Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
গুরুতর আহত জীবন মেডিকেলে চিকিৎসাধীন

আদিতমারীতে স্কুলে বহিরাগতদের হামলা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

 নিজস্ব প্রতিনিধি , লালমনিরহাট: 

লালমনিরহাট আদিতমারীতে পাঁচপাড়া সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে বহিরাগত ব্যবসায়ী গুলবাহার মিয়া ও তার মা  গোলাপী বেগমের হামলায় গুরুতর আহত চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র জীবন  কুমার রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আদিতমারী  থানায় দুই জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেছে মুমূর্ষ আহত জীবন কুমারের অভিভাবক অতুল চন্দ্র রায়। 

অভিযোগ দায়েরের তিন দিন পার হলেও রহস্যজনক কারণে আদিতমারী থানা ইনচার্জ অভিযো পত্রটি নথিভূক্ত না করারও অভিযোগ আছে।

এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ওসি মোক্তারুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে  কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন মর্মে মোবাইল ফোনে বলে কেটে দেন। 

এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী জানান, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন তবে স্কুল চলাকালীন সময়ে সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত সকল শিক্ষক কর্মচারীর । 

অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে দুই ছাত্র মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে অপর ছাত্র খলিলুর রহমানের অভিভাবক স্কুল চলাকালীন সময়ে গোলাপী বেগম ও গুলবাহার মিয়া শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি মারধর করলে গুরুতর আহত হন জীবন কুমার। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করালে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। জীবন বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজের চারতলার 13 নম্বর কেবিনে  চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জীবনের অভিভাবক সূত্র আরও জানান আহত জীবনকে দেখবার জন্য বা কোন প্রকার খোঁজখবর নেননি  ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কমল সহ সকল শিক্ষক এর সকল শিক্ষকের  বিরুদ্ধে। 

এদিকে উক্ত ছাত্র নির্যাতনের ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে স্থানীয় মাতবর ও খপ্পর বাজরা ।

এ ঘটনায় উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কমল রায় ও সহকারী শিক্ষক হরিপদ রায়ের  উক্ত বিদ্যালয় থেকে অপসারণ চান ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ অভিভাবক গণ ।


আরও খবর



রোজার দুমাস আগেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তবুও দিন দিন লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। শিম, কপি ও বেগুনসহ শীতকালীন নানা সবজিতে বাজার ভরপুর হলেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে দামে। এ অবস্থায় রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে মহাচিন্তায় সাধারণ ক্রেতারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুলা, পেঁপে ও শালগম ছাড়া কোনো সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে নেই। অন্যান্য দিনে মুলা কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবারের বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপিও। এছাড়া, প্রকারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়।

তাছাড়া, বাজারে রান্নায় সবচেয়ে ব্যবহার্য আলু বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। তুলনামূলক সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে মুলা ও পেঁপে ৪০ টাকায়। আর বরবটি ১২০ টাকা, শালগম ৪০, লাউ ৫০-৮০ টাকা প্রতি পিস, শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে।

আজকের বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাক কম দেখা গেছে, ফলেও দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। এক আঁটি লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে, যা অন্যান্য সময়ে ১০-১৫ টাকা করেই পাওয়া যায়। এছাড়া, লাউ শাক ৫০ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা ও ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে সবজির দাম শুনলেই মাথা গরম হয়ে যায়। এখন শীতের প্রতিটি সবজিই বাজারে চলে এসেছে, তারপরও দাম কমছে না। যা দাম চাচ্ছে তাই দিতে হবে, না হয় সামনে দাঁড়ানোরও সুযোগ নেই। কী আর করা, বাধ্য হয়েই আমাদেরকে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু এখন দেখছি ব্যবসায়ীরাও এই দিনটাকে ঘিরে নতুন করে ব্যবসার ফন্দি এঁটেছে। আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় সব কিছুর দাম বেশি। বাজারগুলোতে মনিটরিং করতে কোনোদিন দেখিনি। বাজার কমিটিও থাকে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ধান্দায়। সরকারও যেন সিন্ডিকেটের কাছে অনেকটা অসহায়। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে?

