Logo
শিরোনাম

আইনি দলিল ও জনগণের ইচ্ছা দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আইনি দলিল দিয়ে সমর্থিত ও বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার দ্বারা গঠিত বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিট খারিজের পূর্ণাঙ্গ আদেশে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুয়ায়ী সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চান। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামতের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা শপথ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠানো রেফারেন্স ও মতামতের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহসীন রশিদ। শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৩ জানুয়ারি রিটটি সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন। রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ আদেশ বুধবার প্রকাশিত হয়।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশে বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো আইনি দলিল দিয়ে সমর্থিত নয় বলে রিট আবেদনকারীর (আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ) বক্তব্যে এসেছে। উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এক অনন্য পরিস্থিতিতে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুয়ায়ী উপদেষ্টামূলক মতামত গ্রহণ করেন। মতামত অনুযায়ী কাজ করেছেন। তাই এটি আইনি দলিল দিয়ে সমর্থিত, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার দ্বারা সমর্থিত।

পূর্ণাঙ্গ আদেশে আরও বলা হয়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, তা আমাদের ইতিহাসের অংশ এবং আশা করি আগামী বহু বছর ধরে জনগণ যত্নে থাকবে।’

রিটটি ভ্রান্ত ধারণা, বিদ্বেষপ্রসূত ও হয়রানিমূলক বলে উল্লেখ করে তা সরাসরি খারিজ করা হয়।

সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ারের বিষয়ে বলা আছে। অনুচ্ছেদটি বলছে, যদি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হয়, আইনের এরূপ কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে বা উত্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা এমন ধরনের ও এমন জনগুরুত্বসম্পন্ন যে সেই সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন, তাহলে তিনি (রাষ্ট্রপতি) প্রশ্নটি আপিল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করতে পারবেন। ওই বিভাগ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানির পর প্রশ্নটি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে স্বীয় মতামত জ্ঞাপন করতে পারবেন।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা কখন জরুরি?

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

জীবন মানেই সম্পর্কের মায়াজাল। পরিবার, বন্ধু, প্রেমিক, প্রেমিকা কিংবা জীবনসঙ্গী—প্রতিটি সম্পর্ক আমাদের জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। 

কিন্তু কখনও কখনও সম্পর্কগুলো আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তবু, মানুষ সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে রাখে, মনে হয়, হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। 


কিন্তু সত্যি কি সব ঠিক হয়? 


আর সব ঠিক না হলে, সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাই কি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়?


কেন সম্পর্ক জটিল হয়?


সম্পর্ক তখনই জটিল হয়, যখন সেটা আর হৃদয়ের আরামদায়ক স্থান থাকে না। এটা হতে পারে পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব, মনোযোগের ঘাটতি, বিশ্বাস ভাঙন, কিংবা অবহেলার কারণে। 


আমরা অনেক সময়ই বুঝে উঠতে পারি না—এই সম্পর্কটা আমাদের জীবনের জন্য উপকারী, নাকি ক্ষতিকর।


তাহলে কখন বুঝবেন সম্পর্ক থেকে সরে আসার সময় এসেছে? 


কিছু বিষয় হিসাব নিকাশ করতে পারেন। 


১. বিশ্বাস ভেঙে গেছে?

সম্পর্কের মূলে থাকে বিশ্বাস। যদি সেটা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া আর সম্ভব নয়। প্রতারণা কিংবা কথায় কথায় মিথ্যা বলার প্রমাণ পেলে দ্রুত সরে আসুন।


২. আপনার অস্তিত্বই যেন তুচ্ছ?

যখন সঙ্গী আপনাকে ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ করতে শুরু করে, তখন বুঝতে হবে, এই সম্পর্ক আপনার আত্মসম্মানকে ধ্বংস করছে। মনে রাখবেন, ভালোবাসার সম্পর্কেও আত্মসম্মান জরুরি।


৩. মনোযোগ আর নেই?

ভালোবাসা মানে পারস্পরিক যত্ন। যদি দেখেন, সঙ্গী আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে কিংবা আপনাকে অবহেলা করছে, তবে হয়তো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আর সম্ভব নয়।


৪. শ্রদ্ধার অভাব?

