Logo
শিরোনাম

আ.লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি না তা ঠিক করবে জনগণ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপি আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ বিএনপি দিচ্ছে না জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কে রাজনীতি করবে আর কে করবে না সেটা ঠিক করবে জনগণ। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কাউকে বাধা দিতে পারে না। কিন্তু বিগত সময়ে গণহত্যা চালানো শেখ হাসিনাসহ সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুরের ইস্কান্দার মজুমদার বাড়ি প্রাঙ্গণে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দিচ্ছে বলে কিছু গণমাধ্যমে আসা খবরের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি। গণমাধ্যমে বিষয়টা সঠিকভাবে আসেনি। আমরা বলেছি আওয়ামী রাজনৈতিক দল, নির্বাচন করবে কি করবে না তা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবেন কারা রাজনীতি করবে কারা করবে না। আমরা সেখানে কিছু না।

জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৈরি হওয়া ঐক্য যেন কোনোভাবে বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের দস্যুরা পালিয়েছে। দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, নতুন সরকার জঞ্জালগুলো পরিষ্কার করে একটা নির্বাচন দেবেন। সে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে। নতুন সরকার কাজ শুরু করেছে রাতারাতি সব সম্ভব না। আমরা বলেছি নির্বাচনটা তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়।

বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, জেলে থাকার কারণেই গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন খালেদা জিয়া। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন।

মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছিল জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তাকে ছোট স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষে থাকতে হতো। যার কারণে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়েছিলেন। ছয় বছর জেলে থাকলেও কখনো মাথা নত করেননি খালেদা জিয়া।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব। ফেনী-১ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ রবিনসহ অনেক জাতীয় নেতা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




এইচএমপিভি ভাইরাস এবার মালয়েশিয়ায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নতুন আতঙ্ক দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব বেড়েছে চীন আর জাপানে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এবার মালয়েশিয়াতেও বাড়ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনসাধারণকে মাস্ক ব্যবহার ও বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিশেষজ্ঞদের অনেকের শঙ্কা, ২০২৫ সালে আবার করোনার মতো নতুন কোনো মহামারির উদ্ভব হতে পারে। যদিও কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা এখনই দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এইচএমভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে তাদের।

চীনে হাসপাতালগুলোতের এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে অনেক বড় সংকট তৈরি করতে পারে।

চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, করোনার সময়ে হাসপাতালে যেভাবে ভিড় তৈরি হয়েছিল, একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাবেও। একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে জাপানেও। দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, চলতি মৌসুমে দেশটিতে ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ ছাড়িয়েছে সাত লাখেরও বেশি মানুষের মধ্যে।

চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ কিছুদিন আগে ফ্লু-জাতীয় রোগের হার বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেওয়ায় অনেকেই তথ্য গোপনের আশঙ্কা করছেন।

এইচএমপিভি ২০০১ সালে প্রথম সনাক্ত করা হয়। এইচএমপিভি একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা ওপরের এবং নীচের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। এটি সব বয়সের ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। তবে শিশু, বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য ভাইরাসটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।

এইচএমপিভির উপসর্গগুলো ফ্লু ও অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া ও শ্বাসকষ্ট। গুরুতর ক্ষেত্রে, ভাইরাস ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

এইচএমপিভির ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা উন্মেষপর্ব সাধারণত তিন থেকে ছয়দিনের মধ্যে হয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো বিভিন্ন সময়কালের জন্য স্থায়ী হয়।

প্রতিরোধ ও প্রতিকার : প্রায় দুই দশক আগে প্রথমবারের মতো এইচএমপিভি ভাইরাস উপস্থিতি জানান দিলেও এখন পর্যন্ত এর টিকা আবিষ্কার হয়নি। চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনা মোকাবিলায় যেসব সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল, একই পদক্ষেপে এই ভাইরাসও প্রতিরোধ করা সম্ভব।

টানা ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাতে নাক-মুখ স্পর্শ না করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার মধ্য দিয়ে এইচএমপিভি থেকে নিরাপদ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।


