Logo
শিরোনাম

আইপিএল ফাইনালে ১১৩ রানে অল আউট হায়দরাবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনালের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অল আউটের বাজে রেকর্ড গড়ল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।


 কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ১৮.৩ ওভারে ১১৩ রানে অলআউট হয় হায়দরাবাদ।


রোববার (২৬ মে) চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।


 সর্বশেষ ১৮.৩ ওভারে ১১৩ রানে অল আউট হয় দলটি। ফলে তৃতীয় শিরোপা জিততে কলকাতার প্রয়োজন মাত্র ১১৪ রান। 



এবারের আইপিএলে ফাইনালের আগে দুবার মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা ও হায়দরাবাদ। লিগ পর্বে একবার, আরেকবার এক নম্বর কোয়ালিফায়ারে। দুবারই জিতেছিল কলকাতা।


কলকাতা এর আগে আইপিএল শিরোপা জিতেছে দুবার (২০১২ ও ২০১৪)। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আইপিএল শিরোপা জিতেছে ২০১৬ সালে।  


আরও খবর



চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আমরা চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। বলবেন- তার প্রমাণ কি আপনারা যে পারবেন? তার প্রমাণ হচ্ছে আমাদের দলের কর্মীরা চাঁদাবাজিও করে না, দখলদাবাজিও করে না বলে মন্তব্য করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াতে আমির বলেন, নারী-পুরুষের ব্যবধান এনে আমাদেরকে বলে- জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে এদেশের মানুষ বিপদে পড়বে। মহিলারা মায়ের জাতি, আমরা তাদেরকে মায়ের মতো সম্মান করি। যারা সন্তুষ্টির সঙ্গে বোরকা পরতে চাইবেন, তারা পরবেন। অন্যান্য ধর্মের মায়েদের আমি কীভাবে বোরকা পরাবো? ইসলাম কি আমাদের এই দায়িত্ব বা অধিকার দিয়েছে? কোনোটাই দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, তারা যা পছন্দ করবেন, তাই পরবেন। পোশাকের ব্যাপারে জোর খাটানো যাবে না। নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আল্লাহর আইন সবার জন্য সমান। আমরা সেই আইনের জন্য লড়াই করছি। আমি মানুষকে মানুষের মর্যাদা দিব। যদি প্রত্যেকটা মানুষ মানুষকে সম্মান দেয়, ভালোবাসে। তাহলে এই দেশ জান্নাতের টুকরোয় পরিণত হবে।

শফিকুর রহমান বলেন, এই রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সম্পদ, ইজ্জত ও জীবন সম্পূর্ণ নিরাপদ। এদেশের সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে ও নিরাপত্তার সঙ্গে পালন করতে পারবে। ধর্ম পালনে কোথাও বাধার সম্মুখীন হবে না।

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা উপহার দেব, যাতে এ দেশের যুবক-যুবতীদের সার্টিফিকেট নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে না ঘুরতে হয়। কাগজের টুকরো নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে দৌড়াদৌড়ি করা লাগবে না। পড়াশোনা শেষে চাকরি বা কাজ পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। যুবক-যুবতীদের প্রতিটি হাতকে দেশ গড়ার কারিগরের হাত হিসেবে তৈরি করতে চাই। এ দেশের মানুষ আর বিশ্বে চাকরির জন্য যাবে না। এর আগে বিশ্ব থেকে এদেশে চাকরি করতে আসতো। সেই গৌরব ফিরে পাব ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, যারা ধর্মের বিভাজন তৈরি করে মেজোরিটি মাইনোরিটি দিয়ে তারাই ৫৩ বছর আপনাদেরকে কষ্ট দিয়েছে। আমাদের দলের কেউই এসব অপকর্মে জড়িত নাই। অথচ দোষ দেন আমাদের ঘাড়ে।

শফিকুর রহমান বলেন, যেই সমাজে চাঁদাবাজি-ঘুষখোর থাকবে না, যেই সমাজে দখল বাণিজ্য চলবে না, মানুষে-মানুষে ধর্মে-ধর্মে বৈষম্য থাকবে না। সেই সমাজ গড়ার জন্য লড়াই করতে হবে। আমর সেই লড়াই চালিয়ে যাব।

