Logo
শিরোনাম

আমি একজন বিজেপি ক্যাডার: মিঠুন চক্রবর্তী

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিডি টু ডে ডিজিটাল ডেস্ক :



ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচনের শেষ এবং সপ্তম দফার নির্বাচন। শনিবার নিজের কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের বেলগাছিয়ায় ভোট দিলেন বিজেপির নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। 


ভোট দিয়ে বেরিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এ অভিনেতা।


আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সকাল সাতটায় বেলগাছিয়ার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পৌঁছে যান মিঠুন চক্রবর্তী। ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন তিনি। 



এসময় তিনি জানান, দল ৩০ জুন পর্যন্ত যা দায়িত্ব দিয়েছিল তিনি তা নিখুঁতভাবে পালন করেছেন। এবার তিনি আগের মতো ছবিতে কাজ করবেন। যোগ করেন, তাকে তো পেট চালাতে হবে।


অভিনেতা বলেন, ‘আমি একজন বিজেপি ক্যাডার। আমি আমার দায়িত্ব পালন করলাম। তবে কাল থেকে আমি সিনেমা নিয়েই কথা বলব কারণ আমার একটা পরিবার আছে। তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে আমাকে।’



এদিকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মিঠুনের গাড়ি ঘিরে শাসকদলের সমর্থকেরা স্লোগান দেন, ‘চোর এসেছে। সব দলের থেকে খেয়েছে। এবার গেরুয়া শিবিরের পালা।’


 


আরও খবর



নওগাঁর ৬টি উপজেলায় নেই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর ৬টি উপজেলায় নেই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ভোগান্তিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা।

রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড় জেলা নওগাঁ। অন্যান্য জেলার চেয়ে নওগাঁ জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেশি রয়েছে। বর্তমানে জেলার ১১ টি উপজেলার মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পদ শুন্য রয়েছে ৬টি উপজেলায়। এতে করে ভোগান্তিতে পরেছে জেলার ৮ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। শিক্ষার মানোন্নয়নে দ্রুততম সময়ে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে শুন্যপদ গুলো পূরণ করার দাবী জানান নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন।

জানা যায়, নওগাঁ জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮ শতাধিক। প্রতিষ্ঠান গুলোতে কর্মরত রয়েছে প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। 

এ জেলায় মোট উপজেলা রয়েছে ১১টি। এরমধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে কর্মরত আছে ৫ টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার। আর বাকি ৬টি উপজেলায় শিক্ষা অফিসারের পদগুলো শুন্য রয়েছে। পদ শুন্য থাকা এই উপজেলা গুলোতে অন্যান্য উপজেলায় কর্মরত অফিসাররা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি অন্য উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারাও হিমসিম খেয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও চলতি বছরে কর্মরত দু'জন শিক্ষা অফিসার অবসরে যাবেন আর তাতে আরও সমস্যাই পরবেন এ জেলার শিক্ষক-কর্মচারীরা।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলায় দায়িত্বে আছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওয়াসিউর রহমান। তিনি তার নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন মহাদেবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের। মান্দা উপজেলার শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ তার নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন নিয়ামতপুর শিক্ষা অফিসের। বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম তার নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন রাণীনগর উপজেলার। সাপাহার উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম তার নিজ উপজেলার পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন পোরশা উপজেলা শিক্ষা অফিসের। ধামইহাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন তার নিজ উপজেলার পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন আত্রাই উপজেলা শিক্ষা অফিসের এবং বর্তমানে পত্নীতলা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন। মান্দা উপজেলার এসসি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামানসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা বলেন, আগে প্রয়োজনে যেমন প্রতিদিন শিক্ষা অফিসার স্যারকে পাওয়া যেত এখন তেমন ভাবে আর পাওয়া যায় না। অনেক সময় অফিসে গিয়ে জানাতে পারি স্যার অন্য উপজেলায় আছেন। জরুরী প্রয়োজন থাকার পরও স্যার না থাকায় আমাদের ফেরত আসতে হয়। এতে আমাদের ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ে জেলার প্রতিটি উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিয়োগ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে জানিয়ে মান্দা উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলার অফিসিয়ালি কাজ, এমপিওভুক্তির ফাইল অগ্রহায়ণ করা, বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত করতে আমাদের সময় পার হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তদারকি করার মতো সময় হয়ে উঠে না। শুধু একটি উপজেলার দায়িত্বে থাকলে এইসব কাজগুলো সুন্দরভাবে করা সম্ভব হয়। জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমার এই জেলায় বর্তমানে ৬ জন শিক্ষা অফিসারের পদ শুন্য রয়েছে। শুধু এই জেলায় নয় দেশের অধিকাংশ জেলার চিত্র একই। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের এইসব পদ গুলো সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদায়ন দিয়ে পূরণ করলে শিক্ষার মান দ্রুত উন্নত হবে। কেননা একজন উপজেলা শিক্ষা অফিসার যদি দুই থেকে তিনটি উপজেলার দায়িত্বে থাকেন তাহলে তাঁর অফিসিয়াল কাজ করতেই সময় পার হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানের তদারকি ও শিক্ষার মান উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে এই পদগুলো দ্রুত পূরণ করবেন বলে আমি আশা করছি।


আরও খবর



অতি তাপমাত্রায় ভুগছে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত এক বছরে বিশ্বের প্রায় ৪০০ কোটি মানুষ অতিরিক্ত এক মাস তীব্র গরম সহ্য করেছেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, গবেষণার ফলাফলে উঠে এসেছে, জীবাশ্ম জ্বালানি অব্যাহতভাবে পোড়ানোর ফলে প্রতিটি মহাদেশেই মানুষের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে উন্নয়নশীল দেশে এর ক্ষতিকর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্ব পাচ্ছে।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের জলবায়ু বিজ্ঞানী ও গবেষণা প্রতিবেদনের সহ-লেখক ফ্রিডেরিকে ওটো বলেছেন, ‘প্রতি ব্যারেল তেল পোড়ানো ও প্রতি টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণে তাপমাত্রা একটু একটু বাড়বে ফলে তাপপ্রবাহে আরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হবে।’

২ জুন ‘বিশ্ব তাপ মোকাবিলা দিবস’-এর আগে বিশ্ব আবহাওয়া নিরীক্ষণ সংস্থা, ক্লাইমেট সেন্ট্রাল ও রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট ক্লাইমেট সেন্টারের বিজ্ঞানীরা গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন। এই বছর দিবসটি অতিরিক্ত গরমে দুর্বলতা ও হিটস্ট্রেক ঝুঁকি নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে।

বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব মূল্যায়ন করতে গবেষকরা ২০২৪ সালের ১ মে থেকে ২০২৫ সালের ১ মে পর্যন্ত সময়কে বিশ্লেষণ করেছেন। তারা বলেছেন, ‘চরম গরম দিন’ সংজ্ঞায়িত করা হয় সেসব দিনকে যা ১৯৯১-২০২০ সালের মধ্যে কোনো স্থানের তাপমাত্রার ৯০ শতাংশ দিনের চেয়ে বেশি গরম ছিল।

বিজ্ঞানীরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মডেলিং পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখেছেন, মানবসৃষ্ট উষ্ণায়ন না থাকলে এমন চরম গরম দিনের সংখ্যা কত হতো।

ফলাফল ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্বে প্রায় ৪০০ কোটি মানুষ যা মোট জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশ, তারা গত এক বছরে অন্তত ৩০ দিন বেশি চরম গরম দিনের সম্মুখীন হয়েছে, যা মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন না হলে হতো না।

গবেষক দলটি পুরো বছরের মধ্যে ৬৭টি চরম গরমের ঘটনা চিহ্নিত করেছে এবং প্রতিটির পেছনেই জলবায়ু পরিবর্তনের স্পষ্ট প্রভাব খুঁজে পেয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্যারিবীয় দ্বীপ আরুবা। সেখানে ১৮৭ দিন চরম গরম রেকর্ড হয়। যা পৃথিবীর স্বাভাবিক উষ্ণতায় থাকলে ৪৫ দিন কম হতো।

এই গবেষণাটি এমন এক বছরের কথা বলে, যা বৈশ্বিক উষ্ণতার দিক থেকে নজিরবিহীন। ২০২৪ সাল ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে গরম বছর, যা ২০২৩ সালকেও ছাড়িয়ে গেছে। আর ২০২৫ সালের জানুয়ারি ছিল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গরম জানুয়ারি।

গত পাঁচ বছরের গড় হিসেব করলে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা এখন শিল্প বিপ্লবের পূর্বের সময়ের চেয়ে ১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। শুধু ২০২৪ সালেই তাপমাত্রা বেড়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে যা প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে নির্ধারিত সীমার বাইরে।

প্রতিবেদনটি আরও জানায়, গরমজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে পর্যাপ্ত তথ্য নেই।

২০২২ সালের গরমে ইউরোপে তাপজনিত রোগে ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। তবে অন্য দেশে এমন তথ্য খুবই কম। অনেক মৃত্যুর আসল কারণ হলো তাপের প্রভাব, কিন্তু তা হৃদরোগ বা ফুসফুসের সমস্যার সঙ্গে ভুলবশত জড়ানো হয়।

গবেষকরা তাপপ্রবাহ প্রতিরোধে আগাম সতর্কবার্তা, শহরভিত্তিক পরিকল্পনা ও জনসচেতনতামূলক উদ্যোগের ওপর জোর দেন।

তারা বলেন, ভবন নির্মাণে ছায়া ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা দরকার। গরমের সময় কঠোর পরিশ্রম এড়িয়ে চলতে হবে।

তবে তাদের মতে, শুধু পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়াই যথেষ্ট নয়, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার দ্রুত বন্ধ না করলে বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নয়। সূত্র: বাসস


আরও খবর



৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৮টি জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সঙ্গে থাকতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিও। ১৭ জুন দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য একটি সতর্কবার্তা জারি করে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের স্বাক্ষর করা ওই বার্তায় বলা হয়েছে, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এ সময় এসব এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টিরও আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট জেলার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের সব বিভাগেই এই সপ্তাহজুড়ে থাকতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। কিছু কিছু এলাকায় বজ্রপাতসহ দমকা হাওয়াও বয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের আশঙ্কাও রয়েছে। এছাড়া আবহাওয়ার এই প্রবণতা আগামী সপ্তাহেও অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি বিভ্রান্তিকর

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’- সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদের দেওয়া এমন বিবৃতি অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

গত ২৪ মে উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

উপদেষ্টা পরিষদের এই বিবৃতির বিষয়ে আজ (২৭ মে) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের দায়িত্ব পালনে আমরা প্রথম থেকে অদ্যাবদি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে আসছি। সরকার পরিচালনায় নিরপেক্ষতার ঘাটতির কারণে এবং দুর্বলতার কারণে জনমনে সংশয় ও সন্দেহের উদয় হওয়া স্বাভাবিক। বিভিন্ন মহলের অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি-দাওয়া এবং এখতিয়ারবহির্ভূত বক্তব্য সরকারের স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার যে অভিযোগ সরকারের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়েছে, সেটা মূলত সরকারের নিজস্ব অর্জন। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হচ্ছে’। আমরা বলতে চাই- শীঘ্রই একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমেই পরাজিত শক্তির ইন্ধন এবং বিদেশি ষড়যন্ত্র বন্ধ করা সম্ভব। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া জরুরি, এর কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে শীঘ্রই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করা জরুরি। এই লক্ষ্যে আমরা সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ডকে আমরা সব সময়ে নিরুৎসাহিত করি এবং প্রতিরোধ করার অঙ্গীকারাবদ্ধ। অথচ উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতিতে কোনো কোনো মহল তাদের ওপরে অর্পিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তুলছে মর্মে একটি বিমূর্ত অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।

এ সময় ‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ অপসারণ প্রসঙ্গেও কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ। তিনি বলেন, জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সব শ্রেণি-পেশার শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না হয়, যাতে ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করা যায় সেই জন্য সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা এবং চরিত্র বজায় রাখার স্বার্থে আমরা বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ চেয়েছি। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই এদেশের জনগণ রক্ত দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। অথচ সরকারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে জনমনে এ বিষয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




বৃষ্টির সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৬ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে চারজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে তিনজন, চট্টগ্রাম বিভাগে তিনজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুজন রয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ১৭ রোগী সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

আবওয়াবিদরা জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর পর এবার সময়ের আগেই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মৌসুমি বায়ু। গত ২৫ মে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে এ বায়ু প্রবেশ করে। আর এ বায়ুর প্রভাবে সারা দেশেই এখন বৃষ্টি হচ্ছে। তবে মৌসুমি বায়ু সাধারণত পয়লা জুন থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করে। পরে উত্তরের বাতাস শুরু হলে মৌসুমি বায়ু চলে যায়। এর আগে‌ সর্বশেষ ২০০৯ সালে জুনের আগে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছিল বাংলাদেশে।

মৌসুমি বায়ু প্রবেশের ফলে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, ‘‌সাধারণ ২ বা ৩ জুন দেশে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে। এবার সেটি আগেই প্রবেশ করেছে, যা ১৬ বছর পর। এটি মূলত জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে থাকে; যা দেশের কৃষি ও পরিবেশের জন্য ইতিবাচক। এ সময়ে স্বাভাবিকভাবে বৃষ্টিপাত বেশি হয়।

তিনি অবশ্য এও বলেন, ‘‌আগেভাগে মৌসুমি বায়ু চলে আসার কারণে একটি নেতিবাচক দিকও আছে। যখন বৃষ্টি দরকার হবে তখন বৃষ্টিহীন হয়ে পড়তে পারে দেশ।

এদিকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রাতা বেড়েছে। আর এটি এডিস মশার প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির জন্য সহায়ক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘‌শীতকালের তাপমাত্রা সহ্যক্ষমতার বাইরে থাকায় মশার প্রজননক্ষমতা কমে যায়। ফলে বংশবৃদ্ধিও কমে। অতি তাপমাত্রায়ও একই থাকে। তবে বৃষ্টি হলে, বাতাস ভেজা থাকলে মশার প্রজননক্ষমতা বাড়ে। বৃষ্টিপাতের সময়ে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে, যা মশার প্রজননের জন্য খুবই সহায়ক। এ সময়ে মশা সর্বোচ্চ বংশবৃদ্ধি করে। আর ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা। তাই মশা যত বাড়বে ডেঙ্গুর প্রবণতা তত বাড়বে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪ হাজার ৯৩০ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ৪ হাজার ৪৮৬ জন।

মৌসুমি বায়ুর শুরু থেকে এডিস মশার বংশবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।  তিনি বলেন, ‘‌বৃষ্টির জমে থাকা পানি, অনুকূল তাপমাত্রা ও বাতাসের আর্দ্রতায় মশার প্রজননক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীও বেড়েছে। এ থেকে রক্ষা পেতে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রাসায়নিক ও জৈব উপায়ে নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পরিবেশগতভাবেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর জন্য সরকারকে নিতে হবে যুগপৎ উদ্যোগ। জনগণকে নিয়ে মশা নিধন কর্মসূচি নিতে হবে।


আরও খবর