Logo
শিরোনাম

আইভীর জন্য হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন: শামীম ওসমান

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমরা জানি আমরা নৌকার জন্য ভোট চেয়েছিলাম। আমি নারায়ণগঞ্জের একজন সামান্য কর্মী। আমরা বঙ্গবন্ধুকে চিনেছি তার আদর্শকে চিনেছি। তুই তুকারি আল্লাহ পছন্দ করে না। আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। যাদের বলা হয়েছে চাকরি খেয়ে দেবো, আমি তাদের সবার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি।

সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাকে প্রশ্ন করেন আপনাদের নৌকা মার্কার একজন মেয়রের কাছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা গিয়েছিলেন। তাদের বলা হলো ভাত খেতে পাস না, ফোন কিনিস কীভাবে। এটার উত্তর আমি দেব না, আমি উত্তর দেই, আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশে কোথাও কেউ ভাত না খেয়ে নেই শেখ হাসিনার আমলে। ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলে টাকা নেই, এত বাড়ি কোথা থেকে হলো সে প্রশ্ন কে করবে।

বুধবার সন্ধ্যায় কানাইনগর সোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের নবীনবরণ ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।  

তিনি বলেন, পুলিশকে গালি দেন যারা তাদের পুলিশের পাহারায় থাকতে হয়। আমাদের ওসামানীয় সাম্রাজ্য বলা হয়। আমার দাদা এমপি ছিল, বাবা এমপি ছিল। আমরা তিন ভাই এমপি হয়েছি। আমরা সাম্রাজ্য কায়েম করেছি সত্যি।  কারো জমি দখল করে করিনি। মানুষের মনে জায়গা করে সাম্রাজ্য গড়েছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দ্রন শীল, বক্তাবলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলীসহ আওয়ামী লীগ এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।


আরও খবর



ধামরাইয়ে বাঁশের মই বেয়ে উঠতে হয় চার কোটি টাকার সেতুতে, নেই সংযোগ সড়ক !

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন(স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাইয়ে সুতিপাড়া ইউনিয়নের নওগাঁয় গাজীখালী খালের উপর সেতু নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। সংযোগ সড়কটি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের। 

খালের পাড়ে নওগাঁ বাজারে রয়েছে নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশরাফ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়। বর্ষা ও বন্যা মৌসুমে খালে পানি থাকায় সেতুটিতে উঠতে হয় বাশেঁর মই দিয়ে। ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি কোন কাজে আসছে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,গাজীখালী খালের উপর নির্মিত সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও হয়নি দুই পাশের সংযোগ সড়ক। সেতু সংযোগ সড়ক থেকে প্রায় ২০-২৫ ফুট উচু থাকায় কোনো কাজেই আসছে সেতুটি। বাধ্য হয়েই মানুষ বর্ষা ও বন্যা মৌসুমে মই ব্যবহার করে সেতুটিতে উঠছে। আবার খালে পানি যখন কমে যায় সে সময় পারাপারের জন্য বাঁশের সাকোঁ নির্মাণ করে যাতায়াত করে। 

এতে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে- বয়স্ক মানুষসহ শিক্ষার্থীরা। বৃহত্তম ঢাকা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প -৩ এর আওতায় ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি গাজীখালী খালের উপর ৪৫ মিটার দির্ঘ্য পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান "মেসার্স জয়েন্ট ব্রিকস ট্রেডার্স। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সেতুটি নির্মাণ সমাপ্তির করার সময় নির্ধারণ করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৪ কোটি ২১ লাখ ৫৪ হাজার ২৭১ টাকা।

সুতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রমিজুর রহমান রোমা বিডিটুডেসকে জানান, আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সেতুটির কাজটি এনেছি। গত পাঁচ বছর আমি চেয়ারম্যান ছিলাম না। এরই মধ্যে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আমি আবার চেয়ারম্যান হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি, মানুষ যাতায়াত করতে পারে না- এরপর প্রশাসন সেতুটির সংযোগ সড়কে নির্মাণে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

স্থানীয় গ্রামবাসী জানান,খাল পারাপারের জন্য আগে নৌকা ব্যবহার করা হতো। নৌকায় করে ঘর বাড়ির মালামালসহ বাইসাইকেল মোটরসাইকেল পার করা যেতো। সেতু হওয়ার পর সে পারাপারও বন্ধ হয়েছে। এখন খালে পানি থাকলে সেতুটি উঠতে মই ব্যবহার করতে হয়। মালামাল আনতে কয়েক মাইল ঘুরে যাতায়াত করতে হয়।

ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী সালেহ হাসান প্রামানিক বিডিটুডেসকে জানান, নওগাঁ গাজীখালী খালের উপর সেতুটির অ্যাপ্রোচের কাজ (স্কুলের সাইটে) চলমান আছে। এটা এই মুহূর্তে লেয়ার বাই লেয়ার বালি কম্পেকশন করে কাজ হচ্ছে। অপর পাশের ডেন্ডার হয়ে ওয়ার্ক ওয়ার্ডার সম্পূর্ণ হয়েছে টিকাদারকে ফাইল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে টিকাদার মালামাল মজিল্যাইশন করে কাজ শুরু করে দিবে।