তিনি আরও, আমরা দুই দুইবার স্বাধীন হয়েছিলাম ৪৭ ও ৭১ এ। স্বাধীনতা লগ্নে যারা জাতিকে ওয়াদা করেছিলেন, যে সমস্ত অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার। তারা কেউ অধিকার ফিরিয়ে দেননি। তারা কথা রাখেননি। তারা জাতির সাথে বেইমানি করেছে। জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বিশেষ করে স্বাধীনতার পর এখনো পর্যন্ত, ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা এদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে নিজের তালুক মনে করতেন, চেতনার কথা বলে তারাই এ জাতিকে লুণ্ঠন করেছেন। গণহত্যা চালিয়েছেন, আকাম-কুকাম ধর্ষণের সেঞ্চুরি করেছেন। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছেন। গত সাড়ে ১৫ বছরের আমলে যার হিসাব বের হয়ে এসেছে ২৬ লাখ কোটি টাকা। যা বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেটের প্রায় পাঁচ গুণ। দেশে যেখানেই তাদের হাড়িতে হাত ঢুকছে সেখানেই টাকার খনি। এ টাকা এরা পেল কোথায়? তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পিয়নের ছিল সাড়ে চার শ কোটি টাকা। পিয়নের এতো টাকা হলে মালিকের কত টাকা?

জামায়াতের আমির বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প থেকে মালিকের পরিবার ৫৭ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। মেগা উন্নয়নের নামে মেগা ডাকাতি করা হয়েছে। একটা পদ্মা সেতু তৈরি করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে সেই খরচে কমপক্ষে চারটা পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত। তাহলে বাকি তিনটি গেল কোথায়। দেশের টাকা দিয়ে যারা বিদেশে বেগমপাড়া গঠন করেছেন তারাই এই টাকা চুরি করেছেন। কিন্তু চোরের মার বড় গলা। প্রত্যেকটা প্রকল্পে নিজেদের দলের লোককে কন্ট্রাক্টর নিয়োগ করেছে। আমি আর মামু মিলে কারবার চালাইছে। এভাবে তারা দেশটাকে ফুকলা করেছে। ব্যাংকগুলোকে শেষ করে দিয়েছে। ডাকাত এস আলমকে লেলিয়ে দিয়ে ভাগবাটোয়ারা করে ইসলামী ব্যাংককে শেষ করে দিয়েছে। এই ব্যাংকের টাকা চুরি করেছে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা। বাংলাদেশ তাদের ইনকাম সোর্সের জায়গা। আর তাদের কলিজা বিশ্বের অন্যান্য জায়গায়। তারা ও তাদের ছেলেমেয়ে বেগমপাড়ায় থাকে। তারা দেশকে ভালোবাসলে এই দেশেই থাকতো এবং এই দেশে অবদান রাখতো।

তিনি বলেন, এরা শুধু বিরোধী দল ও আলেম উলামাদের ওপর নির্যাতন করেনি। ১৮ কোটি মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে। ১৮ কোটি মানুষকে বেইজ্জতি করেছে, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। সিন্ডিকেট করে বাজারে অগ্নিমূল্য চালু করে দিয়েছিল। এই সরকার এখনো ভাঙতে পারেনি। সিন্ডিকেটের হাত বদল হয়ে গেছে। আগে যাদের কাছে ছিল, এখন আরেকদল সেটা তাদের হাতে তুলে নিয়েছে। এই সিন্ডিকেটের হাত ভেঙে দিতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের শোষণ চালানো যাবে না।

কর্মী সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারেক হোসেন, অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেম, অধ্যক্ষ খন্দকার এ কে এম আলী মুহসিন, কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, জেলা শিবিরের সভাপতি ইমরান খান প্রমুখ।

