Logo
শিরোনাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে সাজানো নাটক চলছে

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বললেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আড়ালে দেশে সাজানো নাটকীয়তা চলছে। এছাড়া ডিএমপির নিষিদ্ধ এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভ করার ঘটনায় সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দীন পিন্টুর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, নাসির উদ্দিন পিন্টুকে আজ যেভাবে স্মরণ করা হচ্ছে, এই নাসির উদ্দিনদের মতো হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে আজকের এই বিএনপি।

এসময় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে লাগাতার আন্দোলনকে নাটক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কোনো অপকর্মের আগে শেখ হাসিনাও মানুষের দৃষ্টি সরাতে এমন কৌশল অবলম্বন করতেন। বিএনপি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিরোধিতা না করলেও একটি অজনপ্রিয় দল শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপিকে হেয় করছে।

তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে চায় তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। কারণ আওয়ামী লীগকে বিএনপি কখনো আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। ১৭ বছর যাদের কাছে নির্যাতিত হয়েছে বিএনপি তাদের পুনর্বাসন করবে; এটি যারা বলে তারা বিএনপিকে হিংসা করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ভিআইপি ট্রিটমেন্ট নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, অথচ সরকার কিছু জানে না; তারা কী জানে?

তাছাড়া, প্রশাসনে বিএনপি নিধন করে আওয়ামী-জামাতপন্থিদের স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেন, অনেক উপদেষ্টা যারা দেশের নাগরিক না, তারাই দেশ পরিচালনা করছে। মনে হচ্ছে ঔপনিবেশিক শাসন চলছে দেশে। করিডর নিয়ে জামায়াত-এনসিপি কেউ কথা বলছে না।

সেন্টমার্টিন, সাজেক নিয়ে এনসিপি কেন কথা বলছে না— দলটির কাছে এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, বিশ্বের ডিকশনারিতে মানবিক করিডর বলে কিছু নেই। প্রয়োজনে একেকটা নাম দিয়ে এসব বানানো হচ্ছে। আমরা কেন সেন্টমার্টিন যেতে পারবো না, আমি এনসিপির ভাইদের বলতে চাই আপনারা এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন না কেন। দেশ ভালো অবস্থানে নেই। আবার আমরা শুনতে পাচ্ছি মানবিক করিডর দেওয়া হবে, কেন কার স্বার্থের জন্য করিডোর, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনও করিডর দেওয়ার অধিকার এই সরকারের নেই।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে। বিভিন্ন মিশন চালু হচ্ছে। সব অপকর্ম ইচ্ছাকৃতভাবে করছে সরকার, সরকার কারও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করছে, এটি দেশপ্রেমিক সরকার নয়।

এসময় মানবিক করিডোর নিয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নীরবতা তুলে ধরে বিস্ময় প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। বিএনপি ছাড়া করিডর নিয়ে কেউ কথা বলছে না। জামায়াত, চরমোনাই কেউ কথা বলছে না। বিএনপিকে শেষ করতে পারলেই আওয়ামী লীগের মত দেশ লুটেপুটে খাওয়া যাবে।

নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংগঠনের আহ্বায়ক সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তার কারণ ছিল তিনি বিশ্বাসী ছিলেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক :

সমস্যাটা ধর্ম নয়, সমস্যাটা হল ধর্ম আপনার চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ বা কগনিটিভ এবিলিটিকে গোলমেলে করে দিয়েছে কিনা। চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ বা কগনিটিভ এবিলিটি দুই ভাবে এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। এক উয়োক সংস্কৃতি। বাংলাদেশের মেয়েদের ক্ষেত্রে যেমন হয়। একটি মেয়ের যত সমস্যা থাক, বিয়ে দিয়ে দিলে সেটা ঠিক হয়ে যাবে এটা হল সেই উয়োক সংস্কৃতির চিন্তা। যার অর্থ হল মেয়েটাকে মানুষ হিসাবে না ভেবে তাকে দেহসবর্স্ব একটি ভোগ্যবস্তু ভাবা। মেয়েটি নিজেও এটি ভাবা শুরু করলে তখন তার চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। জীবনের সব সমস্যাকেই সে বিয়েতে নিয়ে যায় এবং একটি মূল্যবান বর পাবার জন্য যা যা করা দরকার সে সেগুলো করতে থাকে। তার চিন্তা করার ক্ষমতাকে সে অবহেলায় হারায়। 

