Logo
শিরোনাম

আজ থেকে ব‌্যাংক লেনদেন ১০-৪টা, অফিস চলবে ৬টা পর্যন্ত

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image



বিডি টুডে ডিজিটাল ডেস্ক:



আজ থেকে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ব্যাংকের লেনদেন ও অফিস কার্যক্রম চলবে। 


নতুন নিয়মে বুধবার (১৯ জুন) থেকে ব্যাংকগুলোর লেনদেন শুরু হবে সকাল ১০টায়, যা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। আর ব্যাংকগুলোর অফিস খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।



এতদিন ব্যাংক লেনদেন হ‌য়ে‌ছিল সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা এবং ব্যাংকগুলোর অফিস চলত সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সেই হিসাবে ব্যাংক লেনদেন আধা ঘণ্টা ও অফিস এক ঘণ্টা বেশি সময় চলবে।



 গত ৯ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে  এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি ক‌রা হয়।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে একদলীয় দীর্ঘ শাসন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

দীর্ঘ একদলীয় শাসনের ফলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমান্বয়ে রাজনীতিকীকরণ হয়েছে, যা দেশের সমগ্র নিরাপত্তা খাতকেও গ্রাস করেছে। নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ পেশাদারিত্বের পরিবর্তে রাজনৈতিক আনুগত্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘একটি রাজনৈতিক দলের টানা পনেরো বছরের শাসনের ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত রাজনীতিকীকরণ হয়েছে, যা সমগ্র নিরাপত্তা খাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।’

ওএইচসিএইচআর জানিয়েছে, অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে পেশাদারিত্ব, সততা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, বরং আওয়ামী লীগ ও এর সমর্থিত সরকারে তাদের আনুগত্য বা সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

জেনেভা থেকে গত সপ্তাহে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে ‘নিরাপত্তা খাতের রাজনীতিকীকরণ’ বিষয়ে একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) এবং পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) মধ্য ও উচ্চ পর্যায়ের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু প্রার্থীর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নয়, তাদের আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক দলীয় সংযোগও যাচাই করত।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে ডেপুটি ইন্সপেক্টর-জেনারেল (ডিআইজি) বা তার ঊর্ধ্বতন পদে নিয়োগ অনুমোদন করতেন এবং আওয়ামী লীগ অনুগত ব্যক্তিদের কৌশলগতভাবে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাসহ গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলোর নেতৃত্বে বসানো হতো।

ওএইচসিএইচআর জানিয়েছে, তাদের তথ্য অনুসন্ধানকারীদের সঙ্গে কথা বলা ব্যক্তিরা উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশে পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতি ব্যবস্থাপনায় স্বাধীন প্রতিষ্ঠান না থাকার কারণে রাজনৈতিক দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তির প্রবণতা আগের সরকারগুলোর আমলেও ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অতীতে সামরিক অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে ভূমিকা রেখেছে, তবে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর তুলনায় সেনাবাহিনী তুলনামূলকভাবে কম রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত।

কিন্তু, এতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীতে কর্মরত কর্মকর্তারা এবং ভেতরের তথ্য জানা ব্যক্তিরা ওএইচসিএইচআর’কে জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীও দীর্ঘদিন ধরে দলীয় রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়েছিল, বিশেষ করে সিনিয়র পর্যায়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক আনুগত্যের ভিত্তিতে সিনিয়র অফিসারদের পদোন্নতি দেওয়া হতো বা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হতো। অন্যদিকে যারা অনুগত নয় বলে বিবেচিত হতো, তাদের পদোন্নতি বঞ্চিত করা হতো, দূরবর্তী পোস্টিং দেওয়া হতো বা কিছু ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হতো।

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা পর্যবেক্ষণ করেছেন যে রাজনীতিকীকরণের ফলে ক্ষমতাসীন দল ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে একটি নেতিবাচক পারস্পরিক নির্ভরশীলতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

ওএইচসিএইচআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমন করার এবং ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের অপরাধে হস্তক্ষেপ না করার বিনিময়ে পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের নিজেদের গুরুতর অপরাধ ও দুর্নীতির জন্য দায়মুক্তির নিশ্চয়তা পেত।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গুরুতর অপরাধের জন্য ফৌজদারি জবাবদিহিতা বিরল ঘটনা ছিল এবং সাধারণভাবে দায়মুক্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশি নাগরিক সমাজ সংগঠনগুলো ২৫৯৭টি কথিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং ৭০৮টি গুমের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘র‌্যাব এককভাবে ৮০০টির বেশি কথিত হত্যাকাণ্ড ও প্রায় ২২০টি গুমের ঘটনায় জড়িত ছিল। কিন্তু র‌্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যার দায়ে মাত্র একটি মামলায় সাজা হয়েছে, যেখানে ভুক্তভোগী ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী স্থানীয় নেতা।’

