Logo
শিরোনাম
এর জীবন চরিত্র ০২

আল্লামা শাহ্সূফী সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মাদারজাত (মাতৃ গর্ভকালীন) অলী হুজুর কেবলা

হযরত গাউছুল আজম বাবাভান্ডারী (কঃ) যেদিন ইহকালীন লীলা সমাপন করে আপন রবের সান্নিধ্যে চলে যান অর্থাৎ বাবাজান কেবলার বেছালের দিনই তিনি মাতৃগর্ভে তাশরীফ আনয়ন করেন। সোবাহান্নাল্লাহ! হযরত গাউছুল আজম বাবাভান্ডারী কেবলা (কঃ) বেছালের দিনই তাঁর গাউছিয়তের মহান জিম্মাদারী আনজামের লক্ষ্যে রূহানী জগতে আপন প্রিয় নাতী আমাদের প্রাণপ্রিয় মোর্শেদ মইনুদ্দিন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (মাঃজিঃআঃ) কে খলীফাতুল মুসলেমীন এবং তরীকত ও মারেফতের দিশারী হিসাবে মনোনীত করেন। তাঁরই আগমনে আজ পৃথিবীতে আশেকানে মোস্তফা (দঃ) ধন্য। তাঁর পবিত্র জীবনে অসংখ্য কারামত রয়েছে, কতিপয় কারামত আমরা “শাজরায়ে কাদেরীয়া গাউছিয়া মাইজভান্ডারীয়া” গ্রন্থে উল্লেখ করেছি।

বায়াতে খাছ ও খিলাফত লাভ

১৯৬২ ইং সালের ৫ই এপ্রিল মাসে ২২শে চৈত্র রাত ২.৩০ মিনিটে তার আব্বাজান সৈয়দ আবুল বশর আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (কঃ) তাঁকে ডেকে নিয়ে একান্তে বসায়ে খাছ ভাবে বয়াত করান এবং সাজ্জাদানশীন হিসেবে খিলাফত দান করে বয়াত করনোর অনুমতি প্রদান করেন। সেদিন থেকেই তরীকত ও সিলসিলার খিদমত আনজাম দিয়ে যাচ্ছেন। শুধু বাংলাদেশ, পাক-ভারত উপ-মহাদেশেই নয়; বরঞ্চ সমগ্র বিশ্বে শরীয়ত ও তরীকতের খিদমত আন্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলার খাজা মইনুদ্দিন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী (মাঃজিঃআঃ)

ইসলাম প্রচারের লক্ষ্যে ভারত-বর্ষে যেসব আউলিয়া-ই-কেরাম আগমত করেন, তদ্মধ্যে সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী আজমিরী (রঃ) সবার শীর্ষে। যিনি তাঁর জীবদ্দশায় নব্বই মতান্তরে নিরান্নব্বই লাখ অমুসলিমকে মুসলমান বানিয়েছিলেন। সোবহানাল্লাহ! তাঁদেরই পদাংকনুসরন করে বাংলার খাজা মুর্শেদ মইনুদ্দিন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (মাঃজিঃআঃ) লক্ষাধিক অমুসলিম নর-নারীকে এ পর্যন্ত ইসলামে দাখিল করান। সোবহানাল্লাহ! দ্বীনের প্রচারের দায়িত্ব তো আহলে বায়েতের সদস্য আউলিয়া-ই-কেরামই পালন করেন। আমেরিকার ভূখন্ডের বিশিষ্ট নওমুসলিমগণই মুর্শেদের হাতে মুসলমান হওয়ার অন্যতম জাজ্বল্যমান প্রমাণ। সম্প্রতি ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা সফরে বহু অমুসলিম ইসলামে দাখিল এবং বায়াতের মাধ্যমে তরীকায়ে মাইজভান্ডারীয়ায় প্রবেশ করেন।

সূফীবাদের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক

সূফীবাদ ইসলামের মূল দর্শন। সূফীবাদই মানুষকে সোনার মানুষ হিসাবে নিজকে গড়ার তালিম দেয়। সূফীবাদী যারা, তাঁরাই মানবতার-শান্তি ও কল্যাণের দিশারী। সাম্য-মৈত্রী সৃষ্টি করে। ১৯৯৬ ইং সালে ইন্টারন্যশনাল এসোসিয়েশন অব সূফীজম আমেরিকার (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঝঁভরংস অসবৎরপধ) এর ব্যবস্থাপনায় আমেরিকায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সূফী সেম্পোজিয়ামে মুর্শেদ কেবলা বাংলাদেশ হতে বিশিষ্ট প্রতিনিধি হিসাবে অংশগ্রহন করেন। তাঁর আগমনে খুশী হয়ে উক্ত এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাগণ তাকে উপদেষ্ট (অফারংড়ৎ) মনোনীত করেন। তিনি কাদেরীয়া, চিশতিয়া, নক্শবন্দীয়া, মুজাদ্দেদীয়া, মৌলভীয়া, সোহরাওয়ার্দীসহ সকল হক তরীকতপন্থী ওলামা-মাশায়েখের পৃষ্ঠপোষকতায় করে যাচ্ছেন।

বিশ্বব্যাপী কর্ম বিতৃত“শায়খুল ইসলাম” উপাধিতে ভূষিত

১৯৯৭ ইং সালে আমেরিকায় অনুষ্ঠিত “ইন্টারন্যাশনাল সূফী সেম্পোজিয়ামে” আগত বিশ্বেও শ্রেষ্ঠ সূফী সাধকগণ সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে ‘শায়খুল ইসলাম’ উপাধিতে ভূষিত করেন, যা বিরল এক সম্মান বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য।

আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামাতের প্রেসিডেন্ট মুর্শেদ কেবলা

১৯৮৮ ইং সালে ঐতিহ্যবাহী জামেয়া আহমদীয়া সুন্নীয়া আলীয়া ময়দানে তাঁকে বাংলাদেশের ওলামা মাশায়েখ আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশ এর সম্মানিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন সর্বসম্মতিক্রমে। সুন্নিয়তের প্রসারে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু বাংলাদেশ পাক-ভারতেই নয়, বরঞ্চ সমগ্র বিশ্বে। বর্তমানে তিনি ওয়ার্ল্ড আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সম্মানিত প্রেসিডেন্ট।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

স্বস্তিদায়ক আবহাওয়ার খোলস ভেঙ্গে হঠাৎ করেই তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য বিভাগের জনজীবন। চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় শনিবার (৬ এপ্রিল) দেশের ও এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। সঙ্গে রোজাদার খেটে খাওয়া মানুষদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঈদে মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা জমে উঠলেও ভ্যাপসা গরমের কারণে দিনের বেলা লোকজন বাইরে তেমন বের হচ্ছেন না।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান তাপমাত্রা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে, গত ১ এপ্রিল থেকে জেলার ওপর দিয়ে মৃদ ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান পরামর্শ দিয়ে বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্টোকের ঝুঁকি থাকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর থেকে বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু-কিশোর ও যারা রোজায় থাকছেন না তাদেরকে ঘন ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

অপরদিকে, চলমান তাপ প্রবাহের কারণে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ধান রক্ষার জন্য বোরো ধানের জমিতে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখা, ধানের শিষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি রাখতে হবে। আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ প্রদান করা; প্রয়োজনে গাছের শাখাপ্রশাখায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। সবজি ক্ষেতে মাটির ধরন বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী ২ থেকে ৩টি সেচের ব্যবস্থা করা।

জেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা জানান, অতিরিক্ত গরমে মাঠে কৃষি কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। রোজায় তারা দিনে বেশি কাজ করতে পারছেন না।

শহরে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আর কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। বেচাকেনা জমে উঠলেও অতিরিক্ত গরমের কারণে দুপুর ১২টা পর থেকে বিকেল পর্যন্ত মার্কেটগুলোতে লোকজনের আনাগোনা খুবই সীমিত।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, আজ শনিবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলছি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চলমান তাপ প্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।


আরও খবর



এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্রান্স রচনা প্রতিযোগীতায় সেরা হলেন ফাহিম-মেহেদী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বাংলাদেশ এএমআর রেসপন্স অ্যালায়েন্স (বারা) এর উদ্যোগে 'সেনিটাইজেশন ওয়ার্কশপ অন এএমআর উইথ স্টুডেন্টস ফর্ম ভেটেরিনারি অ্যান্ড মেডিকেল ইনস্টিটিউশন' অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উক্ত কর্মশালায় রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ের ভেটেরিনারি ও মেডিকেলের নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে মানবদেহে ও প্রাণীদেহে অনিরাপদ এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়। অনুষ্ঠানের পূর্বেই 'প্রিভেন্টিং  এন্ট্রিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্রান্ট টুগেদার ' রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। এতে ভেটেরিনারি ও মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। উক্ত প্রতিযোগীতায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থী আসিফ আল ফাহিম প্রথম, মেহেদী হাসান দ্বিতীয় স্থান  অর্জন করেন।

পরবর্তীতে তাদের হাতে ক্রেস্ট প্রদান করেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান ও দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: এ. এফ. এম নূরউল্লাহ। এই কর্মশালায় এএএমআরও এএমইউ এর উপর কুইজ প্রতিযোগিতার ও আয়োজন করা হয় এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, বারা এবং এফএও সদস্যদের উপস্থিতিতে এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মশালার সমাপ্তি হয়।


রচনা প্রতিযোগীতায় প্রথম হওয়া শিক্ষার্থী আসিফ আল ফাহিম বলেন, এএমআর একটি মাল্টিসেক্টরাল সমস্যা যার জন্য প্রয়োজন মাল্টিসেক্টরাল সমন্বয়, তাই কর্মশালাটি ওয়ান হেলথ পদ্ধতি অনুসরণ করে ভবিষ্যতের প্রেসক্রাইবারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ডিজাইন করা হয়েছিল। ভবিষ্যৎ প্রেসক্রাইবার যারা এখন শিক্ষার্থী,  তাদের এই কর্মশালার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। যেহেতু তারা বারা পদ্ধতি অনুসরণ করে এন্টিবায়োটিকের দায়িত্বশীল ব্যবহার বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষার্থী এবং অনুষদ সদস্যরা অ্যাক্সেস, ওয়াচ, রিজার্ভ শ্রেণীকরণ পোস্টার এবং ব্যানার বিতরণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণায় অংশগ্রহণ করবে।

প্রতিযোগীতায় দ্বিতীয় স্থান  অর্জন করা মেহেদী হাসান বলেন, এই মাল্টিসেক্টরাল সমস্যা এটা সমাধানের জন্য প্রয়োজন মাল্টিসেক্টরাল সমন্বয়। মানবদেহে এন্টিবায়োটিক এর রেজিস্ট্রান্ট যে হারে বাড়ছে তা আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে মৃত্যুর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। 

 ২০২২-২০২৩ সালে,  বাংলাদেশেই ২৫ হাজার মানুষ শুধুমাত্র এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্রান্ট এর কারনে মৃত্যুবরন করেছে। অর্থাৎ, এন্ট্রিবায়োটিকের মাত্রা এতো বেশী যে যখন এন্ট্রিবায়োটিক গ্রহন করলেও সেটা মানবদেহে কাজ করছে না। এসকল বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজ করার জন্য  আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে। 

অনিরাপদ এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, মানুষ ও প্রানী কোনো ক্ষেত্রেই রেজিস্টার্ড ডাক্তারে প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রয় করা এবং সেবন করা যাবে না।


আরও খবর



৪০ ডিগ্রি ছাড়াল তাপমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খেপুপাড়ায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার রাঙ্গামাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, আজ রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা গতকাল ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এর ফলে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




নওগাঁয় নদী থেকে বস্তাবন্দি অজ্ঞাতনামা যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় তুলসী গঙ্গা নদীর (কচুরি পানার) ভেতর থেকে বস্তাবন্দি অজ্ঞাতনামা এক যুবক এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন এর চকবুলাকি নামক এলাকায় নদীর তলানীতে কচুরি পানার ভেতর মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দিলে সাথে সাথে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছান। খবর পেয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি উদ্ধার করেন নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা আড়াই টারদিকে চকবুলাকি গ্রামের তুলসী গঙ্গা নদীতে কচুরি পানার ভেতর বস্তাবন্দি অজ্ঞাতনামা এক জনের মৃতদেহ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন।

মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আঃ গফুর বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে হত্যা কাণ্ডের পর মৃতদেহটি ঐখানে ফেলে যায়। তবে নিহতের নাম- পরিচয় শনাক্ত ও ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ বলেও জানান তিনি। এ ঘটনায় আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কেন বাড়ে?

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রক্তে এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ছে মানেই বিপদ। হার্টের রোগের পিছনে যে এই উপাদানটির হাত রয়েছে। তা এখন সকলেই জানেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে স্ট্রোক, করোনারি ডিজিজ, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এখন প্রশ্ন হলো, কোলেস্টেরল কী? তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়ই বা কী?

মোমের মতো চটচটে একটি পদার্থ হলো কোলেস্টেরল। যার উৎসস্থল হলো লিভার। রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে কোলেস্টেরল শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায়। কোলেস্টেরল মানেই যে খারাপ, এমন ধারণাও ঠিক নয়। রক্তের মধ্যে সাধারণত দুধরনের কোলেস্টেরল থাকে।

লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) এবং হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল)। এই দুয়ের মধ্যে হার্টের বন্ধু হল এইচডিএল। অন্যটিই যত নষ্টের গোড়া। চিকিৎসকেরা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে ভাসতে থাকা ওই চটচটে পদার্থগুলোই এক সময়ে ধমনীর গায়ে আটকে যায়। ধমনীর গায়ে অবাঞ্ছিত কিছু প্লাক তৈরি করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়, শুরু হয় নানান সমস্যা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে ওষুধের উপর ভরসা করতেই হয়।

১) রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাইরের ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই ধরনের খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। যে কারণে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আগে সেই সব খাবার খাওয়া কমাতে হবে।

২) পলি এবং মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সাথে ফাইবারজাতীয় খাবার থাকাও প্রয়োজন। ওট্‌স, গম, কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, টাটকা শাকসব্জি, বিভিন্ন রকমের বাদাম, বীজ, ফল- রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

৩) এলডিএল বশে রাখতে আরো একটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, টোফুর মতো খাবার এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

৪) কোলেস্টরলের সমতার অভাব হওয়ার আরো একটি বড় কারণ হলো শরীরচর্চা না করা। মধ্যবয়সিদের মধ্যে এই প্রবণতা আরো বেশি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাও জরুরি। তার জন্য যে জিমে যেতেই হবে এমন নয়। সাধারণ কিছু যোগব্যায়াম, সাইক্লিং, সাঁতারের মতো ব্যায়াম করা যেতেই পারে।


আরও খবর