Logo
শিরোনাম

আমতলীতে মাজার ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বরগুনার ইসমাইল শাহ মাজারে বাৎসরিক ওরশ চলাকালে মাজার ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তৌহিদি জনতা। প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। আগুনে মাজারের ভিতরের সামিয়ানা ও দুইটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বিক্ষুব্ধ তৌহিদি জনতার হামলায় অন্তত ১৮/২০জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েক জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় রবিবার রাত সোয়া ১২ টার দিকে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে তিনটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় ১৯৯৬ সালে ইসমাইল শাহ মাজার স্থাপন করা হয়। ওই সময় থেকে মাজার কর্তৃপক্ষ দুইদিন ব্যাপী ওরশ উৎযাপন করে আসছেন। ২৮তম ওরশ রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়। ওইদিন তৌহিদি জনতা মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী নেতৃত্বে তাদের শতশত সর্মাথক তৌহিদি জনতা এসে মাজার পুজা ও গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন।

কিন্তু মাজারের খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরশ বন্ধে অপরগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্য দ্বন্দ্ব হয়। এক পর্যায় তৌহিদি জনতা লাঠি সোটা নিয়ে মাজার ভাংচুর করে এবং আগুন দেয়। এতে ওই ওরশে আসা শতশত ভক্ত ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে মাজারের দুইটি বৈঠকখানা ও মাজারের মধ্যে সামিয়ানা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে অন্তত ১৮/২০ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে সোলায়মান (৩৮), রেজাউল (১৮), বাদল মৃধা (৪০), দুলাল মৃধা (৪২), আবু বকর (২৯), আবুল হোসেন (২৮), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৮), মো. মামুন (৪৩), আবুল কালাম (৪২), জোবায়ের (১৯) ও ফজলুল করিম (২৭) কে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, শতশত তৌহিদি জনতা­ লাঠি সোঠা নিয়ে এসে মাজার ভাংচুর করে। পরে মাজারে আগুন দেয়। এ সময় ওরশে আসা শতশত ভক্তবৃন্দ ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধাউ ধাউ করে জ্বলতে থাকে। মানুষ দিক বেদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন।

ইসমাইল শাহ মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীর নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠি সোঠা নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে মাজারে হামলা চালায় এবং আগুন দেয়। এতে মাজারের ভিতরের গিলাব এবং দুটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, তারা ভক্তবৃন্দকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।

মুফতি ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, এ মাজারটি ভন্ডের আস্তানা। এখানে ওরশের নামে গানবাজনা ও গাজা মাদক সেবন ও নারীর আসর বসে। আর মাজারটির ভক্তবৃন্দ মহিলারা পীরের কবরে ও প্রধান খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের পায়ে সেজদা দেয়। ওরসে নারী পুরুষদের গান বাজনাও চলে প্রকাশ্যে। যা সম্পুর্ণ ইসলাম বিরোধী। আমার মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে এই রমজান মাসে অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম কিন্তু তিনি তা না শুনে তার নির্দেশে তার ভক্তবৃন্দেরা আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এই ভন্ড মাজারের খাদেম বাবুল ও তার দোসরদের শাস্তি দাবী করছি।

আমতলী ফায়ার ষ্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ বলেন, দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত ২ টা ৩৫ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুনে মাজারের ভেতরের সামিয়ানা ও দুই ঘর পুড়ে গেছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অঅইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান ও ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা বলেন আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ডিম মুরগির ন্যায্য দাম না পাওয়ায়, বিপিএর উদ্বেগ প্রকাশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, দেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিরা অবহেলিত হচ্ছেন এবং বর্তমানে কর্পোরেট কোম্পানি ও সিন্ডিকেটের চক্রের কারণে তারা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশের কৃষির গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ পোল্ট্রি খাত, যেখানে লাখো প্রান্তিক খামারি তাদের কঠোর পরিশ্রম, বিনিয়োগ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন করছেন, কিন্তু তাদের অমূল্য পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না।

পোল্ট্রি খামারিরা এখন নানা সমস্যার মুখোমুখি। প্রথমত, অত্যধিক খরচ এবং কম দামে বিক্রি হচ্ছে তাদের পণ্য। অধিকাংশ খামারি তাদের উৎপাদিত মুরগি, ডিম, খাদ্য এবং অন্যান্য পণ্য সঠিক মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন না। এদিকে, কর্পোরেট কোম্পানি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারের মূল্যের ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ তৈরি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে খামারিদের সঠিক দাম না পাওয়ার কারণে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছেন না।

দ্বিতীয়ত, খামারিদের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার অধিকার প্রতি পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে। কর্পোরেট সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের মধ্যে লেনদেনের ফলে খামারি তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত লোকসানের শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া, প্রান্তিক খামারিরা খুবই সীমিত সম্পদ নিয়ে কাজ করেন এবং তারা তাদের পণ্যের যথাযথ মূল্য পেলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।

এছাড়া, খামারিদের কাছে যথাযথ তথ্যের অভাব, প্রযুক্তির অভাব, বাজার বিশ্লেষণ এবং দিকনির্দেশনার অভাব তাদের আরও বেশি অসহায় করে তুলেছে। প্রান্তিক খামারিরা জানেন না কখন এবং কীভাবে তাদের পণ্য বাজারে বিক্রি করা উচিত, এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সহায়তা পেতে তারা উপেক্ষিত হচ্ছেন।

এসব পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে এবং পোল্ট্রি খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং ন্যায্য বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজন। বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছে, খামারিদের জন্য একটি টেকসই নীতি বাস্তবায়ন করা হোক, যেখানে সিন্ডিকেটের অবৈধ প্রভাবকে প্রতিহত করা হবে এবং তারা সঠিক মূল্য পাবে।

এছাড়া, প্রযুক্তির উন্নয়ন, ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস, বাজার বিশ্লেষণ এবং নির্দেশনা প্রদান—এই সব কিছুই খামারিদের সহায়তায় প্রয়োগ করা জরুরি। সরকারের পাশাপাশি, আমাদের সকল ব্যবসায়ী, প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই খাতের উন্নয়ন সম্ভব।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) সশব্দ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। খামারিরা যদি তাদের ন্যায্য মূল্য পায়, তবে তারা শুধু তাদের পরিবারের জন্য না, বরং পুরো দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এ ধরনের সমস্যাগুলি সমাধান করতে আমরা সবাই একসাথে কাজ করতে পারলে পোল্ট্রি খামারিরা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে এবং পোল্ট্রি খাত একটি সুষ্ঠু এবং শক্তিশালী খাত হিসেবে গড়ে উঠবে।


আরও খবর



নওগাঁয় লুটপাটের পর বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া মামলায় ৯ জন আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দায় জমি নিয়ে বিরোধের ধরেধরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের পর বসতবাড়ি আগুন দেওয়া মামলায়  ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের বিলউথরাইল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। 

এঘটনায় ভুক্তভোগী আতাউর রহমান বাদি হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে মামলার অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছেন বলে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। 

আতাউর রহমান ঐ গ্রামের মৃত ফজের আলীর ছেলে। বিবাদমান একটি জমি নিয়ে বিলউথরাইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের লোকজনের সঙ্গে ভুক্তভোগী আতাউর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। 

সংবাদ পেয়ে ঐ রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম। বৃহস্পতিবার ৩ মার্চ গ্রেফতারকৃত ৯ জনকে নওগাঁ জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত ৯ জন হলেন, তুহিন আলী (৪০), বুলবুল আহমেদ সুমন (৩২), মাইনুল ইসলাম (৩৯), মারুফ হোসেন (১৯), পিয়াস আহমেদ (১৯), ফিরোজ হোসেন (২৬), আবু সাইদ মন্ডল (৪৫), বিদ্যুৎ হোসেন গাইন (৩৬) ও এমাজ উদ্দিন মন্ডল (৫৫)।

ভুক্তভোগী আতাউর রহমান বলেন, আমার কবলাকৃত সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে জবর দখল করে রেখেছেন বিলউথরাইল পশ্চিমপাড়ার লোকজন। আদালতের রায়ের পরও ঐ সম্পত্তিতে যেতে পারছি না। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।

আতাউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে পশ্চিমপাড়ার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমার বসতবাড়িতে হামলা করে। হামলাকারীরা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে আমাদের স্ব-পরিবারে হত্যার উদ্দেশ্যে বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলাকারীদের দেয়া আগুনে পুরো বাড়ির টিনের ছাউনি, দুটি মোটরসাইকেল, জমির দলিল পত্রসহ যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমরা কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে যাই।

এ ঘটনায় মামলার অন্য আসামীরা পলাতক থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর রহমান বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আতাউর রহমানের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আতাউর রহমান বাদি হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রাতেই যৌথ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৯ জনকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবারে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



বাংলাদেশের দর্শকের প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের দর্শকের প্রতি আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ। তাদের ভালোবাসার কাছে ঋণী হয়ে গেলাম। কথাগুলো বলছিলেন শাকিব খানের বরবাদ সিনেমার নায়িকা ওপার বাংলার ইধিকা পাল।

এই সিনেমার সাফল্যে তিনি অনেকটাই আবেগাপ্লুত। বললেন, প্রিয়তমায় কাজ করার অভিজ্ঞতাটা আসলে আলাদা। কারণ ওটা ছিল আমার প্রথম সিনেমা, খুবই আবেগের। যেহেতু প্রথম সিনেমা ছিল, তাই এই ভাবনাটা মাথায় রাখতে হয়েছে যে, খুব ভালো করতে হবে, যেন দর্শকের ভালোবাসাটা পাই। আমাকে ঘিরে দর্শকের মধ্যে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, সেটি যেন ছুঁতে পারি- এমনটাই মাথায় কাজ করেছে বরবাদ-এ কাজের সময়। আর শাকিব খানের সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় সিনেমা। এই জুটিকে দর্শক যে ভালোবাসা দিয়েছেন, বরবাদ-এ যেন সেই ভালোবাসা আরও বেড়ে যায়, এমনটাও ভাবনায় ছিল। সব মিলিয়ে সিনেমা মুক্তির পর যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এটা বলতে পারি- যা প্রত্যাশা ছিল, তার সবই পূরণ হয়েছে।

২০২৩ সালের ২৯ জুন মুক্তিপ্রাপ্ত হিমেল আশরাফ পরিচালিত এবং আরশাদ আদনান প্রযোজিত প্রিয়তমা সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় ইধিকা পালের। সিনেমা মুক্তির মধ্য দিয়ে বেশ সফলতার সঙ্গেই নিজের নামের আগে নায়িকা যুক্ত করতে পেরেছেন তিনি। প্রিয়তমা বাংলাদেশের সিনেমার, বিশেষত শাকিব খানের ক্যারিয়ারের ইউটার্ন হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এই সিনেমায় ঢালিউড সুপারস্টারের বিপরীতে অভিনয় করে প্রথম সিনেমা দিয়েই বাংলাদেশের দর্শকের মনে ইধিকা জায়গা করে নেন। প্রিয়তমার জনপ্রিয়তায়ই দুই বাংলার দর্শকের কাছে তিনি তারকায় পরিণত হন। এ ছাড়া গেল বছর কলকাতায় দেবের বিপরীতে মুক্তিপ্রাপ্ত খাদান সিনেমায় অভিনয় করেও আলোচনায় ছিলেন অভিনেত্রী।

ইধিকা জানান, এরই মধ্যে সোহমের বিপরীতে আকাশ মালাকারের বহুরূপ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। এই মুহূর্তে রঘু ডাকাত সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত, যাতে তার বিপরীতে আছেন দেব। এটি নির্মাণ করছেন ধ্রুব ব্যানার্জি। আসছে দুর্গাপূজায় সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে জানান ইধিকা।


আরও খবর



ঋণ পরিশোধে সময় দিল রাশিয়া, জরিমানা মওকুফ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণদাতা দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে দায়দেনা পরিশোধে বাড়তি সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৭ সালের মার্চ থেকে প্রকল্পের ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ শুরু করার কথা ছিল। বিভিন্ন জটিলতার কারণে দুই বছর সময় চেয়েছিল সরকার। এতে সাড়া দিয়ে দেড় বছর সময় দিয়েছে রাশিয়া।

এদিকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ৫০ কোটি ডলারের ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ না হওয়ায় ১৬ কোটি ডলারের বেশি যে জরিমানা হয়েছিল, তা মওকুফ করেছে পুতিন প্রশাসন। যদিও রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কিস্তি ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারেনি বাংলাদেশ। রূপপুরের ঋণের সংশোধিত প্রটোকলে এমন ছাড় দিয়েছে রাশিয়া।

বৈদেশিক দায়দেনার চাপ কমাতে ২০২৯ সালের মার্চ থেকে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু করার সময় নির্ধারণে রাশিয়া সরকারকে অনুরোধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত প্রটোকলে ২০২৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পরিশোধ শুরুর নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ইআরডির সংশ্লিষ্ট ইউরোপ উইংয়ের প্রধান ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সরকারের যোগাযোগের ভিত্তিতে এমন ভালো সিদ্ধান্ত এসেছে। প্রকল্পের কাজ এখনো বেশ বাকি থাকায় আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। রাশিয়ার তাতে সম্মতি রয়েছে।

তিনি জানান, প্রকল্প শুরুর আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ঋণের কিস্তির অর্থ আলাদা একটি ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারে তা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বিকল্প প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো কোনো সমাধানে আসা যায়নি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট ব্যয় ধরা হয় ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার বা ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। ব্যয়ের ৯০ শতাংশ হিসেবে মোট ১১.৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। বাকি ১০ শতাংশ বাংলাদেশের নিজস্ব জোগান। রাশিয়ার ঋণের মধ্যে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ৭.৭০ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। করোনা মহামারি এবং পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ঋণের অর্থছাড়ে দেরি হয়। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিশ্রুত মোট ঋণের বাকি ৩.৬৮ কোটি ডলার ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে। রাশিয়ার রোসাটম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

ইআরডি সূত্র জানায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই কিছু ঋণদাতা সংস্থা এবং দেশের কাছে ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময় চাওয়া হয়। ঋণের সুদের হারেও ছাড় চাওয়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ রূপপুর প্রকল্পের ঋণ চুক্তি সংশোধনে রাজি হন। ওই বৈঠকেই সংশোধনী চূড়ান্ত করার বিষয়ে একমত হয় সরকার এবং রোসাটম।

সম্প্রতি মস্কো থেকে পাঠানো সংশোধিত প্রোটোকলের খসড়ায় ঋণ পরিশোধে এক মাস বিলম্বের জন্য বিলম্ব মাশুল পরিশোধের শর্ত বাদ দেওয়া হয়। মূল প্রোটোকলে ঋণ পরিশোধ এক মাস বিলম্বিত হলে বাংলাদেশকে ৪.৫ শতাংশ হারে জরিমানা দেওয়ার শর্ত ছিল। সে হিসেবে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ঋণের কিস্তি বকেয়া বাবত বাংলাদেশকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হতো। ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, ঋণ পরিশোধে বিলম্বের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। ২০১৭ সালে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



হজে শিশুদের নিয়ে নতুন নির্দেশনা সৌদি আরবের

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

পবিত্র রমজানের শেষ দিনগুলোয় মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে আগত হজযাত্রীদের সঙ্গে ছোট শিশু না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় নিরাপত্তা অপারেশন কেন্দ্র (এনসিও) নামাজের সময় অতিরিক্ত যানজটের বিষয়ে সতর্ক করেছে এবং নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের জন্য হজযাত্রীদের নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে।

রমজান মাস ওমরাহর জন্য সবচেয়ে ব্যস্ততম সময়। এ সময়ই মুসলিমদের হজ পালনের প্রবণতা বেড়ে যায়। পবিত্র এই মাসের শেষ ১০ দিন বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর মধ্যে রয়েছে লাইলাতুল কদর, যে রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর প্রথম কোরআন নাজিল হয়েছিল।

উদ্বেগ কমাতে, দুই পবিত্র মসজিদের যত্নের জন্য জেনারেল অথরিটি শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ এবং আরামদায়ক পরিবেশ প্রদানের জন্য সার্বক্ষণিক শিশু যত্ন কেন্দ্রের উপলব্ধতার কথা তুলে ধরেছে। সংস্থাটি অভিভাবকদের আশ্বস্ত করে বলেছে, ‘আপনার শিশুরা নিরাপদ হাতে আছে’। পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায় করার সময় এই সুবিধাগুলো ব্যবহার করার জন্য অভিভাকদের উৎসাহিত করেছে সংস্থাটি।


আরও খবর

২৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট

মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