নাগরিক সমাজ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ডিজিএফআই কর্মকর্তারা ১৭০টিরও বেশি কথিত গুমের ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তবে কোনো ডিজিএফআই কর্মকর্তাকে এখন পর্যন্ত বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।

জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী কমিটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নির্যাতন ও ঘুষ আদায়ের ব্যাপক এবং নিয়মিত চর্চা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ওএইচসিএইচআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ ২০১৩ সালে ‘নির্যাতন ও নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু (নিষিদ্ধকরণ) আইন’ প্রণয়ন করলেও তারপর থেকে অন্তত ১০৩ জন বন্দি নির্যাতনে নিহত হয়েছেন।

সরকার এখন পর্যন্ত এই আইনের আওতায় মাত্র ২৪টি মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং মাত্র একটিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের হেফাজতে নির্যাতনে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




ঝালকাঠি ভাইয়ের ক্ষমতা বলে প্যানেল চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, হাসিবুর রহমান :

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম (দোলন মুন্সি) ভাইয়ের ক্ষমতাবলে প্যানেল চেয়ারম্যান হয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীর একটি অংশের প্রতিবাদ ও তোপের মুখে তাঁর দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠান ভেস্তে যায়। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম। ব্যাপক ভোগান্তি পোহাচ্ছে ইউনিয়নের ৩০ হাজার নাগরিক। 

গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার খান জনরোষের ভয়ে আত্মগোপনে চলে গেলে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ শহিদুল ইসলাম কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশাসক হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন। পরে জেলা প্রশাসক উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু সালেহ মো. ইফাত ইশতিয়াককে সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেন। এরমধ্যে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা জাহিদুল ১১ জন ইউপি সদস্যের রেজুলেশনের ক্ষমতাবলে দায়িত্বভার বুঝে পেতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। সুরাহা না হওয়ায় তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। উচ্চ আদালত ইউপি সদস্য জাহিদুলকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। 

গত ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক তাঁকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করে চিঠি দেন। তিনি গত সোমবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিতে স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে সচিবের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে দাওয়াতপত্র দেন। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীর একটি অংশের প্রতিবাদ ও তোপের মুখে অনুষ্ঠান ভেস্তে যায়। 

স্থানীয়রা জানান, ইউপি সদস্য জাহিদুলের ভাই জহিরুল ইসলাম সুমন মুন্সি হাইকোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। তাঁর ক্ষমতাবলে যুবলীগ নেতা জাহিদুল প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে সরিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানের পদে আসেন। 

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের খান ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মুজ্জাম্মেল আরিন্দা জানান, জাহিদুল আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি আমির হোসেন আমুর কাছের লোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তাঁকে কেউ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে চায় না। 

সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ মাস্টার জানান, হাইকোর্টের রায়কে সম্মান দেখিয়ে জাহিদুলকে বাধা দিচ্ছি না। তিনি যুবলীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন এটি সবাই জানে।

অভিযোগ অস্বীকার করে প্যানেল চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যুবলীগের কোনো পদে ছিলাম না। আমাকে ইউনিয়ন বিএনপির কোনো নেতাকর্মী প্যানেল চেয়ারম্যান পদে বসতে বাধা দিচ্ছে না। যারা এসব করছে তারা বিএনপির দায়িত্বশীল নেতা না।’ 

জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত আছি। অচিরেই ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে।


আরও খবর



হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বেঁধে দিলো সরকার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

অবশেষে আলু সংরক্ষণের জন্য কোল্ডস্টোরেজের সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮-এর ১৬ (খ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৬ টাকা ৭৫ পয়সা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত মাসের ৮ তারিখে বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন আলু সংরক্ষণের জন্য প্রতি কেজি ভাড়া ১ টাকা বাড়িয়ে ৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল, যা গত বছর ছিল ৭ টাকা। বিষয়টি হিমাগারগুলোতে জানিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়। এরপর সংবাদ সম্মেলনে তার যৌক্তিকতাও তুলে ধরেন হিমাগারমালিকেরা। এ ছাড়া এক বস্তায় ৫০ কেজির বেশি রাখা যাবে না বলেও জানান হিমাগার মালিকেরা।

ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা রাস্তায় আলু ফেলে প্রতিবাদ জানান। গত শনিবার লালমনিরহাটে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা মহাসড়ক অবরোধ করে ৩ ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ৪০৪টি কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে, যার মধ্যে ২৯ লাখ টন আলু সংরক্ষণ সম্ভব। বর্তমানে ৩৫০টি কোল্ডস্টোরেজ কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং এর ধারণক্ষমতা ৩০০ কোটি কেজি আলু, যা দেশের মোট আলু উৎপাদনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ।


আরও খবর



তরুণদের নতুন দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আজ আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া তরুণদের রাজনৈতিক দলের নাম দেয়া হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি বা ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি)। দলটির আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব পদে আখতার হোসেনের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। এছাড়া শীর্ষ নেতাদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির একজন কার্যনির্বাহী সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শুরুতে নতুন দলের নাম বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক নাগরিক সংসদ রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়। পরে জাতীয় নাগরিক পার্টিবাংলাদেশ নাগরিক পার্টি নাম দুটি নিয়ে আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত গতকাল বিকালের দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি নামটি চূড়ান্ত করা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে জাতীয় নাগরিক পার্টি হবে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম, রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ হবে।

জানা গেছে, নতুন দল এনসিপির প্রথম কমিটি হবে ১০০-১৫০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি। এরই মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কমিটির শীর্ষস্থানীয়দের নাম চূড়ান্ত করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব পাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, দলের দায়িত্ব নিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি যিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ ছেড়েছেন। নতুন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে থাকছেন সামান্তা শারমিন, যিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়েছে নুসরাত তাবাসসুম, আরিফুল ইসলাম আদীব, সারোয়ার তুষার, আল আমিন, মনিরা শারমিন, হাসান আলী খানকে।

আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মনোনীত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে থাকছেন ডা. তাসনিম জারা।

কমিটির তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রধান সমন্বয়কারী। এ পদে মনোনীত হয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে থাকছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ। দলের মুখ্য সংগঠক পদে দায়িত্ব পালন করবেন দুজন। তারা হলেন দেশের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তারা দুজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। নতুন দলের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে থাকছেন সালেহ উদ্দিন সিফাত। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে আজ নতুন এ দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দলের শীর্ষ পদে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হবে।

নতুন কমিটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত দলকে নেতৃত্ব দেবে বলে জানা গেছে। এজন্য দলের আহ্বায়ক কমিটির আকার বাড়ানো হবে। এরই মধ্যে কমিটির একটা খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সম্মুখযোদ্ধাদের স্থান দেয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয়। এছাড়া জুলাই আন্দোলনের আলোচিত নারী নেত্রীরা নতুন দলে জায়গা পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে গতকাল সকাল থেকেই পুরোদমে চলে প্রস্তুতি। আয়োজকরা জানান, অনুষ্ঠানস্থলে মেডিকেল টিম, পুলিশ বুথ, ওয়াশরুম ও পানির ব্যবস্থা থাকবে। একই সঙ্গে ব্যাকস্টেজে মেয়েদের জন্য অন্য বুথের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি ভিআইপিদের জন্য থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদেরও যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।


আরও খবর



মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি অপসারণের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (৯ মার্চ) সকালে বিটিআরসিকে এই নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ধর্ষিতা শিশুটির ছবি যারা প্রকাশ করছেন তারা আইন ভাঙছেন। এটা অন্যায়। ছবি নির্ধারিত সময়ে না সরালে নতুন আদেশ দেয়া হবে।

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন। তিনি শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানান। আদালত এ বিষয়ে আজকেই আদেশ দেবেন বলে জানান আইনজীবী।

এদিকে রোববার সকালে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখতে ঢাকা সেনানিবাসস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় মাগুরা সদর থানায় চার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। দোষীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায় -এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোচ্চার রয়েছে।

এর আগে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স করে ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শিশুটি প্রথম থেকে ক্রিটিক্যাল ছিল। ঢাকা মেডিকেলে তার চিকিৎসা চলছিল, কিন্তু অতিরিক্ত অ্যাটেনডেন্সের কারণে অন্য রোগীদের সমস্যা হচ্ছিল। অ্যাটেনডেন্সরা বারবার চিকিৎসকদের বিরক্ত করছিলেন। সব কিছু বিবেচনা করে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর