Logo
শিরোনাম

আ.লীগকে বারবার গা‌লি দি‌তে চাই না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বললেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বারবার ফ্যাসিস্ট বলতে চাই না। আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ভুল যে করবে সে সরি (ক্ষমা চাইবে) বলবে, করাপশন (দুর্নীতি) যে করবে তার শাস্তি হবে। ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সেই শাস্তি নিশ্চিত হবে, কোনও অবিচার করে নয়, কারও ওপর জুলুম করে নয়। কিন্তু বারবার তাকে গালি দিতে হবে এটা আমি খুব ভালো মনে করি না। অতীতে যারা রাজনীতি করেছেন তারা রাইট করুক আর রং করুক, তারা তো করে গেছেন। এখন আমরা কী করবো? তাদের নিয়ে শুধু পড়ে থাকলে আমাদের লাভ কী হবে? তারা যা করেছেন তার সাক্ষী জাতি হয়ে গেছে। জাতি বিচার করবে।

লন্ডনে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সংগঠন ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিবিসিসিআই) আয়োজনে মতবিনিময় সভায় ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যে বাংলাদেশে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও দলীয় পরিচয়ে কোনও বৈষম্য থাকবে না। বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে সবাই সমানাধিকার ভোগ করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুসলিমদের মসজিদ পাহারা দেওয়া না লাগলে হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিতে হবে কেন? নিশ্চয়ই এমন কিছু কাজ আমরা করেছি, যার কারণে ওটা (মন্দির) পাহারা দেওয়া লাগে। ওই কারণটা দূর করতে হবে। যাতে কারোরই কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পাহারা না দিতে হয়।

নারী অধিকারের বিষয়ে তিনি বলেন, মা, বোন, মেয়েদের বাদ দিয়ে একটা সমাজ উন্নত হবে, এমন চিন্তা করা বোকার স্বর্গে বাস করার সমান। নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী সব পেশায় মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে অংশগ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ আফগান ও পাকিস্তান হবে না, বাংলাদেশ হবে তারুণ্যসমৃদ্ধ ঐক্যবদ্ধ একটি দেশ।

বিবিসিসিআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল দেওয়ান মাহদির পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শাহগীর বখত ফারুক, ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন, মুহিব চৌধুরী, ব্যারিস্টার আতাউর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা প্রমুখ।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




বায়ুতে আয়ু টান : অ্যাকশনের এখনই সময়

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মোস্তফা কামাল :

বায়ুদূষিত শহরের তালিকায় অবিরাম ঢাকার শীর্ষত্ব অটুট আবারও। এর মাঝে রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতির সংযোগ নেই। একেবারেই অরাজনৈতিক। রোগাক্রান্ত রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক, দলীয়-অদলীয় সব মানুষের সঙ্গে সুস্থ মানুষের জন্যও ভীষণ ক্ষতিকর।

আশপাশের খবরও ভালো নয়। সর্বশেষ শনিবারের তথ্য বলছে, বিশ্বের ১২৬টি শহরের মাঝে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে দূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয়তে উগান্ডার কাম্পালা শহর। শীর্ষ চারে নেমে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি পাঁচে মঙ্গোলিয়ার উলানবাতার শহর। বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ। সেই হিসাবে দূষণের মাত্রার দিক থেকে ঢাকার বাতাস পরপর দুদিনই খুব অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বায়ুমানের অবনতির ব্যাপকতা বাড়ছেই। গত বছর থেকে বছর নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত। শীতকালে বাতাসে দূষণের পরিমাণ বরাবরই বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় বিশেষত শীতকালে দূষণের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে। বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের নজরে ধরা পড়েছে ঢাকার বাতাসে দূষণের প্রধান কারণ বা উৎস অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম .)

বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক ব্যাধি তৈরি করে। এর চেয়ে বড় কথা বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যসমস্যায় প্রতিবছর কত মানুষের মৃত্যু হয়, সংক্রান্ত তথ্য আমাদের নেই। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে গত বছরের নভেম্বরে একটি সমীক্ষা দিয়েছিল ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল-বিএমজে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে মৃত্যু হয় ৬৭ লাখ মানুষের।

রাজনৈতিক-রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক-সামাজিক নানা বাস্তবতায় ঢাকা বা অন্যান্য শহরের বায়ুদূষণ নিয়ে আমাদের ভাবনার সময় কই! এই বাতাসে যে বুকভরে শ্বাস নিতে পারছি না, এজন্য আমরা নিজের শারীরিক অক্ষমতাকে দায়ী করতে অভ্যস্ত। অনেকে জানিও না শ্বাসের সঙ্গে যেসব দূষিত বায়ু দেহে ঢুকে তা আয়ুতে টান ফেলে কোন গন্তব্যে নিয়ে ঠেকাচ্ছে আমাদের! ঢাকার দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে। ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নিতে বলা হয়েছে। নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরনো ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতেও বলা হয়েছে।

বাস্তবে কে শোনে কার কথা! এসব নির্দেশনা বা ডাকদোহাইর খবর আমরা অনেকে জানিও না। বায়ুদূষণ ত্বকের কী ক্ষতি করে তা নিয়ে নতুন এক গবেষণায় উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। ব্রিটেনের বায়োব্যাঙ্কের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা (পিএম১০) অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম .)-এর মাত্রা বাড়লে তা ত্বকের রন্ধ্র দিয়ে ঢুকে ত্বকের বিভিন্ন জটিল রোগ তৈরি করে। বিশেষ করে সোরিয়াসিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের রোগের বৃদ্ধি ঘটায়। বায়ুদূষণ সোরিয়াসিস রোগীদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এমনকি করোনাও আমাদের দমাতে পারেনি। ত্বক বা নিঃশ্বাস সমস্যা আর কী করবেÑ এমন একটি মনমানসিকতা অনেকেরই।

সরকারের দিক থেকেও বায়ুদূষণকে মোস্ট প্রায়োরিটিতে নেওয়ার লক্ষণ নেই। মানুষের কাছেও বুকভরে শ্বাস নেওয়ার বাইরে আরও কত বিষয়। পরিবেশকর্মীরা কিছু কর্মসূচি পালন করলেও সেগুলো পত্রিকায় সিঙ্গেল কলাম বা ব্যাক পেজের নিউজ। আর টেলিভিশনে জায়গা সেকেন্ড পার্টে বা খুচরা নিউজের সঙ্গে। ঢাকাকে বায়ুদূষণমুক্ত করতে চাইলে সরকারকে এখনই কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার উৎকৃষ্ট সময়। রাজনৈতিক বা দলীয় সরকারের জন্য তা একটু জটিল। তারা সমস্যা স্বীকারই করতে চায় না, যদি না দলীয় কারও ক্ষতি হয়ে যায়! ইটভাটা, যত্রতত্র কল-কারখানা, গ্যারেজগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। যে কারণে পরিবেশ নিয়ে কথা বলা ব্যক্তিরাও ক্ষমতায় গেলে তা চেপে যান। এখন কিন্তু পরিবেশ নিয়ে কাজ করার মহাসুযোগ।

ঢাকার বায়ুদূষণের একটা বড় উৎস নির্মাণকাজ। ইটভাটা, কারখানা, যানবাহন, বর্জ্য পোড়ানো থেকে বায়ুদূষণ হচ্ছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, দূষিত বায়ুতে থাকার কারণে বছরে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বছর মাস কমে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে ২০১৯ সালে অন্তত ৭৮ হাজার ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপির দশমিক শতাংশ ক্ষতি করছে। বায়ুদূষণ দূর করা সময়সাপেক্ষ হলেও অন্তর্বর্তী সরকার বায়ুমানের দুর্যোগপূর্ণসময়ে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। নিয়ম-কানুনের তদারকি চালু করতে পারে শক্ত হাতে। কারণ বাদ সাধার হোমচোমড়ারা এখন মাঠে নেই।

আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী কোনো এলাকায় পরপর দিন ঘণ্টা বায়ুর মানসূচক ৩০০ বেশি থাকলে ওই এলাকায় বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এটা আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা উভয়ে মিলে নিতে পারে। এই জরুরি অবস্থার সময়ে, বিশেষ করে স্কুল-কলেজগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা, দূষণকারী শিল্পকারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ, যান চলাচলে কঠোরতা জারি এবং স্বাস্থ্যগত সহায়তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া যায়। বায়ুমান ৩০০-এর বেশি হলেই তা দুর্যোগপূর্ণ হয়।

আর পরপর তিন দিন টানা তিন ঘণ্টা করে দূষণ পর্যায়ে থাকলে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণার রীতি আছে। এসব রীতি জরুরি বিবেচনায় প্রচলন শুরুতে দৃশ্যত কোনো বাধা নেই। বলা হয়ে থাকে, ‘উন্নয়নপরিবেশ রক্ষাদুটি বিপরীত শব্দ। উন্নয়ন করতে গেলে পরিবেশের ক্ষতি হবেই। ফলে বিশে^ উন্নত উন্নয়নশীল দেশসমূহে দূষণ বেশি! তবে সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলংকা, লাওস, ভুটান, ইন্দোনেশিয়ার মতো অনেক দেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক উন্নতি করেছে। তবে পৃথিবীব্যাপী এখন দূষণকে দেখা হচ্ছেবিপর্যয়হিসেবে।

প্রকৃতির বাইরে মানবসৃষ্ট নানা কারণে পরিবেশ দূষণের প্রতিকার চাইলে বাংলাদেশে এর চেয়ে জুতসই সময় আর আসবে, সেই আশা নেই। শিল্প-কলকারখানার ময়লা বর্জ্য পদার্থ, জমিতে অতিরিক্ত মাত্রার কীটনাশক সারের ব্যবহার, যানবাহন কলকারখানার ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের সূচনাটা অন্তত শুরু হোক। ইটভাটার ধোঁয়া, গাড়ির কালো ধোঁয়া বায়ুসহ গোটা পরিবেশের কী সর্বনাশ করছে তা নতুন করে প্রচারের আর দরকার নেই। তা কমবেশি সবারই জানা। বিষয়ের একজন সংশ্লিষ্ট কীর্তিমান উপদেষ্টা তো আছেনই।

 বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ, মাটিদূষণ, পানিদূষণ, বর্জ্যদূষণ তার ভালো করেই জানা। নিয়ে অনেক কাজের স্বাক্ষর রয়েছে তার। তাই নতুন সচেতনতা জরুরি নয়। জরুরি হচ্ছে পদক্ষেপ। তার হাত দিয়ে অন্তত মহরতটা হয়ে যাক না। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশ রক্ষা করেই এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা পরিবেশ ধ্বংস করতে করতে এমন একটা সময় আসবে যখন থাকবে শুধু অপরিকল্পিত উন্নয়ন, দূষণ আর রোগগ্রস্ত জীবন। তখন কোনো কিছুর বিনিময়ে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সুস্থ জীবনযাপন করা বাস্তবতা সাধ্যের বাইরে চলে যেতে পারে।

মোস্তফা কামাল : সাংবাদিক-কলাম লেখক; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৭.৭২ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

গত ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৪৬২ কোটি ৭৪ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। ২০২৩ ডিসেম্বরে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৯৩ কোটি ৯ লাখ ডলার।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে তৈরি পোশাক (আরএমজি) থেকে। এ খাতে ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলারে। ২০২৩ সালে ছিল ৩২১ কোটি ৪ লাখ ডলার।

কৃষি পণ্যের রপ্তানি আয় ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ১ লাখ ডলারে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। যা ডিসেম্বরে রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ৯ লাখ ডলারের। হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি আয় ২০ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলারে।

এদিকে, বাংলাদেশ ধেতে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।


আরও খবর



ডিসেম্বরে এলো দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে সদ্যবিদায়ী ডিসেম্বর মাসে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি।

