Logo
শিরোনাম

আল্লামা শাহ্সূফী সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বিশ্ব আধ্যাত্মিক পরিমন্ডল অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মাইজভান্ডার দরবার শরীফ। এ পবিত্র ভূমিতে শায়িত আছেন তরীকায়ে মাইজভান্ডারীয়ার স্থপতি গাউছুল আজম হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (কঃ) এবং তরীকায়ে মাইজভান্ডারীয়ার প্রাণপুরুষ অলিকুল শিরোমনি গাউছুল আজম হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভান্ডারী আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (কঃ)।

হযরত গাউছুল আজম বাবাভান্ডারী কেবলা কাবা (কঃ) হিজরী ১৩৫৬ সালের ২২শে মুহররম মোতাবেক ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের ২২শে চৈত্র রোজ সোমবার ভোর ৭টা ৫৫ মিনিটে একাত্তর বছর ৬ মাস এ নশ্বর জগতে আধ্যাত্মিক লীলা সমাপন করে পরপারে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান।

হযরত গাউছুল আজম বাবাভান্ডারী কেবলা (কঃ) এর বেছালের পর তাঁরই মেঝ শাহজাদা সুলতানুল মাশায়েখ শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ আবুল বশর মাইজভান্ডারী আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (কঃ) এর ওরসে নবী বংশের উজ্জল প্রদীপ আমাদের প্রাণাধিক প্রিয় মুর্শেদ কেবলা আল্লামা শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী বিংশ শতাব্দীর এমন এক যুগ-সন্ধিক্ষণে মাতৃগর্ভ থেকে ধরাধামে তশরীফ আনয়ন করেন, যখন সমগ্র বিশ্বে চলছিল অনাচার, জুলুম, নির্যাতন, মুসলিম দুনিয়া সুন্নীয়তের মূল দর্শন থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছিল। আধুনিক জাহেলিয়াত ও বাতিল পন্থীদের খপ্পরে পড়ে ঈমানহারা হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানও তরকতের সঠিক দিক-নির্দেশনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল মুসলিম উম্মাহ, বিশ্বশান্তি বিঘিœত করে পরাশক্তিগুলো প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল। মানবতা ভুলুন্ঠিত, নির্যাতিত জনগোষ্ঠির আর্তনাদে খোদার আরশ কাঁপছিল; ঠিক এমনি নাজুক পরিস্থিতিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর প্রদর্শিত এবং সাহাবায়ে কেরাম ও আউলিয়া-ই-কেরামের অনুসৃত পথে সঠিক প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্যে ১৯৩৮ ইংরেজী সালের ১০ই ফেব্রুয়ারী মোতাবেক মহান ২৭শে মাঘ ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ অনুযায়ী ৯ই জিলহজ্ব ১৩৫০ হিজরী রোজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় মাইজভান্ডার শরীফের পূণ্যভূমিতে প্রেরণ করেন।
“মারহাব ইয়া মারহাবা ইয়া মারহাবা
শায়খুল ইসলাম মইনুদ্দীন মারহাবা”

মাইজভান্ডার দরবার শরীফে তিনি তাঁর আব্বাজান শাহজাদায়ে গাউছুল আজম শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ আবুল বশর মাইজভান্ডারী আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (রঃ) এর তত্বাবধানে ইলমে দ্বীন কুরআন-সুন্নাহ এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপন করে ঐতিহ্যবাহী সরকারী কলেজিয়েট উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে মেট্রিক পাশ করেন অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. ইউনুস, সাবেক নৌ-বাহিনী প্রধান মোহাইমনুল ইসলাম, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানসহ দেশ বরেন্য কৃতি সন্তানগণ তাঁর স্কুল জীবনের সহপাঠী ছিলেন। আগ্রাবাদস্থ চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজ থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে বি.কম পাশ করেন। আরবী-ফারসী-উর্দুতে তাঁর আব্বাজান এবং বিংশ শতাব্দীর বিশ্ববরেণ্য ওলামায়ে কেরাম থেকে কুরআন-সুন্নাহ তথা ইলমে দ্বীন ইসলাম চর্চা করে প্রভূত জ্ঞান লাভ করেন। তাঁর সবচাইতে বড় কারামত হলো জম্মের পর থেকে অদ্যবধি মুখ থেকে কুরআন-সুন্নাহর বাইরে কোন অযথা বাক্য প্রকাশ পায়নি। যা বলেন আল্লাহ ও রাসূলের (দঃ) শান, আউলিয়া-ই-কেরামের শানে বলেন। যা আমাদের জন্য ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পাথেয় স্বরূপ।