দুই হল জীবনে প্রথম আঘাত পেলে বা প্রথম কোন জটিল সামাজিক মানসিক সমস্যায় পড়লে সে যখন আর সেটা চিন্তা করে সেটার সমাধান করতে পারে না। তখন সে চিন্তা করা থামিয়ে দেয় এবং নিজেকে একটি মানসিক শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে। সেটা পশ্চিমা উয়োকিজম হতে পারে, সেটা কোন ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বা বাম ভাবধারার উয়োকিজম হতে পারে। এই উয়োকিজম হচ্ছে মনোবিদ্যাগতভাবে নার্সিসিজম। যেখানে মানুষ নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োগ করে তার দল বা গোষ্ঠীর জন্য কি আচরণ করা অভিপ্রেত সেটা শিক্ষা করা এবং সেই আচরণ অনুসরণ করা নিজেকে মূল্যায়িত করা। এই ধরণের আচরণ বহুদিন অনুসরণের ফলে তার মস্তিস্কের সুক্ষ্ম চিন্তা করার ক্ষমতা ঝরে যায় যেটাকে নিউরোসায়েন্সের ভাষায় প্রুনিং বলে। 

আমাদের অবিবাহিত মেয়েদের জন্য বিয়ে যেরকম, সব চিন্তাগত সমস্যার সমাধান, পুরুষদের জন্য তেমনই হল ধর্ম। যেমন মানসিক সমস্যা থাকায় কোন মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হল, যখন তাকে নিয়ে স্বামী বিপদে, সে তখন ছুটে গেল হাদিসে কি বলা আছে। সেখানে বলা আছে স্ত্রীকে প্রহার করা যাবে। ব্যাস তার সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। এখন স্ত্রীর পাগলামি দেখা দিলে সে প্রহার করে। 

পশ্চিমা আধুনিক উয়োকিজম কিন্তু চিন্তাগতভাবে একই। সেখানে হাদিসের স্থানে আছে মিডিয়া ও পপুলার কালচার। মানুষ চিন্তা ভাবনা না করে কোন সমস্যায় কি করতে হবে সেটা সোপ অপেরা, নাটক, সিনেমা, টিভি, সামাজিক মাধ্যম থেকে অনুসরণ করে। প্রথা বা পারিবারিক বা সামাজিক মূল্যবোধের আর প্রচলন নাই।

ধর্ম বা আর্ট হিসাবে নাটক, নভেল, সাহিত্য, সিনেমার লক্ষ্য কিন্তু কোন ভাব বা ধারার অনুসরণকারী তৈরি করা নয়। সেটার লক্ষ্য চিন্তাশীলতার চর্চা। জীবনের জটিলতার সরল সূত্র আবিষ্কার করা এবং কিছু সাধারণ মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা যার ফলে সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা এবং মানুষ মনে বিশ্বাস, ভালবাসা এবং আনন্দ বিরাজ করে।

চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ কমে যাওয়া বা কগনিটিভ এবিলিটি ডিক্লাইনেশন কখনই আমাদের সেই পথে নিয়ে যাবে না। সেই কারণে একজন আধুনিক, শিল্পমনা বা ধার্মিক ব্যক্তিকে অবশ্যই জীবনের সুক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তায় সক্ষম হতে হবে। যারা জীবনের সুক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তায় সক্ষম নয়, তারা ধার্মিক নয়। জীবনের সুক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তায় যারা এলোমেলো, ধর্ম বা ঈশ্বর আর মহাবিশ্ব নিয়ে চিন্তা তারা কিভাবে করবে? এরা সবাই ভুয়া।

মানুষ হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চিন্তাপ্রক্রিয়া ছিল অত্যন্ত পরিষ্কার। শুধু রাজনীতি নয়, দেশের মানুষ, সমাজ ও ধর্ম নিয়ে তার মনে ছিল স্বচ্ছ ধারণা। তাই নানা প্রলোভন ও আন্তর্জাতিক চাপ সত্বেও তিনি তাঁর বিশ্বাসে অটল ছিলেন। একজন প্রকৃত মুসলমান হল যাকে সবাই বিশ্বাস করে, যে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে বা যে দেশকে ইসলামী রাষ্ট্র বানায় সে নয়। এই কারণেই নানা ব্যর্থতা সত্বেও এমনকি দুর্ভিক্ষের বছরেও তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। 

বঙ্গবন্ধুর এই জনপ্রিয়তার কারণ ছিল শুধুই তিনি বিশ্বাসী ছিলেন বলে। যে কারণে তাকে হত্যাকারী সামরিক কর্তারা অন ক্যামেরা ইন্টারভিউতে বলেছিল যে তিনি এত জনপ্রিয় ছিলেন যে তাকে হত্যা করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না।

