Logo
শিরোনাম

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের বর্ণাঢ্য রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবালের। শনিবার (১০) জানুয়ারি ১৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন তামিম। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের জার্সিতে অনেক নতুন রেকর্ড জন্ম দিয়েছেন এবং অনেক রেকর্ডও ভেঙ্গেছেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। তার সেসব রেকর্ডের দিকেই চোখ বুলানো যাক।

টেস্ট :

টেস্ট অভিষেক : ৪ জানুয়ারি, ২০০৮, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ডানেডিন

শেষ টেস্ট : ৪ এপ্রিল, ২০২৩, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, মিরপুর

৭০ টেস্টের ১৩৪ ইনিংসে ৫১৩৪ রান, সেঞ্চুরি-১০টি, হাফ-সেঞ্চুরি- ৩১টি, গড়- ৩৮.৮৯

বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে টানা তিন টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। ২০১৪-১৫ মৌসুমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২টি এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ১টি সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে টেস্টে টানা ৫ ইনিংসে অন্তত হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই টানা পাঁচ ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন তিনি। হাফ-সেঞ্চুরি পাওয়া তার ঐ পাঁচটি ইনিংস ছিলো এমন- ৮৫, ৫২, ৫৫, ১০৩ ও ১০৮।

টেস্টে টানা ৭ ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি আছে তামিমের। ২০১০ সালে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাত ম্যাচে অর্ধশতক করেন তামিম। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭ ছক্কা মেরেছেন তামিম। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭টি ছক্কা ও ১৭টি চারে ২৭৮ বলে ২০৬ রান করেছিলেন তামিম।

টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে এখনও সর্বোচ্চ গড়ের মালিক তামিম। ৭০ টেস্টে তার গড় ৩৮.৮৯ টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪১ বার হাফ-সেঞ্চুরির বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম।

টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে নাম আছে তামিমের। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল কায়েসের সাথে ৩১২ রান করেছিলেন তিনি।

টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪১ ছক্কা মেরেছেন তামিম।

ওয়ানডে :

ওয়ানডে অভিষেক : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, হারারে

শেষ ওয়ানডে : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, মিরপুর

২৪৩ ওয়ানডের ২৪০ ইনিংসে ৮৩৫৭ রান, সেঞ্চুরি-১৪টি, হাফ-সেঞ্চুরি- ৫৬টি, গড়- ৩৬.৬৫

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান তামিমের। ২৪৩ ম্যাচে ৮৩৫৭ রান করেছেন।তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪টি সেঞ্চুরির মালিক তামিম।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক হাফ-সেঞ্চুরির বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম। সর্বমোট ৭০টি।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে সাকিব আল হাসানের সাথে রেকর্ড ভাগাভাগি করেছেন তামিম। সাকিব ও তামিম সমান ৫৬টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে লজ্জার রেকর্ডও আছে তামিমের। দেশের হয়ে ৫০ ওভারের ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ১৯বার শূন্যতে সাজঘরে ফিরেন তামিম।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড তামিমের।

বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে যেকোন উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে অবদান আছে তামিমের। ২০২০ সালে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাসকে নিয়ে ২৯২ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম।

ওয়ানেডে ইতিহাসে এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড তামিমের। মিরপুরে ৮৭ ম্যাচের ৮৫ ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরি ও ১৯টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৮৯৭ রান করেছেন তামিম।

ওয়ানডেতে টানা পাঁচ ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি আছে তামিমের। ২০১২ সালে পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ইনিংসে অর্ধশতক করেছেন তামিম।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কনিষ্ঠতম সেঞ্চুরিয়ান। ২০০৮ সালে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ঐ সময় তামিমের বয়স ছিল ১৯ বছর ২ দিন।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৯৩০টি চার মেরেছেন তামিম।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ৬, ৭ ও ৮ হাজার রানের মালিক তামিম।

টি-টোয়েন্টি :

টি-টোয়েন্টি অভিষেক : ১ সেপ্টেম্বর, ২০০৭, কেনিয়ার বিপক্ষে, নাইরোবি

শেষ টি-টোয়েন্টি : ৯ মার্চ, ২০২০, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, মিরপুর

৭৮ টি-টোয়েন্টির ৭৮ ইনিংস ১৭৫৮ রান, সেঞ্চুরি-১টি, হাফ-সেঞ্চুরি- ৭টি, গড়- ২৪.০৮

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তামিম। ২০১৬ সালে বিশ্বকাপে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে ১০টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৬৩ বলে অপরাজিত ১০৩ রান করেছিলেন তামিম।

