Logo
শিরোনাম

আ.লীগের খবর প্রকাশ করলে দুই থেকে সাত বছর শাস্তি

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ১৬ নম্বর আইনের ধারা ২০-এর (খ) উপধারা (১)-এর দফা (ঙ)-তে বলা হয়েছে, উক্ত সত্তা কর্তৃক বা উহার পক্ষে বা সমর্থনে যেকোনো প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ, কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা; অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ, সংবাদ সম্মেলন আয়োজন কিংবা জনসম্মুখে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করিবে।

অর্থাৎ, এই আইনের আওতায় আওয়ামী লীগ এবং তার পক্ষে/সমর্থনে প্রকাশিত যেকোনো প্রচারণা, মিডিয়া কার্যক্রম, জনসমাবেশ, বক্তৃতা কিংবা বিবৃতি দেওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এ সত্তা শব্দটি ব্যবহার করা হলেও, সেটি মূলত সংগঠন বা রাজনৈতিক দলকেই বোঝায়। তার ভাষায়, সত্তা শব্দের ইংরেজি হলো entity, আর রাজনৈতিক দলও একটি entity হিসেবে বিবেচিত হয়। সুতরাং, কোনো entity নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আগে থেকেই সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ ধারায় বলা ছিল।

তিনি আরও জানান, পূর্ববর্তী আইনে দলীয় কার্যালয় বন্ধ, সম্পদ জব্দ ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকলেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল না। তবে সংশোধিত অধ্যাদেশে দলটির যাবতীয় কার্যক্রম, এমনকি তাদের পক্ষে বা সমর্থনে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, এখন যেহেতু তাদের সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, এর অর্থ দাঁড়ায়- আওয়ামী লীগের কোনো সংবাদ, বিবৃতি বা প্রচারণা কোনো গণমাধ্যমেই প্রকাশ করা যাবে না।

শাস্তির বিষয়ে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এ কেবল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিষয়ই নয়, বরং এর মাধ্যমে গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের ওপর আইনি নিয়ন্ত্রণও কঠোর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারা ৯-এর (৩) উপধারায় আগেই টেলিভিশন, মুদ্রিত সংবাদ বা প্রচারমাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত সত্তার পক্ষে সংবাদ প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সংশোধিত আইনে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বনিম্ন ২ বছর এবং সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড, সঙ্গে আর্থিক জরিমানারও বিধান রয়েছে।


আরও খবর



আরও বাড়বে গরম : আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

রাজধানী ঢাকায় রোববার তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাপমাত্রা বাড়তি থাকতে পারে। সোমবার (৯ জুন) সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। ফলে নগরবাসী আজ আরও বেশি গরম অনুভব করবেন।

রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার জন্য দেওয়া সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আর দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। একইসঙ্গে দিনের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, সকালে বাতাসে আদ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, রোববার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর সঙ্গে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

এ ছাড়া রাজশাহী, রংপুর ও পঞ্চগড়, ফেনী ও ময়মনসিংহ জেলায় জেলার ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




তরুণরা দুষ্টুমি করবে,দুষ্টুমিই তাদের অহংকার, নওগাঁয় ফজলে হুদা বাবুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

''ভবিষ্যতে তরুণরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিবিএস ক্যাডার হয়ে সব জায়গায় নেতৃত্ব দিবে। তরুণরা দুষ্টমি করবে নাতো কে করবে। তরুণরাই দুষ্টুমি করবে। যারা দুষ্টুমি করবে তারাই একসময় দেশের জন্য ভালো করবে। দুষ্টুমি তরুণদের অহংকার''। 

বৃহস্পতিবার সকালে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা কমিউনিটি সেন্টারে তারুণ্য ফাউন্ডেশনের গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি ফজলে হুদা বাবুল বলেন, শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ ভালো রাখতে তোমাদের মতো তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনার মান যেন ভালো হয়, সেই বিষয়ে তোমাদের সচেতন হতে হবে। তোমাদের হাতে দেশটা যেন ভালো থাকে, সারাদেশ তোমাদের নিয়ে যেন প্রশংসা করেন, আর আমরা যেন গর্বিত হই, সেইভাবে তোমরা এগিয়ে যাও। কারণ তোমাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ এসময় ভালো হবে। তাই তারুণ্যের জয় হোক, তারুণ্যে ভরপুর হোক আমাদের এই দেশ।