সামনের নির্বাচনেও এই মুসলিম সমাজে মানুষ যাকে বিশ্বাস করে সে ভোট পাবে। যারা তাকে খুন করেছে তারা বা যারা বিদেশের কাছে দেশ বিক্রি করেছে তারা এই বিশ্বাসের ইসলামকে ধরতে পারে না। যেমন ধরতে পারেনি পশ্চিম পাকিস্তানীরা। কারণ তারা বিশ্বাসী ছিল না, তারা ছিল এক একজন শৃগালের মত ধূর্ত ও শঠ। 

লন্ডনে বসে যারা দেশের সামনের নির্বাচন ও রাষ্ট্র শাসনের দুরভিসন্ধি ও চক্রান্তে রত, তারা পাকিস্তানিদের অনুসারী যারা নিজেরাও শৃগালের মত ধূর্ত ও শঠ যেটা জাতির কাছে প্রমাণিত। যে যাই বলুক নির্বাচন বিশ্বাসের খেলা। মানুষ যাদের বিশ্বাস করে তারা জিতবে।


আরও খবর



ভালো খেলেও জয়বঞ্চিত মেসির ইন্টার মিয়ামি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

প্রথমবারের মতো ৩২ দল নিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের পর্দা উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচেই লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামি মিশরীয় ক্লাব আল-আহলির মুখোমুখির হয়। রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে দারুণ সব সেভ করে দুই দলকেই জয়বঞ্চিত করেছেন উভয় গোলরক্ষক। মেসির ফ্রি-কিক কিংবা বাঁ পায়ের বাঁকানো শটও তাই প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায়নি। ফলে আহলির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো মিয়ামিকে।

এর আগে তিনবার ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছিলেন মেসি। তখন অবশ্য আর্জেন্টাইন মহাতারকার গায়ে বার্সেলোনার জার্সি, আর বিশ্বকাপের পরিসরও ছিল ছোট। সাত দল থেকে অভূতপূর্বভাবে এই প্রথমবার ফিফা ক্লাবের এই মেগা টুর্নামেন্ট ৩২ দলে রূপ দিয়েছে। এ ছাড়া ইন্টার মিয়ামির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও খুব একটা সুখকর নয়। ফলে এবার মেসির লক্ষ্যটা ছিল সর্বোচ্চ পারফর্ম করা। দল কতদূর যেতে চায় সেই আলাপ তিনি সরিয়ে রেখেছিলেন।

ফ্লোরিডার হার্ডরক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শুরুর কথা ছিল মিয়ামি-আহলির এই ম্যাচ। পরে আসরের উদ্বোধনী পর্ব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে বল মাঠে গড়াতে কিছুটা বিলম্ব হয়। শুরু থেকেই দুই দল শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে। প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার অনেক বড় সুযোগ ছিল আল আহলির জন্য। কিন্তু তাদের ফুটবলার মাহমুদ ট্রেজেগুয়েটের নেওয়া পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন মিয়ামির আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। ম্যাচজুড়ে এমন সব সেভের জন্য তিনি ম্যাচসেরাও হয়েছেন। অবশ্য আহলির গোলরক্ষক মোহামেদ আল এলশেনাওয়ি-ও বারবার হতাশ করেন মেসিদের।

ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই আল-আহলির আবু আলি প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করেন। কিন্তু বক্সে ঢুকে তিনি বিলম্বে শট নেন মিয়ামি গোলরক্ষকের হাতে। পরে জানা যায় অফসাইড ছিল সেটি। তিনি মিনিটের মাথায় আবারও মিয়ামির রক্ষণে হানা। তবে ইমাম আশুরের শট ঠেকাতে এগিয়ে এসে এবারও ঢাল বনে যান গোলরক্ষক উস্তারি। তাকে একা পেয়েও গোলবঞ্চিত আহলি। ১৫ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় মিয়ামি। কিন্তু ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য শটটি মেসি বেশ বাইরে দিয়ে মারেন। এভাবে দুই দলই আক্রমণ শাণালেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল অনেকটাই আহলির কাছে।