আরও খবর



র‌্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিল ও বিদেশী মদ সহ মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

র‌্যাবের অভিযানে ৩৫৩ বোতল ফেন্সিডিল ও বিদেশী ৩ বোতল মদসহ মাদক কারবারি এক যুবক আটক।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩,জয়পুরহাট কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়,

র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকশ অভিযানিক দল কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোঃ মোস্তফা জামান এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা এর নেতৃত্বে রবিবার ১৯ মার্চ পনে ৪টারদিকে জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৫৩ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩ বোতল বিদেশী মদ সহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ফারুক হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ফারুক হোসেন জয়পুরহাট জেলা সদর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের

মৃত কলম বকস এর ছেলে।

র‌্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত যুবক গঙ্গাদাসপুর এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। সীমান্ত এলাকা থেকে ফেন্সিডিলের একটি বড় চালান আসবে এবং রাতেই তা বাসে করে ঢাকায় পাঠানো হবে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, র‌্যাবের একটি চৌকশ অভিযানিক দল গঙ্গাদাসপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মাদক সহ আসামীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। এব্যাপারে নিকটস্থ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।


আরও খবর



রমজানে জাল নোট নিয়ে সতর্কতা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

পবিত্র রমজান মাসে নোট জালকারী চক্রের অপতৎপরতা রোধে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য বিশেষ কয়েকটি নির্দেশনা পালন করতে বলা হয়েছে।

এর মধ্যে রাজধানীতে ৫৮ স্থানে জাল নোট প্রতিরোধে ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসম্বলিত ভিডিও বিভিন্ন ব্যাংককে জনগণের সামনে প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসম্বলিত ভিডিও চিত্র রমজানে ঢাকা শহর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখাগুলোর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বগুড়া জেলাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ জনসমাগমস্থল, রাস্তার মোড়ে সন্ধ্যার পর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা করে প্রচার করতে হবে। দেশের ব্যাংকগুলোর শাখায় গ্রাহকদের জন্য স্থাপিত টিভি মনিটরগুলোতে ভিডিও চিত্রটি পুরো ব্যাংকিং সময়ে প্রদর্শন করতে হবে।

ব্যাংকের শাখাগুলোতে উচ্চ মূল্যমানের নোট গ্রহণ ও প্রদানকালে এবং এটিএম মেশিনে টাকা ফিডিংয়ের পূর্বে আবশ্যিকভাবে জাল নোট শনাক্তকারী মেশিন দ্বারা নোট পরীক্ষা করতে হবে। রমজান শেষ হওয়ার পর ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে আলোচিত নির্দেশনা পরিপালনের স্বপক্ষে একটি সচিত্র প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে জমা দিতে হবে।


আরও খবর

তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৩৪২৬

রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩

দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির

শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩




ফুলবাড়িতে, তুলার চাষের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে,তুলা চাষের বাম্পার ফলন কৃষকদের মুখে হাসি এবারে আবহাওয়ার প্রতিকূলতা অন্যান্য আবাদের তুলুনায় উৎপাদন খরচ কম। কম খরচে অধিক লাভ। সেই কারণে কৃষকরা এখন তুলা চাষে ব্যস্ত।আশানুরূপ দাম পাওয়ার কারণে কৃষকদের চাহিদা বেড়েছে তুলা চাষের দিকে। বর্তমানে কৃষকদের কাছে তুলা চাষাবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী এবছর উপজেলায় ১৬৫ হেক্টর জমিতে ২৪০জন তুলা চাষ করেছে গত বছরের তুলনায় এবারে তুলার দাম বেশি থাকায় লাভবান হচ্ছে প্রান্তিক তুলা চাষিরা। অনুকূল আবহাওয়া ও হাইব্রিড রুপালি-১জাতের বীজ ভালো হত্তয়ার কারণে এবারে তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি ভাবে সম্প্রসারিত তুলা চাষ প্রকল্পের বিভিন্ন প্রোণোদনা ও উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের পরামর্শে চলতি মৌসুমে তুলা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারে তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখাযায় তুলার বাম্পার ফলনের জন্য কৃষক কৃষাণীর মুখে হাসি তুলার সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করছেন আবার কেউবা তুলা বেচাকেনা নিয়ে ব্যস্ত। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,তুলা চাষ করতে অফিস থেকে প্রশিক্ষণ,সার ঝৃণ প্রদান করার এবারে তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এবারে দাম ২৪৪টাকা বেশি হত্তয়ায় প্রতি মন ৩৮০০টাকা বিক্রি হচ্ছে।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা এলাকায় এক তুলা চাষির সাথে কথা বলে জানাজায়, ফুলবাড়ী তুলা উন্নয়ন বোর্ড থাকি সার বীজ,ঋণ সহায়তা পেয়ে ১৫বছর থাকি এই তলা চাষ করে আসছি এবারেও তুলা অফিসের কর্মকর্তাদের পরামর্শে ২ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি আল্লাহরহতে এবার আবাদ ভালো হয়েছে দামতো ভালো এইজন্য খুব ভালো লাগতেছে।

