Logo
শিরোনাম

আজ আল্লাহুম্মা লাব্বাইক পবিত্র হজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

পাঁচ দিনব্যাপী পবিত্র হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতা আজ মঙ্গলবার। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে জীবনের সব গুনাহ মাফ করার আকুল আকাঙ্ক্ষায় ৪৬ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেই আজ আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন সারাবিশ্বের ২৫ লাখ মুসল্লি। করোনা মহামারি পেছনে ফেলে এবার হজে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বৃহত্তম সমাগম ঘটেছে।

এদিন তালবিয়া তথা লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা, ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক (আমি উপস্থিত হয়েছি হে আল্লাহ, আমি উপস্থিত হয়েছি তোমার সমীপে, তোমার কোনো শরিক নেই, পুনরায় আমি উপস্থিত হয়েছি, নিশ্চয়ই সব প্রশংসা ও সকল নিয়ামত শুধু তোমারই জন্য, সব সাম্রাজ্যও তোমার এবং তোমার কোনো শরিক নেই) ধ্বনিতে গোটা আরাফাত ময়দান প্রকম্পিত হতে থাকবে।

আজ (সৌদি আরবে ৯ জিলহজ) মহান আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিতে আসা মুসলমানরা হজের দ্বিতীয় রুকন আদায়ের জন্য সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত বিদায় হজের স্মৃতিবিজড়িত এই ময়দানের চারদিকে হলুদ বোর্ড দিয়ে চিহ্নিত এলাকার ভেতরে অবস্থান করবেন হাজিরা। এখানেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। এ নিয়ে হজযাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতি তৈরি হয়েছে। তাঁরা প্রায় সার্বক্ষণিক জিকিরে মশগুল রয়েছেন। তালবিয়া পড়ছেন।

তিন দিক থেকে পাহাড় পরিবেষ্টিত ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানে রয়েছে রহমতের পাহাড় (জাবালে রহমত)। এই পাহাড়টি দোয়া কবুলের স্থান। এ কারণে কোনো কোনো হজযাত্রী জাবালে রহমতে উঠেও ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। কোনো কোনো হজযাত্রী প্রায় দুই মাইল দৈর্ঘ্য এবং দুই মাইল প্রস্থের অর্থাৎ প্রায় চার বর্গকিলোমিটার আয়তনের বিরাট ও বিশাল আরাফাত ময়দানে যাঁর যাঁর মতো সুবিধাজনক জায়গা বেছে নিয়ে ইবাদত-বন্দেগি করবেন। এই ময়দানে একটি উঁচু পিলার রয়েছে। এই পিলারটিও দোয়া কবুলের স্থান। আদি পিতা প্রথম নবী হজরত আদম (আ.) এবং আদি মাতা হাওয়া (আ.) আরাফাতের ময়দানে এসে পুনর্মিলনের সুযোগ পেয়েছিলেন। এ জন্য তাঁরা এই ময়দানেই মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন।

হিজরি সন অনুয়ায়ী ১৪৩৪ বছর আগে (১০ম হিজরি) ঐতিহাসিক এই আরাফাত ময়দানেই বিদায় হজের খুতবা দিয়েছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী, বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত হজরত মুহাম্মদ (সা.)। এ কারণে আরাফাত ময়দানে উপস্থিত না হলে হজের আনুষ্ঠানিকতা পূর্ণাঙ্গ হয় না। তাই ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ রুকন পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে আসার পর যাঁরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, তাঁদেরও অ্যাম্বুলেন্সে আরাফাতের ময়দানে আনার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। কেউ কেউ হুইলচেয়ারে এই ময়দানে আসেন।

আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরা থেকে জোহরের নামাজের আগে মিম্বরে দাঁড়িয়ে আরবি ভাষায় হজের খুতবা পাঠ করা হবে। এবার খুতবা দেবেন শায়খ ড. ইউসুফ বিন মোহাম্মদ। তিনি নামাজের ইমামতিও করবেন। হজের খুতবা বাংলাসহ প্রায় ১৪টি ভাষায় অনুবাদ করে শোনানোর প্রস্তুতি রয়েছে। হজযাত্রীরা হজের খুতবা শুনবেন। পবিত্র হজের খুতবার পর মসজিদে নামিরায় সমবেত মুসলমানরা এক আজান এবং দুই ইকামতে জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে জামাতে আদায় করবেন। কারও অবস্থান মসজিদে নামিরা থেকে দূরে থাকলে তিনি নিজের তাঁবুতে আলাদাভাবে আদায় করবেন জোহর ও আসরের নামাজ। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের পর কিছু সময় পর্যন্ত হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দানেই অবস্থান করবেন।

হাজিরা সূর্য অস্ত যাওয়ার কিছু সময় পর মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই আরাফাত ময়দান থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দেবেন। মুজদালিফায় গিয়ে এশার নামাজের সময় একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায়ের পর তাঁরা সেখানেই বিস্তীর্ণ খোলা মাঠে রাত যাপন করবেন। রাতে প্রতীকী শয়তানের উদ্দেশে নিক্ষেপের জন্য সেখান থেকে ৭০টি পাথর সংগ্রহ করবেন। সুবহে সাদিক পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ।

হাজিরা আগামীকাল ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায়ের পর সূর্যোদয়ের আগে কিছু সময় অবশ্যই মুজদালিফায় অবস্থান করবেন। এর পর তাঁরা মুজদালিফা থেকে মিনায় যাবেন। সেখানে মিনার জামারায় (শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছোড়ার স্থান) বড় শয়তানের উদ্দেশে প্রতীকী সাতটি পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি এবং রাসুলুল্লাহর (সা.) আদর্শ অনুসরণে পুরুষরা মাথা মুণ্ডন করে গোসল করবেন। নারীরা চুলের অগ্রভাগ থেকে প্রায় এক ইঞ্চি পরিমাণ চুল কাটবেন। এর পর হাজিরা সেলাইবিহীন ইহরাম খুলবেন; পশু কোরবানি দেবেন। এর পর হাজিরা হজের তৃতীয় অর্থাৎ শেষ রুকন আদায়ের জন্য মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে সুবহে সাদিকের পর থেকে কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন।

কাবা শরিফের সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাতবার সাঈ (দৌড়ানো) করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার ফিরে যাবেন মিনায়, নিজেদের তাঁবুতে। হজযাত্রীরা ১১ জিলহজ আবার মিনার জামারায় গিয়ে জোহরের নামাজের পর থেকে পর্যায়ক্রমে ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে সাতটি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। একইভাবে ১২ জিলহজ আবারও ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপের পর সন্ধ্যার আগে তাঁরা মিনা ত্যাগ করবেন। ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত যে কোনো সময়ে কাবা শরিফকে ফরজ তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।


আরও খবর



বাংলাদেশে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা চার্লস

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করতে পারেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় উপমহাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন। রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যানসার থেকে ধীরে ধীরে সেরে ওঠায় শিগগিরই এই সফরে বের হতে পারেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটেনের রাজার সফরের পরিকল্পনাকে তার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঠিক কবে নাগাদ ব্রিটিশ রাজা ও রানির এই সফর শুরু হতে পারে, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য জানায়নি ডেইলি মিরর।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তৃতীয় চার্লস সব ধরনের সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে পুনরায় তার সফর শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী বিশ্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ব্রিটেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, ‘‘রাজা এবং রানির জন্য এই ধরনের সফরের পরিকল্পনা করাটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের একটি সফর শুরুর কথা রয়েছে; যা বিশ্ব মঞ্চে ব্রিটেনের জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এই সময়ে ব্রিটেনের জন্য রাজা এবং রানিই জুতসই রাষ্ট্রদূত।’’

ডেইল মিরর বলছে, রাজ সফরের জন্য সম্ভাব্য আয়োজক দেশগুলোর সাথে আলোচনার করতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর ভারত সফর বাতিল করার পর রাজা ও রানিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটিতে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। গত মাসে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে সাক্ষাৎ করেছিলেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়া গত মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’’ স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেন যুদ্ধ ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে শেষ’’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।

২০০৬ সালে ক্যামিলাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েলসের যুবরাজ হিসেবে এক সপ্তাহের জন্য পাকিস্তান সফর করেছিলেন চার্লস। সেই সময় শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের কাছে পৌঁছাতে আমার প্রায় ৫৮ বছর লেগেছে। তবে এটা যে চেষ্টা করার অভাবে নয়, তা আমি বলতে পারি।’’


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




রেকর্ডসংখ্যক ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করল কুয়েত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কুয়েত ৯৩০ জন ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।বিভিন্ন অপরাধমূলক তৎপরতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জনের জেরে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। এই ব্যক্তিদের সবাই অভিবাসী হিসেবে দেশটিতে গিয়েছিলেন।

কুয়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফাহাদ আল ইউসেফ আজ সোমবার এক ব্রিফিংয়ে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার এই ৯৩০ জনের নাগরিকত্ব বাতিল সংক্রান্ত যাবতীয় নথি চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে। সভার পরবর্তী বৈঠকে সেসবকে পর্যালোচনা ও অনুমোদন শেষে স্বাক্ষর করা হবে।

নথিপত্র স্বাক্ষর হওয়ামাত্র নাগরিকত্ব বাতিল হবে তাদের। বস্তুত দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম একদিনে এতসংখ্যক ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল হচ্ছে। এর আগে গত ২০ অক্টোবর একদিনে ৪৮৯ জন ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করেছিল কুয়েতের সরকার। এতদিন পর্যন্ত এটিকেই এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিলের রেকর্ড বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

সোমবারের ব্রিফিংয়ে ফাহাদ আল ইউসেফ বলেন, “নথিতে যাদের নাম এসেছে, তারা প্রত্যেকেই কুয়েতের আইন অনুসারে বড় মাত্রার অপরাধী। যদি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতেও অপরাধমূলক তৎপরতা চলতে থাকবে এবং এটা আমরা হতে দিতে পারি না।”

তবে তিনি জানিয়েছেন, যাদের নাগরিকত্ব বাতিল হচ্ছে বা হওয়ার মুখে রয়েছে— তারা চাইলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ লক্ষে ইতোমধ্যে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত জেনারেল ডিরেক্টোরেটের অধীনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং নাগরিকত্ব বাতিলের শিকার ব্যক্তিরা চাইলে নির্দিষ্ট সময়েসীমার মধ্যে আবেদন করতে পারবেন।

“আমরা কারো সঙ্গে অবিচার করতে চাই না। আমরা শুধু চাই কুয়েত এবং কুয়েতের জনগণের নিরাপত্তা।”

মাত্র ১৭ হাজার ৮১৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ কুয়েতের জনসংখ্যা ৪৯ লাখ। এ জনসমষ্টির অর্ধেকেরও বেশি অভিবাসী এবং তাদের অনেকেই দেশটির নাগরিকত্ব নিয়েছেন।

তবে অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কুয়েতের আদি অর্থাৎ আরব বংশোদ্ভূত নাগরিকরা সংয়খ্যালঘু ও কোনঠাসা অবস্থায় পৌঁছাচ্ছেন বলে মনে করছে দেশটির সরকারি প্রশাসন। এ কারণে গত দু-তিন বছর ধরে অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি দেশটির সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। গত দু’বছরে শত শত অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত।


আরও খবর



নওগাঁয় সূর্যের দেখা মিলেনি, কুয়াশার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

উত্তরা অঞ্চলের জেলা নওগাঁয় সোমবার সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি, কুয়াশার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। উত্তরের হিমেল হওয়ায় তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পথ, ঘাট ও মাঠ। এই কুয়াশা ভেদ করে গত কয়েক দিন সূর্যের দেখা মিললেও সোমবার ৯ ডিসেম্বর সারাদিন সূর্যের দেখা যায়নি। সেই সাথে দুপুরের পর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। 

ঘন কুয়াশার কারণে নওগাঁর সড়ক গুলোতে রাতে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি দূর্ঘটনা এড়াতে সকাল ৮ পর্যন্ত গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে।

সোমবার সকাল ৯টায় নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বিকেল ৩ টায় তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত শনিবার সকাল ৬টা ও ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা ছিল ঐ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত দিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রার একটু বেড়েছে।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, শীতের দাপট জেলায় এখনো ততটা বৃদ্ধি না পেলেও দিন দিন তীব্রতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তাই তারা দাবি করেছেন, শীতের শুরুতে যদি এ জেলায় গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে আরও কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় তাহলে তারা অনেক উপকৃত হবেন। এই আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে নওগাঁর সদর হাসপাতালসহ ১১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এর মধ্যে গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।


