Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

আমিরাত ভ্রমণকারীর তালিকায় শীর্ষ তিনে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণকারীদের তালিকায় শীর্ষ তিনে রয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। এই তালিকায় বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে যুক্তরাজ্য ও ভারত।

দ্য ন্যাশনাল নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তালিকার চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে পাকিস্তান, জার্মানি এবং সৌদি আরব থেকে আসা পর্যটকরা।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইতে আসা ব্যবসায়ী ভ্রমণকারীরা মূল্য বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান থেকে ভ্রমণ করেন। এই তালিকায় এরপরই রয়েছে সৌদি আরব এবং যুক্তরাজ্য।

ট্রাভেল টেকনোলজি কোম্পানি ট্রাভেলপোর্টের মতে, ভ্রমণ শিল্পের সাথে জড়িত দেশগুলোর মধ্যে করোনার প্রভাব সবচেয়ে বেশি কাটিয়ে উঠতে পেরেছে ইউএই। মহামারি শুরুর আগের তুলনায় বেড়েছে এমিরেটসের যাত্রী সংখ্যাও।

ইতোমধ্যেই আরব আমিরাতের জনসংখ্যার ৯৮.৪৯ শতাংশেরও বেশি সম্পূর্ণরূপে টিকাপ্রাপ্ত হওয়ায় ভ্রমণকারীরাও করোনার আশঙ্কা ছাড়াই দেশটিতে ভ্রমণ করতে পারছেন। এছাড়া আমিরাতে ভ্রমণকারীদের বেশিরভাগই দুবাইতে ভ্রমণ করছেন।

ট্র্যাভেল পোর্টের মতে, করোনার প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে দুবাইয়ের অবস্থান দ্বিতীয় এবং বিশ্বব্যাপী পঞ্চম। আর দুবাইয়ের আগে তালিকায় রয়েছে ডোমিনিকান রিপাবলিক, জ্যামাইকা, মেক্সিকো এবং সৌদি আরবের রিয়াদ।


আরও খবর

৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল ছাঁটাই শুরু

রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩




মানুষের কল্যাণে যারা কাজ করছেন তাদের সম্মান দিন

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীরবে-নিভৃতে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে পুরস্কারে সম্মানিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে অন্যরা অনুপ্রাণিত হতে পারে।

তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ও অন্যান্য এলাকায় নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে চলেছেন, তাদের খুঁজে বের করে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করার জন্য। তাদের জন্য নয়, বরং জনগণের কল্যাণের জন্য। কারণ, তারা কখনোই সামনে আসেন না বা আসতে চান না। নিজস্ব উদ্যোগে বা স্বপ্রণোদিত হয়ে যারা মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অবদান রেখে যাচ্ছেন, তাদেরকে পুরস্কৃত করতে পারাটাই সবচেয়ে বড় কথা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রদানকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য যারা স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই পুরস্কার প্রাপ্তির ফলে মানুষের জন্য কাজ করা ও দেশের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে আরো অনেকে অনুপ্রাণিত হবেন এবং দেশের কল্যাণে কাজ করবেন, সেটাই আমরা আশা করি।

সরকারপ্রধান তাঁর ভাষণে বিগত ১৫ বছরের দেশ শাসনে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি বাংলাদেশের সেই হারানো গৌরব আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর যে মর্যাদা বাংলাদেশ অর্জন করেছিল এবং ৭৫-এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর যা হারিয়ে যায়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় রেখে যান। সেখান থেকে আমরা আরো এক ধাপ উত্তরণ ঘটিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিতে পেরেছি। ২০২৬ সাল থেকে যা কার্যকর হবে। আজ জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। জয় বাংলা আবার ফিরে এসে এখন আমাদের জাতীয় স্লোগানে পরিণত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস বিকৃতির যত চক্রান্তই হোক না কেন আজকের নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে চায়, বুঝতে চায়। সেই প্রেরণা নিয়েই সামনের দিকে চলতে চায় এবং জীবনকে গড়ে তুলতে চায়। আর এটাই আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় আশার বাণী।

এরআগে গত ১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

পুরস্কার প্রাপ্তরা হচ্ছেন: স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাজী আব্দুস সাত্তার বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসা বিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ, সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিক উজ জামান, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজ বা জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এসএম আব্রাহাম লিংকন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন পুরস্কার বিতরণী পর্বটি সঞ্চালনা করেন এবং পুরস্কার বিজয়ীদের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেন। স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ বিজয়ীদের পক্ষে মোহাম্মদ রফিক উজ জামান অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, উর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিক লেখকসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কভিড-১৯ পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে নিষেধাঞ্জা ও পাল্টা নিষেধাঞ্জায় বিশ^ব্যাপী খাদ্য পণ্য ও পণ্য পরিবহনের মূল্যবৃদ্ধিতে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতিতে কৃচ্ছতা সাধন এবং দলের নেতা-কর্মীসহ সামর্থ্যবানদের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মানুষের যাতে কোন কষ্ট না হয় সেজন্য আমরা এই রমজান মাসে মানুষের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ করছি। আমরা ইফতার পার্টি বাদ দিয়েছি। আমাদের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সকলকে আহ্বান করেছি ইফতার পার্টি না করে ইফতার সাধারণ মানুষের মাঝে আপনারা বন্টন করেন। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইফতার পার্টি করা বড় কথা নয়, মানুষকে দেওয়াই বড় কথা। কাজেই, আমরা খাওয়ার বিষয়টা বাদ দিয়ে দেওয়ার দিকেই মনোযোগ দিয়েছি। মানুষের যাতে কোনো রকম কষ্ট না হয় সেদিকে আমরা লক্ষ রেখেছি। এই সময় ন্যায্যমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী প্রাপ্তিতে এক কোটি কার্ড করে দেওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকার প্রধান বলেন, আজ ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের সেই কালরাতে গণহত্যার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, 'আর যারা সেই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের প্রতি জাতির ঘৃণা প্রকাশ করছি।'

শেখ হাসিনা এসময় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনকে 'গণহত্যা' উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছে। আমরা ফিলিস্তিনিদের সাথে আছি। আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ মানুষের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনে না। কারণ, যুদ্ধকালীন অবস্থা কী রকম হয় তা আমরা জানি, আমরা ভূক্তভোগী।

তিনি জাতির পিতার রেখে যাওয়া পররাষ্ট্র নীতি 'সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, এর উল্লেখ করে মিয়ানমারের ১০ লাখের অধিক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদান এবং প্রতিবেশির সঙ্গে সংঘাতে না জড়িয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টার উল্লেখ করেন।

সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ শান্তি প্রিয় দেশ। তারপরও দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশের অভ্যন্তরে অনেকে অগ্নিসন্ত্রাস,খুন-খারাবি-অনেক কিছু করে থাকে। কাজেই তাদের সুমতি হোক, সেটাই আমরা চাই। কারণ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে একটি দেশ যে উন্নতি করতে পারে তার প্রমাণ আমরা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের কাছে সম্মানিত। কারণ, তাঁরা জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে আমাদের বিজয় এনে দিয়েছিলেন। কাজেই তাদের সম্মান দেওয়া এবং আমাদের এই গৌরবটা যেন হারিয়ে না যায় আমরা তার ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারদের সদস্যদের ভাতা, গৃহহীনদের জন্য বীর নিবাস তৈরিসহ তাঁর সরকার প্রদেয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, দল মত নির্বিশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব লক্ষ্য স্থির করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। স্বাধীনতার মাসে এটাই আমাদের প্রত্যয়। দেশবাসীকে স্বাধীনতা ও জাতিয় দিবসের শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে যুবলীগ নেতার মায়ের মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী শিকদারের স্ত্রী ও  ঢাকা আদাবর থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মো.জহিরুল ইসলাম মধু'র মা মোসা. রওশন আরা বেগমের ৫ ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩য় রমজান বৃহস্পতিবার মোরেলগঞ্জ ১৫ নং সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা গ্রামের নিজ বাড়িতে দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা। 

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন শিকদার, সাবেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেনা সদস্য মো.ফরহাদ হোসেন শিকদার, যুবলীগ নেতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো.জহিরুল ইসলাম মধু, তাতীলীগের সাবেক নেতা শহিদুল ইসলাম খান, এ্যাড. খান আমজাদ হোসেন, শ্রমীক লীগ নেতা মো.জালাল  তালুকদার, সদর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ হৃদয়, রাশেদুজ্জামান শান্ত, মো. মাইনুল ইসলামসহ স্থানীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মো.শফিকুল ইসলাম। 


আরও খবর



প্রেম-ভালোবাসা'র বিয়ে, নওগাঁয় মেয়ের বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলের বাবা নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় বেয়াইয়ের ছুরিকাঘাতে আজিবর রহমান (৫০) নামে এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় ছুরিকাঘাতকারী বেয়াইকে জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। মর্মান্তিক এঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টারদিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বৈদ্যপুর বাজারে। নিহত আজিবর ভালাইন ইউনিয়ন এর বনতসর গ্রামের বাসিন্দা। ছুরিকাঘাতকারী তার বেয়াই দেলোয়ার হোসেন (৪৮) সে ও একই গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজিবর রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন এর মেয়ে উর্মি খাতুনের সাথে প্রেম- ভালোবাসা'র সম্পর্ক করে প্রায় ৩ বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়।

এ কারণে বিয়ের পর থেকেই উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ ছিলো। মেয়ের বাবা দেলোয়ার হোসেন একজন ফল ব্যবসায়ী। সে বৈদ্যপুর বাজার এর স্কুল মার্কেটে ফলের ব্যবসা করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দু' বেয়াই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানে থাকা চাকু নিয়ে বেয়াই আজিবর রহমান এর পেটে ঢুকিয়ে দেয়। এসময় স্থানিয়রা তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী  মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনাস্থলে আটক করে রাখা দেলোয়ার হোসেন কে উদ্ধার পূর্বক পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিহত ব্যক্তির মৃতদেহ ময়না তদন্ত সহ আইনানুহ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



রামগড়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা, রামগড়  :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে অবৈধ পন্থায় বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর বেলা ২টায় রামগড় উপজেলা প্রশাসন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় উপজেলার রামগড় ১নং ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওর্য়াড়ের হাতির খেদা এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ইজারা ব্যাতিত অবৈধভাবে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগড় উপজেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাশ এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে "বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন" ২০১০ অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে পাইপসহ বালু উত্তোলনের দুইটি মেশিন একটি এস্কেভেটর ও বালু পরিবহনের জন্য বালু বোঝাই ব্যবহৃত ১টি ট্রাক এবং ৫ হাজার ঘনফুট সাদা বালু জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে ঘটনাস্থলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় রামগড় পৌরসভার ০৮নং ওয়ার্ড়ের সদু কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা মো.এরশাদ উল্ল্যাহ এর ছেলে অভিযুক্ত মো.ওমর শরীফ (৩২)কে আটক করা হয়। উক্ত অভিযুক্ত ব্যাক্তি নিজের অপরাধ স্বীকার করায় "বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন" ২০১০ সংশ্লিষ্ট এর ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তকে ৩ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উক্ত অর্থদন্ডের অর্থ নগদ পরিশোধ করায় আসামীকে সর্তক করে তাৎক্ষণিক ছেড়ে দেওয়া হয়।


এসময় পাইপসহ জব্দকৃত বালুর মেশিন দুইটি এবং বালু পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত ট্রাকটি রামগড় থানার সংশ্লিষ্ট উপ-পরিদর্শকের নিকট জিম্মায় দেওয়া হয়। এবং এস্কেভেটর ও ৫ হাজার ঘনফুট বালু স্থানীয় ইউপি সদস্যদের জিম্মায় রাখা হয়। আদায়কৃত অর্থদন্ড চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে আদায়কৃত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাশ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এখানে পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি স্বার্থন্বেষী মহল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ দুপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় হাতে নাতে প্রমান পাওয়ায় মো.ওমর শীরফকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত পাইপসহ দুটি মেশিন একটি এস্কেভেটর বালু পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত একটি ট্রাক ও ৫ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের এধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



পেশাদার ও নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালই চলবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

জবাবদিহিতা, শৃঙ্খলার স্বার্থে পেশাদার ও নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালই থাকবে এবং চলবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের তৃতীয় কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

তিনি বলেন, অনলাইনে কতগুলো আনরেজিস্টার্ড (অনিবন্ধিত) পোর্টাল আছে, যে পোর্টালগুলো বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ায়। আমরা সেগুলোকে স্ট্রিমলাইন করাচ্ছি, একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে। যারা পেশাদার এবং রেজিস্টার্ড (নিবন্ধিত) আইনগতভাবে সিদ্ধ, সেগুলোই থাকবে এবং চলবে। যাতে করে সবকিছুর মধ্যে একটা জবাবদিহিতা থাকে এবং একটা শৃঙ্খলা থাকে। যেটা আপনারা (সাংবাদিক) চান, বিভিন্ন সময় আপনারা দাবি করেন।

গুজব নিয়ন্ত্রণে ডিসিদের পক্ষ থেকে কোনো সুপারিশ অথবা আপনার কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না, এ বিষয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গুজব নিয়ে তারা খুব চিন্তার মধ্যে আছেন, এটা সবাই আছে। প্রতিরোধে আমরা কিছু আলাপ করেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেখুন অনলাইনের মাধ্যমে যেসব গুজবগুলো ছড়ায়, সেখানে তো আমি একা পারবো না। আমাদের এখানে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আছেন। আমাদের একসাথেও কাজ করতে হবে। সেগুলো নিয়েও আমরা কাজ করছি।

ডিসিরা কি ভূমিকা রাখতে পারে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা তো তৃণমূলের সাথে সম্পৃক্ত। আমাদেরকে তথ্য পাঠাতে পারেন। প্রান্তিক পর্যায়ে কি ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলো নিয়ে তারা অ্যাকশনে যেতে পারেন এবং আরও কিছু বিষয় আছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে। যেমন, ক্যাবল অপারেটর যারা তারা অনেক কিছু তাদের মত কনটেন্ট দিয়ে দেয়, অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছায়। এখানে সেই কন্টেন্টগুলো আসলে সঠিক কি না, ক্লিন ফিল্ডের যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কি না, এ বিষয়গুলো আমরা বলেছি তাদের দেখা জন্য।


আরও খবর