এই কর্মী সম্মেলনে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল নামে। সম্মেলন প্রাঙ্গণ ও আশপাশে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। খুব সকাল থেকে শীত উপেক্ষা করে মানুষের জমায়েত হয়। সম্মেলন স্থান ছাপিয়ে সড়কে মানুষের ঢল নামে। শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা দেয়।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




পর্দা উঠল বাণিজ্য মেলার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ-২০২৫) ২৯তম আসরের পর্দা উঠেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার কিছু আগে রাজধানীর পূর্বাচলে এই মেলার উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এই মেলা হতে যাচ্ছে এ নিয়ে চতুর্থবার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ মেলার যৌথ আয়োজক।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষে সারাদেশের উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের পরামর্শ দেন।

দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশি ৭ দেশের ১১ প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশ নেবে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া।

মঙ্গলবার দুপুরে মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বাণিজ্য মেলায় এই প্রথম অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল/প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম ই-টিকেটিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে এবার। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির নির্ধারিত বাসসেবা থাকবে। পাশাপাশি থাকছে বিশেষ ছাড়ে উবার সেবা।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




দেশের স্বার্থে আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষা মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় দেশটির বিপ্লবী গোষ্ঠীর পাশাপাশি জান্তা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ, জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ সোমবার দুপুরে সীমান্ত ঘুরে টেকনাফের দমদমিয়াস্থল নাফ নদে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন জেটি ঘাটে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, নতুন করে যারা অনুপ্রবেশ করেছে তাদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ তাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে। সীমান্তে স্থানীয়দের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে কিছু দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে। আমাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রথম থেকে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখনো সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। তবে সীমান্তবাসীর নিরাপত্তায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এতে সীমান্তবাসীর আতঙ্ক হওয়ার কারণ নেই। সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে সব বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মাদকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‌মাদক অনেক আগের সমস্যা। তবে মাদকরোধে সবার সহযোগিতা দরকার। এটা শুধু আইন দিয়ে সমাধান করা সম্ভব না। সীমান্তে সব পরিস্থিতি সমাধান হয়ে গেলে নাফ নদে মাছশিকারসহ শাহপরীর দ্বীপে করিডোর খোলা হবে।

তিনি বলেন, ‌সীমান্ত বাহিনীর অগোচরে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করেছে। কিছু অসাধু বাংলাদেশি দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করাচ্ছে। এ দালালচক্রকে প্রতিহত করতে সবার সহযোগিতা দরকার। না হলে এরা ভয়ংকর হয়ে উঠবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস সবশেষ জাতিসংঘ সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। পরিস্থিতি যাই হোক অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ দুপুরের দিকে হেলিকপ্টরযোগে ঢাকা থেকে টেকনাফ পৌঁছান। পরে বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শন করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ছিদ্দিকী।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার অর্ধশত সেনা নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার অর্ধশত সেনা। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে হামলা চালিয়ে উত্তর কোরিয়ার এসব সেনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর স্পেশাল ফোর্স। তিন দিনের লড়াইয়ে ওই সেনাদের হত্যার দাবি করেছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে বিশেষ ওই বাহিনী। এছাড়া এই লড়াইয়ে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৭ সেনা।

ইউক্রেনের স্পেশাল ফোর্স তাদের প্রকাশিত ফুটেজে এফপিভি ড্রোন ব্যবহার করে যুদ্ধক্ষেত্রে সেনা সদস্য এবং সামরিক সরঞ্জাম টার্গেট করে আঘাত হানার দৃশ্য প্রকাশ করেছে। কুরস্কের যুদ্ধক্ষেত্রে সফলভাবে উত্তর কোরিয়ার সেনা ও সামরিক সরঞ্জামকে নিশানা করার এফপিভি ড্রোনের ফুটেজ প্রকাশ করেছে ইউক্রেনের স্পেশাল অপারেশন ফোর্স।

ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইনডিপেনডেন্ট বলেছে, গত আগস্টের শুরুর দিকে কুরস্কের ওব্লাস্টে যুদ্ধরত ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য উত্তর কোরিয়ার ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।