বিক্রেতা রাকিব মিয়া বলেন, বাজারে শীতের সবজি পর্যাপ্ত আছে, কিন্তু দামটা অন্যান্য সময়ের তুলনামূলক একটু বেশি। আবার দাম বেশি হলেও তুলনামূলক চাহিদাও অনেক বেশি। আপনারা বলছেন দাম বেশি, তারপরও মানুষ এতো পরিমাণ নিচ্ছে, যা দেখে অবাক হওয়ার মতো।

দাম বেড়েছে ডিম-মুরগির, স্থিতিশীল গরু-খাসি

সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে মুরগির দাম। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। আর লাল লেয়ার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের রিপন বলেন, বাজারে সরবরাহ কমায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে শীত যেভাবে বাড়ছে, এতে মুরগির রোগ-বালাইও বাড়ছে। প্রচুর মুরগি মরে যাওয়ায় সামনে আরও দাম বাড়তে পারে।

এদিকে বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। তবে গত মাসে গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা বেঁধে দিয়েছিল মাংস ব্যবসায়ীরা। এখন থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারিত থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। প্রতিকেজি গরুর মাস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন দাবি করে আপাতত ৭০০ টাকা দরে বিক্রির চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা।

আর রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী খোকন বলেন, দাম কমানোয় গরুর মাংসের বিক্রি বেড়েছিল; কিন্তু কম দামের কারণে লোকসান গুনতে হয়েছে। এতে লাভের মুখ দেখতে দাম ৫০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারে বাড়েনি খাসির মাংসের দাম। বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়।

এদিকে, সপ্তাহ ব্যবধানে ডজন প্রতি ৫ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২১০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মুরগির রোগ-বালাই। মারা যাচ্ছে মুরগির। এতে ডিমের উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ায় দাম বাড়ছে। নিত্যপণ্যের এ অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

রোজার পণ্যের বাজার গরম-

রোজার এখনও প্রায় দেড় মাস বাকি। এর মধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে আটা-ময়দা, ডাল-ছোলা ও চিনির দাম। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। ছোলার পাশাপাশি বাড়ছে অন্যান্য ডালের দামও। গত এক মাসের মধ্যে এসব পণ্যের দাম ১০-৩০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি ছোলার ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, ডাবলির ডাল ৭৫ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, মোটা দানার মুগ ডাল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, চিকন মুগ ডাল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা ও খেসারি ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, খোলা ময়দা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭০ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়।

আর আমদানি শুল্ক অর্ধেক কমানোর পরও বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি তো বাজার থেকেই উধাও।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জব্বার স্টোরের বিক্রেতা জানান, রোজাকে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে মিল মালিকরা। সরকার তাদের ওখানে অভিযান চালায় না। মিলগুলোতে অভিযান চালালে পণ্যের দাম এমনিতেই কমে যাবে।

আর খুচরা বিক্রেতা সালাম জানান, পণ্যের দাম খুচরা বিক্রেতাদের হাতে নেই। বাড়তি দামে কেনায়, বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

খেজুরের দাম আকাশছোঁয়া-

রাজধানীর ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৪০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বড়ই খেজুর ৪০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বিলাসী পণ্যের মতো শুল্ক আরোপ করা হয়েছে খেজুরে। গত এক বছরের ব্যবধানে খেজুর আমদানি খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। পাশপাশি আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে খেজুরের চাহিদা। এতে বাড়ছে দামও।

এছাড়া প্রতি কেজি মাল্টা ২৮০ টাকা, সবুজ আপেল ২৮০ টাকা, নাশপতি ২৫০ টাকা, আনার ৫০০ টাকা, লাল আঙুর ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা ও কমলা ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অস্থির মসলার বাজার-

দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে মসলার বাজারেও। গত এক মাসের ব্যবধানে এলাচ-লবঙ্গের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। গোলমরিচ, দারুচিনির দামও বাড়তি। এর কারণ জানেন না খোদ বিক্রেতারাও। তাদের দাবি, আমদানিকারকদের কারসাজিতেই বাড়ছে দাম।

কারওয়ান বাজারের জব্বার স্টোরের বিক্রেতা বলেন, দাম কমেছে শুধু জিরার। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি লবঙ্গ ১ হাজার ৮০০ টাকা, গোল মরিচ ৮০০ টাকা, এলাচ ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা ও দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা।

এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। তবে বাজারে দেখা নেই পুরাতন দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের। দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও সেটি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পুরোদমে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠলেও তা চাহিদার তুলনায় কম। এতে বাড়ছে দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা হাসিব বলেন, সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করলে দাম কমে আসবে।

খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৬০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আড়ত পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়।

এছাড়া মানভেদে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে আদা-রসুনের।

আল-আমিন নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। রোজার আগেই সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এখনই বেগুনের কেজি ১০০ টাকা, রোজায় কী অবস্থা হয় আল্লাহ জানেন! দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্তদের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে চলে যাবে।

বিক্রেতাদের দাবি, রোজা সমানে রেখে পণ্যের দাম বাড়ছে দ্রুত গতিতে। মূলত মিল পর্যায় থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বাড়ছে দাম। মিল মালিকদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে রোজায় দাম আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর



বাংলাদেশের ফিজিওথেরাপি সোসাইটির ইফতার মাহফিল ও স্বজন সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

২১শে মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার ঢাকার শের-এ-বাংলা নগরে অবস্হিত  বাংলাদেশের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পেশার সূতিকাগার "জাতীয়  অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পূনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর)" এ অনুষ্ঠিত হলো "ইফতার মাহফিল ও স্বজন সভা ২০২৪"। উক্ত অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক,ফিজিওথেরাপি শিক্ষাবিদ এবং ছাত্রছাত্রী অংশ গ্রহণ করে।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন  শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক ফিজিওথেরাপি কনসালটেন্ট  এবং বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের সাবেক ফিজিওথেরাপির অধ্যাপক ডা. মো: মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে  ফিজিওথেরাপি পেশার  প্রাচীন ও প্রফেশনাল  সংগঠন "বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি সোসাইটি (বিপিএস)" এবং বিপিএস এর সহযোগী সংগঠন " বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি এ্যাসোসিয়েশন(বিপিএ).।এছাড়া সহ আয়োজক হিসেবে " নিটোর ফিজিওথেরাপি এলামনাই এসোসিয়েশন "ও "নিটোর ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন" ভূমিকা পালন করে। উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিপিএ ও বিপিএস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. সফিউল্লাহ প্রধান  । এছাড়া বিপিএস ও বিপিএ এর নির্বাহী সভাপতি সহঃ অধ্যাপক  ডা. প্রদীপ কুমার সাহা,  সাধারণ সম্পাদক ডা. মো.  তৌহিদুজ্জামান এবং "বাংলাদেশ শিশুকল্যান পরিষদের " এর পরিচালক "ডা. ইয়াসমিন আরা ডলি " বক্তব্য রাখেন। পরে দেশ ও জাতির শান্তি কামনা এবং ফিজিওথেরাপি পেশার উত্তরোত্তর উৎকর্ষ কামনা করে দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।


আরও খবর



নওগাঁয় চোরাই অটোভ্যান উদ্ধার সহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৩ জন আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় অটোভ্যান চুরির সাথে জড়ীত আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৩ জন সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই একটি অটোভ্যান উদ্ধার ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। শনিবার বিকেল ৩ টারদিকে নওগাঁর মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন চোর চক্রের সদস্যদের আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, মহাদেবপুর থানার অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত চৌকশ পুলিশ টিম শুক্রবার দিবাগত রাতে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা অটোভ্যান চোর দলের সক্রিয় সদস্য বদলগাছী উপজেলা কুশারমুড়ি গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে আব্দুল হাকিম (৫৩), তার ছেলে আশিকুর রহমান (২১) ও পত্নীতলা উপজেলার মধইল বটতলা গ্রামের হাসু মন্ডলের ছেলে, বর্তমানে বদলগাছীর বালুভরা দোনাইল গ্রামের আবুল হোসেন (৪৭) কে আটক করেন। অভিযান কালে আটককৃতদের কাছ থেকে একটি চোরাই অটোভ্যান উদ্ধার ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলেও জানান অফিসার ইনচার্জ। উল্লেখ্য যে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চাঁন্দাশ ইউপির বাগডোব বাজার মসজিদের কাছ থেকে অটো চার্জার ভ্যান চুরি হয়। এ বিষয়ে রামচরণপুর গ্রামের মৃত মজিদুর মন্ডলের ছেলে এলিছ মন্ডল আজ্ঞাতনামা আসামী করে মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। 