বদলগাছী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রমি হাসান ও এস এম মাসুদের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল লতিফ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী গবেষক ফাবি হুদা ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ। তারুণ্য ফাউন্ডেশন প্রাণচাঞ্চল্যের এ আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে হলরুম উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এধরণের অনুষ্ঠানে হলে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে মিলিত হওয়া যায়। আমরা চাই এধরণের গেট টুগেদারের আয়োজন প্রায় অনুষ্ঠিত হোক, তাতে আমরা সকলে একসাথে মিলিত হতে পারবো, আনন্দ করতে পারবো। তারুণ্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রিফাত রানা এবং সিনিয়র অফিসার আল রাকিব বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের ৫ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে কাজ করা হয়েছে। আর আজ উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। আমরা ভবিষ্যতে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাবে। সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করা হবে। এছাড়া আমরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে সবাই একটি করে গাছ লাগাবো।


আরও খবর



ফোনাশক্তি, মানসিক-স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

প্রযুক্তিনির্ভর এই বিশ্বে স্মার্টফোন বর্তমান শিশু–কিশোরদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক সব কাজের অন্যতম অনুষঙ্গ। মানুষের জীবনে প্রযুক্তি যেমনি সুফল বয়ে আনছে, তেমনি এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে বাড়ছে নানাবিধ সমস্যা। অতিমাত্রায় মোবাইল ব্যবহারে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ। মোবাইলের গেম আশক্তিতে নষ্ট হচ্ছে অর্থ বিনষ্ট হচ্ছে লেখাপড়া। বড়দের পাশাপাশি দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইলের পেছনে ব্যয় করছে শিশুরা। সারাদেশের ন্যায় এমন চিত্র শালিখাতেও। শিশুদের মোবাইল অশক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকসহ সচেতন মহল। মাঝেমধ্যে ফোন কিনে না দেওয়ায় গলায় ফাঁস দেওয়া ও বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে এখানে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, টিকটক, ফেসবুক, ইউটিউব, গেমে আসক্ত হয়ে পড়াশোনাবিমুখ হচ্ছে শিশু–কিশোরেরা। একই সঙ্গে তাদের পরিপূর্ণ মানসিক ও শারীরিক বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব ডিভাইসগুলো। মোবাইলের অপব্যবহারে বাড়ছে অপরাধপ্রবণতাও। স্কুল-কলেজে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছে না অনেকে। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে তৈরি করছে টিকটক ও রিলস ভিডিও। অনলাইন থেকে পাওয়া অর্থের লোভে অধিকাংশ সময় মোবাইলের পেছনেই ব্যয় করছে কিশোরেরা।

এদিকে ফোন দিয়ে খাবার খাওয়ানো, ও শিশুর কান্না থামানো যেন এখনকার বাবা-মা’র আবশ্যকীয় কাজ। দুবছরের শিশু থেকে পঞ্চাশোর্ধ লোকেদের নিত্যসময়ের সঙ্গী এখন মোবাইল ফোন। শিশুদের মোবাইল অশক্তি দূর করতে শিশুদের পেছনে সময় দেওয়া, শিশুদের ভালো কাজের প্রশংসাপূর্বক পুরস্কৃত করা, শিশুদের সামনে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করা, সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ত করা, সহনশীলতার সঙ্গে শিশুদের প্রতি সদাচার করা, খেলাধুলা সাথে সম্পৃক্ত করা, শিশুদেরকে অকারণে ফোন ব্যবহার করতে না দেওয়াসহ নানাবিধ পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

