Logo
শিরোনাম

আজ মালয়েশিয়া যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছে সাড়ে ৩১ হাজার শ্রমিকের

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:


মালয়েশিয়ায় কর্মী ভিসায় যাওয়ার সময় আজ শুক্রবার রাতেই শেষ হয়ে যাবে। দেশটির সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজই দেশটিতে কর্মীদের যাওয়ার শেষ সুযোগ। 


আগামীকাল শনিবার থেকে আর কোনো কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন না। এ কারণে বাংলাদেশের অনুমোদনকৃত ৩১ হাজার ৭০১ জন কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছে।



বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, গত ২১ মে পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৪ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়।


 ২১ মের পর আর অনুমোদন দেয়ার কথা না থাকলেও বিএমইটির তথ্য বলছে, মন্ত্রণালয় আরও এক হাজার ১১২ জন কর্মীকে দেশটিতে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পর্যন্ত পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৬ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। 


এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে চার লাখ ৯১ হাজার ৭৪৫ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছেন।


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তথ্য বলছে, আজ বাংলাদেশ থেকে মাত্র এক হাজার ৫০০ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন। অর্থাৎ অনুমোদনকৃত ৩১ হাজার ৭০১ জন কর্মীর যাত্রা বাতিল হয়ে যাচ্ছে।


কুয়ালালামপুরের দুটি আন্তর্জাতিক বিমান টার্মিনালের ফ্লোরে গতকাল পর্যন্ত ১৪টি দেশ থেকে আসা প্রায় ২০ হাজার কর্মী অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী বাংলাদেশের।


এই মুহূর্তে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে কর্মীর উপচে পড়া ভিড়। দুর্ভোগ বাড়ছে কর্মী ও নিয়োগকর্তাদের। নিজেদের কর্মী শনাক্তে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিয়োগকর্তাদের।র্মীরা বলছেন, তারা তিন-চার দিন ধরে বিমানবন্দরে অবস্থান করছেন। কেউ নিয়োগকর্তার খোঁজ পাচ্ছেন, আবার কেউ পাচ্ছেন না।



হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তথ্য বলছে, আজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাতটি ফ্লাইট মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশের দুটি, ইউএস-বাংলার দুটি, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি, এয়ার এশিয়ার একটি এবং বাতিক এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট মালয়েশিয়ায় যাবে।


মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধের সময় ঘনিয়ে আসায় বাড়তি দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগ করেছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। বিমান বাংলাদেশের বিশেষ ফ্লাইটের টিকিটের দামও এক লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।


মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগপ্রক্রিয়ার দুর্নীতি নিয়ে গত ২৮ মার্চ মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দেয় জাতিসংঘের চারজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ। তবে দুই দেশের সরকারই এই চিঠির কোনো উত্তর দেয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।


গত রবিবার জাতিসংঘের হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওএইচসিএইচআর) এই চিঠি প্রকাশ করেন। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ টোমোয়া ওবোকাটা, রবার্ট ম্যাককরকোডালে, গেহাদ মাদি ও সিওবান মুল্লালি এই চিঠি দেন।



চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশি কর্মীদের জনপ্রতি সাড়ে চার থেকে ছয় হাজার ডলার পর্যন্ত নিয়োগ ফি দিতে হচ্ছে, যা ২০২১ সালে এই দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) খেলাপ। ওই এমওইউ অনুযায়ী, এই ফি হবে ৭২০ ডলার পর্যন্ত।


জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা উভয় সরকারের কাছে এ বিষয়ে তদন্ত, অপরাধীদের বিচার এবং নৈতিক নিয়োগের নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। তবে ৬০ দিনের মধ্যে কোনো সরকার থেকে জবাব না আসায় এই চিঠি মানবাধিকার কাউন্সিলে উপস্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়।


আটকে থাকা কর্মীদের বিষয় কোনো পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের সভাপতি আবুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে একাধিকবার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি। 


আমরা দু-এক মাস সময় বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলেছিলাম। তাহলে সব কর্মীকে পাঠানো যেত। কারণ কর্মীরা যেতে না পারলে তাদের আর্থিক ক্ষতি হবে। তারা অনেক টাকা দিয়ে বসে আছে। 


বৃহস্পতিবারও এই বিষয় মন্ত্রণালয়কে অবগত করেছি। কাল (শুক্রবার) মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি বৈঠক রয়েছে। বৈঠকের পর জানা যাবে বিষয়টির কী হবে।’


প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (কর্মসংস্থান) গাজী মো. শাহেদ আনোয়ার বলেন, ‘এ বিষয় আন্ত মন্ত্রণালয়ের বৈঠক চলছে। সামনেও বৈঠক হবে। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’


আরও খবর



ইসলামি রীতিতে দাফন চান কবীর সুমন

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

পশ্চিবঙ্গের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। পাঁচ বছর আগে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি এই গায়ক জানালেন, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে কবীর সুমন লিখেছেন, রমজান মোবারক। সবাইকে জানাতে চাই-কিছুকাল আগে এই ফেসবুকেই ঘোষণা করেছিলাম, আমি আমার দেহদান করেছি, কোনো ধর্মীয় শেষকৃত্য আমি চাই না। অনেক ভেবে আমি সেই সিদ্ধান্ত পাল্টালাম। দেহদানের ইচ্ছা প্রত্যাহার করছি আমি। আমার দেহ আমি দান করব না।

কবীর সুমন লিখেছেন, আমি চাই, আমায় এই কলকাতারই মাটিতে, সম্ভব হলে গোবরায়, ইসলামি রীতিতে কবর দেওয়া হোক। এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমার কতিপয় স্বজনকে এটা জানিয়ে দিলাম। আমার এই ঘোষণা বিষয়ে কারও মত বা মন্তব্য চাই না। সকলের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট দিতেই সেখানে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। অনেকেরই মতে কবীর সুমন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার অনেকে ঈশ্বরের কাছে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। কবীর সুমন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন অনেক বছর আগেই। সেই কারণেই তিনি চান, ইসলামীয় রীতি মেনে তার শেষকৃত্য করা হোক। চিরকাল তিনি কাটিয়েছেন কলকাতাতেই। সেই কারণেই তিনি চান, কলকাতার মাটিতেই বিলীন হয়ে যাক তার নশ্বর দেহ। তবে অনুরাগীদের কথা, তার এই ইচ্ছা পূরণ হলেও তা যেন হয় অনেক বছর পরে।

সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এক তরুণীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন কবীর সুমন। সেই তরুণী ছিল কবীর সুমনের ছাত্রী। পরে জানা গিয়েছিল, সৌমী অনেকটাই সময় কাটান কবীর সুমনের বাড়িতে। ছবির ক্যাপশানে সৌমীকে ভ্যালেন্টাইন বলে উল্লেখ করেছিলেন কবীর সুমন। তবে পরে তিনি বলেন, সৌমীর সঙ্গে তার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই।

কবীর সুমনের নাম ছিল সুমন চট্টোপাধ্যায়। ধর্মান্তরিত হয়ে কবীর সুমন নাম ধারণ করেন। তার জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যে, ১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ।


আরও খবর



রমজান:-পূর্ণ মুমিন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

সুফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

চলছে পবিত্র রমজান। আল্লাহর অনুগ্রহ: তিনি আমাদের মানুষ বানিয়েছেন, শেষ নবীর উম্মত নির্বাচিত করেছেন এবং দান করেছেন রমজানের মতো বরকতে পূর্ণ একটি মাস। এখন আমরা সেই রমজান-ই অতিক্রম করছি।

আল্লাহর কাছে রমজান মাস সব চেয়ে প্রিয় ও দামি। কারণ, এ মাসে তিনি পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘রমজান মাস, যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত:১৮৫)

কোরআন নাজিল ছাড়াও রমজান মাসে ইসলামের আরও একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে। বদরের যুদ্ধ, মক্কা বিজয় ইত্যাদি এ মাসের ইউল্লেখযোগ্য ঘটনা। আর এ মাসের একটি রাত, যেটি শবে কদর নামে পরিচিত। মর্যাদা ও সম্মানে রাতটি এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।