আরও খবর



ভাড়া বাড়ছে যাত্রীবাহী ট্রেনের

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভাড়া বাড়তে যাচ্ছে ১০০ কিলোমিটারের অতিরিক্ত দূরত্বের সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনের। মূলত ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে রেয়াতি (ছাড়) সুবিধা বাতিলের মাধ্যমে এ ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি ট্রেনে নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত সংযোজিত কোচের ভাড়ার সঙ্গে বাড়তি চার্জ যুক্ত করার মাধ্যমেও আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কাছ থেকে এরই মধ্যে অনুমোদন পেয়ে গেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বর্ধিত ভাড়া কার্যকরের জন্য টিকিট ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত বেসরকারি অপারেটর সহজকে (জেভি) এরই মধ্যে স্টেশন টু স্টেশন বাণিজ্যিক দূরত্বের হিসাবও হস্তান্তর করা হয়েছে। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও (ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া) ভাড়া বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী মাসেই নতুন এ ভাড়া কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী ১ এপ্রিল থেকেই এটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

রেল কর্মকর্তারা বলছেন, সড়ক ও নৌপথের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রেলের যাত্রী বাড়লেও রাজস্ব আয় সেভাবে বাড়েনি। আয়ের বিপরীতে ব্যয় বেশি হওয়ায় লোকসানের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না রেলওয়ে। ট্রেনের ভাড়া সর্বশেষ বাড়ানো হয়েছিল ২০১৬ সালে। এরপর রেলের জ্বালানি-যন্ত্রাংশ এবং কর্মীদের বেতন-ভাতাসহ পরিচালন ব্যয় বাড়লেও সংস্থাটির ভাড়া বাবদ আয় তেমন বাড়েনি। কয়েক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা রাজনৈতিক বিবেচনায় কার্যকর হয়নি। যদিও আয়-ব্যয়ের অসামঞ্জস্যে লোকসান থেকে বের হতে পারেনি রেলওয়ে।  

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। যদিও একই সময়ে আয় করেছে ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। এ অনুযায়ী গত অর্থবছরে আয়ের চেয়ে ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করেছে রেলওয়ে। সংস্থাটি এর আগে নিট লাভে ছিল শুধু ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে। ওই সময়ে সংস্থাটির নিট লাভ ছিল ১৮ কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এরপর প্রায় আড়াই দশক ধরে টানা লোকসান দিয়েছে সংস্থাটি। এ অবস্থায় পরিচালন আয় বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে রেলওয়ে। যাত্রী ভাড়া বাবদ আয় বাড়ানোর পাশাপাশি মনোযোগ দেয়া হচ্ছে রুট বৃদ্ধি ও পণ্য পরিবহনেও। 

এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭-৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় এখন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে যাত্রীদের ভাড়ায় রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রেনে সংযোজিত অতিরিক্ত কোচে শ্রেণীভেদে বাড়তি ভাড়া (রিজার্ভেশন চার্জ) যুক্ত করা হচ্ছে। রেলসংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার ও রিজার্ভেশন চার্জ আরোপের মাধ্যমে ভাড়া বাড়ানো হলে রেলের বার্ষিক রাজস্ব আয় বাড়বে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। 

এ বিষয়ে নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার এরই মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে রেলসেবাকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে রেলের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে সরকারের কিছুটা দোটানা রয়েছে। যদিও প্রতি বছর রেলের লোকসান বেড়েই চলেছে। এজন্য বিদ্যমান বিভিন্ন সুবিধা প্রত্যাহার করে ভাড়া বাবদ আয় বাড়ানোর পথে হাঁটতে হচ্ছে রেলওয়েকে।