আরও খবর



বিটিভির জন্মদিনে প্রকাশ হয়ছে বিশেষ গ্রন্থ ‘তারিখ অভিধান’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

পথচলার ষাট বছর পূর্ণ করে ফেললো বাংলাদেশ টেলিভিশন- বিটিভি। সরকারি মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেলটির জন্মদিন ঘিরে চ্যানেল আই আয়োজন করেছিলো এক ভিন্নধর্মী এক অনুষ্ঠান। গান, স্মৃতিচারণ, বইয়ের মোড়ক খোলার আয়োজন আর আড্ডায় বুধবারের সকালটা ছিলো একেবারেই ভিন্ন ধরনের। 

১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ টেলিভিশনের। বিটিভি নামেই পরিচিত দেশের সকল মানুষের কাছে। সৃষ্টি সৃজনের সূতিকাগার এই টেলিভিশন চ্যানেলের পথচলায় চড়াই উতরাই থাকলেও এক সময় বিটিভিই ছিল দেশের কোটি মানুষের দর্শকপ্রিয় অনুষ্ঠানের বিশাল সম্ভার। 

তাই টেলিভিশন চ্যানেলটির অতীত ঐতিহ্যর সাথে নতুন প্রজন্মের মেলবন্ধন রচনায় বেসরকারি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান চ্যানেল আই আয়োজন করেছিলো বিটিভির জন্মদিনের অনুষ্ঠান। গান গল্পের আড্ডায় বুধবারে সকালে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ হয়ে উঠিছিল বিটিভির নবীন প্রবীণ শিল্পী কলাকুশলীদের মিলনমেলায়। 

দেশের টেলিভিশনের অতীত ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য লেখক, সাংবাদিক নাট্যকার আহমেদ রেজাউর রহমানের গবেষণা গ্রন্থবাংলাদেশ টেলিভিশন তারিখ অভিধানেরমোড়ক খোলা হয় এই আয়োজনে। 

বহুমুখী প্রতিভার লেখক, সাংবাদিক নাট্যকার আহমেদ রেজাউর রহমানের সঙ্গে বিটিভি সম্পর্ক অনেক পুরোনো। বাংলাদেশ টেলিভিশন নিয়ে যে কয়েকজন মানুষ নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে আসছেন, তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। বিটিভির এর আগে তিনি লিখেছেন গবেষণাধর্মী১৯৭১ ঢাকা টেলিভিশনগ্রন্থটি।

তারই ধারাবাহিকতায় এবার আহমেদ রেজাউর রহমান সামনে আনছেন বিটিভি নিয়ে তার আরেকটি গ্রন্থ। বাংলাদেশ টেলিভিশনের নানা ধরনের অনুষ্ঠানের প্রচার সময় নিয়ে রচিত হয়েছেতারিখ অভিধান তার তথ্যবহুল এই বইটিতে ১৯৭১-১৯৮০ সাল পর্যন্ত সময়কে তুলে ধরা হয়েছে।

লেখক আহমেদ রেজাউর রহমানের বলেন, বিটিভিতে প্রচারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান নাটক সম্প্রচারের দিন তারিখের ইতিহাস নিয়ে ধারাবাহিক বইয়ের প্রথম খণ্ড এটি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় খণ্ড প্রকাশেরও আশা রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বইটি খুবই প্রয়োজনীয় হবে বলে জানিয়েছেন প্রকাশক মনিরুল হক।

অনুষ্ঠানে আসা তারকারা বলেন, বিটিভি মানুষকে যেমন স্বপ্ন দেখিয়েছে তেমনি মেধার সম্মেলনও ঘটিয়েছিল এই প্রতিষ্ঠানটি তাই রাজনীতি প্রভাবমুক্ত রেখে বিটিভি পরিচালনা করলে এক অনন্য উচ্চতায় চলে যেতো। উল্লেখ্য, চ্যানেল আই প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর বিটিভির জন্মদিনে নিজস্ব আঙিনায় আয়োজন করে বিশেষ অনুষ্ঠানের। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। 


আরও খবর