১৯৫৯ ইংরেজীতে তদানীন্তন হাবীব ব্যাংকে অফিসার হিসাবে যোগদান করে জেনারেল ম্যানেজার পদে যখন উন্নীত হন, ঠিক তখনি ১৯৬২ইং সালে ৫ই এপ্রিল মহান ২২শে চৈত্র রাত ২.৩০ মিনিটে তাঁর আব্বাজানের নির্দেশক্রমে চাকুরী ছেড়ে বায়াতে খাছ গ্রহণ করে খেলাফত লাভের মাধ্যমে তরীকায়ে মাইজভান্ডারীয়ার প্রচার-প্রসার কল্পে আধ্যাত্মিক সাধনায় ব্রতী হন। ১৯৬৬ ইংরেজীতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন চট্টগ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সাথে। বিশিষ্ট শিল্পপতি ও রাজনীতিবীদ মরহুম ইসলাম মিয়া টিকে তাঁর শ্বশুর ছিলেন। তাঁরই কন্যা মরহুমা ফাতেমা বেগম (মুন্নিকে) জীবন সঙ্গীনি হিসেবে গ্রহন করেন, তিনি তাঁর জীবনের উন্নতির সোপানে আরোহনের চির সঙ্গীনি ছিলেন। গাউছুল আজম বাবাভান্ডারী (কঃ) ও হযরত কেবলার (কঃ) তরীকা মতে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তাঁর দুই শাহজাদা যথাক্রমেঃ শাহজাদায়ে গাউসুল আজম আলহাজ্ব শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (মাঃজিঃআঃ), শাহজাদায়ে গাউছুল আজম আলহাজ্ব সৈয়দ শহিদ উদ্দিন আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (মাঃজিঃআঃ) এবং দুই শাহজাদী যথাক্রমেঃ শাহজাদী আল্হাজ্বা সৈয়দা সায়েমা আহমদ (সোমা), ও শাহজাদী সৈয়দা সাহেদা আহমেদ (রুমা)। ১৯৮০ ইং সালে তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করে জান্নাতবাসী হন। এরপর তিনি আর দ্বিতীয় বিবাহ করেননি। 


আরও খবর



৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান। এমন বার্তা দিয়ে সতর্ক করেছে মার্কিন গোয়েন্দারা। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের মাটিতে ইরানের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে তেল আবিব প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই হামলা সংঘটিত হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ অথবা উত্তর ইসরায়েলে সম্ভাব্য এই হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জানিয়েছে, ইসরায়েলের উত্তর বা দক্ষিণ অঞ্চলে এই হামলা হতে পারে। তবে প্রতিবেদনে ইরান সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তেহরানের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

এর আগে গতকাল অপর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিলযুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো মনে করছে, ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা অত্যাসন্ন। এ ক্ষেত্রে ইসরায়েলের সরকারি ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে ইরান।

এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলে মার্কিন সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মধ্য ইসরায়েল, জেরুজালেম ও বীরশেবার বাইরের অঞ্চলে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে দেশটির উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোতে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। 


আরও খবর



ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরলো ৪০৭ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এবারের ঈদে গতবারের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ। ঈদে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত এ তথ্য উঠে এসেছে।

একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে দুটি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, পাঁচজন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

আর বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭. দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ মানুষের বেশি যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনে গতি বেড়েছে। দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মাসেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে উঠেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুৰ্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত, ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রায়।

এ সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৮৭ জন চালক, ৩১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪০ জন পথচারী, ৭৫ জন নারী, ৪৭ জন শিশু, ২৭ জন শিক্ষার্থী, ০৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, চারজন শিক্ষক, একজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দুজন চিকিৎসকের পরিচয় মিলেছে।


আরও খবর



ক্রেতাশূন্য বাজারেও পণ্যের বাড়তি দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর এবং রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শাক-সবজির দাম। আর কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মুরগির দাম।

বিক্রেতারা বলেন, ঈদের কারণে বন্ধ রয়েছে পণ্য সরবরাহ। আগে আসা পণ্যগুলোই এখন মূলত বিক্রি হচ্ছে। পাশপাশি বাজারে দেখা নেই ক্রেতার। ফলে কিছুটা লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৪০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, খিরাই ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