টি-টোয়েন্টি যেকোন সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক তামিম। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ৬ ইনিংসে ২৯৫ রান করেছিলেন তিনি। সংক্ষিপ্ত ভার্সনে যেকোন উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটিতে নাম আছে তামিমের। ২০১২ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৩২ রান করেছিলেন তিনি।

অধিনায়ক তামিম :

টেস্টে এক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি।

৩৭ ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। তার অধীনে ২১টিতে জয়, ১৪টিতে হার ও ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেননি তামিম।

তিন ফরম্যাটে তামিম :

বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ২৫টি সেঞ্চুরির মালিক তামিম।

তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম।

তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৬বার শূন্যতে ফিরেছেন তামিম।


আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ঢাকার বায়ু খুবই অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বায়ুদূষণের তালিকায় আজ শীর্ষে উঠে এসেছে পাকিস্তানের লাহোর। এদিকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা রয়েছে দ্বিতীয় নম্বরে।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা লাহোরের দূষণ স্কোর ২৩৭ অর্থাৎ এই শহরের বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। এই শহরটির দূষণ স্কোর ২১৮ অর্থাৎ এখানকার বাতাসও খুবই অস্বাস্থ্যকর।

তৃতীয় নম্বরে রয়েছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহর । শহরটির দূষণ স্কোর ১৯০ অর্থাৎ সেখানকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। চতুর্থ নম্বরে রয়েছে ভারতের দিল্লি।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে, খেজুরের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

বাংলার সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময় পিঠা পায়েস এর কথা উঠতেই বাংলা মুলকে পৌষ কথা মনে আসে।পৌষের শীতে জমে উঠে পিঠা পুলি তৈরির আয়োজন,বিশেষ করে বাঙালিদের এই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় পৌষ সংক্রান্তিতে,পৌষ সংক্রান্তি আবহমান বাংলার এক চিরায়ত সংস্কৃতি। পিঠা উৎসবের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র রয়েছে,এর আরেক নাম মকরক্রান্তি পৌষ মাসের শেষ দিকে এই সংক্রান্তি পালন করা হয়।বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটি পিঠা উৎসবে পরিণত হয়।

শীত কাল আসলেই খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে পিঠা পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তারপর পৌষের শেষ দিকে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ও রসের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খেজুর গাছিরা।এদিকে সংক্রান্তির দিনও ঘনিয়ে আসছে শীতের তীব্রতাও বেশি হচ্ছে রস ও গুড়ের চাহিদা ততই বেড়েই চলছে।


পৌষের এই কনকনে শীতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,প্রায় পরিবার গুলোতে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে নানা রকমের পিঠা পুলি,পায়েস, ক্ষীর তৈরির এক রকম ধুম পড়ে গেছে। আবার কেউ কেউ পৌষ সংক্রান্তিতে সামনে রেখে নতুন করে পিঠা পুলি তৈরির উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।এই কারণে বর্তমান সময়ে খেজুর রস ও গুড়ের চাহিদা বেড়েই চলছে। এদিকে পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে রস ও গুড়ের চাহিদা বাড়ায় শীতের তীব্রতা কে উপেক্ষা করে খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন অঞ্চলের খেজুর গাছিরা।

দেখা গেছে খেজুর রস সংগ্রহকারী গাছিরা প্রতিদিনই গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার খেজুর গাছ গুলোতে ধারালো কাস্তে দিয়ে (চেঁচিয়ে) যেটাকে গ্রামের ভাষায় বলে,গাছ কাম দেওয়া বা পরিস্কার করা সেটি করে রস নামানোর জন্য একটি নল বসিয়ে দিয়ে ঠিক দুপুরের দিকে রস সংগ্রহের জন্য সেখানে বেঁধে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রকার হাঁড়ি,পাতিল,কলস প্লাস্টিকের জেরিকেন ইত্যাদি। রসের পাত্র গুলোর মুখে সুন্দর করে বেঁধে দেওয়া হতো নেট, কাপড় বা পলিথিন যাতে কোন ময়লা বা পাখপাখালির মলমূত্র রসের পাত্রের ভীতরে ঢুকতে না পারে।পরে দিন সাত সকালে খেজুর গাছ থেকে নামানো হয় রসে ভরা পাত্র গুলি।এভাবে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেছেন গাছিরা,এই সুস্বাদু রস বিক্রির পাশাপাশি রসের তৈরি পাঁঠালি গুঁড় বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে আর্থিক চাহিদা মেটাচ্ছেন গাছিরা।