প্রতিটি সম্পর্কের ভিত্তি শুধু ভালোবাসা নয়, শ্রদ্ধাও। যদি সঙ্গী আপনাকে বারবার অপমান করে কিংবা অসম্মান করে, তবে সেটা সম্পর্ক শেষ করার বড় সংকেত।


৫. দৈনিক ঝগড়া?

যদি প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়, এবং সমাধানের চেষ্টা সত্ত্বেও সমস্যার শেষ না হয়, তবে হয়তো সেই সম্পর্ককে আর চালিয়ে নেওয়া উচিত নয়।


মাথায় রাখবেন, সম্পর্ক শেষ হওয়ার মানে জীবনের শেষ নয়। বরং, এটি একধরনের নতুন শুরু। 


নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের মানসিক শান্তির গুরুত্ব দিন। সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা মানে আপনার জীবনে আরও সুন্দর কিছু শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া।


জীবন ছোট। এমন সম্পর্ক টেনে নিয়ে চলার কোনও মানে নেই, যা শুধু কষ্ট আর হতাশা এনে দেয়। 


তাই নিজের আত্মসম্মান, শান্তি, আর সুখের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। 


মনে রাখবেন, সম্পর্কের মানে যদি বোঝা হয়ে যায়, তবে সেটিকে মুক্তি দেওয়াই শ্রেয়। 


জীবন অপেক্ষা করছে নতুন সম্ভাবনায়, নতুন আনন্দে।


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫




জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত থাকায় যুবদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির রাজাপুরে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত থাকায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক টি হায়দার সজিবকে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে জেলা যুবদল নেতা রমজানুল মোরশেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহবায়ক টি হায়দার সজিব জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকায় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডের জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ দল থেকে বহিস্কার করা হল। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোন ধরণের অপকর্মের দায় দায়িত্ব দল নিবে না। যুবদলের সকল পর্যায় নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।


জাতীয়তাবাদী যুবদল ঝালকাঠি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ রবিউল হোসেন তুহিন ও সদস্য সচিব মোঃ আনিসুর রহমান খান ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।


এ বিষয়ে সজীবের সাথে কথা বললে তিনি জানান , জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম, এখানে কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ ধারণ করা হয় না।

 এখানে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ কাজ করে। এখানে যুবদলের কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়, এটা একটা সর্বজনীন প্লাটফর্ম। আমি কোন গোষ্ঠীর বা ব্যাক্তির চক্রান্তের স্বীকার। 

তবুও আমি দলীয় সিদ্ধান্তর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করছি।


আরও খবর



প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করে  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশজুড়ে ভয়াবহভাবে বেড়েছে ধর্ষণ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিতভাবে এমন ঘটনা ঘটছে, যা অনেকেই ভয়ে কিংবা মানসম্মানের কারণে প্রকাশ করেন না। বিভিন্ন বয়সী নারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, বাদ পড়ছে না একরত্তি শিশুও।

সমাজের অস্থিরতার এই সময়ের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা -এ কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে এখন যা চলছে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধূর স্বামী-সন্তানকে বেঁধে তাকে পিটিয়ে আহত ও ধর্ষণ করা হয়। ওই নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তার ওপর ওই নির্যাতন চালিয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব।

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেছেন, নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা। তাই এখন এই প্রথা ভেঙে রাষ্ট্রকে একটি নৈতিক জায়গায় আনতে হবে। একটি বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাস করতে হবে।

দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই সরকার ও প্রশাসনকে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিবৃতিতে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোক বিহব্বল পরিবার, নিকটজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


আরও খবর



প্রবাসীদের জন্য 'প্রক্সি' ভোটের বিকল্প দেখছেন না ইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর কাছে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন ভবনে ওআইসিভুক্ত মিশন প্রধানদের মধ্যে ১০টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন, তিন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন।

