Logo
শিরোনাম

আজ ঢাকায় শোডাউন করবে বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে শনিবার (১৩ মে) রাজধানীতে জনসভার মাধ্যমে বড় শোডাউন করার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করবে দলটির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং কোনো শর্ত ছাড়াই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাসহ দলের ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াতেই এই সমাবেশ।

ঈদুল ফিতরের পর এটি তাদের চলমান আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হওয়ায় সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দলটি।

এদিকে শনিবারের সমাবেশকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যৌথ বৈঠক করেন এবং সমাবেশে রাজধানীর ওয়ার্ডগুলো থেকে সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন।

দলীয় নেতারা জানান, শনিবারের সমাবেশের মধ্য দিয়ে তাদের দল চূড়ান্ত সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রথম ধাপের সূচনা করতে যাচ্ছে। সমাবেশ থেকে মির্জা ফখরুল দলের তৃণমূলকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সারাদেশে দলের ৮২টি সাংগঠনিক জেলায় বিভিন্ন দফায় সমাবেশের ঘোষণা দেবেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে দলের চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেন।

দলের ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ শনিবার নয়াপল্টনে ব্যাপক জনসমাবেশ নিশ্চিত করতে বিএনপি ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিট ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

ঢাকা মহানগরের আশপাশের বিএনপি নেতাদেরও সংলগ্ন জেলার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও ভুল বোঝাবুঝি দূর করে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শনিবারের সমাবেশ সফল করতে তারা সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের চূড়ান্ত আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা রাজপথে নামব। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি


আরও খবর



মোবাইল ডেটার দাম নির্ধারণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

বিটিআরসির গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের ডাটা ও ডাটা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্যাকেজের নতুন নির্দেশিকার উদ্বোধন করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। নতুন এই নির্দেশিকা আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

মন্ত্রী বলেন, গ্রাহকের স্বাচ্ছন্দ বিবেচনায় নতুন ডাটা প্যাকেজ ও মেয়াদসহ বিভিন্ন নির্দেশনা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিন দিনের মেয়াদে ১৫ জিবি ডাটা দিলে তা গ্রাহকের উপকারে আসে না জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলো ব্যবসায়িক স্বার্থে ডাটার মেয়াদ সীমিত রাখতে চায়। অতিরিক্ত মুনাফা থেকে অপারেটরদের বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, পূর্বে অসংখ্য প্যাকেজ থাকায় জনগণ বিভ্রান্ত্রিতে পড়েছে, নতুন নির্দেশিকায় ৪০ টি প্যাকেজ গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য দিবে। বর্তমানে ০৩ দিনের প্যাকেজের যে মেয়াদ সেটাই ০৭ দিনের মেয়াদ হবে বলেও জানান তিনি।

সভার শুরুতে বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌ. মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা তৈরিতে এবং প্রান্তিক জনগণের দৌড়গোড়াঁয় টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে কাজ করছে বিটিআরসি। নতুন ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকার ফলে গ্রাহক ভোগান্ত্রি ছাড়াই তাদের পছন্দ অনুযায়ী ডাটা প্যাকেজ বাছাই করতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অপারেটরগণ নিজেদের স্বার্থেই ডাটার মূল্য কমিয়ে আনবে।

পরবর্তীতে কমিশনের মহাপরিচালক (সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ নতুন প্যাকেজ নির্দেশিকার আদ্যোপান্ত বিশদভাবে উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, নির্দেশিকায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে সভা, আলোচনা, মতামত গ্রহণ, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে গ্রাহকের সাথে সরাসরি মতবিনিময়সহ অনলাইন জরিপ পরিচালনা করেছে। উপস্থাপনায় তিনি নিম্নোক্ত বিষয় উল্লেখ করেন:

প্যাকেজ সংখ্যা ও মেয়াদ: একটি অপারেটরের নিয়মিত (regular package), বিশেষ প্যাকেজ (CCSP), রিসার্চ ও ডেভেলমেন্ট (R&D), সব ধরনের ব্র্যান্ড মিলিয়ে (ফ্ল্যাক্সিবল প্ল্যান অনুযায়ী) প্যাকেজের সংখ্যা হবে ৪০টি, যা আগে ছিলো ৮৫টি। এছাড়া, সকল প্যাকেজের সময়সীমা হবে ০৭ দিন, ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড, যা আগে ছিলো ৩ দিন, ৭ দিন, ১৫ দিন এবং ৩০ দিন।

আনলিমিটেড প্যাকেজের সংখ্যা ও ডাটা ভলিউম: প্রতিটি অপারেটর তিনটি ভিন্ন ভলিউমে আনলিমিডেট ডাটা প্যাকেজ অফার করতে পারবে আর তা হবে ২৫ জিবি, ৫০ জিবি এবং ৭৫ জিবি। অর্থাৎ উক্ত তিনটি ভলিউমের যেকোনো একটি আনলিমিটেড প্যাকেজ হিসেবে গণ্য হবে। বিটিআরসির অনুমোদন নিয়ে পরবর্তীতে ভলিউম পরিবর্তন করা যাবে।

ফ্ল্যাক্সিবল প্ল্যান প্যাকেজ ডিজাইন: যে সকল গ্রাহক (MyGP, MyRobi, MyBL, My Teletalk) ব্যবহার করে তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী টকটাইম, ডাটা ভলিউম,সোশ্যাল প্যাক, এসএমএস ইত্যাদি নির্বাচন করে নিজের প্যাকেজ নিজেই ডিজাইন করতে পারবেন। প্রদর্শিত মূল্য গ্রাহকের পছন্দ হলে নিজেই তার মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে প্যাকেজটি গ্রহণ করতে পারবে এবং এটি একটি রেগুলার প্যাকেজ হিসেবে গণ্য হবে। বোনাসসহ অব্যবহৃত ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড ( অব্যবহৃত ডাটা নতুন প্যাকেজে যুক্ত হওয়া) : নতুন নির্দেশিকায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একই প্যাকেজ কিনলে ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে। একই ভলিউমের ৭ বা ৩০ দিন মেয়াদের প্যাকেজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গ্রাহক উক্ত প্যাকেজ আবার ক্রয় করলে ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে। ক্যারি ফরওয়ার্ড করা যাবে সর্বোচ্চ ৫০ জিবি ডাটা পর্যন্ত। এছাড়া, গ্রাহককে অপারেটররা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩ টি প্রমোশনাল এসএমএস দিতে পারবে, যা পূর্বে ছিল ৪টি। সোশ্যাল প্যাকেজের ক্ষেত্রেও মেয়াদের মধ্যে একই প্যাক পুনরায় গ্রহণ করলে অব্যবহৃত ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে এবং বোনাস হিসেবে প্রদান করা ডাটাও ক্যারি ফরওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত হবে।

ডাটা শেষ হওয়ার পূর্বে গ্রাহককে অবহিতকরণ: একজন গ্রাহককে প্যাকেজের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে নতুন প্যাকেজ অফার প্রদান করলে অফারটি অবশ্যই একই প্যাকেজ হতে হবে এবং অন্য দুটি প্যাকেজ তার ব্যবহারের প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করে হতে পারে। যেকোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার ০১ (এক) দিন পূর্বে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে ডাটার মেয়াদ শেষ হওয়ার নোটিফিকেশন পাঠাতে হবে। অব্যবহৃত ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে চলতি প্যাক পুনরায় ক্রয় করার নিদের্শনা উক্ত এসএমএস এ থাকবে।