আল্লাহ বলেন, ‘আমি কোরআনকে কদরের রাতে নাজিল করেছি। তুমি কি জানো কদরের রাত কী ?  কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও অধিক উত্তম। এ রাতে ফেরেশতা আর রূহ ( জিবরাঈল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে প্রত্যেক কাজে অবতীর্ণ হয়। এ রাতে বিরাজ করে শান্তি আর শান্তি, ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত।’ (সুরা কদর)

এ মাসের নফল ইবাদতের সওয়াব অন্য মাসের ফরজ ইবাদতের সওয়াবের বরাবর। উল্লিখিত আলোচনায় বোঝা যায়, এ মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব অনন্য। এ জন্য রাসুল ( ﷺ ) পবিত্র রমজানে রাব্বুল আলামিনকে খুশি করার জন্য বেশি বেশি কালিমা তাইয়্যেবা ও ইস্তেগফার পাঠের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। একইসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) জান্নাত প্রার্থনা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার প্রতি জোর দিয়েছেন। এ জন্য পবিত্র রমজানকে আমাদের ইবাদতের সুবর্ণ সুযোগ মনে করা উচিৎ। আমরা যদি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর নির্দেশনা অনুযায়ী মাসটিকে অতিবাহিত করতে পারি, তাহলে আমরা সহজেই অনেক সওয়াব ও উপকার হাসিল করতে পারবো।

নিচে রমজানের বিশেষ কিছু সুন্নাত আমল তুলে ধরা হলো–

১.রমজানের চাঁদ দেখলেই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা এবং সব সৃষ্টির জন্য রমজানের রহমত প্রাপ্তির দোয়া করা।

২.প্রতি দিন বেশি থেকে বেশি পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা। কারণ, হাদিসে এসেছে, কোরআন তিলাওয়াত সর্বোত্তম ইবাদত।

৩.বেশি বেশি কালিমা তাইয়্যেবা ও মুহাব্বাতের সঙ্গে রাসুল (সা.) এর ওপর দরুদ পাঠ করা এবং তাঁর কাছে সালাম পৌঁছানো।

৪.নিজের জীবনের ছোট-বড় সব গোনাহ থেকে ক্ষমা চেয়ে ইস্তেগফার পড়া। একইসঙ্গে আল্লাহর কাছে জান্নাত কামনা করা।

৫.একান্ত ওজর ছাড়া রমজানে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত পরিত্যাগ না করা। সেহরির আগে তাহাজ্জুদ নিয়মিত পড়া। পাশাপাশিই এশরাক, চাশত, আওয়াবিন আদায়ের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া।

৬.গিবত না করা এবং অনর্থক কোনও কাজে সময় ব্যয় না করা। প্রতিটা মুহূর্ত আল্লাহকে স্মরণ করা। রমজানই এবাদতের মাস। এ মাসে একজন পরিপূর্ণ মুমিন হয়ে ওঠার আল্লাহ আমাদের তৌফিক দেন, আমিন।


আরও খবর



প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশে বিপুল পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে চলতি মাসের ২৪ দিনেই এসেছে প্রায় ২৭৫ কোটি ডলার প্রবাসী আয়। যা দেশের ইতিহাসে যে কোনো মাসের সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চলতি মার্চের ২৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৫৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।

এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) আসে গত ডিসেম্বরে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার)।

এদিকে, গত ২৪ মার্চ একদিনেই দেশে এসেছে ১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে দেশে স্বজনদের কাছে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে বাড়ছে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াতে পারে।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছিলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ এই মাসে খুবই ভালো। এটি প্রণোদনা দেয়া হোক বা অর্থপাচার বন্ধের কারণেই হোক; রেমিট্যান্স আসছে, এটিই আশার কথা। চলতি মাসে ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার হতে পারে। এ বছর ৩০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।

গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ও ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।

আর সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ, জুলাইতে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ও ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।


আরও খবর



শ্রীনগরে সরকারি শিশু পরিবারে শিশুদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল :

মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার প্রথম রমজান উপলক্ষে ভাগ্যকুল সরকারি শিশু পরিবারে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ মহিন উদ্দিন সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক জনাব ফাতেমা তুল জান্নাত। তখন তিনি সেখানে বসবাসরত শিশু খোঁজ খবর নেন ও শিশুদের হাতে খেলার জন্য বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী তুলে দেন জেলা প্রশাসক।  

সে সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান,শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাকিল আহমেদ, সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ জোবায়ের হাবিব প্রমুখ। 


আরও খবর



সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা কখন জরুরি?