রেলের ভাড়ায় দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওই সময় রেলের যাত্রী ও মালামাল পরিবহন হতো সক্ষমতার তুলনায় কম। যাত্রী ও মালামাল পরিবহন আকৃষ্ট করতে ওই সময় দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু করা হয়। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম। ঢাকা-কক্সবাজার নতুন রেলরুট ছাড়া (ঢাকা-কক্সবাজার) সারা দেশের সব ট্রেনেই ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য রেয়াতি সুবিধা বহাল রয়েছে। এক্ষেত্রে ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য রেয়াতের হার ২০ শতাংশ। আর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের জন্য রেয়াতের হার ২৫ শতাংশ।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের নন-এসি বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। যদিও রেলের আন্তঃনগর ট্রেনের একই সুবিধার আসনে ভাড়া ৩৪৫ টাকা। এছাড়া লোকাল, মেইল বা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা-চট্টগ্রামে ভাড়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। এতে রেলযাত্রায় বাড়তি চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি টিকিট কালোবাজারি হলেও প্রাপ্য রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রেলওয়ে। গত অক্টোবরে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে বিভিন্ন রেলসেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার এবং ভায়াডাক্ট বা রেল ফ্লাইওভারের প্রতি কিলোমিটারকে পাঁচ কিলোমিটার হিসাব করে বাণিজ্যিক দূরত্ব নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে রেলপথে প্রকৃত দূরত্বের সঙ্গে বাণিজ্যিক দূরত্ব বেড়ে রেলের আয় স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে। 

আবার যাত্রী চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে গ্রুপ টিকিটের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ট্রেনে প্রায়ই নির্ধারিতের অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হয়। এতে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দিতে হচ্ছে। গমন ও ফেরত (আপ অ্যান্ড ডাউন)দুই ক্ষেত্রেই এ অতিরিক্ত কোচের চাহিদা থাকলে রেলের কিছু বাড়তি আয় হয়। কিন্তু চাহিদা একমুখী হলে (শুধু গমন) ফিরতি যাত্রায় টিকিট অবিক্রীত থেকে যায়। এজন্য অগ্রিম আবেদনের মাধ্যমে সংযুক্ত বাড়তি কোচ বা বাড়তি চাহিদার সময়ে সংযোজিত কোচের টিকিটে শোভন শ্রেণীর ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, স্নিগ্ধা ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণীতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ আরোপ করা হবে। 

এজন্য গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর সারসংক্ষেপ আকারে উত্থাপনের জন্য একটি প্রস্তাব তৈরি করা হয়। এতে সই করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম ও সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর । এরপর ২ মার্চ প্রস্তাবে সই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ৭ মার্চ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সালাহ্উদ্দিন আহমেদ রেলওয়ে মহাপরিচালক বরাবর যাত্রী পরিবহনে দূরত্ব রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার এবং অতিরিক্ত সংযোজিত কোচের টিকিট বিক্রিতে রিজার্ভেশন চার্জ আরোপের জন্য চিঠি দেন।  

রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার বলেন, ‘‌বাংলাদেশ রেলওয়ের মান ও সেবা অনুযায়ী ভাড়া প্রতিযোগিতামূলক বাজারের চেয়ে অনেক কম। জনগণ এর সুবিধা পেলেও রেলওয়ে লোকসানে থাকে। রেলকে আরো গতিশীল করতে ভাড়া বাড়িয়ে সড়ক যানবাহনের সমান পর্যায়ে নিয়ে আসা জরুরি। কিন্তু আপাতত মূল ভাড়া না বাড়িয়ে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধাগুলো প্রত্যাহারের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। রেলের বিভিন্ন আধুনিকায়ন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পর ধারাবাহিকভাবে আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে লোকসানও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। 


আরও খবর



ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স ছাড়াল ২ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে সুখবর এসেছে। ফেব্রুয়ারিতে ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রেমিট্যান্স। ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসা প্রবাসীদের এ আয় গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়া‌রি‌তে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পা‌ঠিয়েছেন। স্থানীয় মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এই অর্থের পরিমাণ ২৩ হাজার ৮০০ কো‌টি টাকা। এর আগে গত জুন মা‌সে রে‌মি‌ট‌্যান্স এসে‌ছিল ২২০ কো‌টি ডলার।

রোববার (৩ মার্চ) রেমিট্যান্সের উপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার।

২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। যা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