আরও খবর

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে পাঁচজনের শরীরে মিললো নতুন ভাইরাস

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় পেয়ারা, ড্রাগন, মাল্টা ও কমলা চাষে সফল হারুন অর রশীদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার:

নওগাঁয় পেয়ারার পাশাপাশি ড্রাগন, মাল্টা ও কমলা চাষে

সফল হয়েছেন কৃষক উদ্যোক্তা হারুন অর রশীদ। তিনি ছোট বেলা থেকেই কৃষি কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। কৃষিতে তেমন আয় না হওয়ার কারনে এক সময় কৃষি কাজ ছেড়ে ফলদ বাগান তৈরির উদ্যোগ নেন তিনি। বাড়ির পাশের জমিতেই প্রথমে গড়ে তোলেন পেয়ারার বাগান। সফলও হোন। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পেয়ারা চাষে সফলতা পেয়ে বাগানের পরিধি বাড়াতে থাকেন। সেই সাথেই একের পর এক যুক্ত করেন ড্রাগন, মাল্টা, কমলা ও আঙ্গুরের। মাল্টার বাগানে নতুন করে রোপণ করেছেন পেয়ারা ও আম গাছের চারাও। এছাড়া বাগানের উত্তরদিকে পলিনেট হাউজে চাষ করছেন বিষমুক্ত সবজিও। ফলদ বাগানে সফল এই চাষির নাম হারুন অর রশীদ। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাগানে সফলতা পেয়ে তিনি তার একমাত্র ছেলে খালেকুজ্জামান রাজীবকেও এই পেশায় দক্ষ করে তুলেছেন। এখন তার বাগানে রয়েছে ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারা ও কমলার গাছ। অন্য বাগানগুলোতে ফল না থাকলেও মাল্টার বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে মাল্টা। চাষি হারুন অর রশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষি কাজে তেমন সফলতা পাচ্ছিলেন না। ধান, পাট, গম, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে অধিকাংশ অর্থই ব্যয় হয়ে যেত শ্রমিক ও কীটনাশকে। সেই সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এক সময় ফসল চাষ বাদদিয়ে পেয়ারার বাগান তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতে বাধা আসলেও পাত্তা দেননি। অল্প দিনেই সফলতা পেয়ে যান। এরপর বাগানের পরিধি বাড়াতে থাকেন। বর্তমানে এই চাষির ৮বিঘা জমিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ বাগান। চাষি হারুন অর রশীদ আরো বলেন, বর্তমানে ৩বিঘা জমিতে ড্রাগনের বাগান রয়েছে। শুধু এই বাগান থেকে এ বছর ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছেন তিনি। দাম কম না হলে বিক্রির পরিমাণ আরও বেশি হত। এছাড়া ১বিঘা ১৫ কাঠা জমিতে মাল্টা, ২বিঘা জমিতে কমলা ও ১ বিঘা জমিতে পেয়ারার বাগান গড়ে তুলেছেন। অনেক এলাকায় ধর্ণা দিয়ে বাগানের জন্য উন্নতমানের চারা সংগ্রহ করতে হয় তাকে। সফল এই চাষি আরো বলেন, টেলিভিশন ও ইন্টারন্টের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব ফসল উৎপাদনে পলিনেট হাউজের বিষয়ে জানতে পারি। এরপর দফায় দফায় যোগাযোগ করি উপজেলা কৃষি অফিসে। আমার আগ্রহ দেখে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পলিনেট হাউজ তৈরিতে সহায়তার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে রাজশাহী বিভাগে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১৫ কাঠা জমিতে এই পলিনেট হাউজটি তৈরি করে দেয়। শুরুতে মুলা, গাঁজর, ধনিয়া, পালং ও লাল শাকসহ কয়েক ধরনের সবজির চাষ করা হয়েছিল। পলিনেট হাউজটি পরিবেশ বান্ধব। পোকা- মাকড়ের আক্রমণ নেই। তাই এখানে উৎপাদিত সবজিতে কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, পলিনেট হাউজ উন্নত মানের পলিওয়েল পেপারে আবৃত চাষযোগ্য কৃষি ঘর। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে নিরাপদ ফসল উৎপাদনে আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এই প্রযুক্তি প্রয়োগে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে বছর ব্যাপি উচ্চমূল্যের ফসল ফলানো যায়। এই প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ফসল প্রাকৃতিক দুর্যোগেও নিরাপদ ও অক্ষত থাকে। কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না তাই এখানে উৎপাদিত সবজি বিষমুক্ত ও সম্পূর্ণ নিরাপদ। কৃষক হারুন অর রশীদ একজন সফল চাষি ও উদ্যোক্তা বলেও জানান ঐ কর্মকর্তা।