ছয়-সাত ইঞ্চির এই ডিভাইস যেন শিশু–কিশোরদের ধ্যানজ্ঞান। প্রতিদিন রাত জেগে স্মার্টফোনের গেমসে বুঁদ হয়ে থাকে এই শিশু–কিশোরেরা। সামনে বই, খাতা, কলম রাখা থাকলেও কিন্তু তা থেকে তার নজর কিছুতেই সরছে না। অনলাইনের যুগে শিশুদের ঘাড়ে যেন অভিশাপ হয়ে এসেছে স্ক্রিন আসক্তি। স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারেই তাদের রাত-দিন পার হচ্ছে। এমনকি খাবার টেবিলে বসেও চলে ফোন চাপাচাপি। মোবাইল অশক্তি যেন চিন্তার বড় কারণ হয়প দাড়িয়েছে। যে বয়সে শিশু-কিশোরদের বইয়ের পাতা উল্টে নতুন নতুন অধ্যায় ধরার কথা, সে বয়সে তারা ব্যস্ত গেমসের লেভেল পার হওয়াতেই। অনেকে আবার বিভিন্ন ধরনের অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে।

সরকারি আইডিয়াল স্কুলের বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক জানান, স্কুল ফাঁকি দিয়ে ফোন নিয়ে পড়ে থাকে তাঁদের সন্তান। আবার ফোন কিনে না দিলেও স্কুল যাওয়া বা নাওয়া–খাওয়া বন্ধ করে তারা। এমনকি আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে আদায় করছে ফোন। অনেকটা নিরুপায় হয়ে ফোন কিনে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অভিভাবকবৃন্দ।

শ্রী ইন্দ্রনীল গবেষণা ইনিস্টিউটের প্রধান সংগঠক ইন্দ্রনীল বিশ্বাস, ‘দার্শনিক জালাল উদ্দীনের’ একটি উক্তি উল্লেখ করে বলেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত যা তাহাই বিষ আর প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে পাশাপাশি সন্তানকে চার দেয়ালের বাইরে মুক্ত হাওয়ায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়াসহ নানা কর্মকাণ্ড হতে পারে আসক্তির প্রতিষেধক। তা না হলে স্ক্রিনের আলো শিশুর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিয়ে যেতে পারে। শিশু-কিশোরদেরকে কাউন্সিল করে এই মোবাইল আশক্তি কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব বলেও মনে করেন এই গবেষক।

চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ বলেন, অতিরিক্ত মুঠোফোন আসক্তির কারণে চোখ ও মস্তিষ্কের নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। কিশোর বয়সে যারা মুঠোফোন আসক্ত হয়, তাদের চোখের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, অস্থিরতা, ঘুমের সমস্যা হয়।পাশাপাশি মোবাইল আশক্তিতে মস্তিক থেকে ডেপামিন নিঃসরন হয়। যে কারণে তাদের শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।


আরও খবর



বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু স্টারলিংকের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিশ্বখ্যাত স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। ২০ মে সকালে প্রতিষ্ঠানটির এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, স্টারলিংক অফিসিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। গতকাল (সোমবার) বিকেলে তারা ফোন কলে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং আজ সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে– স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটি ৬০০০ টাকা, অপরটি ৪২০০। তবে সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪২ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে স্যারের (প্রধান উপদেষ্টার) প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো।

তিনি আরও বলেন, খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর মাধ্যমে স্টারলিংক দক্ষিণ এশিয়ার নতুন একটি বাজারে প্রবেশ করল। এতে করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।


আরও খবর



ওএসডির তিন মাস পরও বহাল তবিয়তে বিআরটিএ’র শহীদুল্লাহ

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পুরো নাম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। কর্মরত রয়েছেন বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক পদে। উর্ধতন কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ওএসডির তিন মাস পরও বহাল তবিয়তে কর্মস্থলে আছেন  সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরর আস্থাভাজন আছেন দূর্ণীতিবান  এই কর্মকর্তা ।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাবর রোডে বি-ব্লকের ১৩/এ/১ নম্বর শেলটেক চন্দ্রমল্লিকায় তার রয়েছে আলিশান ডুপ্লেক্স এপার্টমেন্ট। এছাড়াও শ্যামলীর ২ নম্বর রোডে ১২-ঠ-৭ হোল্ডিংস্থ একটি মার্বেল পাথর খচিত বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে। গাজীপুরের জয়দেবপুর ও চন্দনায় রয়েছে দু'টি নজরকাড়া বাড়ি।