৩ দিনের প্যাকেজে না রাখার কারণ: মোবাইল অপারেটর তিন দিনের প্যাকেজে যে পরিমাণ ডাটার অফার প্রদান করেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রাহকগণ উক্ত সময়সীমার মধ্যে করতে ব্যর্থ হয় । এছাড়া, উক্ত প্যাকেজ সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবং সময়সীমা কম হওয়ায় গ্রাহকরা পুনরায় প্যাকেজ ক্রয় করলে ডাটা ক্যারি ফর্ওয়ার্ড নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। বিটিআরসি কর্তৃক পরিচালিত অনলাইনে জরিপে দেখা যায়, ৫৪.৬% গ্রাহক ০৩ দিনের প্যাকেজ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নয়।

অনলাইনে প্যাকেজ ও ডাটার উপরে গ্রাহকদের মতামত জরিপের ফলাফল: বিটিআরসি কর্তৃক অনলাইনে প্যাকেজ ও ডাটার উপরে গ্রাহকদের মতামত জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ৬১% গ্রাহক মনে করে প্যাকেজের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৪০-৫০ টি হওয়া উচিত এবং ৫৪% গ্রাহক ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড মেয়াদ রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, অপারেটরগুলো সবসময় গ্রাহকবান্ধব এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে থাকে। ভবিষ্যতে বিটিআরসির সাথে আলোচনার মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টির বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান বলেন, বিটিআরসির নতুন নির্দেশিকায় অপারেটর ও গ্রাহকদের জন্য স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া হয়েছে এবং টেলিপ্ল্যানগুলোতে গ্রাহকদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি কর্তৃক নির্ধারিত ৪০ টি প্যাকেজের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, প্যাকেজ সংখ্যা ৪০ এর মধ্যে রাখার বিষয়ে কাজ শুরু করেছে টেলিটক ।

রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোহাম্মদ শাহেদুল আলম বলেন, রবি সবসময় গ্রাহককের গুণগত সেবা দেওয়ার পাশাপাশি উদ্ভূত প্রতিটি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গ্রাহকদের সাথে নিয়ে অপারেটরগুলো কাজ করবে উল্লেখ করে এক্ষেত্রে বিটিআরসির সহায়তা কামনা করেন তিনি।

অ্যামটবের সভাপতি এবং বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস নতুন নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলালিংক গ্রাহক সন্তুষ্টির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার জানান, টেলিযোগাযোগ আইনে কমিশনের ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করছে বিটিআরসি। এর আগে এক দেশ এক রেট বাস্তবায়নের ফলে গ্রাহক সুফল ভোগ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, মোবাইল ডাটার ফ্লোর প্রাইস ও সিলিং প্রাইস আপাতত নির্ধারণ করা না হলেও ভবিষ্যতে সময়ের চাহিদানুযায়ী সেটা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। অপারেটর ও গ্রাহক উভয়ের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বিটিআরসি কাজ করছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর

দেশে সাইবার হামলার হুমকি

শনিবার ০৫ আগস্ট ২০২৩




বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

লোকবল সংকটের কারণে সব জায়গায় ঠিকমতো তদারকি করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, সারাদেশে ৪৫-৪৫টি টিম আমাদের অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযান কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। ১৭টি জেলায় আমরা কোনো অফিসার দিতে পারিনি।

 ২ অক্টোবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, যেখানে জেলায় ম্যান পাওয়ার দিতে পারিনি সেখানে উপজেলা পর্যায়ে সেই সুযোগ কম। তারপরও আমরা সমন্বিতভাবে লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে কাজ করছি।

আমাদের আইনেরও কিছু দুর্বলতা আছে, সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। আইন যতই স্ট্রং হোক, আমাদের জনবল যদি ১০ গুণও বৃদ্ধি হয়, তারপরও কাজ হবে না, যতক্ষণ না আমরা ব্যবসায়ী কমিউনিটিকে অ্যাঙ্গেস্ট করতে পারব। ভোক্তারা যতক্ষণ তার অধিকার আদায়ে সচেষ্ট না হবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ ও জেলা-জমিমানা বা শান্তি দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এতে ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। ঈদ, পূজা-পার্বণ বা কোনো উৎসব এলেই সুযোগ বুঝে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো যাবে না।

কিরন বলেন, যোগান থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে চাহিদা বাড়লে মূল্য বৃদ্ধি করা উচিত নয়। তবে দেশে এখনো অনেক মানবিক ব্যবসায়ী ও করপোরেট কোম্পানি রয়েছে যারা জনগণকে স্বস্তি দিয়ে দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ছায়া সংসদের আদলে এই প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। গত ১১ আগস্ট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্ব শেষে সেমিফাইনাল ও গ্রান্ড ফাইনালের প্রস্তুতি চলছে। সেমি ফাইনালে উত্তীর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চারটি হচ্ছে ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, তেজগাঁও কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।


আরও খবর

কমেনি পেঁয়াজ আলু ডিমের দাম

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাজার সিন্ডিকেটে বন্দি সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

লাগামহীনভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার তিনটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। গত বৃহস্পতিবার থেকে তা কার্যকর হলেও বাজারে এর তেমন প্রভাব নেই। সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু, ডিম ও পেঁয়াজ। নানা অজুহাত দেখিয়ে বাড়তি মূল্যে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন এসব পণ্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। সরকারকে কঠোরভাবে এদের দমন করতে হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কাজে আসছে না। মাঝেমধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে কিছু ব্যবসায়ীরা জরিমানা করা হলে পরে আবার আগের অবস্থায় চলে আসে। এমন পরিস্থিতিতে তিনটি পণ্য ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেয় সরকার।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো পণ্য তিনটির দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের আলোকে আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫-৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৪-৬৫ টাকা আর ডিমের পিস সর্বোচ্চ ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। জরুরি এই তিন পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।

গতকাল সোমবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮৫ টাকা, ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকা। সরকারের ঘোষণার আগেও এই দামে বিক্রি হয়েছিল এসব পণ্য।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার দাম ঘোষণা করলেও পাইকারি বাজারে সেই দামে কিনতে পারছেন না তারা।

রাজধানীর মুগদা এলাকায় খুচরা ব্যবসায়ী নুরু মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে আগে যে দাম ছিল এখনও সেই দামই আছে। আমরা কমে কিনতে পারলে তো বিক্রি করতে সমস্যা নাই। প্রতি কেজি আলুতে চার টাকা লাভ করতে পারলেই আমাদের আর লাগে না। কিন্তু সেটাও তো পারছি না।

একই এলাকার আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দাম বেশি হওয়ায় আমাদের কাস্টমারও কমে গেছে। যেই লোক আগে আলু কিনত দুই কেজি, সে এখন এক কেজি কিনে। আগে প্রতিদিন দুই বস্তা আলু বেচতাম। এখন এক বস্তাই বিক্রি হয় না। আবার লাভও কম হচ্ছে। সরকার যেই জায়গায় ধরার দরকার সেই জায়গায় ধরলেই তো হয়।

ডিমের বাজারেও সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দামের প্রভাব নেই। বেঁধে দেওয়া দামে ডিমের ডজন ১৪৪ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও অধিকাংশ দোকানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে।

মুগদা এলাকার মুদি দোকানদার মিঠু বলেন, ডিমে তো লাভ হয় না। এক খাঁচা ডিম বিক্রি কইরা ২০-৩০ টাকাও লাভ করতে পারি না। রাখছি শুধু কাস্টমার ধরার লাইগা।

৭৫ টাকার নিচে নেই দেশি পেঁয়াজ। তবে সবচেয়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। কিছু আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতাদেরও একই কথা। আড়তে দাম কমেনি। তাই তারা নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতি মুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকার তো সব কিছু বিবেচনা করে হিসাব নিকাশ করেই এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এখন নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে স্বাভাবিক মুনাফা হচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তো স্বাভাবিক লাভে আগ্রহী না। বেশি লাভ করতে চায়। এখন ব্যবসায়ীদের এই প্রবণতা যদি বন্ধ না হয়, তবে যেখানে থেকে উৎপাদন হয় অথবা যেখান থেকে পণ্য ছাড় হয় সেখানে মূল্যটা প্রথম ঠিক করতে হবে। সাপ্লাই চেইন যদি ঠিক রাখা যায়, তবে পাইকারে খুচরা পর্যায়ে একটু তত্ত্বাবধায়ন করলেই বাজার ঠিক হয়ে যাবে। কড়াভাবে বলছে, শুধু বললেই হবে না। কড়াভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাজার শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, আপনারা নিজেরাই দেখতেছেন আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ডিজি স্যার নিজেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযানে যাচ্ছেন, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। আমরা নিয়মিত আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।


আরও খবর

বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




নতুন জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান, বড় হামলার পরিকল্পনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (আল-জিহাদী) নামে নতুন আরও একটি জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। ২০২৪ সালে দেশে বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল সংগঠনটির।

১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় রাজধানীর বারিধারায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট হেড কোয়ার্টারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এটিইউয়ের ডিআইজি (অপারেশন্স) মোহা. আলীম মাহমুদ।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানার পর সংগঠনটির শীর্ষ নেতা মো. জুয়েল মোল্লাসহ (২৯) তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুজন হলেন মো. রাহুল হোসেন (২১) ও মো. গাজিউল ইসলাম (৪০)।

ডিআইজি মোহা. আলীম মাহমুদ বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান পরিচালনা করে জুয়েলকে বাগেরহাট থেকে, জয়পুরহাট থেকে রাহুলকে ও রাজধানীর ভাসানটেক এলাকা থেকে গাজীউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে জুয়েল এই সংগঠনের প্রধান। বাকি দুই জন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। সংগঠনটি ২-৩ মাস তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল ২০২৪ সালে দেশে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা করা।

তিনি আরও বলেন, আমরা গত কয়েক মাস ধরে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে খবর পাচ্ছিলাম কিছু উগ্রবাদী মানুষ একত্রিত হচ্ছে। যারা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বানচাল করে উগ্রবাদী ব্যবস্থা কায়েমের জন্য তারা একত্রিত হচ্ছিল। গ্রেপ্তাররা সবাই আগে কোনো না কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিল। কিন্তু তারা নতুন লক্ষ্য নিয়ে এক ব্যানারে সবাই নতুন করে একত্রিত হচ্ছিল।

তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নেতা হলেন জুয়েল। আমরা প্রথমে জুয়েলকে বাগেরহাটের রামপাল থেকে গ্রেপ্তার করি। পরে তার দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাকি দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারের সময় নতুন সংগঠনের ৮টি ব্যানার জব্দ করা হয়।

নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের কোনো হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না জানতে চাইলে ডিআইজি মোহা. আলীম বলেন, এ বিষয়ে তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ২০২৪ সালে বড় একটি জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে এটিইউয়ের পুলিশ সুপার (অপারেশনস্) ছানোয়ার হোসেন বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠনটির মূল পরিকল্পনাকারী জুয়েল মোল্লা নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়। ৯ মাস কারাগারে ছিলেন। এই সময়ে কারাগারে বসেই নিজের একটি সংগঠন করার পরিকল্পনা করে। মাত্র ক্লাস সেভেন পাস জুয়েল মোল্লা পেশায় একটি বেকারি কর্মী ছিলেন। আর বাকি গ্রেপ্তার দুই জন হিজবুত তাওহীদের সদস্য ছিলেন।


আরও খবর



শুটিং ফেলে কেন চলে গেলেন সায়ন্তিকা ?