৩২ মিনিটে এক ফাঁকা হেডার থেকেও অভিজ্ঞ আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মিয়ামিকে বাঁচিয়ে দেন। ফলে গোলশূন্য সমতা নিয়েই উভয় দল বিরতিতে যাওয়ার প্রস্তুতিতে ছিল। তবে নিজেদের বক্সে আহলি ফুটবলারকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেয় মিয়ামি। স্পট কিকে ট্রেজেগুয়েট মিয়ামি গোলরক্ষককে বিচলিত করতে পারেননি। বরং বল মেরেছেন তার হাতে। সেই স্বস্তি নিয়ে ফেরার পর মিয়ামির ছন্দ ফেরে দ্বিতীয়ার্ধে। মেসিকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে তারা বেশ গোছালো ফুটবল খেলতে থাকে। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি হয়। ৬৪ মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক একটুর জন্য জালের পাশে গিয়ে লাগে।

শেষ পর্যন্ত উভয় দল একের পর এক আক্রমণ শাণায়। গোলের সুযোগ থাকলেও প্রতিবারই দুই গোলরক্ষক দারুণ মুনসিয়ানা দেখিয়েছেন। শেষদিকে মিয়ামির কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ফাফা ফিকোল্ট দারুণ হেডে প্রায় আহলির জালে ঠেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু অসাধারণ দক্ষতায় সেটি ঠেকিয়ে দেন আহলি গোলরক্ষক। এরপর তিনি আরও দুটি কর্নার থেকে আসা বল আটকান। শেষ পর্যন্ত আর কোনো দল ডেডলক ভাঙতে পারেনি। ফলে স্কোরলাইন ০-০।


আরও খবর



নওগাঁয় একই মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফেরার পথে সড়কে ঝরলো ৩শিক্ষার্থীর প্রাণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একই মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে ফেরার পথে সড়কে ঝরলো ৩ জন তরুন শিক্ষার্থীর প্রাণ।

মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার সন্ধার পূর্ব মহূর্তে নওগাঁ টু জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের নওগাঁ জেলাধীন পত্নীতলা উপজেলার পার্বতীপুর মোড় নামক স্থানে।

নিহত ৩ জন শিক্ষার্থী হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের মাষ্টারপাড়া মহল্লার বেথুল আশরাফ ওরফে বাবুর ছেলে সুনিবর আশরাফ (১৭), আখরারুজ্জামানের ছেলে হৃদয় (১৭) ও শাহজান আলীর ছেলে সাদনান সাকিব (১৭)। একই দূর্ঘটনায় একই এলাকায় বসবাসকারী ৩ জন শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের পরিবার সহ স্বজন ও এলাকাবাসীর মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, নিহত ও আহত ৩ জন শিক্ষার্থীই হলেন বন্ধু। তারা বাড়ি থেকে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাজারে বেড়াতে যান এবং সেখান থেকে ফেরার পথে পত্নীতলা উপজেলার পার্বতীপুর মোড় নামক স্থানে পৌছার পর তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে রাখা একটি বাসের পেছনে ধাক্কা লাগে মোটরসাইকেলটি বাসের বাঙ্কার ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে যায়। এতে দূর্ঘটনাস্থলেই সুনিবর আশরাফের মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা নিহত আশরাফসহ আহতদেরকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুনিবর আশরাফকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অপর দু' জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময় পথে হৃদয় হোসেন মারা যায়। এবং আহত সাদনানকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবনতি হলে রাত ১১ টার দিকে তাকে আইসিইউ তে নেওয়া হয়। এরপর রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুল বলেন, সুনিবর আশরাফ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় এবং তাদের অনুরোধে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং আহত হৃদয় হোসেনকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে সাদনানেরও মৃত্যু হয়।


আরও খবর



সরকারি চাকরিজীবীদের শাস্তিতে হচ্ছে নতুন বিধান

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

আওয়ামী লীগ থেকে সুবিধাভোগী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর বিপাকে পড়েন। তাদের সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা করতে দেখা গেছে। সরকারি কর্মচারীরা দায়িত্বে অবহেলা বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে, দীর্ঘ প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় না গিয়ে, তাদেরকে দ্রুত বরখাস্ত করার বিধান আনছে সরকার।

এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, এ ধরনের অভিযোগ গঠনের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সংশোধিত আইনের খসড়া ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বছরের পর বছর ধরে চলা শাস্তিমূলক মামলার দীর্ঘসূত্রিতা এড়াতে এ সংশোধন আনা হচ্ছে।

নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, সরকারি দায়িত্বে অবহেলা বা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে হবে। এরপর অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে সর্বোচ্চ ২০–২৫ কার্যদিবস সময় লাগবে। কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে জবাবদানের সময়সীমা শেষ হওয়ার দিন থেকেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করতে পারবেন। নতুন আইন অনুযায়ী, দাবি আদায়ে দলবদ্ধ কর্মসূচি, বলপ্রয়োগ, সভা-সমাবেশ, কর্মবিরতি—সবকিছুই শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র বলছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে জনপ্রশাসনের একাংশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, একদল কর্মকর্তা দলবদ্ধভাবে জনপ্রশাসন সচিবকে অবরুদ্ধ করে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি আদায় করেছেন। প্রশাসন ও অন্যান্য ক্যাডারের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে। কেউ কেউ কর্মবিরতিতে গেছেন, কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন। এসব বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার মনে করছে, সরকারি চাকরিজীবীদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে এবং আন্দোলন, সভা-সমাবেশ ও কর্মবিরতির মতো কর্মসূচিকে নিরুৎসাহিত করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ প্রয়োজন রয়েছে। ফলে নতুন সংশোধিত আইনে সরকার সভা-সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচি ও ধর্মঘটসহ যেকোনো ধরনের দলবদ্ধ কর্মসূচিকে শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে এসব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তিতে পাঁচ বছর

বর্তমান প্রক্রিয়ায় কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে গেলে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, তদন্ত কমিটি গঠন, প্রতিবেদন দাখিল এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ প্রশাসনিক ধাপে যেতে হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার আপিল করার অধিকারও রয়েছে। এসব প্রক্রিয়া শেষ হতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তবে নতুন আইনে এসব বাদ দিয়ে সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকলে ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তির বিধান রাখা হচ্ছে।

নির্দিষ্ট সময়সীমা

নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, সরকারি দায়িত্বে অবহেলা বা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে হবে। এরপর অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে সর্বোচ্চ ২০–২৫ কার্যদিবস সময় লাগবে। কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে জবাবদানের সময়সীমা শেষ হওয়ার দিন থেকেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করতে পারবেন। নতুন আইন অনুযায়ী, দাবি আদায়ে দলবদ্ধ কর্মসূচি, বলপ্রয়োগ, সভা-সমাবেশ, কর্মবিরতি—সবকিছুই শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে। কেউ এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতে অন্যকে প্ররোচিত করলেও একই শাস্তির আওতায় পড়বেন। কর্মস্থলে অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকলেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতির বিধান রাখা হয়েছে। তবে আইনের এই খসড়া নিয়ে সরকার জনমত নেয়নি। সচরাচর আইন প্রণয়নের আগে মতামত আহ্বান করা হলেও এবার গোপনীয়ভাবে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




এবার প্রকাশ্যে বিবাদে জড়ালেন ট্রাম্প-মাস্ক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিগ বিউটিফুল কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ বলে সমালোচনা করে প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন। এ ঘটনার পর এবার পাল্টাপাল্টি আক্রমণাত্মক মন্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছেন, টেসলার সিইওর ওপর তিনি ‘ভীষণ হতাশ।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর মাস্ক বলেছেন ট্রাম্প ‘অকৃতজ্ঞ’। ট্রাম্প সাংবাদিকদের কাছে মাস্কের তীব্র সমালোচনা করছেন। অন্যদিকে, স্যোশাল মিডিয়া এক্সে একের পর এক পোস্টে ট্রাম্পকে পাল্টা তুলোধুনো করছেন মাস্ক। এমন প্রকাশ্য বাদানুবাদে দুইয়ের মধ্যকার দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে ট্রাম্প ও মাস্কের এমন পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের পর টেসলার শেয়ারদর ব্যাপক হারে কমে গেছে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্র সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের সঙ্গে বৈঠকের সময় মাস্ককে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ‘ইলন মাস্কের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক ছিল। সেটা আর থাকবে কি না আমি জানি না।’ ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভীষণ হতাশ। কারণ, এখানে উপস্থিত অন্য যে কারও চেয়ে তিনি এই বিলের ভেতরের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ভালো জানতেন। হঠাৎ করেই এটি নিয়ে তার সমস্যা শুরু হয়েছে।’

এদিকে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর স্যোশাল মিডিয়া এক্সে পাল্টা জবাব দিয়েছেন ইলন মাস্ক। তিনি লিখেছেন, ‘আমি না থাকলে ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে যেতেন। ডেমোক্র্যাটরা হাউজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিত। আর সেনেটে রিপাবলিকানদের সূক্ষ্ম ব্যবধান (৫১-৪৯) থাকত। অথচ ট্রাম্প এই ধরনের অকৃতজ্ঞতা দেখাচ্ছেন।


আরও খবর