
মুন্সি মো: আল ইমরান :বাংলাদেশ ও ভারতের
পশ্চিমবঙ্গে একাধিক জেলায় আগামী সপ্তাহে কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া
দপ্তরের কর্মকর্তা গণেশ কুমার দাশ হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশ
থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত একটি গভীর অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। তাই বিহার, ছত্তিশগড়ের দিকে আবহাওয়া সংক্রান্ত কিছু গতিবিধি ধরা পড়ছে, যা ধীরে-ধীরে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম
মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ,
মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের
কয়েকটি জায়গায় বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, পুরুলিয়া,
পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের কয়েক
জায়গায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা
জানিয়েছেন, শনিবার কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা
খুবই কম। কারণ যে অক্ষরেখা রয়েছে, তা এত নিচে নামবে না। সেটি
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের পর
বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতীয়
আবহাওয়া দপ্তর বলছে,
আগামী সপ্তাহে বুধবার ও বৃহস্পতিবার কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার আশঙ্কা করা
হচ্ছে। এটি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে। পরবর্তীতে আরও নিখুঁতভাবে
কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।
১)
১৭ ও ১৮ মার্চ কালবৈশাখী ঝড় বাংলাদেশে প্রবেশ করার আশঙ্কা বেশি রাজশাহী ও রংপুর
বিভাগের ওপর দিয়ে, যা পরবর্তীতে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দিকে অগ্রসর হতে
পারে। এই দুদিন ব্যাপক বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এই দুই দিনে ২০২৩
কালবৈশাখী মৌসুমে বজ্রপাতের কারণে প্রথম মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই
দুই দিনে সকাল ৯টার পর থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ জেলায় তীব্র বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে
এই দুই দিন তীব্র বজ্রপাতের ঝুঁকি, সেই সঙ্গে বজ্রপাতে
মানুষের মৃত্যুর প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
২)
১৮ ও ১৯ মার্চ বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও
তীব্র বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
দিনের
বেলায় দেশের সব জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজশাহী, ময়মনসিংহ,
সিলেট ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে কালবৈশাখীর তীব্রতা সবচেয়ে বেশি
হতে পারে।