উপজেলার নাও ডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা গ্রামের খেজুর গাছি, মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, এবারে খেজুরের রসের চেয়ে গুড়ের চাহিদা বেশি যেটা তরল গুঁড় প্রতি কেজি ২৫০ টাকা আর পাঁঠালি গুঁড় ২৬০ টাকা ধরে বিক্রি করছি। আমি সবসময় ভালো মানের গুঁড় তৈরি করে থাকি। তিনি আরও বলেন, এবছর ৮০ টি খেজুর গাছ এভাবে কন্টাক্ট নিয়েছি যে গাছের প্রকারভেদে গাছ প্রতি দুই, আড়াই, সর্বোচ্চ তিন কেজি গুঁড় দেওয়া লাগবে। তিন দিন পর পর ৪০টি গাছের রস সংগ্রহ করে জাল দিয়ে গুঁড় তৈরি করি। আশাকরি গাছের মালিক খড়ের দাম সহ সবকিছু মিটিয়ে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভবান হবো। ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের হারান গাছি জানান, আমার নিজের কয়েকটি গাছ সহ এবারে ৪০টি খেজুর গাছ লিজ নিয়েছি মালিক ও খড়ের খরচ মিটিয়ে গুঁড় বিক্রি করে ৩০/৪০ হাজার টাকা কামাই হবে আর কি।

কুরুষা ফেরুষা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও চওড়া বাড়ি এলাকার অতুল চন্দ্র রায় কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের সোহেল মাষ্টার জানান, হেমন্ত, শীত ও বসন্তের পাঁচ মাস পর্যন্ত খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়।এসময় এটি খুব সুস্বাদু খাবার, বিশেষ করে সামনে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে গ্রামীণ বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলি, পায়েস, পাটিসাপটা, ক্ষীর ইত্যাদি। গ্রামীণ পুরাতন রেওয়াজ অনুযায়ী পৌষ সংক্রান্তিতে এইসব পিঠা পুলি পায়েস খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ বা দাওয়াত করা হয় নতুন পুরাতন জামাই সহ আত্নীয় স্বজনদের। সত্যি পৌষের শীতে এটি একটি মজাদার খাবার, যার কারণে এই সময়টাতে রস ও গুড়ের চাহিদা একটু বেশি।

শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের খেজুর গুড় ক্রেতা রবীন্দ্রনাথ মোহন্ত জানান, আমার জানামতে রেজাউল গাছি ভাইয়ের খেজুর গুড়ে কোন ভ্যাজাল নাই,খাবার উৎকৃষ্ট সুস্বাদু বটে।তারপর সামনে আসছে বাঙালি বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি এই দিনটি কে আমরা পিঠা উৎসব হিসেবে উপভোগ করি ওই দিনে আমার বাড়িতে সবার পছন্দ খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠা পুলি পায়েস পাটিসাপটা ক্ষীর, অনেক আত্নীয় স্বজনদের দাওয়াত করতে হবে সেই উপলক্ষে রেজাউল গাছি ভাইয়ের নিকট থেকে পনের কেজি খেজুর গুড় ক্রয় করলাম। তিনি আরও বলেন, এলাকায় যেভাবে খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে গ্রামীণ এই ঐতিহ্যবাহী খাবার একদিন না বিলীন হয়ে যায়। যাতে এটিকে রক্ষা করা যায় সেই কারণে  সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে খেজুর গাছ উৎপাদন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তা নাহলে গ্রামীণ ঐতিহ্য খেজুরের রস গুড় একদিন বিলীন হয়ে যাবে।


আরও খবর



কুবিতে নিজস্ব পদ্ধতি ভর্তি পরীক্ষা, সময়সূচি প্রকাশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

কুবি প্রতিনিধি :

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে প্রশাসন। এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী এপ্রিল মাস থেকে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) জনসংযোগ কর্মকর্তা এমদাদুল হকের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় ‘সি’ ইউনিটের (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৩ মে সকাল ১০টায় ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান অনুষদ) এবং একই দিন বিকেল ৩টায় ‘বি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা, এমনকি ছুটির দিনেও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করতে পারবে। আবেদন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য কুবির ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২তম সিন্ডিকেট সভায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি থেকে সরে এসে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


আরও খবর

পদোন্নতি পেলেন মাভাবিপ্রবির ২৩ শিক্ষক

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বাংলাদেশের ইসলামিক বক্তারা কি করছেন?

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে যারা মোটামুটি পরিচিত ইসলামিক বক্তা তারা প্রায় সবাই অর্থনৈতিকভাবে বেশ সলভেন্ট আলহামদুলিল্লাহ্‌ । 

প্রায় সবারই নিজের ব্যাক্তিগত গাড়ি-ড্রাইভার আছে, ঢাকায় ফ্ল্যাট আছে বা অন্তত জেলা শহরে নিজের একটা থাকার জায়গা আছে। 


যাদের ব্যাক্তিগত গাড়ি আছে তারা জানেন যে, ড্রাইভারসহ একটা প্রাইভেট কারের মাসিক খরচ অন্তত ৫০ হাজার টাকা । 

ঢাকার এবং জেলা শহরগুলোর ভালো এলাকার ইমাম-মুয়াজ্জিন-খতীবরাও এখন মোটামুটি স্বচ্ছল বলা যায় ।  

আমরা তো এরকমটাই চেয়েছিলাম, আমাদের ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বগণ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকবেন, তারা পর মুখাপেক্ষী হবেন না, নিজেদের ইনকাম সোর্স তৈরি করবেন। তারাও দেশের প্রথম শ্রেনীর নাগরিকদের মত নিয়মিত ট্যাক্স দিবেন, সকল সুযোগ-সুবিধা, সন্মান ভোগ করবেন ।  

কিন্তু আমার আফসোস এবং কষ্ট লাগে যখন দেখি, হেলিকপ্টার ,ব্যাক্তিগত গাড়ি থেকে মাহফিলে নেমে কোন কোন বক্তা মাহফিলে উপস্থিত শ্রোতাদেরকে দারিদ্রতার দিকে মোটিভেট করেন । 

আপনি বলতেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) দিনের পর দিন না খেয়ে ছিলেন, সাহাবারা (রা) না খেয়ে ছিলেন, অনেকের পায়ে স্যান্ডাল থাকতো না, গায়ের জামাকাপড় ছেঁড়া ছিল । 

আপনি নিজে চকচকা জামা পড়ে এসে, গাড়িতে বসে এসির হাওয়া খেতে খেতে এসে এগুলা কেন বলেন ? রাসুলুল্লাহ (সা) না খেয়ে ছিলেন ওয়াজ করে, পরের মুহুর্তেই মাহফিল কর্তৃপক্ষের আয়োজন করা ৮-১০ পদের শাহী খানাদানা কিভাবে আপনার গলা দিয়ে নামে ?     

প্রথমত, এই যে আমরা বলি, রাসুলুল্লাহ (সা) দরিদ্র লাইফ-স্টাইলটার দিকে ফোকাস করি এই কনসেপ্টটাই ভুল । এটা রাসুলুল্ললাহ (সা) এর ইনকম্পিটেন্সী ছিল না বরং উনার ব্যাক্তিগত চয়েজ ছিল ।  হি হ্যাড অল দ্যা লাক্সারিজ । 

কিন্তু উনি সেগুলো মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন । উনি ব্যবসায়িক-মিলিটারিলি ইন্টিলিজেন্স মারাত্নক রকমের শার্প এবং ব্রিলিয়ান্ট ছিল । উনি চাইলে প্রচুর টাকা কামাতে পারতেন । বাট উনি সেটা করেননি । আবু বকর (রা), উমার (রা) প্রত্যেকের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য । 

বাট আপনি নিজে তো সেই চয়েজটা বেছে নেননি । আপনি ভালো খাচ্ছেন, ভালো পোশাক পড়েন, ভালো গাড়িতে চড়েন, ভালো বাসায় থাকেন । তাহলে মানুষকে কেন গরীব থাকতে বলেন ? শুধু তাই না অপনাকে আনতে বা এই গনজমায়েত করতে কত মানুষের কাছে হাত পাত্তে হয়েছে এবং কোন কোন বয়সের মানুষ হাত পেতেছে তা অপনি ভালো করেই জানেন। তাহলে বলেন এটা কি ধরনের হিপোক্রেসী ? 