আরও খবর



শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মানুষের ঢল নেমেছে। ফুলেল শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছেন তারা। ভোর থেকেই বিভিন্ন সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে কবরস্থানে আসছেন।

১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামসরা মিলে দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, লেখক, সাংবাদিক, প্রকৌশলীসহ মেধাবী বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। যাদের অধিকাংশকেই সমাহিত করা হয় মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। তাদের স্মরণেই সকাল থেকে কালো ব্যাজ ধারণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা জানানোর পর সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় বুদ্ধিজীবী কবরস্থান প্রাঙ্গণ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ফুল নিয়ে শহীদ পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষজন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। কবরস্থানের ভেতর থেকে বাইরে পর্যন্ত মানুষের দীর্ঘ লাইন। এসময় শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জনের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের স্মৃতিচারণ করেন। অনেকেই কবরের পাশে চোখের পানি ফেলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অনেক সাধারণ মানুষকেও শহীদদের কবরের সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আবার অনেককে ফাতেহা পাঠ করে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করতে দেখা গেছে।

এর আগে, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এসময় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




তারেক রহমানের আরও চার মামলা বাতিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজির চারটি মামলা বাতিলই থাকবে।

রবিবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদন শুনানি শেষে তা খারিজ করে এ রায় দিয়েছেন। এর ফলে হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।

২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় চাঁদাবাজির চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওয়ান ইলেভেনের ওই সময় দায়ের করা এ চার মামলা গত বছরের ২৩ অক্টোবর খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ চার মামলা বাতিল করেন।

মামলা বাতিলসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রাষ্ট্রপক্ষের এসব আবেদন শুনানির জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, মামলা বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা সঠিক হয়নি।

২৩ অক্টোবর আদালত চত্বরে ব্রিফিংয়ে তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ওই দিন জানান, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই মামলার সুরাহা করতে চান তারেক রহমান। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৮০টির মতো মামলা রয়েছে। যেগুলো আইনিভাবেই মোকাবিলা করা হবে।

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানিয়েছেন, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া সব রাজনৈতিক মামলা নিষ্পত্তির পরই তারেক রহমান নিজের মামলার নিষ্পত্তির ব্যাপারে আগ্রহ জানিয়েছেন। এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




টাইম ম্যাগাজিনের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ ট্রাম্প

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে আরও একবার স্থান পেয়েছেন নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে ২০২৪ সালের ম্যাগাজিনের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করা হয়েছে।

গত ৯ ডিসেম্বর সোমবার টাইম সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে। এরপর গতকাল ১২ ডিসেম্বর ভোরে ম্যাগাজিনটি ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে ট্রাম্পের নাম ঘোষণা করে। ট্রাম্পকে এবার দ্বিতীয় বারের মতো ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালে তাকে প্রথমবারের মতো এই খেতাবে ভূষিত করা হয়।

এদিকে ‘ডেইলি মেইল জানিয়েছে’ ওয়াল স্ট্রিটে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের ঘণ্টা বাজানোর মাধ্যমে ট্রাম্প এই উৎসব উদযাপন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুবাদে ২০২৪ সালে বছর জুড়েই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিক ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণাকালে দুই দফা হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি।

বছরের শেষ দিকে অর্থাৎ গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।


আরও খবর