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

জীবন মানেই সম্পর্কের মায়াজাল। পরিবার, বন্ধু, প্রেমিক, প্রেমিকা কিংবা জীবনসঙ্গী—প্রতিটি সম্পর্ক আমাদের জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। 

কিন্তু কখনও কখনও সম্পর্কগুলো আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তবু, মানুষ সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে রাখে, মনে হয়, হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। 


কিন্তু সত্যি কি সব ঠিক হয়? 


আর সব ঠিক না হলে, সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাই কি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়?


কেন সম্পর্ক জটিল হয়?


সম্পর্ক তখনই জটিল হয়, যখন সেটা আর হৃদয়ের আরামদায়ক স্থান থাকে না। এটা হতে পারে পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব, মনোযোগের ঘাটতি, বিশ্বাস ভাঙন, কিংবা অবহেলার কারণে। 


আমরা অনেক সময়ই বুঝে উঠতে পারি না—এই সম্পর্কটা আমাদের জীবনের জন্য উপকারী, নাকি ক্ষতিকর।


তাহলে কখন বুঝবেন সম্পর্ক থেকে সরে আসার সময় এসেছে? 


কিছু বিষয় হিসাব নিকাশ করতে পারেন। 


১. বিশ্বাস ভেঙে গেছে?

সম্পর্কের মূলে থাকে বিশ্বাস। যদি সেটা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া আর সম্ভব নয়। প্রতারণা কিংবা কথায় কথায় মিথ্যা বলার প্রমাণ পেলে দ্রুত সরে আসুন।


২. আপনার অস্তিত্বই যেন তুচ্ছ?

যখন সঙ্গী আপনাকে ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ করতে শুরু করে, তখন বুঝতে হবে, এই সম্পর্ক আপনার আত্মসম্মানকে ধ্বংস করছে। মনে রাখবেন, ভালোবাসার সম্পর্কেও আত্মসম্মান জরুরি।


৩. মনোযোগ আর নেই?

ভালোবাসা মানে পারস্পরিক যত্ন। যদি দেখেন, সঙ্গী আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে কিংবা আপনাকে অবহেলা করছে, তবে হয়তো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আর সম্ভব নয়।


৪. শ্রদ্ধার অভাব?

প্রতিটি সম্পর্কের ভিত্তি শুধু ভালোবাসা নয়, শ্রদ্ধাও। যদি সঙ্গী আপনাকে বারবার অপমান করে কিংবা অসম্মান করে, তবে সেটা সম্পর্ক শেষ করার বড় সংকেত।


৫. দৈনিক ঝগড়া?

যদি প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়, এবং সমাধানের চেষ্টা সত্ত্বেও সমস্যার শেষ না হয়, তবে হয়তো সেই সম্পর্ককে আর চালিয়ে নেওয়া উচিত নয়।


মাথায় রাখবেন, সম্পর্ক শেষ হওয়ার মানে জীবনের শেষ নয়। বরং, এটি একধরনের নতুন শুরু। 


নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের মানসিক শান্তির গুরুত্ব দিন। সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা মানে আপনার জীবনে আরও সুন্দর কিছু শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া।


জীবন ছোট। এমন সম্পর্ক টেনে নিয়ে চলার কোনও মানে নেই, যা শুধু কষ্ট আর হতাশা এনে দেয়। 


তাই নিজের আত্মসম্মান, শান্তি, আর সুখের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। 


মনে রাখবেন, সম্পর্কের মানে যদি বোঝা হয়ে যায়, তবে সেটিকে মুক্তি দেওয়াই শ্রেয়। 


জীবন অপেক্ষা করছে নতুন সম্ভাবনায়, নতুন আনন্দে।


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