
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, যে যন্ত্রপাতি দিয়ে শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছে, সেই যন্ত্রপাতি অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সংস্কার করতে। নানা কারণে মানুষের মিছিল, জনতার মিছিল হতেই পারে। সেখানে টিয়ারগ্যাস মারতে পারেন, লাঠিচার্জ করতে পারেন। কিন্তু মিঠিলের আওয়াজ শোনা মাত্রই শর্টগান দিয়ে পাখির মতো গুলি করবেন। গত ১৭ বছরে বিএনপির কত মানুষ অন্ধ হয়েছে, কত মানুষের পা চলে গেছে, কত মানুষের হাত চলে গেছে, কত মানুষ খোড়া হয়েছে। এগুলো নিষিদ্ধ করতে হবে। নতুন করে ডেলে সাজাতে হবে পুলিশকে। তাহলেই হবে সবচাইতে বড় সংস্কার। মানুষের আহারের নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং বিচার বিভাগের সত্যিকারের স্বাধীনতা দিতে হবে। এর চাইতে বড় আর সংস্কার আর হতে পারে না। আর এগুলো সংস্কারের জন্য বেশি সময়ের প্রয়োজনের হয় না। তাছাড়া সংস্কার তো একটা ধারাবাহিকতা চলমান প্রক্রিয়া। একটা বন্ধ রাখবেন আর একটা করবো,এভাবে হয়না।
মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ১ যুগপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেছেন, আপনারা সংস্কার করবেন, করুন। আপনারা এমন সংস্কার করুন, যাতে আর কোন দিন ফ্যাসিবাদের উত্থান না হয়। সেই ধরনের একটা দৃষ্টান্ত আপনারা স্থাপন করুন। তা-না হলে তো তারা নানা ভাবে মাথাচাড়া দিবে। এখনো চালের দাম কমেনি। চাল তো কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। হয়তো সবজির দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। এক চালের দাম না কমানোর কারণে, দুর্ভিক্ষ হওয়ার কারণে শেখ মুজিবের পাহার সমান জনপ্রিয়তা একবারে ধূলায় লুটিয়ে গেলো। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, সিন্ডিকেটবাজদের ধরতে হবে, অপরাধীদের ধরতে হবে, তাদেরকে আইনের মধ্যে আনতে হবে এবং সমাজের মধ্যে একটা স্বস্তি আনতে হবে।
রুহুল কবীর রিজভী আরও বলেন, ১৫ আগস্টের মর্মাহত মৃত্যু হলো কিন্তু মানুষ ইন্নানিল্লাহ পড়লো না। এটা আওয়ামী লীগ কোনদিন বিশ্লেষণ করেনি। যে আমার বাবার রাজত্ব্যে বাংলাদেশ ভালোমতো চলেনি। যদি দুর্ভিক্ষের সময় মানুষ গাছের পাতা চিবিয়ে খায় আর একি সময়ে ৩২ নম্বরের ধানমন্ডিতে সোনার মুকুট পড়ে ভাইয়ের বিয়ে হয়। তাহলে মানুষ এটা ভালো ভাবে নিবেনা। এই বোধ আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার ছিলনা। যদি এই বোধ তাদের থাকতো, তাহলে আবার তারা দ্বিতীয় বাকশাল তৈরি করতে পারতো না। গোটা দেশকে বন্দিশালায় পরিণত করতে পারতো না।
জেলা জিয়া স্মৃতি পাঠাগার জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মো.জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মো.রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস.এ জিন্নাহ কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রফেসর রোবায়েত ফেরদৌস ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গোলাম হাফিজ কেনেডিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।