কার্যালয়টি ঘিরে অদৃশ্য অসীম শক্তির বলয়ে কায়েম করেছেন রামজাত্ব। প্রয়োজনে ব্যবহার করেন তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বিআরটিএর প্রভাবশালী কর্তাব্যক্তিদেরও। এ খাতের অনিয়ম দেখার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির যে বিভাগটি রয়েছে, যেন সেটিও তার হাতের মুঠোয়। কথামতো না চললে অন্য সার্কেলে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যখন তখন ঠুকে দেন ভৌতিক কাগুজে অভিযোগ। নিজস্ব বলয়ের দাপট দেখিয়ে আদায় করেন মোটাদাগে মাসোহারা।

 বিআরটিএর চোখ ধাঁধানো সব কূটকৌশলের মাস্টার মাইন্ড এই শহিদ। সর্বোচ্চ পদে আসীনদের সঙ্গেও অন্তরঙ্গতার ওঠাবসা তার। এই পরিচালকের প্রভাব বলয় এতটাই ঊর্ধ্বগামী সংস্থাটির ঝাড়ুদার থেকে পিয়ন সব যেন তার নখ দপর্নে। ঘুষ, বদলি, কমিশন বাণিজ্য, মাসোহারা, রোড পারমিট শাখায় দালাল সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে তার জুড়ি মেলা ভাঁড়। ঘুষ আদায়ে ঈগল চোখী এই কর্মকর্তা পরিদর্শনে যান যেই সার্কেলে, ওই সাকেল থেকে মোটাদাগে করেন নানান ফন্দি ফিকিরে ঘুষ আদায়ও।

আরো জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিআরটিএ তৎকালিন চেয়ারম্যেনের সাথে যোগ সাজোস করে অনেক অপকর্ম করেছে । এমনকি বর্তমানে সচিবালয় আন্দোলন আরো বোগভান করতে প্রচুর টাকা বিনোযোগ করছে এই শহীদুল্লাহ


তথ্যানুসন্ধান বলছে, চাকুরীটাইকে কখনো আলাদিনের জাদুর কাঠি, কখনো বা আলাদীনের চেরাগে রূপ দিয়ে কয়েক বছরে নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন অসম সম্পদের পাহাড়। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বেতন সর্বসাকুল্যে ছিল ৬৫ হাজার ৪৬২ টাকা। যার দালিলিক প্রমাণ ও সংরক্ষিত আছে এই প্রতিবেদকের হাতে।
কিন্তু বসবাস করেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাবর রোডের ,বি-ব্লকের ১৩/এ/১ নম্বর সেলটেক চন্দ্রমল্লিকার চোখ ধাঁধানো আলিশান ডুপ্লেক্স এপাটমেন্টে। যার ভাড়ার মধ্যে তার প্রাপ্ত বেতনের প্রায় ৪ গুন।
এদিকে একটি বিশেষ সূত্রের বরাত, মাঝেমধ্যেই দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যেরে দেশগুলোতে বিলাস ভ্রমণে পাঠান স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের।


তথ্যানুসন্ধান আরো বলছে, এই প্রভল ক্ষমতার অধিকারী এই পরিচালকের রয়েছে, শ্যামলী ০২ নম্বর রোডে একটি মাবেল পাথর খচিত বিশাল বহুল বাড়ি। যার নম্বর ১২/ঠ/৭।

ঢাকার শহরতলি গাজীপুরের জয়দেবপুর ও চন্দনায় রয়েছে আরো দুটো দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। যার একটির নম্বর ৪১। চাকুরিতে যোগদানের গত কয়েক বছরের ব্যবধানে রহস্যজনকভাবে কারি কারি টাকার মালিক বনে গেছেন এই পরিচালক শহীদুল্লাহ। বিআরটির অঘোষিত জমিদার তিনি। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শতাধিক গাড়ির শোরুম ম্যানেজারও। এ যেন ধরাকে সারঞ্জান করার মতো অবস্থা।

এ বিষয়ে উনার মন্তব্য জানার জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