আরও খবর



প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব বিচাপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশ দেন। আগামীকাল বুধবার থেকে এই সাড়ে হাজার শিক্ষককে নিয়োগ পত্র দেওয়ার কথা ছিল।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর মোহাম্মদ আজমী।

এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন হাজার ৫৩১ জন। 

গত ২৮ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগপ্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। পরিপ্রেক্ষিতে মৌখিক পরীক্ষা নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। 


আরও খবর



সিপিবির সংহতি সভায় প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান

মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য স্বাধীন প্যালেস্টাইন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

প্যালেস্টাইনের জনগণের সাথে সংহতির আন্তর্জাতিক দিবসে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উদ্যোগে আজ ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন সংহতি সভা উদযাপিত হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে এই সংহতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সংহতি সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত প্যালেস্টাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান।

সভায় সূচনা বক্তব্য উত্থাপন করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান এবং সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হাসান, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি ডা. আবু সাইদ, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. শাকিল আক্তার। সভা সঞ্চালনা করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লাকী আক্তার।

সূচনা বক্তব্যে হাসান তারিক চৌধুরী বলেন, ‘সকল আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার সনদ চরমভাবে লঙ্ঘন করে সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ মদদে জায়নবাদী ইসরাইলী বাহিনী গাজাসহ পুরো প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। যে পশ্চিমা দেশগুলো কথায় কথায় বিশ্বকে মানবাধিকারের সবক দেয়, তারা আজ প্যালেস্টাইনের গণহত্যা সম্পর্কে কার্যত নীরব। আরব লীগ এবং ওআইসির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে ব্যার্থ। পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে যতটা সরব, গাজায় গণহত্যা নিয়ে ঠিক ততটাই নীরব। প্রথমে তারা যুদ্ধবিরতিতেও ভেটো দিয়েছে। এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে রুখে দিয়ে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তির লড়াইকে এগিয়ে নিতে হবে। অবিলম্বে প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলী বাহিনীর গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করে জাতিসংঘ স্বীকৃত স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

সিপিবির এই সংহতি সভায় প্যালেস্টাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে প্যালেস্টাইনের জনগণের প্রতি বিশেষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সত্তরের দশকের শুরুর দিকে ১৯৭৩ সালে প্যালেস্টাইনের জনগণের কাছে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। প্যালেস্টাইনের মানুষ সব সময়ই সংকটের মধ্যে আছে। বাংলাদেশ প্যালেস্টাইনের এক অকৃত্রিম বন্ধু।

সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মদদে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর যে আগ্রাসন, গণহত্যা পরিচালনা করছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনের মধ্য দিয়েই এর একমাত্র স্থায়ী সমাধান সম্ভব।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং দোসর ইসরায়েলকে পরাস্ত করতে হবে। গণহত্যাকারী ইসরায়েলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কার এবং আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার বিচার করতে হবে। স্বাধীন সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।’

সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহিন রহমান বলেন, ‘ইসরাইলে মার্কিন সমরাস্ত্র প্রদান, নৌবহর প্রেরণসহ সব সহায়তা বন্ধ ও স্বাধীন প্যালেস্টাইনের দাবিতে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে।’

সমাপনী বক্তব্যে সিপিবির সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘আমরা প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডে দখলদার শক্তির সাম্প্রতিক নৃশংসতাসহ প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে সকল বেআইনি ও যুদ্ধংদেহী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই। আগামী দিনে আমরা প্যালেস্টাইনের জনগণের আন্দোলনে সংহতি জানাতে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করবো। বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন এবং দখলদারিত্বের প্রতিবাদে আমাদের দেশের সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।’

সংহতি সমাবেশে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের কমরেডবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে যুদ্ধবিরোধী গান পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা।

এই কর্মসূচি উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট পার্টি সংহতি বার্তা পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কমিউনিস্ট পার্টি অব রাশিয়া, কমিউনিস্ট পার্টি অব কিউবা, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া, ওয়ার্ল্ড পিস কাউন্সিল সহ অন্যান্য সংগঠন  

প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রতিবছর ২৯ নভেম্বর প্যালেস্টাইনের প্রতি সংহতি প্রকাশে আন্তর্জাতিক দিবসটি পালনের আহ্বান জানায়। এর ১০ বছর পরে ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকে দিনটি আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন  সংহতি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।


আরও খবর