এ বৈঠকে আলজেরিয়া, ব্রুনাই, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মরক্কো, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সক্ষমতা বাড়ানো, অভিজ্ঞতা ও পারস্পরিক মতবিনিময়ের বিষয়ে প্রতিনিধিদের সহায়তা চেয়েছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, উন্নয়ন সহযোগী দেশ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করা হচ্ছে, মতবিনিময় হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে ওআইসিভুক্ত দেশের মিশনপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

তিনি বলেন, তারা আজ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আমাদের বর্তমান কার্যক্রম, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সব কাজ হাতে নিয়েছি সেসব অবহিত করেছি। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা আশা করেছি।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যে ভোটিং পদ্ধতিই ভবিষ্যতে নির্ধারণ করুন না কেন তাদের অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছে ইসি। এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রবাসী ভোট সংক্রান্ত তারা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে কোনো কোনো রাষ্ট্রদূত সহযোগিতার বিষয়ে তাদের আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং অবজারভার টিম পাঠানোর জন্যও বলেছেন। আমরা স্বাগত জানিয়েছি এবং যথাসময়ে এগুলো ফরমালাইজ করব।

তিনি জানান, ইসির বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি, পরিকল্পনা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে সবাই আগ্রহী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রবাসীদের ভোটে প্রক্সি ভোটিং নিয়ে অনেকের সংশয়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, তিন ধরনের মেথডে আমরা কোনোটাকেই প্রায়োরিটিতে আনিনি। তিনটি মেথডকে (অনলাইন, পোস্টাল ব্যালট ও প্রক্সি ভোটিং) শর্ট লিস্ট করেছি।

পোস্টাল ও অনলাইন বিষয়ে তিনি জানান, পোস্টাল ব্যালটটা বর্তমানে অকার্যকরী। অনলাইন পদ্ধতি নিয়ে আজও তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মিশরের রাষ্ট্রদূত জানালেন তাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়, তারা চালু করে অনলাইন ভোট বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেছেন, তাদের প্রাথমিক অভিজ্ঞতা ভালো, পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইনে চালুর অবস্থানে নেই তরা।

প্রক্সি ভোটিং এর বিষয়ে কয়েকটি দেশের অভিজ্ঞতা এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের দেশে শারীরিক প্রতিবন্ধীরা আরেকজনের সহায়তা নিয়ে ভোট দিয়ে থাকেন। জমি জমাও পাওয়ার অব এটর্নির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। আমাদের এখন মন্দের ভালো খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে চাই তাহলে কোনো না কোনো একটা অপশন বা সব অপশনের কম্বিনেশন আমাদের নিতে হবে।

তিনি বলেন, বড় পরিসরে আমাদের প্রবাসীদের ভোট দেওয়াতে চাইলে প্রক্সি ভোটিং ছাড়া আর কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। কারণ, বাকি যে দুটো বিকল্প রয়েছে এগুলো নিয়ে পাইলটিং পর্যায়ে যাওয়া যাবে, লার্জ স্কেলে ডেপ্লয় হয়ত করা যাবে না।

তিনি জানান, আগামী এপ্রিলের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করার পর চূড়ান্ত পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ইসি।

বৈঠক শেষে ওআইসি প্রতিনিধিদের পক্ষে বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুহাদা ওথমান কথা বলেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের একটি বড় সংখ্যক প্রবাসী বসবাস করছেন। এ সরকারের অধীনে সরকারের নির্বাচনী সংস্কার- সব সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করছে মালয়েশিয়া। আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ারে আগ্রহী, বিশেষ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বিদেশি কর্মীদের বিষয়ে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




ফেব্রুয়ারিতে এসেছে রেকর্ড রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

সদ্য গত হওয়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে)।

এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে ফেব্রুয়ারিতে এত পরিমাণ প্রবাসী আয় আসেনি। এছাড়া এবারের ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স তার আগের বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক গড়ে ৯ কো‌টি ডলার বা ১ হাজার ১১০ কো‌টি টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত ৮ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি মার্কিন ডলার; যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়া‌রিতে ২১৯ কোটি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পা‌ঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দা‌য়িত্ব নেয়ার পর টানা সাত মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।


আরও খবর

ফল আমদানিতে কমল শুল্ক-কর

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