আপনি রাসুল (সা) এর বিজনেস/মিলিটারি একিউমেনের কথা কেন বলেন না, উনার সুপার-ডুপার ব্রিলিয়ান্ট ডিপ্লোম্যাটিক স্কিলের কথা কেন বলেন না, রাস্ট্র গঠনে উনার অসাধারণ জ্ঞানের কথা কেন তুলে ধরেন না। 

ভাই নিজেরা নিজেদের লিমিটেশন মেনে নেই । আমরা দুর্বল ঈমানের অধিকারী । আমরা কষ্ট করতে পারি না । ইটস ওকে। আল্লাহ্‌ আপনাকে এর জন্য জাহান্নামে দিবে না । 

আপনি মানুষকে সৎ হতে বলেন, কারো মনে কষ্ট না দিতে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)এর মত অসাধারণ এম্প্যাথেটিক একজন মানুষ হতে বলেন, নিজের কাজ-কর্মে সুপার ডুপার স্কিলড হতে বলেন। 

আইটিতে স্কিলড হতে বলেন, সেলসে স্কিল্ড হতে বলেন, বিজনেস কমিউনিকেশন-ম্যানেজমেন্ট এগুলাতে স্কিলড হতে বলেন । যে ডাক্তার হইছে তাকে তার ফিল্ডের সবচেয়ে বেষ্ট ডাক্তার হইতে বলেন, একজন ইঞ্জিনিয়ারকে সেরা ইঞ্জিনিয়ার হইতে বলেন । আপনি মানুষকে প্রচুর পরিমাণে হালাল উপার্জন করতে বলেন। 

আপনি মানুষকে যাকাত দেয়ার উপযোগী করতে মোটিভেট করেন। বলেন না, যে এ বছর এক লাখ টাকা যাকাত দিয়েছে সে যেন নেক্সট ইয়ার ৫ লাখ টাকা যাকাত দেয়ার মত অবস্থায় যেতে পারে। 

হ্যাঁ, তাকে চেষ্টা করতে বলেন । বাট ক্যারিয়ারকে নিজের ইলাহ বানাইতে না করেন । হালালভাবে একটা সার্টেন এফোর্ট দিয়ে ভালো উপার্জন করতে মানুষকে মোটিভেট করতে অসুবিধা কোথায় ? 

কেন মাত্র একটা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন তৈরি হইছে ? আরো ১০০টা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নাই কেন ? 

আপনি মানুষকে আরও ভালো করতে উৎসাহ দেন। তাদেরকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে বলেন । কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে বলেন । সেখানে ইসলামিক পরিবেশ এনশিউর করতে বলেন । অসহায়-বিপদগ্রস্থ মানুষদের কাজের ব্যবস্থা করতে বলেন।  

আপনি খেয়াল করে দেখেন, শিক্ষিত লোকজন কিন্তু আপনাদের কথা খুব একটা শুনতেছে না । কারন, আপনারা তাদের নীড ক্যাটার করতে পারতেছেন না । বুঝতেছেন না মানুষ এখন অনেক ওয়েল ইনফরমড । তার কাছে অনেক তথ্যের এক্সেস আছে যে পর্যন্ত আপনি এখনো যেতেই পারেন নাই । 

২১ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার এবং মাত্র ৯০ লাখ মানুষের একটা পুঁচকে রাস্ট্র সারা দুনিয়াকে নাচাচ্ছে শুধুমাত্র টেকনোলজি আর অর্থণীতির জোরে ।  তাদের অত্যাচার চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আমরা কিছু করতে পারতেছি ? 

ভাইয়েরা এখন সময় আছে নিজেদেরকে আপগ্রেড করি ।  উম্মাহর খেদমত করার অনেক জায়গা আছে । 

এখনো যদি ৮০-৯০ বছর আগের স্টাইল নিয়ে আপনি পরে থাকেন তাহলে আপনার দ্বারা উম্মাহর খুব একটা খেদমত হবে না এবং হইতেছে না এটা নিশ্চিত থাকেন। হ্যাঁ, আপনি খালি আপনার লাইফ-স্টাইলটাই এনশিউর করে যাচ্ছেন।


আরও খবর

প্রথম ধাপের ইজতেমা তুরাগ তীরে জনসমুদ্র

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫




রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম সংশোধনের জন্য আপিল বিভাগে দ্রুত রিভিউ শুনানির আবেদন করেছে বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে আইনজীবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর এ আবেদন করেন।

এ সময় তিনি আপিল বিভাগকে বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুত শুনানি হওয়া উচিত। কারণ, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিকমতো হয়নি। পরে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের এ মামলা শুনানি করতে ১৬ জানুয়ারির কার্যতালিকায় যুক্ত করতে বলেন।

এর আগে, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিক করে রায় দেন আপিল বিভাগ, যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর।

সেই রায়ে বলা হয়, ১. সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে।

২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত হবেন। জুডিশিয়াল সার্ভিসের সর্বোচ্চ পদ জেলা জজ। অন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে সচিবরা রয়েছেন।

৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ১৭ নম্বরে।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনো কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার না হয়।

প্রসঙ্গত, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।


আরও খবর

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