বগুড়া থেকে আসা তুলা ব্যবসায়ী জানান, প্রতিবছরই আমরা এই এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য দামে তুলা ক্রয়করে থাকি। শুধু এই এলাকা নয় আমরা উত্তর বঙ্গের সমস্ত তুলা আর মাথা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ক্রয় করে থাকে যেটি এস আলম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।এখান থেকে তুলা ক্রয়করে বগুড়ায় নিয়ে যাই সেখান থেকে আবার ঢাকা গাজীপুরের স্পিনিং মেইলে সুতা তৈরি করে এই সুতা দিয়ে বিভিন্ন প্রকার পোশাক তৈরি করে থাকি। এছাড়া আমরা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের আগাম বিনা সুদে ঋণ প্রদান করে থাকি।

উপজেলা তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব লুৎফর রহমান জানান, ফুলবাড়ী উপজেলায় এবছরে ১৭২হেক্টর জমিতে তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা থাকলেও ১৬৫হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হয়েছে।

তুলার বাম্পার ফলনের জন্য সার, বীজ প্রশিক্ষণ সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। ০১৭১৯৬১৬২৪৫


আরও খবর



প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন উপ-সচিব, এমপিও ভুক্ত করনের দাবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর পোরশা উপজেলায় অবস্থিত (মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়) পরিদর্শন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ এরশাদ হোসেন খান। 

এমপিও ভুক্ত করনের দাবি জানালেন সচেতন মহল।

পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক নূর-মোহাম্মদ, পোরশা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ নাজমুল হাসান।এসময় মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এর

সভাপতি মোসাঃ সালমা আক্তার, প্রধান শিক্ষক মোঃ মওদুদ আহম্মেদ সহ বিদ্যলয়টির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শাহজাহান আলী মাষ্টার ও স্থানিয় সংবাদ কর্মীরা সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ মওদুদ আহম্মেদ জানান, দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পূর্বে প্রতিবন্ধীদের সেবা সহ ও শিক্ষা দেওয়ার লক্ষনিয়ে ২০১৩ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। সে সময় মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় টি ৬৩ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পথ চলা শুরু করলেও শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভালোবাসা পেয়ে প্রতিবন্ধীরা তুলনা মূলক অনেটাই স্বাভাবিক বা আচারন গতভাবে গড়ে ওঠার কারনে বিদ্যালয়টি খুব দ্রুত এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। যার ফলে দিনদিন বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও। প্রধান শিক্ষক আরো জানান, ইতি মধ্যেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৩২০ জন হয়েছে। তবে সরকারি কোন সুযোগ বা সুবিধা এতোদিন তেমন না পেলেও বিভিন্ন দানশীলদের আর্থিক সহযোগীতায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া সহ বিভিন্ন খরচ বহন করা হতো।


আর বিনা বেতনে শিক্ষক, শিক্ষিকা সহ মোট ১২ জন কর্মচারীরা দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে শ্রমদিয়ে আসছেন। এমনকি জরুরী সংকট মহূর্তে নিজেরাই সাধ্যমত অর্থদিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছিলেন। এ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক কষ্ট ও শ্রমদিতে হয়েছে বিদ্যালয় এর ১২ জন শিক্ষক কর্মচারী স্টাফদের। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও কর্মচারীদের মানবেতর জীবন-যাপনের করুন কাহিনী জানতে পেরে ইতি পূর্বেই জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তারা ও বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন। এমনকি দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এবিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের দেখতে এসে অনেকেই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপহার হিসেবে খাবার বা খেলনা সামগ্রী ও দেন। এভাবেই মানবেতর জীবন-যাপনের ভেতর থেকেই শিক্ষক সহ কর্মচারীরা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া সহ তাদের যত্নও নেয়। 

প্রধান শিক্ষক আরো জানান, আমরা ১২ জন স্টাফ দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে বিনা বেতনে শ্রম ও অর্থদিয়ে আসাকালে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মহোদয় এর মাধ্যমে কয়েক বার আবেদন করার পর পরিশেষে ২০২০ইং সালে স্বীকৃতি ও এমপিও ভুক্তির জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে অনলাইনে আবেদন চাওয়া হলে আবেদন এর সকল শর্ত মেনে ফের আবেদন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় স্বারক নম্বর-৪১.০০.০০০০.০০১.৩৫.১৩(১).৩১১ তারিখ-১৬/০৩/২০২৩ মূলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ এরশাদ হোসেন খান মহোদয় ও নওগাঁ সমাজসেবা অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক নূর-মোহাম্মদ মহোদয় বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা ও কুশল বিনিময় করেন। ৩২০ জন শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধীদের কথা বিবেচনা করে অতিদ্রুত বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত বা সরকারি করনের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল সহ সর্বসাধারন।


আরও খবর