বুধবার (১ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একক মাস হিসেবে সদ্যবিদায়ী ডিসেম্বরে আগের বছরের চেয়ে ৬৪ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৫১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে, গত জুন মাসে গড়ে দৈনিক ৮ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৫৪ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষ মাসে ব্যাংকগুলো ১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। আর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

অবশ্য সাড়ে চার বছর আগে একক মাস হিসাবে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। ওই মাসে প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডি‌সেম্বর সময়ে অর্থাৎ ৬ মাসে এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৪০ কোটি ডলার এবং নভেম্বরে মাসে এসেছে ২২০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, পরিমাণ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।


আরও খবর



২৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৪২ কোটি ডলার

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশে চলতি ডিসেম্বরের মাসের গত ২৮ দিনে বৈধপথে ২৪২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে ; দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। রেমিট্যান্সের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ডিসেম্বরে দেশে রেকর্ড প‌রিমাণ প্রবাসী আয় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। একক মা‌সে এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ২৫৯ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ডিসেম্বরের ২৮ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৮ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৩ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডি‌সেম্বর সময়ে (২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত) এক হাজার ৩৫৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৪০ কোটি ডলার এবং সবশেষ নভেম্বরে মাসে এসেছে ২২০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, পরিমাণ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।


আরও খবর



নতুন বছরে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি 

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ২৪-এর জুলাই বিপ্লবের পরে শিক্ষার্থীরাও তাদের বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরাও শিক্ষা ক্ষেত্রে নানা দাবি-দাওয়া তুলছেন এবং ইতিবাচক পরিবর্তনও দেখতে চাচ্ছেন। বিদায়ী বছরটির প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির স্মৃতি পেছনে ফেলে নতুন বছরে নতুন আশায় বুক বাঁধতে পিছিয়ে নেই তরুণরাও। নতুন বছরে কয়েকজন তরুণ শিক্ষার্থীর ভাবনা, প্রত্যাশা-প্রাপ্তি আর স্বপ্নের কথা তুলে ধরেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক মো: হৃদয় হোসাইন।

'পুরাতন প্রশাসন এর স্বৈরাচারী মনোভাব ও  ভুল-ভ্রান্তি যেন আবার নতুন প্রশাসন এর গায়ে না লাগে' -তরফদার রোহান, শিক্ষার্থী, গনিত বিভাগ।

মাস্টার্সের গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী তরফদার রোহান আরও বলেন, মানুষ নতুনত্বকে ভালোবাসে। পুরোনো জিনিসের প্রতি মায়া থাকলেও নতুন জিনিস এর প্রতি আগ্রহ মানুষের সুপ্রাচীন। তাই তো কালের বিবর্তনে মানুষ পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় অত্যন্ত আনন্দের সাথে। ২০২৪ কেউ আমরা ঠিক একইভাবে বিদায় জানিয়ে ২০২৫ কে গ্রহণ করে নিয়েছি উৎসাহ, উদ্দীপনা নিয়ে। সেই সাথে পুরোনো বছরের ভুল ভ্রান্তিকে ছাপিয়ে নতুন বছর এবার এসেছে জুলাই অভ্যুত্থান এ ছাত্র-জনতার বিজয় নিয়ে। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীরাও আশাবাদী পুরোনো প্রশাসন এর স্বৈরাচারী মনোভাব ও  ভুল-ভ্রান্তি যেন আবার নতুন প্রশাসন এর গায়ে না লাগে। আমরা চাই একটি শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন সাথে শিক্ষার্থীসুলভ শিক্ষকদের মনোভাব। তবে সবার আগে আমি যেটা মনে করি সেটা হচ্ছে পরীক্ষার আগে রেজাল্ট পাবলিশ করা জরুরি। এই রেজাল্ট এর জন্য অনেক শিক্ষার্থীকে নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। নতুন বছরে আরেকটি প্রত্যাশা আমরা যাতে সুন্দর একটি অডিটোরিয়াম,জিমনেশিয়াম ও টিএসসি এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের উপহার দেয় যেটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মনমানসিকতার উৎকর্ষ সাধন ত্বরান্বিত হয়।

'তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তি, গবেষণা, এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনায় দক্ষ করে গড়তে হবে।- এআর রুপক, শিক্ষার্থী, ইংরেজি  বিভাগ

মাস্টার্সের ইংরেজি বিভাগের এআর রুপক আহমেদ আরও বলেন, ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের পর  বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক  ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় সূচনা হয়েছে। এই বিপ্লব শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, এটি জাতির নতুন স্বপ্ন ও আশার প্রতীক। নতুন বছরের সূচনা লগ্ন থেকেই আমরা নতুন বাংলাদেশ  বিনির্মাণে  এক নতুনত্বের উন্মোচন করতে চাই। আমার  দৃষ্টিভঙ্গিতে নববর্ষের  শুরু থেকেই নতুন   প্রজন্মের স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং চেতনার প্রতিফলন উন্মোচন করতে হবে। তরুণরাই নতুন বাংলাদেশের প্রকৃত স্থপতি। তরুণদের মধ্যে যদি সঠিক দিকনির্দেশনা থাকে, তবে তারা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবে,তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তি, গবেষণা, এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনায় দক্ষ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজনৈতিক সংস্কারের গুরুত্ব অপরিসীম, দেশে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এটি দূর করতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি। তরুণ নেতৃত্ব এবং সুশিক্ষিত ব্যক্তিদের রাজনীতিতে আসার আহ্বান করছি । পাশাপাশি, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে একটি শক্তিশালী আইন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রস্তাব করছি

আমরা মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, নতুন বছরের শুরুতেই আমরা ভাসানীয়ানরা চায়, একে অপরের সাথে ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে সকল অন্যায় অত্যাচারের  বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। যেমনটা আমরা জুলাই বিপ্লবে একে অপরের  কাঁধে কাঁধ দেখে হেঁটেছিলাম। ভাসানী  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একে অপরের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। জুলাই বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় আমরা দেখেছি। আমরা  একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি। নতুন বাংলাদেশ হবে এমন এক দেশ, যেখানে ধর্ম, জাতি, বা শ্রেণির ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য থাকবে না। নারীর অধিকার, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা, এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন এবং উদ্যমই এই পথচলার মূল শক্তি। বাংলাদেশকে একটি ন্যায়বিচারপূর্ণ, মানবিক, এবং উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।

'কাম্পাসে গুণগত শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে' - তুষার আহমেদ, শিক্ষার্থী, পরিসংখ্যান বিভাগ

পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ আরও বলেন, কাম্পাসে গুণগত শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে, শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতন হওয়া উচিৎ যেন নিজ স্বার্থে কোন ব্যাক্তি বা দল ক্যাম্পাসকে ব্যবহার না করতে পারে। আমরা আশা রাখি শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন এবং শিক্ষকদের যথাযথ সহযোগিতা পেলে আমাদের শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়ন সম্ভব হবে।  আমরা সবাই এক সাথে থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ়

প্রতিজ্ঞা করছি।

শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার- মো. কামাল, শিক্ষার্থী,  অর্থনীতি বিভাগ

অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. কামাল আরও বলেন, মাভাবিপ্রবির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার পর্যায়ে রয়েছে এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চতুর্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টার শেষ করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে । করোনা মহামারি আমাদের শিক্ষা জীবন প্রায় দেড় বছর কেড়ে নিয়েছে । আমরা চাই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা, ভাইভা, ল্যাব নিয়ে আমাদের ফাইনাল ইয়ার শেষ হয়ে যাক। এই লক্ষ্য অর্জনে নিরন্তর পরিশ্রম, নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষার প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ২০২৫ সালে শেষ করতে । শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষকরা যদি পাশে থেকে ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে এই যাত্রাকে সহজতর করে আমাদের জন্য মঙ্গল হয় । আশা করি ছাত্র, শিক্ষক ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ২০২৫ সালের মধ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সফল সমাপ্তি নিশ্চিত করবে।


আরও খবর