আর প্রতিকেজি আলু ৪০ টাকা, কহি ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য ৪০-৫০ টাকা ও প্রতি হালি লেবুর জন্য গুণতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও।পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায় ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, ঈদের কারণে সবজির ট্রাক আসেনি। ফলে আগের সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই দাম বেড়েছে।

এদিকে কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার ২৫০-২৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৭০-৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৫০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

ক্রেতারা বলেন, বাজারে ক্রেতা নেই। তবু দাম ছাড়ছেন না বিক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে নতুন করে কোনো মুরগি আসেনি। ঈদের আগে আসা বাড়তি দামের মুরগিই এখন বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে দাম কিছুটা চড়া।

কেরানীগঞ্জের মুরগি বিক্রেতা রিপন বলেন, বাজারে মুরগি কম। তাছাড়া ঈদের কারণে নতুন করে মুরগি আসেনি। আগে যা এসেছিল সব বাড়তি দামের। তাই কিছুটা বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ঈদের আগের দিন থেকে কেজিতে ৫০-৭০ টাকা বেড়ে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বাড়ায় বেড়েছে মাংসের দামও। সহসাই কমার লক্ষণ নেই। কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের মাংস বিক্রেতা আসলাম বলেন, বাজারে গরুর দাম বেড়েছে। তাছাড়া কোরবানিকে কেন্দ্র করে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন। তাই সামনে গরুর দাম কমার লক্ষণ নেই, উল্টো বাড়তে পারে।

বাজারে দাম বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি দেশি রসুন ১৫০ টাকায় ও আমদানিকৃত রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আর মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ বাজারেই নেই মাছ। ঈদের কারণে মাছ আসতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে যাও এসেছে, সেগুলোর দামও চড়া।


আরও খবর

কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




বৈশাখের প্রভাবে ইলিশের দাম চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আর একদিন পরই পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের পয়লা দিনটি বিভিন্নভাবে উদযাপন করা হয়। দিনটিকে কেন্দ্র করে মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে পান্তা-ইলিশ শোভা পায় বাঙালির পাতে। ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে কেন্দ্র বাজারে ইলিশের প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এবার সরবরাহ কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে ইলিশ কম ধরা পড়ায় বাজারে সরবরাহ কম। বৈশাখ উপলক্ষে চাহিদা গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কিন্তু সে তুলনায় সরবরাহ বাড়েনি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে পয়লা বৈশাখের প্রভাব পড়েছে ইলিশের দামে। জুরাইন, যাত্রাবাড়ী ও সূত্রাপুরের মাছ বাজারে  ৭০০ ও ৮০০ গ্রাম ওজনের জাটকা ইলিশ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এক কেজির চেয়ে একটু বড় ইলিশ একবারেই কম। ইলিশ, চিংড়ি, রুইসহ অল্প কিছু মাছও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। সবজি ও মুরগির বাজারে ক্রেতা কম।

সরজমিনে দেখা গেছে, প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আর ১ হাজার টাকায় মিলছে ৫৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ। ছোট চিংড়ি প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, ঈদের ছুটিতে বেশিরভাগ মানুষ শহর ছেড়ে বাড়িতে চলে যাওয়ায় বাজারে ক্রেতা নেই। ক্রেতা না থাকায় বেশিরভাগ দোকানি অলস সময় পার করছেন। আর বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দামও একটু বেশি।


আরও খবর

কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




নওগাঁয় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় এক শিক্ষকের ১০ বছর কারাদন্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত আবুল হাসান (২৫) নামে এক আরবী শিক্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বুধবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসান বদলগাছী উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের আরবী শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬টার দিকে আবুল হোসেনের বাড়িতে আরবী পড়তে যান একই গ্রামের ভুক্তভোগী ৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। ওইদিন অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে দেরী করায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। এক পর্যায়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে আসলে তাৎক্ষণিক তাকে ছেড়ে দিয়ে সবাইকে আরবী পড়াতে শুরু করেন আবুল হোসেন। পড়া শেষে বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা বাবা-মাকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। পরে ওইদিনই ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল হক। তিনি বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই বার্তা সমাজে ছড়িয়ে পড়লে অন্য শিক্ষকরা এমন ঘটনা ঘটানোর আগে অন্তত হাজার বার ভাববে।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, শিক্ষক আবুল হাসান ন্যায় বিচার পাননি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।


আরও খবর