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

প্রথমবার ঢাকার লোকাল সিনেমায় কাজ করছেন কলকাতার নায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবির নাম ছায়াবাজ। তাজু কামরুলের পরিচালনায় তার বিপরীতে নায়ক জায়েদ খান। আনন্দচিত্তে বাংলাদেশে এসে শুটিংয়েও নামেন। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎ ফিরে যান নায়িকা। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে ঢালিপাড়ায় নানামুখী চর্চা হচ্ছে।

শুটিং ফেলে সায়ন্তিকার চলে যাওয়ার বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ছবির নির্মাতা। তবে জানা গেছে, নৃত্য পরিচালক মাইকেলকে ঘিরে নায়িকা চটেছেন। এ বিষয়ে মাইকেল এবং ছবির প্রযোজক মনিরুল ইসলাম নিজ নিজ বক্তব্য পেশ করেছেন।

তারা জানান, দ্বিতীয় গানের শুটিংয়ের সময় সায়ন্তিকা অভিযোগ তোলেন, নৃত্য পরিচালক মাইকেল তার হাত ধরেছেন! তার সঙ্গে আর কাজ করতে রাজি নন বলে সাফ জানিয়ে দেন। অন্যদিকে প্রযোজকও অনড়, শুটিং হলে মাইকেলের কোরিওগ্রাফিতেই হবে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন সায়ন্তিকা।

নিজ শহর কলকাতায় ফিরে অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সায়ন্তিকা, জানালেন আসল কারণ। আনন্দবাজার পত্রিকাকে তিনি জানালেন, নৃত্য পরিচালক মাইকেল নয়, তার চলে যাওয়ার মূল কারণ ছবির প্রযোজক। নায়িকার ভাষ্য, প্রথমে অন্য মাস্টারজি এসেছিলেন নাচের দৃশ্য শুটিংয়ের জন্য। কিন্তু সেখানে টাকাপয়সা নিয়ে সমস্যার জন্য তিনি চলে যান। এর পর মাইকেল নামক বাচ্চা ছেলেটি আসে। মাইকেল আমার অনুমতি না নিয়েই হাত ধরে আমায় সরাতে গিয়েছিল। তখন আমি সকলের সামনেই বাধা দিই।

কিন্তু ছায়াবাজ ছবির শুরু থেকেই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন বলে জানান সায়ন্তিকা। তিনি বলেন, বারবার আমি প্রযোজক মনিরুলের সঙ্গে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়ে আলাপ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোনও উত্তরই পাইনি। তার কোনও পরিকল্পনা নেই। কোনও ব্যবস্থা নেই। হঠাৎ বলা হলো, নাচের দৃশ্যের শুটিং করা হবে! বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করার পরেও যখন মনিরুল উত্তর দেননি, তখন বলেছিলাম, আমি এই ভাবে কাজ করবো না মাইকেলের সঙ্গে।

এমন অবস্থায় বড় প্রশ্ন হলো, ছায়াবাজ ছবিটির কাজ কি তবে অসম্পূর্ণই থেকে যাবে? এ বিষয়ে প্রযোজক মনিরুল জানিয়েছেন, নৃত্য পরিচালক মাইকেলের সঙ্গে যদি সায়ন্তিকা কাজ না করেন, তাহলে ছবির নায়ক-নায়িকাই পরিবর্তন করে ফেলবেন তিনি।

অন্যদিকে সায়ন্তিকার মন্তব্য, তিনি (প্রযোজক) যদি সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করেন, তাহলে আমি নিশ্চয়ই ছবিটার কাজ শেষ করব। কিন্তু তার আগে আমাকে চিত্রনাট্য, শট ডিভিশন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানাতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট ছায়াবাজ সিনেমার শুটিং করতে ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। তখন তাকে বিমানবন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন নায়ক জায়েদ খান। এরপর তারা কক্সবাজার গিয়ে অংশ নেন শুটিংয়ে। আট দিন শুটিং করে গত ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ফিরে যান সায়ন্তিকা। ফেরার আগ মুহূর্তে বিমানবন্দরেই জায়েদের সঙ্গে আরও একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে যান নায়িকা। টাইগার নামের সেই ছবি পরিচালনা করবেন কামরুজ্জামান রোমান।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