিনিময়ে কাজসহ বিভিন্ন কার্যক্রম।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ডব্লিউএফপি ৬০ লাখের বেশি দুর্যোগ প্রবণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে কার্যক্রমটি বাস্তবায়নে বর্তমানে ৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল ঘাটতি রয়েছে, যার বেশিরভাগই আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজন।

ডম স্ক্যালপেলি আরও বলেন, আগাম প্রস্তুতির ফলে পরিবারগুলো খাদ্য সংগ্রহ ও নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছে। কিন্তু এই উদ্যোগের জন্য সময় ও সম্পদ খুবই সীমিত। আমরা আমাদের অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে তারা দ্রুত ও বৃহৎ পরিসরে আমাদের পাশে দাঁড়ান এবং পরবর্তী বন্যার আগেই মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়তা করেন।

ডব্লিউএফপির এ পদক্ষেপ বাংলাদেশের বৃহত্তর জাতীয় পর্যায়ের আগাম প্রস্তুতির অংশ। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন, কেয়ার, সেভ দ্য চিলড্রেন, স্টেপ এবং স্টার্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা মিলে ১৫টির বেশি আগাম প্রস্তুতি কাঠামো কার্যকর করে। ২০২৫ সালে ৪৬টি সংস্থা এই ধরনের কাঠামো বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ভূমিধস, খরা ও তাপপ্রবাহসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

ডব্লিউএফপির এই আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে সার্বিকভাবে সহায়তা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, আয়ারল্যান্ডসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক দাতা সংস্থা। জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা তহবিল এবং বেলজিয়ামের মতো দেশগুলোর বহুপাক্ষিক সহযোগিতাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

এদিকে কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে, যেখানে ১০ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী বসবাস করেন, টানা ভারী বর্ষণের ফলে বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৩৩টি শিবিরের সবগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডব্লিউএফপির এ শিবিরগুলোতে স্থানচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট ও গরম খাবার সরবরাহ করছে। বাংলাদেশে স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে ব্যবহৃত অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ পুষ্টি বিস্কুটের স্থানীয় মজুদ পুনরায় পূরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ২০ লাখ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত তহবিলের প্রয়োজন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ঢাকায় ডব্লিউএফপির কার্যালয়। এতে জানানো হয়, ২৯ মে সরকারের অনুরোধে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় বন্যার পূর্বাভাস জারির মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডব্লিউএফপি আগাম সহায়তা কার্যক্রম চালু করেছে।

এই কার্যক্রমের আওতায় সাড়ে ৬ হাজার পরিবারের প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে খাদ্য, জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার পাশাপাশি নিজেদের ঘরবাড়ি ও জীবিকা রক্ষায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পেরেছেন পরিবারগুলো।

ডব্লিউএফপির আগাম আর্থিক সহায়তার উপকারভোগী নুরুল বেগম বলেন, আগের বন্যাগুলোতে কখনো কোনো আর্থিক সাহায্য পাইনি। এবার এই টাকা দিয়ে আমি আমার সন্তানদের খাবার কিনব, আমার ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামত করব এবং ভবিষ্যতের জন্য কিছু টাকা জমিয়ে রাখব। এই সহযোগিতার জন্য ডব্লিউএফপিকে ধন্যবাদ।

ডব্লিউএফপির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্ক্যালপেলি বলেন, জলবায়ুজনিত দুর্যোগ সবসময়ই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে দারিদ্র্য ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা জনগোষ্ঠীর ওপর। আমাদের আগাম পদক্ষেপ নেওয়ায় এসব পরিবার দুর্যোগ মোকাবিলায় দৃঢ়তা ও মর্যাদার সাথে নিজেদের প্রস্তুত করতে পেরেছে।

২০২৫ সালে জলবায়ুজনিত সংকট মোকাবিলায় ডব্লিউএফপি একটি চারধাপের জরুরি প্রস্তুতি ও সাড়া প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে– দুর্যোগের আগে আগাম প্রস্তুতি, দুর্যোগের পরপরই জরুরি খাদ্য সরবরাহ, বাজার সচল হলে আর্থিক সহায়তা এবং নগদ অর্থের বিনিময়ে কাজসহ বিভিন্ন কার্যক্রম।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ডব্লিউএফপি ৬০ লাখের বেশি দুর্যোগ প্রবণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে কার্যক্রমটি বাস্তবায়নে বর্তমানে ৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল ঘাটতি রয়েছে, যার বেশিরভাগই আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজন।

ডম স্ক্যালপেলি আরও বলেন, আগাম প্রস্তুতির ফলে পরিবারগুলো খাদ্য সংগ্রহ ও নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছে। কিন্তু এই উদ্যোগের জন্য সময় ও সম্পদ খুবই সীমিত। আমরা আমাদের অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে তারা দ্রুত ও বৃহৎ পরিসরে আমাদের পাশে দাঁড়ান এবং পরবর্তী বন্যার আগেই মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়তা করেন।

ডব্লিউএফপির এ পদক্ষেপ বাংলাদেশের বৃহত্তর জাতীয় পর্যায়ের আগাম প্রস্তুতির অংশ। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন, কেয়ার, সেভ দ্য চিলড্রেন, স্টেপ এবং স্টার্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা মিলে ১৫টির বেশি আগাম প্রস্তুতি কাঠামো কার্যকর করে। ২০২৫ সালে ৪৬টি সংস্থা এই ধরনের কাঠামো বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ভূমিধস, খরা ও তাপপ্রবাহসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

ডব্লিউএফপির এই আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে সার্বিকভাবে সহায়তা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, আয়ারল্যান্ডসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক দাতা সংস্থা। জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা তহবিল এবং বেলজিয়ামের মতো দেশগুলোর বহুপাক্ষিক সহযোগিতাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

এদিকে কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে, যেখানে ১০ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী বসবাস করেন, টানা ভারী বর্ষণের ফলে বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৩৩টি শিবিরের সবগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডব্লিউএফপির এ শিবিরগুলোতে স্থানচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট ও গরম খাবার সরবরাহ করছে। বাংলাদেশে স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে ব্যবহৃত অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ পুষ্টি বিস্কুটের স্থানীয় মজুদ পুনরায় পূরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ২০ লাখ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত তহবিলের প্রয়োজন রয়েছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




পাঁচ ইসলামী ব্যাংক মিলে হবে এক ব্যাংক

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে শিগগিরই একীভূত করা হবে। একত্রিত হলেও এসব ব্যাংকের কর্মীরা চাকরি হারাবেন না।  বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

গভর্নর বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে ব্যাংক মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করব পরবর্তী সরকার এসে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক মার্জার করা হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে প্রয়োজনে শাখাগুলো স্থানান্তর করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহরে বেশি সেসব ব্যাংককে গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনি নথিপত্র তৈরি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক, আমাদের দাবি যথাযথ কিনা। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধার সম্ভব হবে।

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (অল্টারনেটিভ ডিসপুট রেজুলেশন বা এডিআর) প্রসঙ্গ তুলে ধরে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থাও রয়েছে। এই পদ্ধতিতেও একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যেখানে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনা করে সমাধান খুঁজবেন।

তিনি জানান, কোন পথে এগোনো হবে... আদালত নাকি এডিআর সেটি নির্ধারণ করবে সরকার। আর সরকারের নির্দেশনা পেলেই বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।

গভর্নর বলেন, দেশীয় সম্পদের জন্য দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনা করতে হবে। এই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর