Logo
শিরোনাম

আন্দোলনে নিহতদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিল জামায়াত

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ রোববার সকালে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এক মতবিনিময় সভায় তিনি কথা জানান। 

জামায়াতের আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী নিহতদের পরিবারের পাশে থেকে তাঁদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। প্রতিশোধ নয় জামায়াতে ইসলামী সকল জুলুমের বিচার প্রচলিত আইনের মাধ্যমে চায়।

চীন মৈত্রী সম্মেলর কেন্দ্রে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে বছরের আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজ রোববার মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। 


আরও খবর



কুড়িগ্রা‌মে বৃ‌দ্ধি পে‌য়ে‌ছে নদ-নদীর পা‌নি

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

কুড়িগ্রাম  প্রতিনিধি :

ক‌য়েক‌দি‌ন ধ‌রে টানা বৃ‌ষ্টি আর উজা‌নের ঢ‌লে কুড়িগ্রামের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পা‌নি বৃদ্ধি পে‌য়ে‌ছে। ফ‌লে দেখা দি‌য়ে‌ছে নদী ভাঙন। সেই স‌ঙ্গে ত‌লি‌য়ে গে‌ছে ফস‌লের ক্ষেত। এতে আতং‌কিত হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছেন নদী তীরবর্তী মানুষজন, ক্ষ‌তিগ্রস্ত হ‌য়ে‌ছেন চরাঞ্চ‌লের চা‌ষিরা।

জানা গে‌ছে, তিস্তা নদীর পা‌নি বৃ‌দ্ধির ফ‌লে জেলার রাজারহাট উপ‌জেলার বিদ‌্যানন্দ ও ঘ‌ড়িয়ালডাঙা এবং  উলিপুর উপ‌জেলার দলদলিয়া, থেতরাই ও বজরা ইউনিয়‌নের চরাঞ্চল পা‌নি‌তে নিম‌জ্জিত হ‌য়ে‌ছে। ফ‌লে ত‌লি‌য়ে গে‌ছে বাদাম, মরিচ, পাটসহ রবি শষ্য।

কু‌ড়িগ্রাম পা‌নি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সোমবার তিস্তার পানি বিপদ সীমার ২৪সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সময় যতই যাচ্ছে তিস্তার পানি কমছে। ধরলা,দুধকুমোর ব্রক্ষপুত্র সহ অন্যান্য নদ-নদী গুলোর পানি বিপদনীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

রাজারহাট উপজেলার চর বিদ্যানন্দ গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম ব‌লেন, চ‌রে দুই একর জমিতে বাদাম চাষ ক‌রে‌ছি। ক‌য়েক‌দিন আগেও নদীর পা‌নি বে‌ড়ে যায়। কিন্তু তেমন ক্ষ‌তি হয়‌নি। এবার পা‌নি বাড়ায় সেই ক্ষেত ত‌লি‌য়ে গে‌ছে।

উলিপুর উপ‌জেলার চর গোড়াইপিয়া‌রের কৃ‌ষক আব্দুস সালাম ব‌লেন, ধারদেনা ক‌রে এক একর জ‌মি‌তে বাদাম চাষ ক‌রে‌ছি। ক‌য়েকদি‌ন আগে কিছু অংশ পা‌নি‌তে ত‌লি‌য়ে  যাওয়ায় সেগু‌লো অপ‌রিপক্ক অবস্থায় তু‌লে নিই। এবার বা‌কি অংশ ত‌লি‌য়ে যাওয়ায় সে‌টি নস্ট হওয়ার সম্ভাবনা র‌য়ে‌ছে। এ প‌রি‌স্থি‌তি‌তে লোকসা‌নের মু‌খে পড়‌তে হ‌বে।

কু‌ড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রা‌কিবুল হাসান ব‌লেন, আগামী দুইদিন তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল হা‌রে বৃদ্ধি পেতে পারে। ত‌বে আতং‌কিত হওয়ার কিছু নেই, পা‌নি ‌বিপৎসীমা অ‌তিক্রম কর‌বে না। এ ছাড়া পা‌নি বৃ‌দ্ধির ফ‌লে প্রায় ১৩‌টি জায়গায় ভাঙন দেখা দি‌য়ে‌ছে। এসব ভাঙন রো‌ধে কাজ করা হ‌চ্ছে।

                    


আরও খবর



দেশের ৩৬ জেলায় তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দেশের ৩৬ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব অঞ্চলের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুকের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সংস্থাটি জানায়, ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ফেনী ও পটুয়াখালী জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামীকাল বুধবার (১১ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু আয়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আগামী শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আগামী শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




নওগাঁর ৬টি উপজেলায় নেই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর ৬টি উপজেলায় নেই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ভোগান্তিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা।

রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড় জেলা নওগাঁ। অন্যান্য জেলার চেয়ে নওগাঁ জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেশি রয়েছে। বর্তমানে জেলার ১১ টি উপজেলার মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পদ শুন্য রয়েছে ৬টি উপজেলায়। এতে করে ভোগান্তিতে পরেছে জেলার ৮ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। শিক্ষার মানোন্নয়নে দ্রুততম সময়ে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে শুন্যপদ গুলো পূরণ করার দাবী জানান নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন।

জানা যায়, নওগাঁ জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮ শতাধিক। প্রতিষ্ঠান গুলোতে কর্মরত রয়েছে প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। 

এ জেলায় মোট উপজেলা রয়েছে ১১টি। এরমধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে কর্মরত আছে ৫ টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার। আর বাকি ৬টি উপজেলায় শিক্ষা অফিসারের পদগুলো শুন্য রয়েছে। পদ শুন্য থাকা এই উপজেলা গুলোতে অন্যান্য উপজেলায় কর্মরত অফিসাররা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি অন্য উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারাও হিমসিম খেয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও চলতি বছরে কর্মরত দু'জন শিক্ষা অফিসার অবসরে যাবেন আর তাতে আরও সমস্যাই পরবেন এ জেলার শিক্ষক-কর্মচারীরা।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলায় দায়িত্বে আছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওয়াসিউর রহমান। তিনি তার নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন মহাদেবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের। মান্দা উপজেলার শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ তার নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন নিয়ামতপুর শিক্ষা অফিসের। বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম তার নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন রাণীনগর উপজেলার। সাপাহার উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম তার নিজ উপজেলার পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন পোরশা উপজেলা শিক্ষা অফিসের। ধামইহাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন তার নিজ উপজেলার পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন আত্রাই উপজেলা শিক্ষা অফিসের এবং বর্তমানে পত্নীতলা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন। মান্দা উপজেলার এসসি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামানসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা বলেন, আগে প্রয়োজনে যেমন প্রতিদিন শিক্ষা অফিসার স্যারকে পাওয়া যেত এখন তেমন ভাবে আর পাওয়া যায় না। অনেক সময় অফিসে গিয়ে জানাতে পারি স্যার অন্য উপজেলায় আছেন। জরুরী প্রয়োজন থাকার পরও স্যার না থাকায় আমাদের ফেরত আসতে হয়। এতে আমাদের ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ে জেলার প্রতিটি উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিয়োগ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে জানিয়ে মান্দা উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলার অফিসিয়ালি কাজ, এমপিওভুক্তির ফাইল অগ্রহায়ণ করা, বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত করতে আমাদের সময় পার হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তদারকি করার মতো সময় হয়ে উঠে না। শুধু একটি উপজেলার দায়িত্বে থাকলে এইসব কাজগুলো সুন্দরভাবে করা সম্ভব হয়। জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমার এই জেলায় বর্তমানে ৬ জন শিক্ষা অফিসারের পদ শুন্য রয়েছে। শুধু এই জেলায় নয় দেশের অধিকাংশ জেলার চিত্র একই। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের এইসব পদ গুলো সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদায়ন দিয়ে পূরণ করলে শিক্ষার মান দ্রুত উন্নত হবে। কেননা একজন উপজেলা শিক্ষা অফিসার যদি দুই থেকে তিনটি উপজেলার দায়িত্বে থাকেন তাহলে তাঁর অফিসিয়াল কাজ করতেই সময় পার হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানের তদারকি ও শিক্ষার মান উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে এই পদগুলো দ্রুত পূরণ করবেন বলে আমি আশা করছি।


আরও খবর



নিরাপত্তা নিশ্চিতে দূরপাল্লার বাসে সিসি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দূরপাল্লার বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। বাসে ডাকাতি, ছিনতাই ও নারী যাত্রীদের হয়রানি ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

কেন্দ্রীয় মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলমের সই করা চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। জেলা ও কোম্পানি পর্যায়ের পরিবহন মালিকদের শাখা কমিটিগুলোকে এ নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দূরপাল্লার বাসে যাত্রীদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই এবং বিশেষ করে নারী যাত্রীদের লাঞ্ছনার ঘটনা বেড়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যাও উদ্বেগজনক। এসব অপরাধ রোধে বাসে সিসি ক্যামেরা ও গতি নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (স্পিড গভর্নর) স্থাপন অত্যন্ত জরুরি।

গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মালিক সমিতিকে চিঠি দিয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকেও বিষয়টি বাস্তবায়নে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, আগামী ১ জুনের মধ্যে প্রত্যেক দূরপাল্লার বাসে এসব ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে। কেউ নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্ট বাস মালিকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিসি ক্যামেরা ও স্পিড গভর্নর ছাড়া কোনো বাসকে সিরিয়াল না দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




আপনাদের সঙ্গে কখনো হাত মেলাব না’ কেন বললেন তামিম

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ফারুক আহমেদকে বিসিবি সভাপতির পদ থেকে অপসারণের পর ফের সামনে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বরখাস্ত-প্রসঙ্গ। ২০২৩ ভারত বিশ্বকাপ চলাকালীন বাংলাদেশ দলের তখনকার কোচ হাথুরুসিংহে ক্রিকেটার নাসুম আহমেদের গায়ে হাত তুলেছিলেন, এমন খবর মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

তখনকার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড এ নিয়ে তদন্ত কমিটিও গঠন করে। যদিও সেই কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি।

ফারুক আহমেদ বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই বরখাস্ত করেছিলেন হাথুরুসিংহেকে। যা নিয়ে হাথুরুর মনেও ক্ষোভ আছে। এরই মধ্যে একটি গণমাধ্যমে তদন্ত কমিটির গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে, জাতীয় দলের অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি মিডিয়ায় ফাঁস করেছেন তামিম ইকবাল।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর পেছনে প্রভাব ছিল হাথুরুসিংহের। ওই দ্বন্দ্বের কারণেই তামিম হাথুরুর ঘটনা জনসম্মুখে নিয়ে আসেন।

এই যখন আলোচনা। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ খুললেন তামিম ইকবাল। ফেসবুকে রহস্যময় এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে কখনো হাত মেলাব না!

যারা আমার পিছু নিয়েছেন, আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন আমাকে হাত করার জন্য, সেই মানুষগুলোকে বলছি, আমি কখনও আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না।

গুঞ্জন আছে, বিসিবি সভাপতি পদে নির্বাচন করতে পারেন তামিম ইকবাল। বোর্ড সভাপতি হওয়ার জন্য তিনি দৌড়ঝাঁপ করছেন। তবে তামিম জানালেন, প্রয়োজনে তিনি বোর্ডে আসার ইচ্ছে ত্যাগ করবেন। তবু ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে (আপোস করে) তিনি হাত মেলাবেন না।

তামিম লিখেছেন, ‘আমি যদি কখনো ক্রিকেট প্রশাসনে আসি, সঠিক পথ ধরেই আসব এবং শুধুমাত্র ক্রিকেটের ভালোর জন্য আসব। প্রয়োজন হলে কখনো ক্রিকেট বোর্ডে আসব না, তবুও আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না।

কোনো এক রহস্যময় ব্যক্তির নাম না উল্লেখ করে তামিম আরও লিখেছেন, ‘যারা আমার ভক্ত-সমর্থক ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনুসারী, তাদের জন্য বলছি, কোনো একজন ব্যক্তির নিজস্ব ধারণা আর তদন্তে রিপোর্টে অভিযুক্ত হওয়া, দুটির মধ্যে ব্যবধান আকাশ-পাতাল। একজন ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত ধারণার কথা বলেছেন তদন্ত কমিটিতে। সেটা তার ব্যাপার। সেই ব্যক্তি আগেও একটি টিভি চ্যানেলে আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন, নানা সময়ে নানা কিছু বলেছেন। আমি কখনো প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি। শুধু এটুকু বলছি, তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কোনো অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়নি এবং তথ্য ফাঁস করা সংক্রান্ত কোনো কিছু তারা আমাকে জিজ্ঞাসাও করেননি। আমি তো তখন দলেই ছিলাম না! তদন্ত কমিটির কাছেও একইরকম মনে হলে নিশ্চয়ই তারা একবার হলেও সেই প্রসঙ্গ তুলতেন বা আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন!

‘কোনো এক ব্যক্তির নিজস্ব ধারণা আর তদন্ত কমিটির অভিযোগের মধ্যে যে বিশাল ব্যবধান আছে, আশা করি সবাই বুঝতে পারবেন।

এই ব্যাপারটিকে যারা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছেন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে, তাদেরকে আবারো বলছি, আমাকে কোনোভাবেই আপনাদের কাতারে পাবেন না। আমি হাত মেলাব না।’

তামিমের নাম না বলা সেই রহস্যময় ব্যক্তিটি কে, যার বিরুদ্ধে তামিম কখনও অভিযোগ করেননি। কিন্তু তামিমের বিরুদ্ধে সেই ব্যক্তি করেছেন। তা নিয়ে কানাঘুষা চলছে ক্রিকেটাঙ্গনে।


আরও খবর